নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাবের তুহিন

আছি । আমি আছি ।

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ব্যবস্থার নাকাল অবস্থা ।

৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

বর্তমানে পাশের সংখ্যা আর এ প্লাসের সংখ্যা দেখে কেউ যদি মনে করেন দেশের শিক্ষা চরম অবস্থায় পৌঁছে গেছে তবে ভুল করবেন । বিশাল ভুল করবেন ।

আব্দুন নুর তুষার একটা কথা বলছিলেন , '' যে ছাঁকনি দিয়ে সব চায়ের পাতা বেরিয়ে যায় ঐটাকে ছাঁকনি বলা যায় না । ''

পরীক্ষায় নকল বন্ধ হইছে এইটা আমরা অনেকেই জানি । ভালো কথা । কিন্তু এখন যা হচ্ছে টা ওই নকলের চেয়ে খারাপ । নকল করতে সাহস লাগতো । সবাই করতো না । কয়েকজন করতো । কয়েকজন ধরা পড়তো । কিন্তু এখন প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায় । । মিডিয়া তে কি আসে ? না । আমি কখনও দেখি নাই ।

তাহলে আমি জানলাম কেমতে ? ভাই আমিও পরীক্ষা দেই , আমার বন্ধুরাও দেয় আবার বড় ভাইরাও পরীক্ষা দেয় ।

কমন পরা আর প্রশ্ন আগের-দিন পেয়ে পরীক্ষা দেয়ার মধ্যে আমার আর এরিস্টটল সাহেবের বয়সের মধ্যকার পার্থক্যের চেয়েও বেশি পার্থক্য ।

যাই হোক কথায় আসি । প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে । আমরা যখন এসএসসি পরীক্ষা দেই তখন বেশ কয়েকজন বন্ধু প্রশ্ন পাইছিল । আমার বড় ভাই কইছিল এই সকল ব্যাপারে মাথা না খাটাইয়া পড়তে । আমি তাই করছি । এইবার যারা এইচএসসি পরীক্ষা যারা দিচ্ছে তাদের একজনকে সারাক্ষণ ফেবুতে পাইলাম । তো নিজের কাছেই কেমন যেন লাগলো । তো জিজ্ঞাস করলাম পরীক্ষা আছে নাকি নাই ? জানতেও পারলাম ইংরেজি পরীক্ষা । তাও এতো ফেবুতে কেমতে কি ? তখন বলল , চার সেট প্রশ্নই তার কাছে আছে । সুতরাং বিন্দাজ মুড অন ।

আর স্যারদের মোবাইলেও প্রশ্ন আসে তাও আবার উত্তর সহ ।

বাহ বাহ । ভালো তো ভালো না । প্রশ্ন ফাঁস হয় কেমনে ? তার মানে সহজ উপরের কেউ গাঞ্জা খাইয়া আকাম করে । শিক্ষা ক্ষেত্রের এই অবস্থা হইলে আমরা কুনে যামু ? তার চেয়ে ঘাস খাওয়া ভালো ,নো ঝামেলা ।

আমি ভালো একটা চিন্তা করছি । এসএসসি পরীক্ষা দিতে ন্যূনতম চোদ্দ বছর হতে হয় । তো আমি আমার পুলারে খালি চোদ্দ বছর পর্যন্ত ক খ শিখামু আরেকটু হাবি যাবি শিখামু যাতে লিখতে পড়তে পারে । এরপর এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করামু । পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পাইয়া যামু । ঐটা মুখস্থ করামত পরীক্ষায় এ পেলাস পাইব । গোল্ডেনও পাইলে পাইতে পারে । এরপর দুই বছর ঠাণ্ডা । এইচএসসি পরীক্ষার সময় একই অবস্থা করুম । এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় কিছু পয়সা খরচ করলে ওই প্রশ্নও পামু । আমার পুলা ডাক্তার হইব নাইলে ইঞ্জিনিয়ার । ডাক্তার হইয়া কাউরে মারলে আরও কিছু পয়সা খরচ করলে সেইখানেও কিছু করা যাবে । ইঞ্জিনিয়ারিং এও একই কাজ । পুলা আর কয়দিন বাঁচবো । কিন্তু শান্তির একটা জীবন । একটু পয়সা পাতি খরচ হইব আরকি । ব্যাপার না । মানুষের কাছ থেকে হাত খরচ নিমু ।

শিক্ষা পদ্ধতিঃ

সৃজনশীল করায় যে খুব সুবিধা হইছে তা কিন্তু না । বলা হইছিল স্যারদের কাছে দৌড়ানো কমবে কিন্তু উলতে হইছে আরও বাড়ছে । কারণ এখন যায় এই বইলা যে , ' নতুন পদ্ধতি এর প্রশ্ন । বুঝি না । ' আর এই ক্ষেত্রে নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রায়োরিটি বেশি । কারণ সেই তো প্রশ্ন করবে । তার কাছে না পড়লে কেমতে কি ? স্যারেরাও এর পুরো ইস্তেমাল করছে । কঠিন প্রশ্ন করে নিজেকে জাহির করছে । যেন ছাত্ররা কঠিন প্রশ্ন করা শিক্ষকের কাছে যায় ।

আর সৃজনশীল সম্পর্কে অনেক স্যার এখনও কিছুই বুঝে না । ছাত্ররা বেশি জানে । আর অভিভাবকদের অবস্থা আরও খারাপ । তারা তাদের সন্তানদের বুলেট বানাইতে চায় কিন্তু জানে না যে তার সন্তান কতটুকু সক্ষম ।

আর স্যারদের না পড়ানোর উপর যেমন চাপ দিচ্ছে তেমন চাপ গাইড কোম্পানিদের উপর কেন দেয়া হচ্ছে না কিছু বুঝতে পাচ্ছি নে ।

[ ভাষায় একটু সমস্যা আছে । রাগে ঠিক ভাবে লিখতে পারি নাই । আর ভবিষ্যতে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমার চিন্তা কেমন হলে আমার মতে ভালো হয় সে সকল জিনিস দেবো আশা রাখি । ]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: পোস্টে +++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.