নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলা গারদ

ব্যাঙাচী

ভয় লাগে নাকি ভয় করে

ব্যাঙাচী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তালামাইরা দিছে ছাইড়া

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০০

(ধর্ষণ যাকে আমি "শারিরীক বিপর্যয়" বলতে চাই,এসব দেখে নিজের রিয়্যাকশানের বহিঃপ্রকাশ। ধর্ষণ শব্দটাই খুবই কেমন যেন!)
জানি না এই কমেন্টের পরিণতি কি হবে, তাই বাংলায় লিখতাছি কারণ কেউ না কেউ হয়ত বুঝব কি বলতে চাইতাছি।পসিবিলিটি বাড়াইলাম কেবল।
আর যার পোস্টে কমেন্ট করলাম, ওনার কাছে মাফ চাইছি কারণ আগেরবারের অভিজ্ঞতা খুব ভাল ছিল না।কেবল এইজন্য কমেন্ট করলাম কারণ "যেখানে ভাত ছড়াবেন, সেখানেই কাক আসে", তাই না? মানে, আপনি যখন এমন পোস্ট লিখবেন সেখানেই সবাই এই ধরনের চিন্তা পোষণ করতে আসবে বা পড়তে চাইবে।এর চেয়ে বেশি কিছু না।
এবার আসল কথায় আসি।যদিও কথা বলাটাই আজকাল খুব দুষকর।কারণ সবাই কেবল বলতে চায় কিন্তু শুনতে চায় না।আমার এই লেখাই তার প্রমাণ, এত্ত কথা কই থিকা আসে...
অবশ্যই না মানে না, অবশ্যই এটা খুবই অগ্রহণযোগ্য আচরণ যখন পোশাক নির্ধারণ করে একজন ব্যাক্তির পরিচয় বা মনোভাবের পরিচয়(এই কাজ কি আমরা আর কোথাও করি?)
কিন্তু পোশাকের কাজ আসলে কি? সে যাই হোক, পোশাক কখনই কারো মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হোক,সেটা কারোই কাম্য না।তাহলে আমারে সবাই ক্ষেত,গন্ডমূর্খই কইব।
ছয়টা দিক বিবেচনার কথা বলব। আমার ভাষাজ্ঞান অত ভাল না, তাই কোন বাঙ্গালী যদি আমার কথার অর্থ বুঝতে পারেন তাহলে সহজে কি বললে ভাল হয় তা লিখে জানাবেন।
১) হাত এবং পাঃ হাত দিয়ে আমরা কাজ কর্ম করি,কোনকিছু ধরা বা আকড়ে থাকতে হাতই সক্রিয় ভূমিকা রাখে। পা যা দিয়ে আমরা হাটি, গাছে উঠি, লাফ দেই। এসব গেল তাদের প্রাইমারী বা প্রধান কাজ কিন্তু তাই বলে হাত দিয়ে হাটা যায় না তাতো না, পা দিয়ে কিছু আকড়ে ধরা যায় না তাতো না।হাতকে হাতের মর্যাদা আর পা-কে পায়ের মর্যাদা দিলে কি এখানে মর্যাদা কম-বেশি হতে পারার কোন সম্ভাবণা আসলে থাকে?
২)দূর্বল এবং সবলঃ কে দূর্বল এবং কে সবল তা কি কেবল গায়ের শক্তির উপর নির্ভর করে?যেমন ধরুন আমি একজন পুরুষ, কিন্তু যে কোন মন্ত্রী নারী থেকে বাহুবল বেশি কিন্তু আমি কি সবল তার থেকে বা আমার এলাকার আর্মি মেডিকেল কোরের নারী থেকে আমার বাহুবল কম কিন্তু আমি কি দূর্বল? কারাতে জানা নারী,মারামারি লাগলে আমি শেষ,কিন্তু তাই বলে সে কি সবল নাকি সে দূর্বল? সবলতা এবং দূর্বলতার সংজ্ঞা কি আসলে?
৩) যে সকল নারীদের আধুনিক পোশাক কেনার বা পরার ক্ষমতা আছে তেমন নারীর সংখ্যা দেশে কত, যাদের এই ক্ষমতা নাই তাদের সংখ্যা কত?তাহলে এমন শারিরীক বিপর্যয়ের স্বীকার কেবল আধুনিক পোশাক পরিহিতরাই যদি হত, তাহলে কি এত বেশি হত ঘটনাগুলো?তবে বেশি হোক বা কম, কোণটাই কাম্য হতে পারেনা।
মুল কথা হচ্ছে,যখনি কোন আধুনিক পোশাক পরিহিত কোন নারী বিপদে পড়েন অনেকেই কথা বলে ওঠেন।কেউ পোশাকের দোষ দেন, কেউবা পুরুষের দোষ, কেউবা নারীর দোষ...
কিন্তু যখনি খুবই নিম্নবিত্ত দিনে আনে দিনে খায় কোন নারী বিপর্যস্ত হন কেউ খুব একটা কিছু বলেন না।কিছুদিন আগেই বাবা মেয়ে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিলেন,কেবল মেয়েকে রক্ষা করতে ব্যার্থ হবার ভয়েই হয়ত বাবা মেয়েকে নিয়ে এই কাজ করেছেন।কোন পরিস্থিতিতে বাবা তার সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করে আমার জানা নাই,যদি কেউ জানেন প্লিজ শেয়ার করেন।
