নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘামের কালিতে হৃদয়ের কোরা কাগজে লিখি শ্রম সাহিত্য

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু

আমি একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ,সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে ২০০৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে এস-পাশ নিয়ে কাজ করছি। এর পূর্বে ১৯৯৭ থেকে ২০০৮ সাল ছিলাম সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে। লেখালেখি শখ,শখের সংবাদ প্রতিনিধিও বটে.ফ্রিল্যান্স। ছোটবেলা থকে মঞ্চে নাটক করতাম।নাটক লিখতাম।নব্বইয়ের দশকে পথ নাটক আর বেইলি রোড ,গাইড হাউস সহ নানা মঞ্চে অভিনয় করেছি। পরিচালনাও করেছি।সৌদি আরবেও একাধিক নাটক ও শতাধিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি। তবে সাহিত্য জগতে পরিচিতি বিকাশ সিঙ্গাপুরে বাংলার কন্ঠ পত্রিকার মাধ্যমে।আন্তর্জাতিক রাইটার্স ফেস্টিভাল ,শ্রম ও প্রেমের কবিতা সহ বহুজাতিক সাহিত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি বাংলার কন্ঠের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে হয়েছে.২০০০ সালে সৌদিতে একটি বই করেছিলাম কম্পিউটার প্রিন্টে। কবিতার বই ,নাম ছিল মরুমায়া।তা সংরক্ষণে নেই.২০১৫ সালে কবি গ্রন্থ \"প্রবাস থেকে বলছি,২০১৬ সালে উপন্যাস \"বন্ধু তুমি সায়াহ্নে,দুটি কাব্য গ্রন্থ একশো আশি ডিগ্রী ও কষ্ট বিলাস প্রকাশিত হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে বাংলার কন্ঠের বিভাগীয় সম্পাদক,নিয়মিত ফিচার ,গল্প ,কবিতা ,উপন্যাস লিখছি, কবিতা হাজার ছাড়িয়েছে বহু পূর্বে।আর এখন অনলাইনে হরমেশাই লিখি,ফেসবুকতো আছেই। নিয়মিত মঞ্চ নাটক লিখছি,পরিচালনা,অভিনয় চলছে অবসরে প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে বিদেশীদের কাচ্ছে তুলে ধরি লালা সবুজের রক্তাক্ত ইতিহাস,রক্ত স্নাত একুশের ইতিহাস,বাংলার অহংকার ঐতিহ্য় রক্ষায় দৃড় প্রতিজ্ঞ নিজেই নিজের কাছে। বাংলার কন্ঠ সাহিত্য পরিষদ ,প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি (প্রসাস) এর সাধারণ সম্পাদক ,সিঙ্গাপুরে।এছাড়া যৌতুক প্রতিরোধ আন্দোলন,বাংলাদেশ,বাংলাদেশ কবি পরিষদ,অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ,অনলাইন গ্রুপ এসোসিয়েশন সহ নানা সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি. সাহিত্যের পড়াশুনা নেই,তবু ও মনে যা আসে তাই বিভিন্ন চকে ফেলে লিখি।কখন কবিতা,গল্প,উপন্যাস হয়ে যায়,বেশির ভাগ সমসাময়িক লিখি। দুই কন্যা আর স্ত্রী আছে সেই সাথে একান্ন বর্তী পরিবার। প্রবাসীর আর তেমন কিছু নেই। শ্রমিক,শ্রম সাহিত্য,প্রবাসে শ্রম প্রতিভা নিয়ে কাজের অবসরে সময় কাটাই। ধন্যবাদ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু ১৪-৫-২০১৬ ইং

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসী বাবর আলীর ফ্রি প্যাঁচাল স্বার্থপর হউন,নিজে বাঁচুন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

