নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাবের তুহিন

আছি । আমি আছি ।

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিছুটান [ গল্প + একটু কথা ]

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৬

রাত তখন বারোটা বাজে -

বাসার সবাই ঘুমে অচেতন প্রায় । এর থেকে উত্তম সময় আর পাওয়া যাবে না । নিহিত আগেই তার ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিল । শুধু এখন বের হবার পালা । আগে থেকে লিখে রাখা চিঠিটা টেবিলের উপরে রাখল । ঘর থেকে বের হবার সময় চিঠিটার দিকে আরেকবার তাকাল ও । খুব সাবধানে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো নিহিত ।

রাস্তায় কোন মানুষ নেই একেবারে নীরব তবে মূল সড়কে কিছু যান চলছে । দুই একটা মানুষ হাঁটছে । সে খুব খুশি হল এই ভেবে যে সে এখন মুক্ত স্বাধীন পাখি । কেউ আর তাকে রুখতে পারবে না ।

সে সকল বাঁধা সকল দড়ি ছিঁড়ে স্বাভাবিক থাকতে চায় । সে রাতের ঢাকায় একা হাটতে লাগলো । চারদিকে পিন পতন নীরবতা । অনেক খন হাটা হল । একটু জিরাবার পালা । রাস্তার ডিভাইডারের উপর সে বসে পড়লো আর ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে পানি পান করলো ।

সূর্য উঠার পর তার পরিকল্পনা কোন কিছুতে উঠে পড়ে সে ঢাকা ছেড়ে চলে যাবে । খুশি খুশি লাগতে লাগলো তার । তার কোন পিছুটান নেই নেই পরিবারের প্রতি কোন বিশেষ আকর্ষণ না আছে প্রিয়জনার জন্য ভাবার সুযোগ ।

এই সময় দূরে একজনকে সে হেঁটে আসতে দেখল । কিন্তু তার হাঁটার মধ্যে স্বাভাবিকতা ছিল না । আর একটু কাছে আসতেই সে দেখল - তার মুখ দিয়ে লালা ঝরছে । ও চিন্তা করে এর কারণ বের করতে পারলো না । লোকটার হাটা একটু খেয়াল করে দেখল সে একবার আগাচ্ছে আরেকবার পিছাচ্ছে । জুতা খুলে গিয়েছে ইতিমধ্যেই ।

নিহিত বুঝতে পারলো লোকটা নেশাখোর । একটু ভয় পেয়ে গেলো ও । তার মানে আরও নেশাখোর এদিকে আশার সম্ভাবনা আছে । দূরে কিছু মেয়েদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল । এতো রাতে এরা এইখানে কি করে ?

কিছুক্ষন যেতে না যেতেই ঘটনা ওর কাছে পরিষ্কার হতেই সে আতংকিত হয়ে পড়লো । ব্যাগকে একধরনের খামচিয়ে ধরল ।

খুব স্পীডে কিছু বাইক গেলো ওর পাশ দিয়ে চোখের পলকে ।

এরপর নিহিত আর পারলো না সেখানে থাকতে । সে তার বাসার দিকে পা বাড়াল । নিজের ঘরে ফিরে গেলো আগের মতো সব করে ঘুমিয়ে গেলো ।

কেউ জানলো না সে রাতে কিছু ঘটেছে কি না ?

[ একটা বয়সে সবাই স্বাধীন থাকতে চায় । স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতা কে অভিশাপ মনে হয় কারণ জোর করে তা নিয়ে নিলে তার সঠিক ব্যাবহার সম্পর্কে জানা থাকে না । যার জন্য বিপদ ঘটে ।

আমার এক বন্ধুর মা তাকে এখনও কলেজে গাড়িতে করে নিয়ে যায় নিয়ে আসে । কোচিং এও যায় । বন্ধু তার মায়ের উপর প্রচণ্ড বিরক্ত । আমি নিশ্চিত ভার্সিটিতে উঠার পর ও ঘর বিমুখ হয়ে যাবে । মায়ের সান্নিধ্য বিষাদময় লাগবে যদিও একদিন ভাঙবে কিন্তু হয়তো সময় থাকবে না ।

আমার এই সম্পর্কে একটা মজা যুক্তি আছে ---

আমি একবার একটা তোতা পাখি কিনছিলাম । এক সপ্তাহ পড়ে ছেড়ে দেই অনেক লাফালাফি করতেছিল খাবারও খাইত না । ছেড়ে দেবার পরে এক উরালে অনেকদূর চলে যায় দেখার সীমানার বাহিরে ।

আর কবুতর পালতাম মাঝে মাঝে ছাড়তাম চলে আসতো ।

সুতরাং স্বাধীনতাকেও একটি শৃঙ্খলার মধ্যে রেখে চলা যায় যার জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না । তা না হলে কোন পক্ষই আসলে জয়ী হয় না ক্ষতি প্রত্যেকের । নিজের ক্ষতি বলতে আসলে কিছু নাই । প্রতিটি জিনিস তার আশে পাশের সাথে সম্পর্কিত ]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সুন্দর একটি গল্প ।

অতিরিক্ত স্বাধীনতা দেয়াও ঠিক না আবার অতিরিক্ত বেধে রাখাও ঠিক না।


ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৭

জাবের তুহিন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আর আপনাকেও ঈদ মুবারক ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.