নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘামের কালিতে হৃদয়ের কোরা কাগজে লিখি শ্রম সাহিত্য

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু

আমি একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ,সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে ২০০৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে এস-পাশ নিয়ে কাজ করছি। এর পূর্বে ১৯৯৭ থেকে ২০০৮ সাল ছিলাম সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে। লেখালেখি শখ,শখের সংবাদ প্রতিনিধিও বটে.ফ্রিল্যান্স। ছোটবেলা থকে মঞ্চে নাটক করতাম।নাটক লিখতাম।নব্বইয়ের দশকে পথ নাটক আর বেইলি রোড ,গাইড হাউস সহ নানা মঞ্চে অভিনয় করেছি। পরিচালনাও করেছি।সৌদি আরবেও একাধিক নাটক ও শতাধিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। তবে সাহিত্য জগতে পরিচিতি বিকাশ সিঙ্গাপুরে বাংলার কন্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে।আন্তর্জাতিক রাইটার্স ফেস্টিভাল ,শ্রম ও প্রেমের কবিতা সহ বহুজাতিক সাহিত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি বাংলার কন্ঠের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে হয়েছে.২০০০ সালে সৌদিতে একটি বই করেছিলাম কম্পিউটার প্রিন্টে। কবিতার বই ,নাম ছিল মরুমায়া।তা সংরক্ষণে নেই.২০১৫ সালে কবি গ্রন্থ \"প্রবাস থেকে বলছি,২০১৬ সালে উপন্যাস \"বন্ধু তুমি সায়াহ্নে,দুটি কাব্য গ্রন্থ একশো আশি ডিগ্রী ও কষ্ট বিলাস প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে বাংলার কন্ঠের বিভাগীয় সম্পাদক,নিয়মিত ফিচার ,গল্প ,কবিতা ,উপন্যাস লিখছি, কবিতা হাজার ছাড়িয়েছে বহু পূর্বে।আর এখন অনলাইনে হরমেশাই লিখি,ফেসবুকতো আছেই। নিয়মিত মঞ্চ নাটক লিখছি,পরিচালনা,অভিনয় চলছে অবসরে প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে বিদেশীদের কাচ্ছে তুলে ধরি লালা সবুজের রক্তাক্ত ইতিহাস,রক্ত স্নাত একুশের ইতিহাস,বাংলার অহংকার ঐতিহ্য় রক্ষায় দৃড় প্রতিজ্ঞ নিজেই নিজের কাছে। বাংলার কন্ঠ সাহিত্য পরিষদ ,প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস) এর সাধারণ সম্পাদক ,সিঙ্গাপুরে।এছাড়া যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন,বাংলাদেশ,বাংলাদেশ কবি পরিষদ,অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ,অনলাইন গ্রুপ এসোসিয়েশন সহ নানা সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি. সাহিত্যের পড়াশুনা নেই,তবু ও মনে যা আসে তাই বিভিন্ন চকে ফেলে লিখি।কখন কবিতা,গল্প,উপন্যাস হয়ে যায়,বেশির ভাগ সমসাময়িক লিখি। দুই কন্যা আর স্ত্রী আছে সেই সাথে একান্ন বর্তী পরিবার। প্রবাসীর আর তেমন কিছু নেই। শ্রমিক,শ্রম সাহিত্য,প্রবাসে শ্রম প্রতিভা নিয়ে কাজের অবসরে সময় কাটাই। ধন্যবাদ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু ১৪-৫-২০১৬ ইং

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছারখার হয়ে যাবি একদিন

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫


ছারখার হয়ে যাবি একদিন

