নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম আর রাজনীতির প্যারাডক্স।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

আমার এক ঘনিষ্ঠ অগ্রজ বন্ধু এবং এক সময়ের সামহোয়্যারইন ব্লগের জনপ্রিয় একজন ব্লগার সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোষ্টের বিষয় হচ্ছে ধর্ম আর রাজনীতির প্যারাডক্স নিয়ে। লেখাটা পড়ে মনে হলো, আমি ঠিক যা লিখতে চাচ্ছিলাম, তিনিই তাই লিখে দিয়েছেন।

এই লেখাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্যারাডক্স হচ্ছে ধর্ম আর রাজণীতি৷ উদাহরণ দেই। ভারতের সবচেয়ে নিগৃহিত সম্প্রদায় হচ্ছে দলিত। যারা ধর্মে হিন্দু কিন্ত এরাই উচ্চ বর্ণের কাছে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত। ভারতের প্রচুর হোটেলে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের প্রবেশাধিকারও নেই। অথচ ভারতের বর্তমান হিন্দুত্ব বাদের জনক প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিন্ত উচ্চ বর্ণের হিন্দু নয়৷ উনার গোত্র হচ্ছে OBC ( Other Backward Class) যারা সামাজিক ভাবে এবং শিক্ষায় সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা গোত্র।আবার ঐতিহাসিক ভাবে শিখ এবং হিন্দুরা পরম বন্ধু।

অথচ গত এক বছরে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW পাকিস্তান, ইউকে, কানাডায় অন্তত ৮ জন স্বাধীন খালিস্তান ভূমি দাবী করা শিখকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। সেটা এই মোদী সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নির্দেশে। আবার পিছনে যদি ফিরি, তাহলে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ দাবী করার সময়ে এই ভারতই ছিলো বাংলাদেশের বন্ধু এবং যুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ কারী দেশ।

সৌদি আরব হচ্ছে নবীজির দেশ। ইসলামের প্রবর্তক দাবী করা সবচেয়ে অগ্রসর মান দেশ, অথচ বাংলাদেশী মহিলা গৃহ কর্মীরা একই বাসায়, একই ছাদের নীচে একই রাতে, একবার বাবার, আরেকবার ছেলের কাছে ধর্ষিতা হয় প্রতিদিন কিংবা ভোগ্যপণ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় সৌদিদের ঘরে ঘরে৷ এরা শুধু যে বাংলাদেশী গৃহকর্মীদের ভোগ করে হালালত্ব কায়েম করে তা কিন্ত নয়, 'বিধর্মী' ফিলিপাইনী গৃহ কর্মীরাও কিন্ত এদের লালসার চরম শিকার৷ অথচ ইসলামে বিবাহ বহির্ভুত যৌন সংসর্গকে,মানুষ হত্যার পরে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে। দুই দিন আগে আরেকটা ভিডিওতে দেখলাম, মক্কা শরীফ তওয়াফের সময় সৌদি নৈতিকতা পুলিশ, হাজীদের গলা থেকে তাবিজ খুলে ফেলে দিয়ে বলছে এটা "শিরক" অথচ আবদ্ধ ছাদের নীচে, নির্বিচার সংগমে এদের ধর্মত্ব ক্ষুণ্ণ হয় না। গণিতে যেটা মিলেনা সেটা হলো, এই সৌদিতেই রসুল (স:) এর জন্ম এবং ওফাত।

এই সৌদির পূণ্য ভূমিতেই ইসলামের পাচ স্তম্ভের এক স্তম্ভ হজ করতে হয়, যেটা পালন না করলে যে কোন মুসলমান নিজেকে সাচ্চা মুসলমান দাবী করতে পারেনা। এই সৌদি কতলের শাস্তি কতল কে বলে ইসলামী শরিয়া আইন আর এই সৌদির কাবা শরীফের রক্ষক MBS ( মোহাম্মদ বিন সালমান) এর নির্দেশে, তুর্কীতে সৌদি ভিন্ন মতাবলম্বী জামাল খাশোগীকে টুকরো টুকরো করে এসিড দিয়ে গলিয়ে ফেলা হয় এবং গনতান্ত্রিক আমেরিকা আইন করে নিজ দেশে MBS এর ইন্ডেমনিটি( মানে বিচারযোগ্য নয়) ঘোষণা করে।
হিন্দু মুসলমান বাদ দিলাম, এই ভিডিও তে দেখুন, ইহুদীরা খ্রীষ্টান দের দেখে মাটিতে থুতু দিচ্ছে।