প্রবাসী বাবর আলীর ফ্রি প্যাঁচাল
স্বার্থপর হউন,নিজে বাঁচুন।


জাহাঙ্গীর বাবু

অর্থের কাছে পরাজিত প্রেম,ভালোবাসা,বিশ্বাস,বন্ধন,দায়িত্ব,কর্তব্য,ধুর্তদের দখলে ঘর,পরিবার,দেশ,বিশ্ব।আপোষের নাম সংসার।মিথ্যার কাছে হার মানে সত্য।বাস্তবতার কাছে পরাজিত বিবেক।প্রবাসীরা পরাজিত পরিবার,দেশে পৃথিবীর কাছে। ভালো লাগলোনা তাইতো, কথা,কাজ লেখার কোন মিল নেই।শিরোনাম কিন্তু প্যাচাল।এটাই সুবিধা যে কোন বিষয় ইন আউট ইজি। বাইশ বছরের কর্ম জীবন,বিশ বছরের প্রবাস। কত কফিন,দেখেছি,কত মৃত্যু দেখেছি,কতো লাশ পাঠিয়েছি,কত মাংসের খন্ডের গন্ধ, কতো রক্ত এই হাতে লেগেছে কর্মস্থলে মরে যাওয়া লাশের।দুই মিনিট আগেও যে কথা বলেছে তাকে তুলেছি কাঁধে। কতো পিতার আহাজারির,কতো মায়ের বিলাপ,কতো নব বধুর হাতের মেহিদী শুকাবার আগেই স্বামীর লাশের উপর করেছে আর্তনাদ,কত জনের বউ চলেগেছে স্বর্ণ গয়না অর্থ সন্তান ফেলে, প্রবাস জীবন শেষে ব্যাংকের একাউন্ট শুন্য পেয়েছে।কত জনের পিতা হিসেব রেখেছে কত টাকায় পাঠিয়েছিলো বিদেশে,হিসেব নেই কত দিয়েছিলো সংসারে,কত জনকে দেখিছি প্রবাসের অলিগলিতে কাজের তালাসে ঘুরতে, কত জনকে দেখিছি বাইজীর পায়ে কষ্টার্জিত অর্থ লুটাতে।কত জনকে দেখেছি জেলখানার সেলে। কত জন প্রাণ হারয়েছি অবৈধ পথে বিদেশে আসতে।দেশের সরকার টেবিল চাপড়ায় রেমিটেন্সের জোয়ারে।হাই কমিশন পাঁচতারা হোটেলের নিমন্ত্রণ রক্ষায় ব্যাস্ত থাকলেও রেমিটেন্সের ক্রেডিট সরকারের। আজ যখন লিখছি শুধু পাসপোর্ট নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে।দেড় মাসের বেতন রেখেই।যে মাসে সংসারের খরচ যাবে,যার হাতে যাবে তারা সে মাসে খুশি।অন্যথায় বিগ বাজেটের খরচের যুগে কাঠগড়ায় প্রবাসী কিংবা আপনি আমার সেই চরিত্রের কোন এক বাবর আলী। এ জীবনে দেখা আর প্রমানিত স্বার্থপর কিংবা নিজের কথা ভাবা লোক গুলিই ঘরে বাইরে প্রতিষ্ঠিত। রাজনিতিতেও তেমনি, হাইব্রীড,কাউয়া কিংবা অর্থ গরমে নির্বাচনের আগে নমিনেশন নেয়া লোকটাই দলের নেতা।ত্যাগীরা মুল্যহীন।তাই হয়না আন্দোলন,থাকা যায়না ক্ষমতায়।সংসারে আপনি জীবনের কোন একবেলায় ঢুকেন বান্ডেল নিয়ে জন্ম দাতা পিতা মাতা ভাই বোন অতীত ভুলে কোলে তুলে নেবে। মুখপাতের জমিন আপনার।সারা জীবনে যে জমিন চাষ করলো ভালোবাসার তার গোলায় উঠবেনা ফসল। কাউয়া হাইব্রীডের পোয়া বারো।অসতী, মিথ্যুক, বেহিসাবী, স্বার্থপর সংসারের এটম বোম,বিষ ফোঁড়া একান্নবর্তী পরিবারের ভালোবাসা বোঝেনা, ত্যাগেই সুখ, ভোগে নয় বোঝেনা, এমন জীবন সঙ্গীনী বা সঙ্গীর জন্য নষ্ট হয়ে যান আপনিও, মেনে নিন সব।আপনাকে দেখা যাবে সুখী মানুষ রুপে।স্বার্থপর হউন,নিজে বাঁচুন।