এই উক্তি এক সন্তানের কাছে কষ্ট পাওয়া পিতার ,কেনো তোকে পেটে ধরেছিলাম ,এ উক্তি এক মনের দুঃখ পাওয়া আর অপমান হওয়া মায়ের। প্রায়শই শুনতাম ছোটবেলায় এই সব উক্তি। অভাব গ্রস্থ পরিবারে সন্তান যখন পিতা মাতার খেয়াল রাখত না তখনি এই সব বদ দোয়া আসতো বাবা মায়ের কন্ঠে। শুধু আর্থিক নয় মানসিক যন্ত্রনায় পিতা মাতার অভিশাপ কুড়াচ্ছে অভাগা সন্তানেরা যার জন্য দায়ী সন্তান নিজে।সন্তানের অসচেতন কর্মকান্ড ই বাবা মাকে অভিশাপ দিতে বাধ্য করে.ইসলামে মায়ের এর অভিশাপ বা আহ এর তাত্পর্য অনেক।মায়ের দোয়া সন্তানের যেমন উন্নতি হয় তেমনি একবার মনে দুঃখ নিয়ে আহ বললে কবুল হয়ে যায়। সন্তানের অমঙ্গল সু নিশ্চিত। ইহাই আমার বিশ্বাস।
বাবার বদদোয়া ও মারাত্মক ,তবে মায়ের চাইতে হয়ত একটু কম.সুখ নানা রকম অর্থ সুখ,প্রতিপত্তি ,নাম যশের সুখ,পারিবারিক সুখ.এই সুখ সোনার হরিন। এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা সুখী।সুখের পায়রা উড়ে না সবার আঙ্গিনায়।নিজে হাতে অনেকেই নিজের সুখ নষ্ট করে। নিজের পায়ে মারে কুড়াল।সে যাই হোক বাবা মায়ের সাথে বনি বনা নেই, সন্তান মাকে মা বলে ডাকে না ,বাবা কে বাবা বলে ডাকে না, সে সব সন্তানের মুখে আদর্শের কথা শুনলে ,তাদের হাতে ইসলা প্রচার দেখলে গায়ে জালা ধরে বৈকি।
পারিবারিক বন্ধনে ভন্ডামী!!ভন্ডামী এক শ্রেনীর মানুষের পেশা। নানা ধরনের ভন্ডামী তাদের কাছে অর্থ আয়ের এক মাত্র পথ। আমার আজকের বিষয় মাতা পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে সন্তানদের ভন্ডামী নিয়ে। আমার বয়স বর্তমানে চল্লিশের উর্ধে। যদি আমি দশ বত্সর বয়স থকে বুঝার ক্ষমতা প্রাপ্ত হই তাহলে দেখেছি অনেক পরিবার।তাদের সন্তানদের পিতা মাতার সাথে ব্যবহার ,শ্রদ্ধাবোধ । ইসলামের কোথাও শক্ত কোন দলিল হাদিস প্রমান নেই যে শশুর শাশুড়ির খেদমত পুত্রবধুকে করতেই হবে। এটা সম্পুর্ন নির্ভর করে সন্তানের উপর। সে কি ভাবে তার পিতা মাতার বৃদ্ধ বয়সে খেলা রাখবেন সম্পুর্ন তার ব্যাপার।বৌদের শ্বশুর শাশুড়ির খেদমত করা একটি পারিবারিক নৈতিক শিক্ষা।
প্রাকৃতিক নিয়মেই মা তার গর্ভে সন্তান ধারণ করেন। এই সন্তান ধারণ নারী জাতির অহংকার। যে নারী সন্তান ধারণে অক্ষম তিনি আমাদের দেশে নানা উপাধিতে ভুষিত হন, যার মধ্যে বন্ধ্যা ,বাজা । তেমনি পুরুষ হন আট খুড়ে, হন ধিকৃত। বিয়ের পর সন্তান আসলে দুই পরিবার তথা আত্বিয় স্বজনদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। এক সময় সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে দেখে পৃথিবীর আলো বাতাস। ধনী বা অর্থ বিত্ত পরিবারে সন্তান লালনে কষ্টকর না হলেও মধ্য বিত্ত নিন্ম মধ্য বিত্তের সমস্যা বেশি যদি সন্তানকে পড়া শোনা করাতে চায় কর্ম জিবি করতে চায়। গরিব দুঃখীর তো দু বেলা অন্ন জুটাতেই হিম সিম খেতে হয়। বস্ত্র সে তো আরো দুরে।অভাবের তাড়নায় অনেক বাবা মা সন্তান ফেলে রেখে চলে যান স্টেশনে ,বাস স্টপে ডাস্টবিনে নয়তো আস্তা কুড়ে । যারা অনেকেই টোকাই নাম পরিচিত হয়। আমি সে দিকে যাচ্ছি না। একটি নিন্ম মধ্য বিত্ত পরিবারের কথা বলি।
