নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাবের তুহিন

আছি । আমি আছি ।

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিমিত্তে [ গল্প ]

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

আজ মুহিতের মন খুব ভালো । প্রতি সপ্তাহে একদিন ওর মায়ের সাথে মামার বাসায় যায় । মামার বাসায় যাওয়ায় খুশি হওয়ার মূল কারণ ওর মামাতো বোন সিনথিয়া । সিনথিয়া মুহিতকে অনেক ভালোবাসে মুহিতও ভালোবাসে সিনথিয়াকে । সিনথিয়াদের বাসায় হেঁটে যাওয়ার সময় পথে একটি জবা ফুলের গাছ পড়ে । মুহিত সেই গাছে কোন ফুল দেখলেই টা ছিঁড়ে সিনথিয়ার জন্য নিয়ে যায় । আজ গাছে গুল থাকায় মুহিত ফুল ছিঁড়ে নিয়ে নিয়েছে ।

মামার বাসার কলিংবেল তিপ দেয় মুহিত । তাদের বাসার কাজের মেয়ে দরজা খুলে দেয় । মুহিত দৌড়ে সিনথিয়ার রুমে চলে যায় । সিনথিয়া মুহিতকে দেখে খুশি হয়ে দৌড়ে আশে । সিনথিয়া মুহিতকে কোলে তুলে নেয় । মুহিত তখন সেই জবা ফুল সিনথিয়াকে দেয় ।

সিনথিয়া , '' থ্যাংক ইউ । ''

মুহিত মিটিমিটি করে হাসে ।

'' ঐ তোকে না কতবার বলেছি কেউ 'থ্যাংক ইউ ' বললে তাকে ওয়েলকাম বলবি ? ''

'' ওয়েলকাম ''

'' এইতো লক্ষ্মী ছেলে । মনে থাকে যেন । ''

সিনথিয়া মেট্রিক পরীক্ষার্থী । আর মুহিতের কেবল চার বছর বয়স । এখনও পড়াশোনা শুরু করেনি । মুহিত তার প্রতিটি জন্মদিনে একজনের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেটে অধীর আগ্রহে বসে থাকে । কখন সিনথিয়া ফোন করে কিংবা ওর বাসায় এসে ওকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবে ।

সিনথিয়া যখন অনার্সে পড়ে তখন মুহিত পড়ে ক্লাস ফাইভে পড়ে । সিনথিয়া তখন টিউশনি করাতো । ইদের দিন সিনথিয়া মুহিতকে নিয়ে মোড়ের চটপটি - ফুচকার দোকানে নিয়ে গেলো ।মুহিত বেশ আগেই বায়না ধরেছিল । ঐ দিনের ব্যয়িত সময় মুহিত কোনদিনই ভুলতে পারবে না । কারণ ের আগে কখনো বোনের সাথে ও বের হয় নি ।

মুহিত জানত ও ওর বোনকে যেভাবে ভালোবাসে ওর বোনও ওকে একইভাবে ভালোবাসে । কিন্তু ওর ধারণা পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হল । মুহিত তখন ক্লাস এইটে পড়ে । তখন ওর বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় । ও তো মহা খুশি দোলাভাই পাচ্ছে । আলাদা একধরনের মজার অনুভূতি । বিয়ের পড় এই খুশি আর দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে নি । কারণ ওর বোনকে আর ও সেইভাবে কাছে পায় নি । মুহিত চেয়েছে কিন্তু ওর বোন এড়িয়ে গিয়েছে । এই আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা মুহিতের ছিল না । কিন্তু ভাগ্যকে মেনে নিয়ে মুহিত এগিয়ে চলেছে । কারণ ও যাকে একবার ভালবেসেছে তাকেও সারাজীবন ভালবেসে যাবে । ও - পাশ থেকে না আসলেও মুহিত একাই ভালবেশে যাবে । তা নাহলে ও নিজে যে ঐ দলভুক্ত হয়ে যায় । তবে সিনথয়াকে চোখের সামনে দেখলেই ও সব কথা ভুলে যায় । মুহিত এজন্যই হয়তো তার বোনকে কাছে না পেয়েও ভালবেসে যাচ্ছে ।

ফোন বেজে উঠলেই মনে হয় হয়তো ওর বোন ফোন করেছে । আজও জন্মদিনে মুহিত ঐ একজনের নিমিত্তে অপেক্ষায় থাকে । ভালোবাসার মানুষগুলো কত সুন্দর ।

আকাশের তারাগুলো কত সুন্দর । আমি তো তারা দেখি , তারার সৌন্দর্য অবলোকন করি । আচ্ছা তারারা কি আমাকে দেখে ? তারাগুলো কার নিমিত্তে জ্বল জ্বল করে ? আঁধারের নিমিত্তে নাকি আমার নিমিত্তে ? হয়তো আমার মনে আঁধারের নিমিত্তে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.