এই থুতু দেয়াটা কিন্ত মানবিক ঘৃণা নয়, এটা হাজার বছর ধরে আচরিত, খ্রীষ্টান দের দর্শনে মাটিতে থুতু ফেলতে হয়- এটা ইহুদী ধর্মীয় চর্চা।

আবার হামাস যখন ইস্রাইলকে আক্রমন করলো এটার আগেই হামাস কিন্ত জানে, ১ ইসরাইলী মারা গেলে ১০০ মুসল্মান মারা যাবে কারণ খ্রীষ্টান আর ইহুদী হলো বন্ধু ( যদিও বহুল প্রচলিত আছে, যে জেসাস ক্রাইষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করেছিলো রোমান রা কিন্ত জেসাস কে ধরিয়ে দিয়েছিলো ইহুদীরা)। তাহলে ইসরাইল আক্রমণ করে হামাস কি পক্ষান্তরে মুসলমান দের কতল করলো না!

হামাসের আক্রমণের পর পৃথিবীর বেশীর ভাগ খ্রীষ্টান প্রধান দেশ ইসয়ারেয়েল পাশেই আছে, কেবল সমর্থন দিয়েই নয়, বরং আমেরিকা ইতিমধ্যে অত্যাধুনিক মুসল্মান মারার অস্ত্রপাতি ইসরায়েলে পাঠিয়ে দিয়েছে।

ধর্ম আর রাজণীতির এই প্যারাডক্সে আমি আর এখন বিস্মিত হই না। কারণ সৃষ্টিকর্তার সর্বশ্রেষ্ঠ আর সর্ব নিকৃষ্ট সৃষ্টি
কিন্ত এই মানুষই৷

পরিণত বয়সে তাই ভাবতে বাধ্য হই, " কি ঘর বানাইমু আমি শূন্যের ও ভিতর "

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: সময়োপযোগী একটি লেখা শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি আমি দেখেছি গত পরশু , আরো অনেক ভিডিও রয়েছে ইসরাইল এবং পাইলাইস্টাইনদেরকে নিয়ে। পক্ষে বিপক্ষে কত তর্ক বিতর্ক ,দিন শেষে মানবতার পরাজয়। আর একটি ভিডিও লিংক দিলাম ইচ্ছে করলে দেখতে পারেন। ফরাসি ভাষা ,কিন্তু ইংলিশ সাবটাইটেল রয়েছে : Israeli Settlers - Palestinians: The War - World Documentary - PL

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দেখছি ভিডিওটা।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভালো বিষয় শেয়ার করেছেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের সাথে আলোচনার সুবিধার্থে এই পোষ্টটি শেয়ার করলাম।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

নতুন বলেছেন: সবার উপরে রাজনিতিক ক্ষমতা।

মানুষকে নিয়ন্ত্রনের খুবই চমতকার একটা হাতিয়ার এই ধর্ম। সকল সমাজ/দেশেই ধর্মকে রাজনিতিকরা ব্যবহার করেছে তাদের নিজেদের জন্য।

ভন্ড রাজনিতিকরা নামে ধর্ম পালন করে মানুষের সহানুভূতির জন্য কিন্তু তাদের আসল ধর্ম ক্ষমতা/টাকা পয়সা।

সাধারন জনগনের বিরাট একটা অংশ ধর্মের অন্ধ অনুসরন করে তারা ধর্মীয় বই পড়েনা, বোঝার চেস্টা করেনা, শুধুই অন্ধঅনুসরন করে। তাদের পক্ষ বিপক্ষে রেখে রাজনিতিক ক্ষমতার খেলের উদাহরন আমাদের চারিপাশেই আছে।

তবুও মানুষ ধর্মের নামে মানুষের সাথেই ক্যাচালে ব্যস্ত।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

জাদিদ বলেছেন: সাধারন জনগনের বিরাট একটা অংশ ধর্মের অন্ধ অনুসরন করে তারা ধর্মীয় বই পড়েনা, বোঝার চেস্টা করেনা, শুধুই অন্ধঅনুসরন করে। তাদের পক্ষ বিপক্ষে রেখে রাজনিতিক ক্ষমতার খেলের উদাহরন আমাদের চারিপাশেই আছে।


খুবই সহমত।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:




এই থুতু দেয়াটা কিন্ত মানবিক ঘৃণা নয়, এটা হাজার বছর ধরে আচরিত, খ্রীষ্টান দের দর্শনে মাটিতে থুতু ফেলতে হয়- এটা ইহুদী ধর্মীয় চর্চা।

নতুন কিছু দেখলাম। সব ধর্মেই কুচর্চা আছে!