ভদ্র লোক সরকারী চাকুরী জিবি ,মহিলা গৃহিনী ,প্রাইমারি পাশ। আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত নামাজি পর্দা শীল ,ভদ্রলোক মাদ্রাসা লাইনে পড়াশোনা করে যুদ্ধের পূর্বে স্কুল থেকে মেট্রিক দিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তান সময়.বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর বাহাত্তরে চাকুরিতে সুযোগ পান.সে থেকে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের শহর বন্দর মফস্বল এ তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হিসাবে চাকুরী করেছেন। বছর গড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত সময়ে তিন চার বছর অন্তর চারটে সন্তান আসে তাদের ঘরে। দ্বিতীয় জন কন্যা সন্তান। প্রত্যেককে স্কুলে পাঠান। মাস শেষে যা আয় তা দিয়ে মুদি ,ডাক্তার স্কুলের ফিস দিতেই পকেট ফাকা। সরকারী চাকুরী ছাড়াও বাহিরে কাজ করে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করেছেন নিরন্তর । বিভিন্ন জেলা শহরের এক সাথে বস বাসের পর্বের সমাপ্তি ঘটে বহু পূর্বে। এখন গৃহিনী থাকেন গ্রামে আর গৃহ কর্তা একাই থাকে চাকুরী স্থলে, বুড়ো বয়সে ব্যাচলর আর কি।
বড় ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করে. বাবা ধার দেনা করে বড় ছেলেকে পাঠিয়ে দেন মধ্য প্রাচ্যে। মেয়েটির বিয়েতে বড় ছেলেই ছিলো ভরসা। মেয়ের সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এই পরিবারের সবাইকে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়। ছেলেমেয়ে নিয়ে মেয়েটি আছে বেশ , রয়ে গেছে হা হুতাশ। ।মেঝ ছেলে গ্রামেই থাকতো। গ্রামের স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে। কলেজে ও ভর্তি হয়। কিন্তু পারিবারিক অসচ্ছলতার অজুহাতে হোক বা যে কোন কারনে হোক গো ধরে বিদেশ যাবে। ভগ্নী পতি থাকে মধ্য প্রাচ্যে। বড় ভাই ও সেখানে ,একটি ভিসার ব্যবস্থা করে তারা , ভুয়া ভিসা অর্থ দন্ড , আবার আরেকটি ভিসা র ব্যবস্থা করা হয়। সে ভগ্নী পতি ভিসার ব্যবস্থা করেন। টিকিট দেন বড় ভাই. মেঝ ছেলে চলে যান, মধ্য প্রাচ্যে।,চাকুরী করে মেঝ ছেলে ভিসার অর্থ শোধ করেন। মালিক বেটা সুবিধার নয়.তবু চলছে তার প্রবাস জীবন।
বড় ছেলেকে মা বাবা পছন্দ করে বিয়ে দেন. ঘরে আসে নতুন অতিথি। শুধু ঘর নয় বাড়ি এমন কি পুরো গ্রাম জুড়ে নতুন বৌয়ের সুনাম।ছোট ছেলে তখন মাদ্রাসায়। একটি সুখ শান্তির ছোয়া লাগে এই পরিবারে। বড় হতে থাকে পরিবার। গৃহ কর্তার শেষ বয়সে হতে থাকে প্রমোশন।আর বদলী। নাতিন আর ছেলের বৌকে নিয়ে ও শহরে থেকেছেন কিছুদিন, বড়ই শান্তি আর হাসজ্জ্ল প্রাণ চঞ্চল এই পরিবারের দিন গুলি । বড় বউ শহুরে হয়ে ও গ্রামে কৃষ্টি কালচারে নিজেকে মিশিয়ে হয়েছেন সকলের প্রিয় ভাজন । মেঝ ছেলে দেশে আসে ছোট ছেলে তখন সদ্য যুবক। বন্ধু বান্ধব নিয়ে লেগে যায় ভাইয়ের বিয়ে দিতে। খুঁজে নিয়ে আসে এক এতিম খ্যাত পিতৃহীন মেয়েকে। প্রথম দিকে পাত্তাই পায় না বর কনের কাছে। সংসার ,সামাজিকতা কিছুই বুঝে না দ্বিতীয় বউ ,শুরু হয় নানা দেশীয় ঝামেলা। অবসর নিয়ে গ্রামে ফিরেন গৃহ কর্তা। হজ্ব ও করেন। টিনের ঘর রূপ নেয় দালানে,অর্থের যোগান দেয় বড় আর মেঝ , ছোট মিয়া তদারকি করেন সংসারে। ভগ্নিপতি ও সহ যোগিতা করেন সাধ্য মতো মনোবল আর সময় দিয়ে। প্রবাস ফেরত এই ব্যক্তির হাতে অফুরন্ত সময়. আসে সামাজিক পরিবর্তন। গৃহ কর্তা আর গৃহ কর্ত্রী এক চেটিয়া মেঝ বৌকে আগলে রাখার চেষ্টা করেন। এতিম এর সাইন বোর্ড আর অতি আদরে যদি, আরো কাছে আসে যদি লক্ষী সোনা বউ হয় এই বাসনায় । এতে কিছু কিছু গায়ে জালা ধরে বড় বৌয়ের। যখন একা ছিলেন এই সংসারে তখন তিনি ছিলেন লক্ষী বউ ,এখন হাড় খাটুনি নাম হয় মেঝ বৌয়ের। মাঝে মাঝে ব্রেক ফেল করে বড় বৌয়ের। বড় ছেলে কড়া শাসন আর বড়বৌয়ের মা ও ভাই দের কাছে ঠাই না পেয়ে, সুশিক্ষা গুরু জনে ভক্তি ,ইসলামী মন মানসিকতার কারণে,বড় বউ আছে তাদের পাশে।মেঝ বউ এর দেশীয় গুমান সকাল আট টা থেকে রাত আট টা নির্ধারিত সময়ের কার্য সীমা ,ধরি মাছ না ছুই পানি, কাজ কর্ম অনেকের ই চক্ষুচুকু শূল হয়ে উঠে পরিবারে ,গড় কর্তা রাখেন স্নেহ আর মমতার হাত ,রাতে ডেকে খাওয়ান মেক্জ বৌকে আর রাত জাগে বড় বউ । গৃহ কর্তা গৃহ কর্তি কাভি ইধার তো কাভি উধার।