সময়টা ২০০৭ সাল।আবহা,সৌদি আরবে ছিলো কর্মস্থল। সাইফুল ভাই ছিলেন নিউট্রিশন স্পেশালিষ্ট, আশরাফুল আলম ভাই গার্ডেন স্পেশালিষ্ট,আমি বিল্ডিং মেইন্টেনেন্স স্পেশালিষ্ট। তিন জনের কাজ ভিন্ন।তারা দুইজন হাইয়ার কোয়ালিফাইড দেন মি।সাইফুল ভাই এখন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত, কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ম্যানেজার ,শতভাগ বাম্পন্থী। আশারাফ ভাই গার্ডেন স্পেশালিষ্ট ,ক্যানাডায় সেটেল সম্ভবত মধ্যপন্থী। আমি আছি সে দিনের মতোই।
২০০৪ সালের দিকের যখন আমি সৌদি এরাবিয়ান অয়েল কোম্পানিতে অবকিকে কর্মরত সে সময়ের বন্ধু রশিদ ভাই দুবাইতে এখন।কোয়ালিফিকেশন সেইম হলেও তিনি বয়সে বড় ছিলেন।নামাজী মানুষ,ডান পন্থী মনে হয়।এই তিন জন মানুষের সাথে মতের অমিল থাকলেও আমাকে উনারা ভালোবাসতেন।সাইফুল ভাই অনেক বার কথাও বন্ধ করে দিতেন।উনাদের আমি শ্রদ্ধা করতাম। শিক্ষা আর বয়সের কারণে।তাদের চেয়ে আমার অবস্থান মন্দ ছিলোনা কর্মস্থলে। সেই দিন গুলিতে তারা আমায় জীবন সম্পর্কে বলতেন, ভবিষ্যৎ বানী করতেন তাই হচ্ছে এখন। আমি হাসতাম ,আর বলতাম আমি না রয়ে গেলাম সেকেলে পুরানো।আমার কথায় চলনে আচরণে মাসে নিজের কাছে উপার্জিত যাই থাকতো সব পাঠিয়ে দিতাম।জীবনের শেষ দিন অবধি যেন পারি থাকতে পারি একান্নবর্তী .তারা তখন হাসতো ,বলতো বুঝবে একদিন বাস্তবতা কতো কঠিন।আমাদের পূর্ব পুরুষেরা যা পেরেছে তা আমাদের পারতেই হবে এমন কথা নেই.একদিন সময় আসবে সবাই অবিশ্বাস করবে।যে মুহূর্র্তে দুঃসময় আসবে তোমায় বলবে অভিনেতা ,আখের গুছিয়েছ নয়তো গুছাবার জন্য নিয়েছো কান পড়া,বিক্রি করেছো বিবেক। যা করবে ব্যালেন্স করে করো। ভালোবাসবে উজাড় করে নয় কিছুটা হাতে রেখো। তাহলে ফুরাবেনা কোন দিন.

এখনো আরেক আশরাফ ভাই এই সিংগাপুরে, খোঁচা দিয়ে কথা বলেন বার বার জানতে চান ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,হাতে নেই অর্থ ,আঙ্গুল তোলেন ,বলেন আপনি অপরিপকল্পিত ,মেজবাহ ভাই কিছু পরামর্শ দেন,যদিও ছেড়েছেন আমায় তাও অপরিকল্পিত বলে। আরেক পোড় খাওয়া প্রতারিত এক প্রবাসী,লিয়াকত সাহস দেন তবে তাকে চেনা দুস্কর ।এরাও আমায় ভালোবাসেন।মতের পার্থক্য ও আছে বিস্তর। বিশ্বাস করেন আমায় ,আমার বিশ্বাস।

ইনাদের সবার চেয়ে অনেক পেছনে আমি আর্থিক ভাবে। আমার চারপাশে যে জাল ছিড়ে বের হওয়া বেশ দু:স্বাধ্য। বেশী না দুহাজার বারো সালে আমার কাছের একজন চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলো কোন এক ব্যাপারে তার আশি শতাংশ সত্য হয়েছে, মাত্র পাঁচ বছরে। এ বারও চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আগামী বছর পাঁচেক এর মধ্যেই নাকি আবারো হেরে যাবো। সব ন্যায় ভাবনার হবে সমাধি।যদিও তিনি মুরগী আর মেহমানের ভাবনায় বিশিষ্ট মেজবান। আজ আমার এক সহকর্মী দ্বীনদার একজন মানুষ তিনিও ভবিষ্যত বানী করলেন আমায় নিয়ে।আর একজন বন্ধু কাজী সাহেব তো দুই যুগ ধরে জ্ঞান দিচ্ছেন।

পাঞ্জেগানা নই বলে আফসোস করেন পিতা মাতা।মাদ্রাসায় কেন পড়ালেন না এই নিয়ে আক্ষেপ। তাদের ধারণা মাদ্রাসায় বা আরবী লাইনে পড়লে অন্তত পাঁচ বেলা নামাজ পড়তো।চেষ্টা চলে, হয়ে উঠছে না।মাঝে মাঝে হয় আসলেই লাইনে পড়লে মানুষ হতাম ,এটলিষ্ট বাবা মায়ের নজরে।বউয়ের বিশ্বাস নামজী নই বলে, কোন উন্নতি নেই,মনের বাসনা পুরণ হচ্ছেনা।সৃষ্টি কর্তা পুত্র সন্তানের মুখ দেখাচ্ছেন না। বাবা মা ও তো প্রায় বলেন।জীবনের বড় ভুল তাদের আমায় সেই দিকে দেননি।ইসলামে নাকি আছে যতোই মানব সেবা মানব ধর্ম মনুষত্ব্যের কথা বলো তোমাকে আলাদা করতে হলে পাঞ্জেগানা নামাজ আসল পথ ,সেই সাথে ইসলামের অন্যান্য যাদব নিয়ম। যদি বলি সব ফরেজগার কি সুখী,তখন জবাব,ধর্মে, যদি বলা যাবেনা, সৃষ্টি কর্তা ঈমানের পরীক্ষা করেন,মানবকুলকে নানা পরীক্ষায়। অনেক সময় মনে হয় উনাদের কথা মানলে হয়ত জিবনের বাঁক হতো অন্যরকম।