আসলে কোনকিছু নিয়েই বাড়াবাড়ি করতে নেই, এর ফল কখনও ভালো হয় না।


১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

জাদিদ বলেছেন: কু চর্চা থেকে বের হবার কারো কোন আগ্রহ নেই। কারন তারা নিজেরাই এর থেকে বের হতে চায় না।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমি ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে মুসলিমদের অবস্থান মনে করছি না। জানি, আমার একার মতামতের কোন ভ্যালু নেই। আমি তাদেরকে তাদের ভৌগলিকত্বের অধিকারী বিবেচনায় সমর্থনের পক্ষে। মুসলিম সে তো বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মুখ। কালচারালী মুসলিম হওয়া আর অঞ্চলভিত্তিক মুসলিম হওয়াটা অনেক দূরের।

সৌদিরা বর্তমানে মুসলিম দাবী করে ব্যাবসা করছে, তারা তো মুসলিম থেকে বেশি এগিয়ে আছে নিজেদের জাতীয়তাবোধে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

জাদিদ বলেছেন: এই কারনেই আমি আপনাকে পছন্দ করি তাজুল ভাই। আপনি সমসাময়িক অনেকের চাইতে অনেক কিছু গভীরে চিন্তা করেন এবং বুঝার চেষ্টা করেন।

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: যার যার কর্ম, তার তার দায়ভার।

হামাস ইসরাইলি হত্যা করলে এই হত্যাকান্ড শুধু হামাস করেছে তাই না এর জন্য পুরো ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীই দায়ী-ইসরাইলিরা এমনটাই বলবে। তারা কখনই বলবে যে এর নেতানিয়াহু দায়ী, তার রাজনৈতিক দল দায়ী। মোসাদের এজেন্টরা নাকে তেল ঘুমাচ্ছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী অথর্ব হয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু এদেশের এক চোখ কানা সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঘুর্নাক্ষরেও এটা বলবে না যে পাইকারে হারে ফিলিস্তিনী গনহত্যার জন্য কেবল মাত্র এবং কেবলমাত্র ইসরাইল ও তাদের দোসররাই দায়ী। সেটার দায়ভারও হামাসের ওপর চাপাবে।

নেহায়েত মানসিক বিকারগ্রস্ত না হলে মানুষ কখনো চিন্তা করতে পারে না যে ভোগ দখল করা বাপ দাদার জমি কোন এক ইউরোপীয় ইহুদি (যার সুদুর অতীতে কখনই মধ্যপ্রাচ্যে কোন প্রকার সম্পর্ক ছিল না) রাতারাতে দখল করে নেবে। অন্যায়ভাবে দখল করা এসব জমি ফিরিয়ে দিলেই শান্তি। এতো আলোচনার তো কিছুই নাই।

নইলে মাঝে সাঝে হামাসের চড় থাপ্পড় ক্ষেতে হবে।

তবে এক চোখ কানা সিন্ডিকেটের সদস্যরা যেরকম প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাতে নিশ্চিত যে হামাস সঠিক পথেই এগোচ্ছে।

