নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাবের তুহিন

আছি । আমি আছি ।

জাবের তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল কষ্টের হন্তারক - পর্ব-০১

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২


--
“Who do I look like ?”
“Like an Evil “
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রিহান নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করে উত্তর দিচ্ছিল ।
২-
রিহানের বয়স বেশি হয় নি । তরুন বলাটাই শ্রেয় । সবে পঁচিশ বছরে পা দিলো । কিন্তু তরুন বললে যে চিত্রটা আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে ওর ক্ষেত্রে সেটা কাজ করে না । কুৎসিত মুখাবয়বের জন্য ও একটু বিশেষ কিছু । ছোটবেলা থকেই সবাই ওর থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রেখেই চলতো । আত্মীয়-স্বজন , সহপাঠী এমনকি মা-বাবার কাছ থেকেও ও এর ব্যতিক্রম কিছু পায় নি । বন্ধু শব্দটার সাথে সে পরিচিত না ।
পড়াশোনার পর্ব চুকিয়ে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে নতুন বাসায় উঠে ও । ছাদে এক রুমের বাসা , রিহানের জন্য যথেষ্ট । ছোট-খাটো একোটা চাকরি প্পেয়ে গিয়েছিল সে ।
কুৎসিত হওয়ার জন্য যে অবজ্ঞা ছোটবেলা থেকে পেয়ে বড় হয়েছে সেই কষ্ট কোনদিন কমে নি । বরং এখন একাকী জীবন যাপনের সময় মাঝে মাঝে সেগুলোর স্তূপ কেঁপে উঠে ।
নতুন বাসায় ওঠার পর প্রথমদিকে ও খাওয়া দাওয়ার জন্য হোটলে যেতো । কিন্তু ও দেখতো পেলো ও যেই টেবিলে বসে সেই টেবিল থেকে সবাই সরে যায় । ওর দিকে তাকানোর পর অনেকেই খাওয়া ছেড়ে উঠে যায় । পরবর্তীতে ও হোটেলের ম্যানেজারের সাথে কথা বলে বাসায় খাবার আনানোর ব্যবস্থা করলো ।
প্রতিদিন ৮-১০ বছরের একটা ছেলে আসতো ওর খাবার নিয়ে । একদিন ওর পরীবর্তে অন্য একটা ছেলে আসলো যাকে দেখে রিহান অহতবাক হয়ে গেলো ।একটা ছেলের চোখ এতো সুন্দর হয় কি করে । বয়স কতই বা হবে বড়জোর ১৬-১৭ । এই বয়সের একটা ছেলের চোখ এতো সুন্দর কি করে হয় ? ওর মাথায় শুধু এই সব চিন্তাই ঘুরছিল ।
রিহান ওকে জিজ্ঞেস করলো , “কি রে তোর নাম কি ?”
ও উত্তর দিলো , “মনসুর”
“ঐ পিচ্চি আইলো না কেন ?”
“জাইন্না”
“ তা থাকোস কই ?”
“এই ধারে কাছেই।”
পুরোদিন রিহানের মাথায় মনসুরের চোখ দুইটার ছবি ভাসতে থাকলো । এরপর থেকে মনসুর রুমে আসলে রিহান ওর সাথে অনেকক্ষণ কথা বলে । আড্ডার একজন সঙ্গী পেলো আর কি । এর ফাঁকে একদিন মনসুরের ছবি তুলে রাখলো রিহান । ওর চোখের কথা মনে পড়লেই রিহান সেই ছবি বের করে দেখে ।
হুট করেই বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ বাড়িওয়ালাকে ও দিয়ে দিলো ।
বাসা ছেড়ে দেবার আগের দিন হোটেলের ম্যানেজারকে সে জানালো যে , কালকে সকালে থেকেই আর খাবার পাঠানোর প্রয়োজনে নেই । কিন্তু মনসুর যখন রাতে খাবার নিয়ে এলো তখন মনসুরকে রিহান বলে দিলো কালকে সকাল সকাল যেন নাস্তা নিয়ে চলে আসে ।
পরের দিন মনসুর বেশ সকাল সকালই নাস্তা নিয়ে রাস্তা দিয়ে আসতে থাকে । রিহান নিজের রুমে মনসুরের জন্য অপেক্ষা করছিল । মনসুর আসার পর মনসুরকে খাবারটা টেবিলে রাখতে বললো রিহান । মনসুর যখন পিছনে ঘুরে খাবার টেবিলে রাখতে যাবে তখন রিহান রড দিয়ে মনসুরের মাথায় বাড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেললো ।
এরপর ছুরি দিয়ে চোখ দুটি কোটর থেকে উঠালো । একটা জারে ফরমালিন এনে রেখেছিল আগেই । সেটার ভিতরে চোখ দুইটা তুলে রাখলো । মেঝেতে লেগে থাকা রক্ত মুছলো । লাশ ভালো করে পলিথিন দিয়ে পেঁচিয়ে আলমারির ভিতরে ঢুকিয়ে লক লাগিয়ে দিলো । আর সেই চোখ রাখা জার নিজের ব্যাগে ভরে নিলো । টেবিল থেকে খাবারটা খেয়ে নিয়ে প্লেট ধুয়ে ব্যাগে ভরে নিলো ।
কিছুক্ষণ পরই মালামাল নামানোর জন্য লোক এসে পড়লো । সব একটা পিকাপে উঠিয়ে ও ওর নতুন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল । মনের ভিতর একটা প্রশান্তি কাজ করছিল রিহানের সেই চোখ এখন ওর কাছে , যখন ইচ্ছা সামনে নিয়ে দেখতে পারবে ।
পিকাপে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে যাচ্ছিল , হালকা বাতাস বইছিল তখন । চুল গুলো নড়ছিল ওর ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

কাবিল বলেছেন: প্রথম দিকে রিহানকে নায়ক মনে হচ্ছিল, পরে ভিলেন মনে হচ্ছে।
রহস্য জনক ঘটনা,


চলতে থাকবে।
সাথেই আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.