নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলা গারদ

ব্যাঙাচী

ভয় লাগে নাকি ভয় করে

ব্যাঙাচী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাট্টি মা টিম টিম, তারা মাঠে পাড়ে ডিম, তাদের খাড়া দুটো শিং

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৬

"#বিকৃত_মানসিকতার" কোন লিংগ হয় না...আর কোনকিছু বন্ধ করতে এক হাতে সম্ভব হবার কথা না।
ভাববেন কথাটা কি বললাম, কেন বললাম?
#ধর্ষণ এর মহড়া দেখে অনেকেই নড়ে চড়ে বসেছেন আর ভাবছেন কি হচ্ছে? কেউ বলছেন বিকৃত মানসিকতার পুরুষ এর জন্য দায়ী, কেউ বলছেন #পুরুষ তুমি এগিয়ে আসো না হলে এটা থামানো সম্ভব না, কেউ বলছেন আর্থিক দূর্বলতার কারণে নারীরা প্রতিবাদ করতে পারছে না তাই নারীর ক্ষমতায়ণ দরকার...
যে কোন সমস্যাকে যদি আপনি আসল রূপে না বুঝেন তাহলে যে চিকিৎসার কথা ভাববেন ও প্রয়োগ করবেন তাতে সাধারণত ভুলই থেকে যাবে। আর আবেগ দিয়ে ভাবলেতো ভুল আরো বেশি হবে, তাই গঠনমূলক চিন্তা করা ও আলোচনা দরকার, কাদা ছুড়াছুড়ি নয়।
প্রথমেই তাই বলেছি, 'বিকৃত মানসিকতার' কোন লিংগ হয় না।
কেবল পুরুষ এদিয়ে আসলে কিছুই হবে না, #নারী পুরুষ উভয়েই এগিয়ে আসতে হবে, তবে এই এগিয়ে আসাটা সুন্দর সাবলীল এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
একদল #প্রতিবাদ করা বা প্রতিরোধের রাস্তা খুজে পাচ্ছে সবকিছু উন্মুক্ত করে দেয়ার মাঝে। আমি ভাবি আমাদের সেন্স কই গেছে? আরে ভাইরা আপুরা, ধর্ষণ কি কেবল ইয়াং মানুষরা হচ্ছে, হচ্ছে শিশুরা এমনকি পড়ন্ত বয়সের নারীরা, মোদ্দা কথা, বাছ বিচার ছাড়া #বয়স ভেদে। এখন বলেন ৬০ বছরের বুইড়া কি তার ৬০ বছরের বউকে খোলা জায়গায় চুমু দিবে, তখন আপনারাই আসবেন অন্য কথা বলতে। যখন ক্লাস ফাইভের #মেয়েটা তার পছন্দের ক্লাস ফোরের ছেলেটাকে #আদর করবে সবার সামনে, বলবেন, এসব কি শুরু হইলো? একটু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন প্লিজ, আপনারাই দেশের ভবিষ্যত আর এটা ভেবেই আরো ভীত হচ্ছি, নিজের ভেতরে নিজেই গুটিয়ে যাচ্ছি আরো...এখন কি ধর্ষণ #সমস্যা প্রতিরোধে আপামর বয়সের সবাই উন্মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে? নাকি খোলা জায়গায় সবার সামনে একজন আরেকজনকে আদর করবে , আর এটা বাস্তব হলেই ধর্ষণ চলে যাবে? এখন যাও কিছুটা লজ্জা কাজ করছে সেটাও চলে যাক ফলে ধর্ষণ চলে যাবে কারণ ধর্ষণের মূল কারণ হচ্ছে লজ্জা..................... এই হচ্ছে আপনাদের চিন্তাধারা? নাকি আমি ভুল বুঝতেছি?
"বিকৃত মানসিকতার" সংজ্ঞা কি আসলে?
যারা ধর্ষণ করে তারা বিকৃত মানসিকতার হতে পারে কিন্তু বিকৃত মানসিকতার হলেই সে ধর্ষণ করেনা বরং মাঝে মাঝে ধর্ষণের #প্রতিরোধ করার কাজও সে করতে পারে তার মনের মতন ধারায় প্রতিবাদমুখর হয়ে।
