নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলা গারদ

ব্যাঙাচী

ভয় লাগে নাকি ভয় করে

ব্যাঙাচী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গড়মিল নাকি ভুল !!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

'অকপটতা'-এই শব্দটির অর্থ আমার দেশের মানুষ ভুলতেই বসেছে। যারা কম শিক্ষীত তারাই যে শুধু এই ভুল করছে তা কিন্তু না,বেশ ভাল,উচ্চ শিক্ষীত মানুষরাও এই ভুল করছেন। এবং এলার্মিং ব্যাপার হচ্ছে, শিক্ষীত মানুষরা খুব দ্রুত হারে এই শব্দটির অর্থ আর প্রয়োগ বা চর্চা করার প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলছেন। এর কারণ খুবই শিশুসুলভ। কারণ, কার দৌড় কতটুকু-এই প্রতিযোগীতা বা নিজেকে যাহির করার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা, হোক তা যথার্থ বা অনুচিত। আর প্রতিযোগীতার নামে এই ধরনের গুনাবলীর চর্চাকে অনুৎসাহিত করাটাও এখন খুব স্বাভাবিক। এতো গেল এক দিকের কথা। আবার, এই শিক্ষিত দলের লোকজনই উদারতাকে খুব উৎসাহিত করে বা চর্চা করার কথা বলে। এধরনের পরষ্পর বিরোধী কার্যকলাপ কিভাবে সংঘটিত হয়? একভাবে বললে, এর কারণ হচ্ছে শিক্ষীতরা এখনো শুধু ফলোই করছেন,তারা তাদের ছিমছাম, ছকে বাঁধা জগৎ থেকে বের হতে চান না, ভয়ে। ভয় হচ্ছে যদি সরলতাটাকে কেউ দূর্বলতা ভাবে। আর যাই হোক,নিজেকে পরাজিত হতে দেখতে উনারা চান না। শিক্ষা কি আমাদেরকে পঙ্গু করে দিচ্ছে তাহলে? নাকি মুখোশ পরিয়ে দিচ্ছে। নিজের বিভৎসতাকে সুচারুভাবে ঢেকে রাখার চর্চা করাচ্ছে। নানা উপায় তাই বেছে নিচ্ছেন উনারা। কেউবা পরিবার, কেউবা উচ্চাকাংক্ষা, কেউবা যুগোপযোগীতা, কেউবা বাস্তবতা ইত্যাদি ইত্যাদি। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, কেউ কেউ এটাকে এমনই অপছন্দ করেন যে,তাদের কোন কারণই লাগে না। তবে তাদের কোন দোষ নেই, কারণ যার যেটা নেই, তাকে সেটার জন্য দোষারোপ করাও অনুচিত। তবে, শীক্ষা যদি উদার করে ধরে নিই, তাহলে সেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যার্থ হচ্ছে বলতে হবে।

গলদটা কোথা থেকে শুরু? একেবারে প্রথম থেকেই আসি।

প্রশ্নঃ সন্তান শেষ পর্যন্ত কী ভাবে বড় হয়ে উঠবে? দুর্মুখ না ভিতু? মুখচোরা না গপ্পোবাজ? সব রকম এক্সট্রাকারিকুলারে ফার্স্ট নাকি লবডঙ্কা? ঘরের বাইরে কোনো কুকীর্তি করে আসবে না তো? এগুলো আসলে কিসের উপর নির্ভর করে?

- সন্তান ভবিষ্যতে কি হবে,এটা পুরোটাই নির্ভর করবে বর্তমানের উপর।একজন মানুষ বেসিকালি তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর সবই নিয়ে আসে পৃথিবীতে। শিক্ষার সহায়তায় এগুলো সে একের পর এক অনুধাবণ করে বা খুজে বের করে।পারিবারিক শিক্ষা তাকে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর মাঝে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।কিন্তু কোনটা সে ব্যবহার করবে আর কোনটা করবে না,তা নির্ধারণ করে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ(এক্সটার্নাল এনভায়রোনমেন্ট) এবং ইনার সার্কেলের উপর।'ইনার সার্কেল' দিয়ে আমি তার, বিশ্লেষণী ক্ষমতা+যাকে বা যাদেরকে সে ফলো করে তাদের/তার মতাদর্শের প্রভাব+যুগোপযগীতা বা সময়োপযোগীতা এই জিনিসগুলিকে বুঝিয়েছি।এখন সন্তান কি হবে তা নির্ধারণ করে না দিয়ে বরং তাকে ভাল-মন্দের একটা পরিষ্কার ধারণা দিয়ে দিলে মনে হয় ফল ভাল হবে।ভিক্ষা না দিয়ে একটা কুঠার কিনে দেয়ার মত আর কি।আর 'মতাদর্শের প্রভাব'-এ, তার চিন্তাধারা কত ভাগ অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয় বা হচ্ছে সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।যে বেশি প্রভাবিত হয়,সে মনে হয় শেষ পর্যন্ত টিকে যায় বা যাবে।কিন্তু যে কম প্রভাবিত হয়,তার ব্যাপারে কিছু বলা খুব দুষ্কর।কারণ সে কি নিয়ে এসেছে এটা তার চেয়ে ভাল কে জানে এবং এটা আসলে যুগোপযোগী কিনা বা সে করতে পারবে কিনা,তার পুরো দায়ভার তার নিজের কাধেই থাকবে বা থাকে।তবে সব কিছুরই সাইন থাকে বা সিম্পটম থাকে।আর ওসব দেখেই বুঝতে হয়,তার চারিত্রিক শক্তি ও পরিবর্তনের রূপ।হাহাহাহা...বেশি প্যাচিয়ে যাচ্ছে কিনা বুঝতে পারতেছি না।যাই হোক,এর কোন কিছুতে আমি পারিবারিক শিক্ষার যতটা প্রভাব না দেখি,তার চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব দেখি তার নিজেকে চেনার ক্ষমতার উপর এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর।তবে কোর সিস্টেম যা আমার মতে ভাল-মন্দ যাচাই করার শিক্ষা,তা আসে পরিবার থেকেই।কিন্তু এর ফিনিশিং আসে বাহির থেকে।হাহাহাহা...তবে,এসব নিয়ে অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করে,করেছে,করছে ও করবে।কারণ তা না হলে,আমার নিজেরও হয়ত এতটা পরিবর্তন হত না।হাহাহাহাহাহা...মনে রাখবেন,পরিবার কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে না যদি না আমি নিজে পরিবারকে নিয়ন্ত্রণের স্থান না দিই আর এটাকে কিভাবে নিশ্চিত করবে পরিবার,তা পরিবারকে ভেবে বের করতে হবে।ইলুশান দিয়ে না,সত্যিকারের পরিমাপযোগ্য উপায়ে,যাতে ভাল-মন্দের মানদন্ডে দাড়াতে পারে সবার আগে।হাহাহাহাহা...One illusion is enough, that is, life itself...হাহাহাহা...

