নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলা গারদ

ব্যাঙাচী

ভয় লাগে নাকি ভয় করে

ব্যাঙাচী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু বলার ছিল

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল, কাকে দিয়ে কি হবে? সব চোখের সামনেই ছিল, কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছিল না। ঘোরের মাঝে ছিলাম। অনেকের অনেক কথা উপেক্ষা করে গেছি। এখন মনে হচ্ছে, যা বলেছিল ঠিকই বলেছিল। নাকি আবারও ভুল হচ্ছে। এত জটিল কেন সবকিছু।

মানুষ ভীষণ চালাক প্রাণী কিন্তু এত চালাক হয়েই বা কি লাভ, তোমার দৌড় এই নির্দিষ্ট গন্ডীর ভেতর। এর বাহিরে তোমার জারি-জুরি, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা, এইসব চলবে না। মানুষ ভুল করবেই এবং মানুষ হয়ে তাই মানুষ চিনতেও ভুল করাই স্বাভাবিক। 'ছেলে যা টাকা কামায় তা তুই ও কামাছ না'। (ছেলে করে রাজনীতি) ভীষণ মেজাজ খারাপ হইল, আমি এইসব কি শুনতেছি বাবা। এরা কারা, এদের কে তো অচেনা লাগতেছে। যাই হোক, ভুল করতেই পারে। আমি ও তাই ধরে নিয়ে, চেপে গেলাম। পরে যখন ভোল পাল্টে গেলো, ভেবেছিলাম ঠিক হয়ে গেছে। আমার প্রথম বড় ভুল, মানুষ চিনতে পারলাম না।

ভীষণ স্বার্থপর মানুষকে যখন দেখি পরার্থে কাজ করছে, আগে দেখতে ভাল লাগত, এখন ভয় লাগে আসল উদ্দেশ্যটা কি সেটা ভেবে। কারণ সে তো বদলায় নাই, সে আগের মতই আছে। শুধু গায়ে একটা নতুন চাদর পরেছে, তাও সবাই পরে আছে, তাই। কেবলই লোক দেখানো, প্রয়োজনে সে সব পারে। নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার মত কঠিন কাজও। এমনকি নিজের সুবিধার জন্য খুব কাছের মানুষেরও কোমরে দড়ি পরিয়ে দিয়ে সবার চোখে নায়ক সাজতে পারে। আজকে কেউ ভাল হয়ে গেলে, কালকে তাকে যেভাবেই হোক মাটিতে নামিয়ে আনতেই হবে। যেখানে মূল্য কমে যাচ্ছে, তা সে ধ্বংস করে দেবে। সব দেখে, ভীষণ বিরক্ত হয়ে, সব ছেড়েছুড়ে চলে গেলাম।

মনে হল, এইতো এখানে কত উদার, সুন্দর মনের মানুষ। কিসের ভেতর ছিলাম এতদিন, এখানেই লুকিয়ে আছে আমার গন্তব্য। ভীষণ ভাল লেগে গেল সবাইকে, সবকিছুকে। কিন্তু যা করলাম তা হল ভুল, আমার দ্বিতীয় বড় ভুল।

সুস্থ ভাবেই কাটছিল সব। প্রকৃতির খেলা, আজ ভালো তো কাল খারাপ আসবেই। হলোও তাই। বেরিয়ে এল থলের বেড়াল, কুৎসিত, ভয়ংকর। ভয় পেয়ে গেলাম, এখন কি করি। চোখ বুজে, নিজের কাজে মন দিলাম। তাতে কি আর কাজ হয়। জানি না, কোন কারণে বারবার রাস্তা খুঁজে পাই। এক কবিরাজের সাথে দেখা হয়ে গেল। ভয় যেন হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেল। আবার যেন বসন্তের হাওয়া বইতে লাগল। দ্রুত কেটে গেল আরো কিছু সময়। ভুলেই গেলাম প্রকৃতির সেই নিয়মের কথা। জীবন-জীবিকার তাগিদে ছুটেই গেলাম সেই ভুলের দিকে। আবার দেখতে হল, কিছু অতি পরিচিত ভয়ংকর কিছু জিনিস। যত দূরেই যাইনা কেন, সবকিছু যেন একই। তাই ফিরে গেলাম, আবার প্রথম থেকে শুরু করব।

মোটেই আশ্চর্য হলাম না, সেই মানুষগুলোর বড় বড় বুলি শুনে কারণ সবাই একই রকম। এসবের ভেতর থেকে বের হওয়ার কোন পথ আসলে নেই। আর এসবের ভেতরে থেকেই নতুন করে নিজেকে তৈরী করে নিতে হবে। ভালবাসতে হবে এই প্রচন্ড অন্ধকারাচ্ছন্ন দেশকে। নামতে হবে ঘোলা জলে, শুন্য হাতেই চলতে শিখতে হবে। তবেই তোমার ভেতরও বাসা বাধবে অন্ধকার, জেগে উঠবে আধুনিক আদিমতা। চিনতে পারবে, জানতে পারবে এই আঁধারে কোথায় লুকিয়ে থাকে আলো। একসময় এরাই তোমাকে নিয়ে যাবে হাত ধরে। হোক না, ক্ষণস্থায়ী জঞ্জাল। যত তীব্রতাই তেড়ে আসুক না কেন, তোমার পশুত্ব তোমাকে টিকিয়ে রাখবে। ভয় লাগছে না আর, মনে হচ্ছে কি সামান্য আঁধার। এতদিনের যত শক্তি, ভয় দেখানো, রক্ত হীম করা চিৎকার, সবই নিছক গল্প। তুমিও ভয়েই থাকো। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ভয়, হারিয়ে যাওয়ার ভয়। তাইতো, সব ব্যবস্থা করে রাখছো। বুঝিয়ে দিতে চাচ্ছ তুমি ভীত নও। তোমার ও থলের বেড়াল বেরিয়ে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

কক্ষ পথের শেষ ইলেকট্রন বলেছেন: ভালো লাগা।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১১

ব্যাঙাচী বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.