ছোট ছেলে বিশ্ব বিদ্যালয়ে থেকে অর্জন করে সর্বোচ্চ ডিগ্রী। দুই ভাইয়ে প্রবল ইচ্ছায় আর ছেলের একাগ্রতায় ধরা দেয় এই ডিগ্রী। পড়া শোনা কালীন সময়ে বসে থাকে না সে.বীমা কোম্পানীর চাকুরী নেয় . শেয়ার বাজারে যায়। মার খায় .বোন্ ভগ্নী পতির টাকা নিয়ে নামে শেয়ার ব্যাবসায় ধরা খেয়ে জীবন হারাবার পথে, পাশে দাড়াতে পারে না গৃহ কর্তা।বরাবর ই হাত খালি ,নিজের পেনশন আর ছেলেদের টাকা এ দিক ওদিক করে যা ছিলো তা তো আগেই দিয়েছেন . প্রবাসী দুই ভাই সহযোগিতা করে ভগ্নিপতির টাকা শোধ করে বাবার কাছ থেকে নেয়া টাকা নিজের জমানো সব শেষ করে ঐতিহাসিক দরবেশের শেয়ার বাজারে।লস করে উঠে আসে শেয়ার বাজার থেকে।মেঝ ভাইটি দারুন এক মনের অধিকারী দান খয়রাত বড়ই করেন। দিয়ে আবার যথেষ্ট জ্ঞান দেন ফ্রি তে সাথে ঝাড়ি।
কেটে যায় দিন সংসারের খুটি নাটি পাওয়া না পাওয়া মূল্যায়ন অব মূল্যায়ন এই সবের মাঝে চলে এই পরিবারের প্রত্যেকের ভালবাসার প্রহসন।লোকদেখানো প্রেম প্রীতি দয়া ভক্তি আদর চলে. সমাজের ভয়ে ,সম্পর্ক ছিন্ন হবার ভয়ে. বাইরে কাউকে বুজতে দেয় না কেউ ,বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই সংসারে মানসিক অশান্তি বিরাজ করছে।আর্থিক নয়, শুধু ভালবাসা পাওয়া নাপাওয়ার এক অলিখিত দ্বিধা দন্ধে কাটে সবার দিন কাল. যেমন যার আয় ভালো তার সুনাম,যার আয় বেশি সবাইকে দিতে পারে বেশী তার সুনাম ,কেমন যেন অগোছালো ভাব চলে আসে উন্নয়নশীল এই পরিবারে।বড় ছেলের ঘরে আসে আরেক মেয়ে আর মেঝ ছেলের ঘরে ও আসে একটি মেয়ে।মেঝ বউ চলে তার মনের মতন যা শশুর শাশুড়ির অপছন্দ। ঘুম থকে উঠেন বুড়োর নাস্তার সময় পার হবার পর আবার শোতে যান সন্ধ্যার সাথে সাথে।শুধু সহযোগিতা মূলক কাজ করেন। বাকি অন্য দিকে মন নেই তার, দেখা গেছে বাড়ি ভরতি মেহমান কিংবা কাজ চলছে গৃহ করতি আর বড় বউ হিম সিম খাচ্ছেন সামাল দিতে মেঝ বউ চলে গেলেন বাপের বাড়ি। উনার মায়ের আবার বারো মেসে বেরাম.মেয়ে কাছে থাকলেই পান আরাম. এই সবের মাঝেই চলে দিন রাত্রি।কোন এক সময় মেঝ ছেলের গুন কীর্তন থাকতো গৃহ কর্তা আর গৃহ কর্তির মুখে মুখে। আজ কাল নাম শুনলে চোখে আসে অশ্রু ,মনে জাগে ক্ষোভ। চেয়ে থাকে নীল্ আকাশের দিকে।
বড় ভাই দেশে ছুটিতে, প্রবাসীরা দেশীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারে না। অকস্মাত বা পূর্বে থকে যদি কোন অনুষ্ঠান না রাখা হয় প্রবাসীর জন্যে ,উত্ফুল্ল ছোট ভাই সাথে আরো দুই প্রবাসী চাচাত ভাই। বিয়ে করবে ছোট জন। অনেক পাত্রী দেখার পর বিয়ে হলো। সব চেয়ে ছোট ছেলের বিয়ে, যে ছেলে ছোট হয়ে ছিলো পরিবারের কর্তা ,শিক্ষিত মার্জিত সুনামের অধিকারী ছেলে। যাকে নিয়ে স্বপন দেখত বড় দুই ভাই। যে ছোট ছেলে দীর্ঘ কাল স্বপন দেখেছে বাবা মায়ের সেবার। ঘরের বউদের রেখেছে পর্দায়। শুনিয়েছে ধর্মের বাণী।শিখিয়েছে পিতা মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব আর কর্তব্য।তার বিয়ে হয়ে গেলো। যে ভাবেই হলো।
