নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাবের তুহিন

আছি । আমি আছি ।

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রাগন

৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২২

ড্রাগনের সঠিক উৎস জানা যায় নি । তবে হান রজত্বকালে পন্ডিত ওয়াং ফু পৌরাণিক প্রাণির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেন । হরিণের শিং , উটের মাথা , শয়তান বাঁ চিংড়ির চোখ , সাপের গলা , গেড়িঁশামুকের পেট , মাছের আঁশ , ঈগলের নখর , বাঘের থাবে ও ষাঁড়ের কান - এ নয়টি প্রাণির বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে ড্রাগন কল্পিত হয় ।

ড্রাগনের অস্তিত্ব নিয়ে কেউ সন্দেহ পোষণ করতো না প্রাচীন চীনে । সম্রাটসহ সব মানুষ শ্রদ্ধা অ সমীহে তার সামনে নতজানু হয়ে মাথা নিচু করত । অবাস্তব একটি প্রাণি একটি জাতির আধ্যাত্মিক লালনশক্তি হয়ে দাঁড়ায় । চীনের সম্রাটেরা ভাবতেন তারাই আসল ড্রাগন এবং স্বর্গের সন্তান । তাদের ব্যবহারিত সকল কিছুই বলতে গেলে ড্রাগনের অবয়বে তৈরি করা হতো ।

ড্রাগনের অবয়ব বিভিন্ন ধরনের হতে পারে । দুই বাঁ ততোধিক পা , মাথা বিশিষ্ট হতে পারে ড্রাগন । ড্রাগনের অতিপ্রাকৃত ও অলৌকিক শক্তি অসীম । রেশমের গুটিপোকা থেকে বিশ্বের আকার সে ধারণ করতে পারে ।

প্রাচ্যের ড্রাগন সাধারণত উপকারী হিসেবে কল্পিত । পশ্চিমের ড্রাগন হিংস্র । ফার্সি আজি দাহাকা - আমরা যাকে আজদাহা বলি - অপকারী সরীসৃপ । ড্রাগনের মেজাজ খারাপ হওয়ার জন্যই নাকি চীনে ভয়াবহ বন্যাগুলো ঘটে এমন বিশ্বাস ছিল ।

চীনের রাশিগুলোর অন্তর্গত একটি রাশি ড্রাগন । যা বারো বছর পরপর ফিরে আসে । এই রাশির অধিকারীরা স্বাস্থ্যবান , উৎসাহী , উদ্দীপক , যে দি ও রগচটা । তারা সৎ অ সাহসীও হয়ে থাকে ।

পুরাকালে চীনে নদী বা সমুদ্রের নিকটবর্তী গ্রামে ড্রাগঙ্কে উৎসর্গ করে মন্দির স্থাপিত হতো । খরা ও বন্যার সময় রীতিমাফিক স্থানীয় সরকার বা সমাজ্পতিরা সমাজের পক্ষে উৎসর্গ করতেন এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতেন , যাতে ড্রাগন তুষ্ট হয়ে বৃষ্টি আনতেন বা তা বন্ধ করতেন ।

বর্তমানে ড্রাগনে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা নেই বললেই হয় । আক্ষরিক অর্থে বাসতবে এমন প্রাণি রয়েছে বলে খুব কম লোকই বিশ্বাস করে । জল ও সমুদ্রের শাসক হিসেবে ড্রাগনপূজা এখনো অনেক জায়গায় টিকে আছে । নববর্ষের মতো একাধিক চীনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এখনো একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয় ।

[ সূত্র - মহাচীনের কথা - মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ড্রাগন সম্পর্কে খানিকটা কৌতূহল মিটল তবে আরও জানার ইচ্ছা রয়ে গেল। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.