ইসরায়েলের দোসর আমেরিকা ও তাদের পশ্চিমাদের দোসরদের গায়ে গতরে অনেক তেল জমেছে। বিনামূল্যের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইসরায়েলকে দিচ্ছে। ইসরায়েলের জন্য তা বিনামূল্যের কিন্তু আমেরিকান মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত জনগনের জন্য তা নয়। তাদের ট্যাক্সের টাকায় বানানো অস্ত্র ব্যাবহার করে ইসরাইলিরা। সুতরাং আমেরিকান মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত জনগনও ধরা খাচ্ছে। এসব ট্যাক্সের টাকা তাদের মেডিকেল ইন্সুরেন্স, তাদের গৃহহীন, স্টুডেন্ট লোনের চাপে যারা উচ্চ শিক্ষা হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তাদের সাপোর্ট দেয়া যেত, তাদের মাদকাসক্ত মানুষের সেবা প্রদানকারী রিহাব কিংবা সোস্যাল ওয়েলফেয়ারে খরচ হতে পারত। এতদিন যা যাচ্ছিল ইউক্রেনে এখন তা ইউক্রেনেও যাবে আবার ইসরায়েলেও যাবে।

এখন যদি বলা হয় যে নিজ নিজ দেশের জনগনের ট্যাক্সেরত পয়সার এসব অস্ত্র এসব দেশে বিতরন করে আমেরিকা ও তাদের অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিরা কি লক্ষ্য অর্জন করবে?

হামাস আর রাশিয়া অতি দ্রুত ধ্বংশ হয়ে যাবে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৩

জাদিদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

আপনার মন্তব্যটি পড়লাম। একজন মুসলিম এবং একজন মানুষ হিসাবে আপনার চিন্তাধারাটি বেশ আবেগ সর্বস্ব। এটা শুধু আপনার একার নয় বরং সমাজের অনেকেই এই ধরনের চিন্তা ভাবনা পোষণ করেন। চিন্তার গভীরতা না থাকার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি।

প্রথমত, এই পোষ্টটি ফিলিস্তিনে যে বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসন চলছে সরাসরি সেই সম্পর্কিত নয়। এখানে ধর্ম এবং রাজনীতির মারপ্যাঁচ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম সমাজের যে দুর্বলতা এবং দ্বিচারিতা উঠে এসেছে সেই ব্যাপারে ধার্মিকদের লজ্জাজনক নীরবতা এবং কৌশলী মানসিকতার অভাবকেই মূলত দায়ী করে পোষ্টটি লেখা হয়েছে। যার প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ের ফিলিস্তিন ও ইজরাইলের প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে।

আমার মনে হয়, হামাস যদি এই ধরনের কোন আক্রমণের পরিকল্পনা করেও থাকে, তাহলে সেটার পরিণতি সম্পর্কেও তাঁদের ধারনা ছিলো। তারা জানত, এই ধরনের আক্রমনের ফলে কি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং এতে সার্বিকভাবে প্রাণ যাবে নিরীহ ফিলিস্তিনদের। তাহলে এই লোকগুলোর জীবন বাঁচানোর জন্য তাঁদের কোন পরিকল্পনা ছিলো না কেন?

আপনি যদি সঠিক কোন পরিকল্পনা ছাড়া একটি অসম শক্তির সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হন, তাহলে আপনাকে বোকা বলতে হবে। আপনার এই বোকামির কারণে নিরীহ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে। আপত্তিটি এখানে।

ফিলিস্তিনকে কেন্দ্র করে মুসলিম কমিউনিটি বা রাষ্টগুলো যদি সত্যিকারভাবে একত্র হতো, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক কিছুই পরিবর্তন হতো।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাােসল বলেছেন: জনাব সৈয়দ তাজুল ইসলামের মন্তব্য "আমি ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে মুসলিমদের অবস্থান মনে করছি না। জানি, আমার একার মতামতের কোন ভ্যালু নেই। আমি তাদেরকে তাদের ভৌগলিকত্বের অধিকারী বিবেচনায় সমর্থনের পক্ষে।"

স্বঘোষিত মানবতাবাদীরা এই নীতি বিবেচনা করবে না. যদিও তারা খুব ভালো করেই জানে।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০০

আরোগ্য বলেছেন: ১. وَاِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ جَاعِلٌ فِی الۡاَرۡضِ خَلِیۡفَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَجۡعَلُ فِیۡہَا مَنۡ یُّفۡسِدُ فِیۡہَا وَیَسۡفِکُ الدِّمَآءَ ۚ وَنَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِکَ وَنُقَدِّسُ لَکَ ؕ قَالَ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