নতুন বউ, ছোট ভাই, বোনের বাসায় ,আসছে মেঝভাই। বরণ করবে প্রবাসীকে, প্রবাসী দেখবে নতুন বউ। আসলো দেখল, মন ভরলনা ,মেঝ ভাইয়ের পছন্দ হলো না, কিন্তু কেন ,কারণ মেঝ বউ সত্য মিথ্যা কল্পনিয় অকল্পনীয় রটনায় কান ভরেছে মেঝ ভাইয়ের। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল সকলের স্বপ্ন। ছোট ভাই অসুস্থ বউ নিয়ে থাকেন শহরে। মেঝ ভাই বউ নিয়ে উড়ছেন আকাশে। পিতা মাতা তার এখন সবচেয়ে বড় শত্রু।বাবা মায়ের অবিচারের (ছোট বুকে অল্প দিনে আপন করে নেয়া ,ন্যায় অন্যকে প্রশ্রয় দেয়া ,ছোট ছেলের ভবিষ্যতের জন্য একটু বেশি বিচলিত হওয়া ই বড় অন্যায় ) বিরুদ্ধে মসজিদে দিয়েছেন কোরান শরিফ, মানত করেছেন। মেঝ ছেলে এখন বড় পীর ,ভবিষ্যত বাণী করছেন। আর তরুণ বয়স থকে অধ্যবধি কার জন্য কি করেছেন ফিরিস্তি, ডাটা বেজ নিয়ে এখানে সেখানে পরিবেশন করছেন রস মেখে। ভাব খানা এমন তিনি ই সব করেছেন এই সংসারে আর সবাই শুধু তারই দয়া দক্ষিণায় বেছে আছে কিন্তু তার এই সব ব্যাবহার ঘরে বাইরে ধিকৃত হচ্ছে প্রতিনিয়ত ,সে ভাবছে সবাই তার শত্রু ,চোখে তার টিনের চশমা । সভা সেমিনারে ভাই বেরাদারের সাথে কোন কোন বিষয়ে এক মত পোষণ করলেও অন্দর মহলের তার ব্যক্তি গত গৃহ মন্ত্রীর কলকাঠি নাড়ানোতে ভুলে যান সব। বুঝাতে চাইছেন তিনি একা একজন সত্য বাদী বাকি সবাই মিথ্যুক। রাস্তা ঘাটে ,দাড়িয়ে করছেন বাবা মায়ের দুর্নাম।
বড় ছেলে চেষ্টা করেছেন ঝামেলা মিটিয়ে পুরো পরিবারটিকে এক সাথে রাখতে, সম্ভম হয় নি। মেঝ জন ছোট জনকে ভাবছেন শত্রু।ছোট জনের জীবনকে করেছেন মেঝ জন বিভীষিকাময়।বার বার আঘাত করেছেন দুর্বল জায়গায়।মেঝ জন জীবনের সঞ্চিত অর্থ সবই ব্যয় বা লগ্নি করেছেন যৌথ ভাবে নানা কাজে কর্মে।মেঝ ভাইয়ের মস্তিস্কে ঢুকেছে বিষ ,নষ্ঠ হয়েছে বিবেক,ভ্রষ্ট হয়েছে নীতি। ইন্দনেই নিন্দিত তার জীবন এখন। দশ মাস দশ দিন পেটে ধরা মায়ের গিবত চলছে, আজ পথে ঘটে। যার আঙ্গুল ধরে শুরু হয়েছিলো প্রথম পথ চলা সে পিতা ,গৃহ কর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পথে ঘটে। নিজের সংসারের দুর্নাম রটিয়ে পেতে চাইছে আত্ব সুখ.মেঝ ভাইয়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে সবাই।তার মতে ছোট বউ দোষী ,দেয়ালে মিষ্টি লাগিয়েছেন তিনি ,তা থেকে এসেছে পিপড়া ,পিপড়া দেখে ইদুর ,ইদুর দেখে বিড়াল ,বিরল থেকে সংসারে লঙ্কা কান্ড। ক্ষমা পেয়ে যায় দোষীরা ,সে নিরপরাধ ,অনি দিকে তার ভুল অন্যায় সবাই দেখে পাড়া প্রতিবেশী দেখে শুধু সে নিজে দেখে না । সে ভাবে নব বধুর ভুলের মাসুল গুনতে হইছে তাকে।
অনেক সময় পিতা মাতার সন্মানের জন্য বা ভাই বেরাদারের স্নেহ মমতার জন্য সংসারের বন্ধন ঠিক রাখার জন্য সত্যকে গোপন করতে হয়,মিথ্যাকে মেনে নিতে হয়। কোথাও একটা সমস্যা তো আছে। অনেকে বুঝতে পারছে।অনেকে না বুঝার ভান করছে।কেউ ভুগছে আত্ব সন্মান হানিতে। আসলে শুধু মেনে নেওয়ার ব্যাপার। মা বাবাকে তাদের উচু স্থানে রাখলে সংসারে কোন বড় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয় না। মা বাবা ও যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিধান্ত নিতে পারেন অনেক দুর্ঘটনা থেকে বাচতে পারে একটি পরিবার।তবে সচেতন ভাবে পিতা মাতার উচিত বিয়ের পর দিন থেকে সন্তানকে আলাদা করে সংসার গড়ে দেয়া। আমাদের অতি ভালবাসার আদিখ্যেতায় অনেক মায়েরা কষ্ট পেয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন .পিতা হয়ে যায় স্তব্দ নির্বাক।অকালে প্রাণ দেয় গৃহ বধু। আর সন্তানরা বেঁচে থাকে তীব্র জ্বালা বুকে নিয়ে। মা না স্ত্রী ,পিতা না ভাই ভোগে দ্বিধা দন্ধে হয়ে যায় বিকার গ্রস্ত।