প্রশ্নঃ জীবনটা আসলে কি?

- আমার কাছে,জীবনটা একটা ইলুশান,কিছুটা জাদুকরের জাদুর মত।যদিও হাতের কারসাজী কিন্তু এটাকে সে এমনভাবে দৃষ্টির আড়াল করে যাতে দর্শকদের চোখে খুবই স্বাভাবিক কিছু কর্মকান্ড বলে মনে হয়।জীবনটাকেও আমার সেইরকম কিছুই মনে হয়।এখানে জাদুকর সৃষ্টিকর্তা নিজেই,আর কারসাজীটা দেখতে পান একজন আলোকিত মানুষ আর বাকি যারা এই জাদুতে মজে যান,তারাই দর্শক থেকে যান।তবে নিজেকে আলোকিত মানুষ বলছি না,কারণ এটা আমার শুধুই ধারণা,নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।তবে ইবাদত করলে আপনি আলোকিত মানুষ হবেন কিনা জানি না,তবে শতভাগ বুঝে শুনে মেনে ইবাদত করলে যে হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।হাহাহাহা...তবে শতভাগ মেনে ইবাদত করলেও হবে,পার হয়ত পেয়ে যাবেন তবে কারসাজিটা চোখে দেখবেন না...হাহাহাহা...মনে রাখবেন,আমার দেশে বেশির ভাগ মানুষই এখন শুধুই মানেন বা মানার চেষ্টা করেন,শতভাগ মানতে পারেন কি না তা আল্লাহই জানেন।

প্রশ্নঃ শিক্ষার তাহলে কি প্রয়োজন?

- শিক্ষা আসলে কি করে? আমার মতে,শিক্ষা আপনার আমার মাঝে একটা দরজা বা জানালা খুলে দেয় শুধু, যার আলোতে আমরা আমাদের মানবিক/চারিত্রিক বৈষিষ্ট্যগুলোকে একের পর এক খুজে বের করি। আর প্রতিনিয়ত এগুলোকে ঘষে-মেজে ধারালো করি, যেন প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করতে পারি। তাহলে শিক্ষা না পেলে কি আপনার মাঝের কোন মানবিক গুণাবলী অব্যবহৃত থেকে যাবে? যেতে পারে আবার নাও যেতে পারে। কারণ প্রকৃতিও আমাদের শিক্ষা দেয়। এখন শুধুমাত্র ওই শিক্ষা দিয়েও আপনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে পারবেন আর আমার মতে প্রকৃতির প্রথম শিক্ষা হচ্ছে সরলতা বা অকপটতা। প্রকৃতির শিক্ষাতে কোন প্রতিযোগীতা নেই, আছে প্রয়োজনীয়তা। এই প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে প্রকৃতিতে নির্ধারিত হচ্ছে পাঠ্য পুস্তক বা সিলেবাস। হাহাহা...অনেক কথা বলে ফেললাম এলোমেলোভাবে। আশা করি যা বলতে চেয়েছি পরিষ্কার করে বলতে পেরেছি।

সরলতাটাকে হারিয়ে যেতে দেবেন না, এটাকে লালন করুন, যত্ন নিন। তাড়াহুড়ো করে গাট্টি গুটিয়ে ফেললাম কারণ আর লিখতে ভাল লাগছে না। হাহাহাহা...আর আমার কথায় হাজারো ভুল থাকতে পারে, ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। তবে নিজেও একটু ভেবে দেখবেন। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.