এবং (সেই সময়ের বৃত্তান্ত শোন), যখন তোমার প্রতিপালক ফিরিশতাদেরকে বললেন, আমি পৃথিবীতে এক খলীফা বানাতে চাই। তারা বলতে লাগলেন, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে সেখানে অশান্তি বিস্তার করবে ও খুন-খারাবী করবে, অথচ আমরা আপনার তাসবীহ, হামদ ও পবিত্রতা ঘোষণায় নিয়োজিত আছি? আল্লাহ বললেন, আমি এমন সব বিষয় জানি, যা তোমরা জান না।

—আল বাকারা - ৩০

মানবজাতি সম্পর্কে ফেরেশতাদের ধারণা যথাযথ তবে আল্লাহ যা জানেন তা আমরা কেউই অবগত নই।

২.وَمَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَالۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَآءِ وَالۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَہۡلُہَا ۚ  وَاجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ  وَّاجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا ؕ

(আন নিসা-৭৫)

(হে মুসলিমগণ!) তোমাদের জন্য এর কী বৈধতা আছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে সেই সকল অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্য লড়াই করবে না, যারা দু‘আ করছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা জালিম অন্যত্র সরিয়ে নাও এবং আমাদের জন্য তোমার পক্ষ হতে একজন অভিভাবক বানিয়ে দাও এবং আমাদের জন্য তোমার পক্ষ হতে একজন সাহায্যকারী দাঁড় করিয়ে দাও?

এটা কি সকল নিপীড়িত নির্যাতিত মুসলিমদের আর্তনাদ না? এই আয়াত কি ক্ষমতাবান ( পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী মুসলিম দেশ) মুসলিমদের জন্য মজলুমদের পক্ষে জি* হাদ করার স্পষ্ট দলিল না?

৩. اِنَّمَا یَنۡہٰىکُمُ اللّٰہُ عَنِ الَّذِیۡنَ قٰتَلُوۡکُمۡ فِی الدِّیۡنِ وَاَخۡرَجُوۡکُمۡ مِّنۡ دِیَارِکُمۡ وَظٰہَرُوۡا عَلٰۤی اِخۡرَاجِکُمۡ اَنۡ تَوَلَّوۡہُمۡ ۚ وَمَنۡ یَّتَوَلَّہُمۡ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ

আল্লাহ তোমাদেরকে কেবল তাদের সাথেই বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন, যারা দীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে তারাই জালেম।

—আল মুম্‌তাহিনাহ্‌ - ৯
এই আয়াত কি তাদের পরিচয় বহন করে না যাদের সাথে আল্লাহ মুসলিমদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে নিষেধ করেছেন?

৪. رَبَّنَا لَا تَجۡعَلۡنَا فِتۡنَۃً لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَاغۡفِرۡ لَنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ

(আল মুম্‌তাহিনাহ্‌-৫)

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে কাফেরদের পরীক্ষার পাত্র বানাবেন না এবং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই কেবল আপনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার ও সঠিক বিষয় বুঝার তৌফিক দান করুন।




১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৮

জাদিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

সৌদি এত একটা পবিত্র অঞ্চল, ইসলামের শুরুই হয়েছে এই অঞ্চল থেকে। আপনি তো অনেক দলিল বা রেফারেন্স দিলেন। কাজে আসবে। তবে বাবা আর ছেলে মিলে গৃহকর্মীকে যে ধর্ষন করার যে ঘটনাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে তা যে মিথ্যা সেগুলোর স্বপক্ষে কি দলিল আছে? আর যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তারা কোন দলিলের উপর ভিত্তি করে গৃহকর্মীর সাথে যৌণতায় লিপ্ত হয়?

দাসীদের সাথে সম্ভোগ জায়েজ - এই টাইপের কোন কিছু কি আছে?