কত স্বপ্নের জল বুনেছে বড় ছোট মিলে মেঝো কে নিয়ে গড়বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ,তৈরী করবে অট্টালিকা। খুলে যাবে এগিয়ে যাবার বন্ধ দুয়ার। শুরু হয়েছিল ঠিকই, হলো না শেষ। কারণ এসেছে ভিন্ন ভিন্ন গ্রহের পরী। সোনার কাঠি রুপোর কাঠি আজ পরী রাজ্যের রানী মা দের হাতে। ভালবাসার ফুলবাগানে প্রেমিক পুরুষরা খেলার পুতুল। পরীরা যে ভাবে নাচায় সে ভাবেই নাচে পরী প্রেমিক। পরীরা তার পুরুষকে নিয়ে থাকতে চায় পরীস্থানে ,হোক তা আফ্রিকার দুর্গন্ধ ময় জঙ্গল।মায়ার জালে বাধা পড়েছে ,ভুলে গেছে অতীত ,কষ্টের অতীত ,দুঃখ বেদনা হাসি কান্নার অতীত। সামান্য অর্থ আজ কাউকে করেছে উম্মাদ । অহংকার দাম্ভিকতা ভর করেছে রক্ত মাংসল দেহে। এই দেহে যে রক্ত প্রবাহিত সে রক্তের যোগানে যারা দিয়েছে শ্রম ঘাম, তার বুড়ো বয়সে অবহেলিত।
এই পরিবারে,বড় জন আজও পরিবার পরিবার করে তসবিহ গুনছেন। বড় বউ আছেন সত্তর আশির দশকের সংগ্রামী পরিবারের দুইজনের সাথে, ঠিকই যারা নামে গৃহ কর্তা.-গৃহ কতৃ.।গৃহ কর্তা করেছেন হজ্ব আবারও করছেন ওমরাহ শান্তি কামনা করছেন পরিবারের।মেঝ ছেলেকে পরিবার থকে গৃহ কর্তা দিয়েছেন আলটিমেটাম ঘর ছাড়ার।ছেলে মা বাবাকে করছে অপমান অপদস্ত।
আর ছেলে মা বাবার কাছে থেকে ডাকছে কাছে ,বসছে না পাশে কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে করছে ধর্মীয় কাজ ,যেন এক লেবাস ধারী কুলাঙ্গার শয়তান। কোথায় কোন সাহাবীর লাশ হাজার বছর পরেও অক্ষত সে সব ছবি আপ লোড হচ্ছে বাহ কি ধার্মিক সন্তান।সংসারে যার ভুলেই হোক ,যার মা বাবা আছেন কষ্টে ,হতে পারে এ টা তাদের পরিচালনার ভুল,পক্ষ পাত দুষ্ট নীতির পরিনাম ,তাই বলে বাবা মায়ের বিকল্প পৃথিবীতে আর কিছুই তো নেই। হতে পারে ভাই জীবন সঙ্গিনী র পছন্দে ভুল করেছে, তাই বলে তার জীবন নিয়ে ছিনি মিনি খেলবে আরেক ভাই,করবে আঘাত ,এক ভাই আড়াল করে যাবে বৌয়ের অপরাধ , এ কেমন ভালবাসা,এ কেমন সন্মান বোধ । এ কেঅমন রক্তের সম্পর্ক। এ কেমনই বা বিচার অন্ধের মত, টিপ্পনী মারা কথা বলে ভাই, ভাইকে করবে অপমান,আত্বিয় স্বজনদের সামনে ।
তাই এক সাথে থাকার স্বপ্ন ভুলে সবাই যে যার পথ দেখা শ্রেয় । জীবনের বাকি দিন গুলি নিজেদের মত গড়ে নেয়া হবে উত্তম । আর ওই বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে ছেড়ে দাও তাদের ভাগ্যের উপর, করা উচিত নয় টানা হেচড়া ,পূর্ব পুরষের মতো। এই সমাজেই শত বর্ষের বৃদ্ধ বৃদ্ধা হয়ে যারা থাকে সন্তানদের আত্বীয় স্বজনের মুখ পেক্ষী। মৃত্যুর প্রতিক্ষায় পথ চেয়ে অপেক্ষায় থাকে যম দুতের। যাদের সন্তান পৌত্র পুত্রীরা দম্ভের চলে সাথে।বৃদ্ধ দাদা দাদী , পিতা মাতাকে কষ্ট দিয়ে নামাজ পড়ে কপালে দাগ ফেলে দেয় ভন্ডের দল ,শকুনের মত চেয়ে থাকে সহায় সম্পত্তির দিকে ,যে টুকু করুনা ভিতে মাটির আর পড়শী দের লজ্জায়।