নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাবের তুহিন

আছি । আমি আছি ।

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙ্গালির কিছু খাদ্য [ খাঁটি নিজস্ব ]

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

[ ইফতারের আগেই দিলাম । মাফ করবেন । ]

বাঙ্গালি খাদ্য বলতে সবাই বুঝে সেই পহেলা বৈশাখে গরিবের খাওয়া বড়লোকি স্টাইলে '' পান্তা ইলিশ '' খাওয়া ।

যাই হোক । নিজে খেয়েছি নিজের পছন্দের কিছু দেশি ঘরানার খাওয়ার কথা বলি । ভুল হলে মাফ করবেন ।

০১ -

আমার প্রিয় খাদ্য সম্পর্কে কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি অকপটে বলে দেই '' ভাত , ডাল আর আলু ভর্তা । '' যতটা সাধারণ মনে হচ্ছে ততটা না । ভাত হতে হবে ঠাণ্ডা আবার ফ্রিজের না কিন্তু । আর ডালের ঘনত্ব হতে হবে মধ্যম পর্যায়ের । আর আলু ভর্তা দুই ধরনের সাধারণত জনপ্রিয় । আমারও পছন্দের । দুই ধরনের মধ্যে যে জায়গায় মিল সেইটা হল - পুরাতন আলু , তেলে ভাজা শুকনা মরিচ আর কাঁচা পেঁয়াজ । আর যেই জায়গায় পার্থক্য তা হল - একটা ভর্তা করা হয় ঘি দিয়ে আরেকটা সরিষার তেল দিয়ে । দুইটারই নিজস্ব স্বাদ বিদ্যমান ।

০২ -

আগে আব্বা যখন চাল আনত এক বস্তা । তখন তা আগে ' কুলা ' য় ঝাড়া হতো । এই জিনিসটা অনেকেই চিনবে না আশা করি আবার চিনতেও পারেন । যাই হোক । কুলা দিয়ে ' খুদ ' ঝাড়া হতো । ' খুদ ' জিনিসটা বুঝানোর জন্য বলতে হয় ভাঙা চাল । সেইটা মূল চাল থেকে পৃথক করে আলাদা করে রাখা হতো । আম্মা শুক্রবার রাঁধত । সকালে ঘুম থেকে উঠে খেতাম । রান্নাটা খুব কঠিন না । প্রেসার কুকারে দিয়ে রাঁধতে হয় । চাল যে ধোয়া লাগে তা না বললেও চলে । তো তাতে লবণ , রসুন , মরিচ ইত্যাদি দিয়ে সাথে পানি থাকবে কিন্তু জ্বাল হওয়ার জন্য । তো এইটা খাওয়ার আরেকটা বিশিষ্ট দিক হচ্ছে ভর্তা দিয়ে খেতে হয় । হরেক রকমের ভর্তা সম্ভব । একটার সাথে আরেকটার মিশ করে বেটে ফেললেই নতুন ভর্তা বলা যায় । আম্মা করে এই রকম কিছু ভর্তার কথা উল্লেখ করি - পটল আর ইচা তথা ছোট চিংড়ির ভর্তা , শুধু চিংড়ির ভর্তা , মিষ্টি কুমড়ার চোকলা এর ভর্তা সাথে চিংড়ি , চ্যাপা ভর্তা [ এইটা একটু বেশি ঝাল হলে ভালো লাগে ] , কালিজিরা ভর্তা , চান্দা মাছ ভর্তা , আরেকটা খুব বিখ্যাত ভর্তা আছে তবে আমার ভালো লাগে না সেইটা হইলো টাকি মাছের ভর্তা সম্ভবত নাম ' সিদোল ' । ধনিয়া পাতা এর ভর্তা । এছাড়াও আঞ্চলিকতার উপরও ভর্তার প্রকার ভেদ নির্ভর করে । আর ডিম ভাঁজা দিয়েও উপভোগ করা যায় এই খুদের ভাত ।

০৩ -

একটা মজার খাবারের খবর দেই । মিষ্টি কুমড়ায়ের বীচি ( ভালভাবে নেন ) ।

বাততি কুমড়ার বীচিই একমাত্র খাওয়ার উপযোগী । সেইটা প্রথমে রোদে শুকাতে হবে । এর পর উপরের খোসা ছাড়াতে হবে । এরপর ভিতরের শাসটা লবন দিয়ে মাখিয়ে তেল ছাড়া বা তেলে ভেঁজে খেতে হয় । ভাঁজার সময় সাবধান থাকতে হয় । তা না হলে কড়াই ফাকা থাকবে । ভাঁজার সময় সেগুলি খালি লাফাইতে থাকে । [ আঞ্চলিক কিছু শব্দ আসছে । যার জন্য দুখখিত । কারণ সঠিক টা বুঝানোর জন্য অন্য শব্দ পাচ্ছিলাম না । ]

০৪ -

গরম ভাত আর ঘি আর চিনি । জিনিসটার আলাদা একটা টেস্ট আছে । পুরাই আলাদা । খাঁটি ঘি না হলে মজা না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি । এই খাবারটা ছোট থাকতে খাইছি । গরম ভাত প্লেটে নিতে হয় প্রথমে । এরপর উপরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘি ঢেলে নিতে হয় । এরপর পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি নিতে হয় । আর সর্বশেষ সব কিছু এক সাথে মেশাতে হয় । উপভোগ করুন বত্রিশ পাটি দেখানো হাঁসি

[ আরও কিছু যখন মনে পড়বে তখন আবার দিয়ে দিবো আশা করি ]

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

কালোপরী বলেছেন: প্রথম ৩টা মিলল :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

জাবের তুহিন বলেছেন: চার নাম্বারটা ট্রাই করে ফেলেন ।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

শেরশাহ০০৭ বলেছেন: ভাল

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

অনন্ত জীবন বলেছেন: "প্রেসার কুকারে রাধতে হয়!!!!!!!!!!!!!!!"

অঞ্চলভেদে অন্যনাম হতে পারে কিন্তু টাকি মাছের ভর্তা সিদোল নয়।
ভাল লাগল। কেউ জিজ্ঞেস করলে আমিও প্রথমটার কথাই বলি কিন্তু গরম ভাত ছাড়া ডাল ভর্তা জমে না।
ভর্তাময় হোক অনন্ত জীবন

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২০

বটের ফল বলেছেন: আলু ভর্তা আর মাঝারি ঘন মসুরের ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য এই মুহুর্তে যে কেমন করছে মনের ভেতর, তা শুধু আমি বুঝতে পারছি।

মূগের ডাল অসাধারন লাগে। আর ভালো লাগে মসুর ডাল ভর্তা। রান্না ডাল পুরোনো হয়ে টক হয়ে গেলে তা শুকিয়ে যে ডালের পুরপুরি তৈরি করা হয় তা এককথায় অমৃত। সাথে থাকবে কাঁচা মরিচ ভর্তা।

উফ্ আমার জিভে পানি এসে যাচ্ছে। এখন কি হবে?????? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন!!! ;) ;) ;)

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২০

বটের ফল বলেছেন: +++++++++++++++++++

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.