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: আমি কালকে কমেন্ট করবো।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই দুনিয়াডা হচ্ছে মস্ত এক গোলক ধাঁধা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৯

জাদিদ বলেছেন: দুঃখজনক।

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

শার্দূল ২২ বলেছেন: অত্যান্ত চমৎকার বিশ্লেষণ। নির্মম সত্য।

হামাস কিংবা ইসরাইলের তাড়া খেয়ে পা মচকে যাওয়া শিশুটির দিকে তাকাতে যারা ধর্ম বা অযুহাত টেনে আনে তারাই অমানুষ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২০

জাদিদ বলেছেন: মনটা ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার শিশুদের এই পরিনতি দেখে।

মানব জগতে সর্বোত্তম যা কিছু দেওয়ার আছে তা শিশুরাই পাওয়ার যোগ্য।
- জেনেভা কনভেনশনের এই ধারাকে বর্তমানে রসিকতা বলে মনে হয়।

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ফিলিস্তিনি শিশুরা নিজেদের নাম হাতে লিখে রাখছে যাতে এয়ারস্ট্রাইক হলে পরিবারের সদস্যরা বডি আইডেন্টিফাই করতে পারে।

ইউনিসেফ প্রতিনিধি বলেছেন এই পর্যন্ত গাজায় সাত শতাধিক শিশু শহীদ হয়েছে।

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪৮

আরোগ্য বলেছেন: وَالَّذِیۡنَ ہُمۡ لِفُرُوۡجِہِمۡ حٰفِظُوۡنَ ۙ

যারা নিজ লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে
—আল মু'মিনূন - ৫

اِلَّا عَلٰۤی اَزۡوَاجِہِمۡ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُمۡ فَاِنَّہُمۡ غَیۡرُ مَلُوۡمِیۡنَ ۚ

নিজেদের স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন দাসীদের ছাড়া অন্য সকলের থেকে, কেননা এতে তারা নিন্দনীয় হবে না।
—আল মু'মিনূন - ৬
فَمَنِ ابۡتَغٰی وَرَآءَ ذٰلِکَ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡعٰدُوۡنَ ۚ

তবে কেউ এ ছাড়া অন্য কিছু কামনা করলে তারাই হবে সীমালঙ্ঘনকারী।
—আল মু'মিনূন - ৭

সুরা মাআরীজের ২৯,৩০,৩১ নং আয়াতসমূহে একই কথা আছে। দাসীদের সাথে সম্ভোগ জায়েজ কিন্তু গৃহকর্মীদের সাথে না। দুটোর মাঝে বিস্তর তফাত। এ নিয়ে বলা বাহুল্য। সৌদীর কিংবা অন্যান্য আরব দেশের অনুকরণে ইসলাম পালন করতে গেলে তো সমস্যা। তারা কি ইসলামের অনুসরণ করেন নাকি তাগুতের? ইসলাম পালন করতে হবে কোরআন ও সহীহ সুন্নাহের অনুসরণে। কোরআনকে অবমাননা করার জন্য এদের শীঘ্রই ফল ভোগ করতে হবে। May be countdown starts. May Allah protect all mumineen.

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

মহানব্যক্তি বলেছেন: ফিলিস্তানিদের উচিৎ অন্য দেশে হয় হিজরত করা। এটা ইসলাম সম্মত

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

দি এমপেরর বলেছেন: মুশকিল হচ্ছে আমরা ধর্মকে জাস্টিফাই বা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি সংশ্লিষ্ট ধর্মমতের এমন জনগোষ্ঠীকে দিয়ে, যারা নামে তো কোনো ধর্মমতের অনুসারী কিন্তু কর্মে নিজের রিপু আর ভোগবিলাসের চাহিদাকে প্রায়োরিটি দেওয়া পারসন। আর এদের এমন দ্বিচারিতার কারণে মানুষ ধর্মকেই সমালোচনার হাতিয়ার বানাচ্ছে। এটুকু বোঝার চেষ্টা করছে না, সংশ্লিষ্ট ধর্মমতের লোকজনের আচার-আচরণ দিয়ে সেই ধর্মকে জাস্টিফাই করা চরম নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছু নয়। ঐশী কোনো ধর্মেই অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি, অন্যায় কাজকে সমর্থন করা হয়নি। যারা ধর্মের নাম দিয়ে অপকর্ম করছে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের দায় শুধু তাদের ওপরই বর্তায়; কোনোভাবেই ধর্মের ওপর বর্তায় না।

সংশ্লিষ্ট কোনো দেশের নাগরিকদের আচরণ ধর্মের মাপকাঠি হতে পারে না, এই সহজ কথাটা যারা বুঝতে চায় না তারা একধরনের জ্ঞানপাপী। ব্যক্তিবিশেষের সমালোচনা কাম্য, সংশ্লিষ্ট ধর্মের নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.