ঈদের সকালে ফুরসত হয়না সন্তানের ,তাদের বাবা মায়ের কদম বুসির করার । বিয়ে বিনোদনে লোক দেখানো হাসি তামসার রঙিন ভালোবাসার রঙিন চাদর দিয়ে বৃদ্ধ বৃদ্ধার কষ্ট ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হয়। বর কনের পাশে তোলা হয় রঙিন ছবি ,পরিবেশিত হয় সামাজিক মাধ্যমে। তৈরী হয় সৃতিময় ভিডিও। করা করে এ সব যারা দুর্দিনে থাকে না পাশে। সমাজের চোখে উচ্চ শিক্ষিতদের কাছে মা বাবারা হয় সবচেয়ে অবহেলিত। ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাসে শিখাবে মা বাবার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য আর সে শিক্ষকের স্ত্রী করবে অত্যাচার বৃদ্ধ মা বাবার উপর ,শিক্ষক মশাই চোখ বুজে গুনবেন তসবীহ ,লক্ষ টাকা ব্যয়ে করবেন ওমরাহ কিংবা বড় হজ্ব। এ যে আরেক ভন্ডামী। পারিবারিক ভন্ডামী। তাই আসুন এই সব ভন্ডামী ছেড়ে মা বাবাকে অন্ধের মতো দোষ ত্রুটি না খুঁজে সেবা করি, পাশে থাকি। নয়তো তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির আশা ছেড়ে চলে যাই যোজন যোজন দূর.আজ কাল বাবা মা ও অনেক সচেতন যতক্ষণ তারা তাদের মনের মত করে সন্তানদের পাশে না পাচ্ছেন ততক্ষণ টিপ সই দিচ্ছেন না ভালবাসার সাদা কাগজ কিংবা সম্পত্তির দলিলে।যাদের সহায় সম্পত্তি নেই ,নেই পেনশনের টাকা তারা বড় ই অসহায়। তাদের কপালে জোটে না বৃদ্ধা আশ্রমের ঠিকানা।
ইদানিং আমার জানা শোনা ছেলেরা ফেস বুকে বাবা মায়ের জন্য সেবা মূলক ইসলামী ট্যাগ দিচ্ছেন।মায়ের প্রসব বেদনায় কত ইউনিট যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় তার আপলোড দিচ্ছেন।মায়ের পাশে বসে দু দন্ড কথা বলার সময় নেই তাদের।মা বাবার প্রয়োজন থাকলে তাদের কাছে যেতে হবে বলে ঘোষণা দিচ্ছেন,আর সে ব্যক্তি তারা নেমেছেন ধর্ম প্রচারে।তাই বলতে ইচ্ছে করে সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ.কি বিচিত্র এ দেশের মায়া মমতা। কি বিচিত্র এদেশের বন্ধন। সব কিছুতেই ভন্ডামী। বিদেশেই ভালো সে দেশে মায়া মমতা নেই ভন্ডামি নেই পরিবার নিয়ে,আছে বাস্তবতা ।যদিও আমার ধর্ম আমাকে সায় দেয় না মমতাহীন এই বন্ধন কে.তবু বলবো। তারাই ভালো আছে,তাদের নেই পারিবারিক প্রহসন।তাদের দেশে ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে নিজের মত করে ,সপ্তাহে একদিন ফেমিলি টুগেদার করছে।পছন্দ হচ্ছে এক সাথে নয়তো ব্রেক আপ আবার নতুন করে সঙ্গী খুঁজে নিচ্ছে সে সব দেশের ছেলে মেয়েদের মাথা ব্যথা নেই ,বড় হচ্ছে একা একাই।সপ্তাহ অন্তে মিলছে একে অপরের সাথে শিশু কাল ও কাটে তাদের ভাড়াটিয়া মায়েদের কোলে। আমাদের দেশের কৃষ্টি কালচার সবই ভিন্ন।মায়া মমতা আবেগ দিয়ে গড়া তাই এই বন্ধনে কষ্ট অনেক বেশি।
এদেশের মায়েরা ভাসেন চোখের জলে.ছেলেরা বৌয়ের করে ধর্ম প্রচার,সমাজ সেবা , মায়েরা নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছেন নিজের অক্ষমতার। ছেলেদের মানুষের মতো মানুষ করতে পারেনি নি বলে।বলে বেড়ান কেন পেটে ধরেছিলাম। বাবা অতিষ্ট হয়ে দেন অভিশাপ ছার্ খার হয়ে যাবি এক দিন. পিতা খুঁজে ফিরেন ফেলে আসা দিনের সেই ক্ষণ যে কুলক্ষণে দিয়েছেন জন্ম এই সব সন্তানদের। বড় ছেলে নিজেকে ভাবছে অসহায় ,বাবা মায়ের মুখে ফুটাতে পারিনি হাসির ঝিলিক। তাই সে ও হতে চায় না কোন অথুর্ব সন্তানের পিতা ,যে পারবে না দায়িত্ব নিতে অসহায় বৃদ্ধ বাবা মায়ের।