ওখানে পোশাকের কি দোষ ছিল?
৪) আজকে যদি কোন ক্ষমতাবান নারী বা পুরুষ কোন বিপর্যয়ের স্বীকার হন এবং তা ঠেকাতে আরো হাজারখানেক মানুষ কেবল মারো-কাটোর কথা ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমার মত যারা দূর্বল নারী বা পুরুষ আছেন তাদের মুখেই সবার আগে তালা পড়ে যাবে। ঐ যে একটা কথা আছে না, "পাটা পুতার ঘষায় মরিচের জান শেষ"।
এখন যদি আপনি, আমাদের "কোলাটেরাল ড্যামেজ" বলে চালিয়ে দেন, তাহলে আর তো কিছু বলার নাই।
৫) এখন কাউকে মানুষে পরিণত করতে গিয়ে যদি আমি হাঙ্গামার জন্ম দেই,তাহলে মানুষে কি কেউ পরিণত হতে পারবে আসলে, নাকি আমি নিজে মানুষ হয়েছি। আমিতো কেবল তখন পুরুষ বা নারীতে পরিণত হইব।
এখন যারা খারাপ করতে চাইবে, তাদের সামনে তখন দূর্বল যে মানুষগুলো পড়বে তারা এত বেশি অত্যাচারের মুখে পড়বে যে,কেবল গুটিকতক মানুষ মনুষত্বকে দেখবে আর বাকিরা জংলী জীবনযাপন করবে।রোমের মত...মানে আগের রোমের মত...হাহাহা...এত ইতিহাস মনে রাখতে পারিনা।সরি...
যেমন সেদিন একটা ভিডিও তে দেখলাম, একদল ছেলে একটি মেয়েকে সমানে মারছে...আর তার ভিডিও ফেবুকে আসতেই...আবার একটা ভিডিও আসলো এবার একটা ছেলেকে মারছে কারণ সে সিগারেট খাচ্ছে। প্রতিবাদটা কোন পয়েন্টে হওয়া উচিত আসলে?
৬) এটা মানুন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে রাখা খুবই কঠিন কাজ। তাই নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ যদি না থাকে তাহলে আমার হাতে ক্ষমতা গেলেও ভয়ানক সব কাজ হবে।হয়ত রেইপ হবে না কিন্তু দেশে ১০০০সিসি মোটরসাইকেলের পারমিট দিয়ে দিব ফলে অনেক তরুণ মারা যাবে প্লাস পথযাত্রী। এখন এর প্রতিরোধের উপায় কি?
এটা কি ক্ষমতাধারীর দোষ নাকি ক্ষমতার দোষ?নাকি কারোই দোষ না?নিয়ন্ত্রণ এনে দিবে কে বা কি?
শিক্ষা???
শীক্ষা আমাদের সব দিলেও চোখ খুলে দেখার ক্ষমতা দেয় না, এটা অর্জন করতে হয়।নিরপেক্ষতা শিক্ষা এনে দেয় না, সেটা অর্জন করতে হয়। মনুষত্যের জন্ম কি অমানুষ হয়ে দেয়া যায়? জানোয়ারের (রিয়েল) কাছ থেকে কি মনুষত্যের শিক্ষা নেয়া যায় না?
অন্ধকার দিয়ে কখনই অন্ধকার থেকে মুক্তি মিলতে পারে না।আর অন্ধকার ছাড়া আলোর কোন মূল্যই নাই...কিন্তু এই আলো আধারের সমতা বিধান করতে হলে যে নিরপেক্ষতার জ্ঞান দরকার তা কি আমার বা আপনার আছে?
কিন্তু এইসব কথা দিয়ে কি অত্যাচারীতর দুঃখ যাবে নাকি মুক্তি মিলবে?আমি কেবল এটাই বলব, সময়টা খুবই কেমন যেন এলোমেলো...সবাই সু্যোগ নিতে চায়,তাই এখানে ভাল কিছু ভাল রূপে আসে না, ভাল থাকে না।খারাপের এত সুশ্রী রূপ এখন যে একটু সেই চাঁদ মুখের দর্শনের জন্য সবাই রাস্তার দু'পাশে এত ভিড় করে থাকে যে এর মাঝে যত যাই ঘটে যাক না কেন কেবল এক নজর সেই চাদমুখ দেখার জন্যই সবাই ব্যস্ত।
আবারো আপনার পোস্টে এত কথা লেখার জন্য দুঃখিত।
আর অন্য সবার জন্য বলি, আমার ভাষাজ্ঞান এত ভাল না, তাই যদি বক্তব্য বুঝতে পারেন সহজে অল্প কথায় বলতে সহায়তা করুন।আর ভুল হলে শুধরে দেন।ভাল থাকবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২২

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: দুঃখিত আপনাকে কোনভাবেই হেল্প করতে পারলাম নাহ।উত্তর জানা নেই তাই হয়ত।শুধু একটি লাইক দিয়ে গেলাম।
৩নম্বর পয়েন্ট টা +++

২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

ব্যাঙাচী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.