নারীর #আর্থিক_স্বচ্ছলতা র কথা বলে অনেকে বোঝাতে চান, নারীর হাতে টাকা আসলে সে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে এবং আর অত্যাচারের শীকার হবে না...হায়রে ভ্রান্ত ধারণা...কেন ভ্রান্ত বললাম জানেন? #নৈতিকতার #শিক্ষা না থাকলে ক্ষমতার সামনে #দূর্বল সব সময়ই অত্যাচারের শীকার হবেই। এর নিদর্শন একটু পেছনে তাকালেই পাবেন। ক্ষমতা পেয়ে নারী হয়ে শিশু পাচার করছেন কেউ কেউ, কেউ কেউ মাদক ব্যবসা করছেন, কেউ কেউ অন্য নারীকে ধর্ষণে সহায়তা করছেন...আরো ঘাটেন দেখতে পারবেন এমন অনেক নজির...এমনকি ক্ষমতাবান নারীর সামনে দূর্বল পুরুষ অত্যাচারীত হতে দেখা গেছে ভিডিওতে, মনে করে দেখেন ঘরের মধ্যে অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন একজন...আর আপনারা আধুনিক চিন্তাধারার মানুষ হয়ে, মেধাবী হয়ে ভাবছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা দিবে নারীকে তথা দূর্বলকে অত্যাচার থেকে মুক্তি?
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে প্রাণে চাই আপনাদের সবগুলো যুক্তি যেন সঠিক হয়, আর আমার সবগুলো কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে ভুল প্রমাণিত হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমার মনে হয় না আপনারা সঠিক পথে আগাতে চাচ্ছেন। আপনার আর কোণ পথ পাচ্ছেন না তাই একটা কিছু করা লাগবে তাই কিছু একটা করতে চাচ্ছেন হয়তো কিন্তু অকার্যকরী পথ হবে এগুলো।
আসলে কোন পথে গেলে ভাল হবে?
আমার জানা নেই আসলে। তবে আইন ও তার প্রণোয়ণই পারে দূর্বলকে সবলের অত্যাচার থেকে বাচাতে, এবার সেটা জমি দখল হোক, বা ধর্ষণ বা
বিয়ের নামে আর্থিক প্রতারণা বা ধর্মের নামে ব্যবসা বা নানা দুর্নীতি...নীতি কেউ শিখে আসে না, হঠাৎ করেই কেউ নীতি থেকে দুম করে সরে গিয়ে, একেবারে দুর্নীতির গডফাদার হয়ে যায় না...#নৈতিক_শিক্ষা কেউ কেবল #শিক্ষিত হলেই পাবে তা বলা যায় না, তবে #সম্ভাবণা থাকে বৈকি। আর সবগুলো সম্ভাবণাকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে নিয়ে একযোগে কাজ করলেই হয়ত সম্ভাবণা থেকে তা বাস্তবে রূপান্তরিত হতে পারে। এক বা দুই আঙ্গুল দিয়ে না দেখিয়ে, ১০ আঙ্গুল দিয়ে জাপটে ধরলেই #পরিবর্তণ আর পালাতে পারবে না, #মানসিক_পরিবর্তণ আসা সম্ভব হবে।
hope it makes sense...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

রাশিয়া বলেছেন: আমি মনে করি, টিকটক বা লাইকিরও একটা বড় অবদান আছে ধর্ষণের উৎসাহ যোগাতে। এখন কিছু কিছু টিকটকে দেখা যায় ধর্ষণ নিয়েও ফানি ভিডিও বানাতে।

ধর্ষক আসলে বিকৃত কামী নয়। বিকৃত কাম হচ্ছে মূলত সমকামী, শিশুকামী আর পশুকামীরা। ধর্ষক হচ্ছে সোজা ভাষায় ক্রিমিনাল, সমাজকে নষ্ট করতে যারা উঠে পড়ে লেগেছে।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর সব দেশেই- খুন, ধর্ষণ, চুরী ছিনতাই বা দুর্নীতি হয়। বরং অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এই সব খুব কম হয়। ক্রিকেট খেলার সময়, সারা দেশের মানুষ বাংলাদেশ দলকে সাপোর্ট করে। ১৮ কোটি মানুষ এক হয়ে যায়। ঠিক এইভাবে আমাদের সুখে বা দুঃখে এক হয়ে থাকতে হবে। তাহলেই দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাবে। স্বপ্ন দেখুন এবং আশাবাদী হোন। জয় বাংলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.