এক সন্তানের জন্য পিতা মাতা কষ্ট পেলে বাকি সন্তানের উপর ও এর দায় ভার বর্তায়।সবাই যদি নিজেরাই নিজেদের ভুল গুলি শুধরে নিতে পারতো অনেক ঝামেলাই কমে যেতো। নিজেরা যতক্ষণ ভাববে সে নিজে সঠিক ততক্ষণ পারিবারিক সমস্যার সমাধান হবে না। সন্তান বড় হলে বিয়ে হলে আলাদা সংসার হবে এ বিষয় বাবা মাকে মেনে নেয়া উচিত।এমনকি সব চেয়ে বড় সন্তানকে সাবার পূর্বে আলাদা করে নিজে হাতে সংসার গুছিয়ে দেয়া উচিত পর্যায় ক্রমে পরবর্তী দের ও সবাই সবাইকে সহযোগিতা করা উচিত, অর্থ দিয়ে ,শ্রম ও মেধা দিয়ে। ভাতের হাড়ি এক থাকলে ও বসবাস ,ব্যবসা বাকি সব আলাদা হওয়া সমীচীন, এতে ভালবাসার বন্ধন থাকে অটুট।জীবন সঙ্গিনী যে যাকে পছন্দ করুক বাকিরা সন্মান জানালে এতে নতুন পুরাতন সবাই একে অপরকে সন্মান করবে।আমাদের দেশে গ্রামে পরিবার গুলিতে বড় বৌদের উপর জ্বালাতন একটু বেশি হয় ,দেবর যা ননদ শশুর শাশুড়ি কেন যেন একটা প্রতিযোগিতায় নামে বৌকে ছোট করে দেখার তার পরিবারকে নিচু দেখানোর বৌকে কন্ট্রোলে রাখার। ছোট বড় সকল কোথায় ধরা হয় দোষ ,ছেলে পক্ষের চলে মান অভিমানের পালা , আর মেয়ের সংসার ঠিক রাখতে বাবা মা ভাই বোনদের চাইতে হয় ক্ষমা করতে হয় কুর্নিশ ,ছেলে ও থাকে পরিবারের সাথে। অলিখিত যৌতুক নিয়ে হয় নানা কৌতুক। বড় বা প্রথম যে বউ আসে সংসারে সে কিন্তু মনের খাতে লিখে রাখে ফেলে আসা দিনের ইতি বৃত্ত। মেঝ বৌয়ের আমলে কিছু কম, ছোট বা তার পরের বুদের পোয়া বারো। শেষ আমলে একে বারে উল্টো রথ. এ যে বৈষম্য এ গুলি সংসারে নানা ঝামেলার সৃষ্টি করে।
অপ্রাসঙ্গিক একটা উদাহরণ "মেয়ে বাজারে গেছে বাবা মা বলবেন ,কি রে দেরী করলি কেন? মেয়ের উত্তর জরুরী কাজ ছিল মা। মা বাবা চুপ ,এবার ছেলের বউয়ের পালা। কি ব্যাপার এত দেরী হলো ক্যানো ,জরুরী কাজ ছিল মা। মায়ের উত্তর জরুরী না ছাই ,এতক্ষণ ফিল্ডিং মেরে এলে আমার ছেলের জীবন টাই বরবাদ। তার সাথে অর্থ অপচয় সহ নানা বিষয় উঠে আসতে পারে।" তা হলে সংসারে এক সাথে থাকার কোন মানে হয়, এ সব লোক দেখানো নয় কি ? এ গুলি কি ভন্ডামির আওয়তায় পড়ে না? এখানে যদি পরিবারের আয় উন্নতি যার যার ভাগ করা থাকে অনেক উটকো ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় । পরিবারে পারিবারিক ভাবে যৌথ ব্যবসা হুট করে নেওয়া সিধান্ত ভবিষ্যতের জন্য কাল হতে পারে।অতিশয় উদরতা না দেখিয়ে সময় নিয়ে কাজ করা উচিত অবশ্যই সবার বিয়ের পূর্বে অথবা বিয়ের পনের বিশ বছর পর.তাইলে বৌয়েদের পরামর্শ আঘাত হানবে না যৌথ কাজে।এতে তাদের ও দোষ নেই ,তারা চাইবে একটি শান্ত ছোট সুখের নীড়। বাবা মা বছরে কয়েক দিন তাদের কাছে বেড়িয়ে আসবে এতেই খুশি থাকেন বৌয়েরা. কোন শশুর শাশুড়ির ,যে বৌদের আচার ব্যবহার ভাল লাগেনা ,তাদের মেয়ে যখন অন্যের সংসারে থাকেন তখন দোষ থাকে মেয়ের শশুর শাশুড়ির।,আর নিজের বাড়িতে শুধু ছেলের বৌদের,এখানে ও রয়েছে বৈষম্য।
ভন্ডামী দিয়ে শুরু করেছিলাম,শিরোনাম ও দিয়েছিলাম পারিবারিক ভন্ডামী ,দোয়া বদ দোয়া ,অর্থ আয়ের ভন্ডামী। যে গল্প টি লিখলাম তা হলো ভালবাসার ভন্ডামীর গল্প যার শেষ দিকে ধর্মীয় প্রচারনায় ব্যস্ত সন্তানের মায়ের চোখে জল। পিতার মনে কষ্ট। যে সব সন্তানরা পিতা মাতাকে সামান্য সুখ দিতে পারে না, সে সব সন্তানের সাতান্ন ইউনিট প্রসব বেদনার যন্ত্রনার কষ্ট, জন সাধারণের মাঝে সচেনতা বৃদ্ধি করার আদৌ কোন অধিকার আছে কিনা তাই প্রশ্ন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.