আমি বা আমার কাছের মানুষের কাছে রাখ ঢাক হীন খোলা খাতা। আবার অনেক কাছের দুরের মানুষের জীবনে আমার অবাধ বিচরণ। যাই লেখিনা কেন, জীনে ভর করার মতো সব চরিত্র ভর করে আমার উপর। তাদের জীবনের কথা গুলি বের হয় আমার জীবনের নানান চরিত্রে।সমাজ,দেশ,পৃথিবী,শাষক,শোষিত,সত্য,মিথ্যা,নিয়ম,অনিয়ম, যোগ্য কাজ নায্য মুজুরী,রাজনিতী,ধর্ম নানা দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমার ককটেল টাইপ এক চরিত্র।সোজা কথা হয়ে যায় বাঁকা, উলটো দিক থেকে দেখি প্রায়শই। কখনো সোজা সাপটা,কখনো প্যাচিয়ে প্যাঁচাল করা অভ্যাস হয়ে গেছে। নিজে একমত না হলেও বাবর আলী আজ জ্ঞান বিতরণ করবে। যা সম্পুর্ণ ফ্রি। ফ্রি প্যাঁচাল।

নতুন প্রজন্মকে বলছি, আবেগ নয়, বিবেক নয়,বুদ্ধি দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করো। নিজের কথা ভাবো।স্বার্থপর হও। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করো,প্রতিষ্ঠিত হয়ে পায়ের নীচের মাটি শক্ত করো।তারপর আবেগ,বিবেক,মানবতা, মহানুভবতা পয়দা করো,দান, অনুদান,সেবা,সমাজ সেবা,মহাসেবা, করো।বেছে বেছে নিজের স্বার্থের হাদিস,দলিল, ব্যাখা,উদাহরণ কপচাও, মুখস্থ রাখো,ঝেড়ে দাও। হয়তো মানুষ ভন্ড বলবে।বলুক।সময় থাকবে হাতের মুঠোয়।পৈত্রিক উত্তরাধিকার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। যদি পারো ঊইল করে সংসার ত্যাগ করো।যা তোমার পিতা মাতার ,ভাববেনা কোন দিন তা তোমার ,যদি উচ্ছিষ্ট কিছু পাও ,রেখে দিও উচ্ছিষ্টের খাতায় । পরনির্ভরশীলতা মানুষকে পঙ্গু করে রাখে। শতভাগ বিশ্বাস নিজেকেও করোনা।স্ত্রী সন্তান,বন্ধু কাউকেনা। যখন তুমি প্রতিষ্ঠিত দেখবে আপনজন ভুলে যাবে তোমার স্বার্থপরতার অতীত,বর্তমান নিয়ে হবে মহাখুশি।পরিবার,পরিজন,দেশ নগদে বিশ্বাসী। যাকে যখন দেবে,যখন যার জন্য করবে সীমাবদ্ধ সময় তোমার গুণকীর্তন।

এ সবে ধর্ম তোমায় বাধ সাধবে,মানব ধর্ম!সময় ফুরালে আফসোস করবে।বুদ্ধিতেও কাজ হবে না।আটকে যাবে সংসারের জালে।যৌবন থাক আর যাক বিয়েটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে করো।নিজের থাকার ঘর,একটা কাজ যেন থাকে। আর রক্ত ঋন, জন্ম ঋনের দায় তোমার নয়,যদি ঋন ভাবো বিয়েটা করোনা।সংসার পরের মেয়েকে আপন করেনা,অন্যের পিতাকে কোন মেয়ে আপন করেনা। তেমনি ছেলেরা শ্বশুড় বাড়ীর আপন হয় না।যারা করে তা শুধু অভিনয়,কেউ প্রাণ থেকে মন থেকে আপন করতে চাইলে রক্তের নহর যারা সইতে না পারে,যাদের স্বার্থের আঘাত হানে তারাই প্রত্যায়ন পত্র দেবে পাক্কা অভিনেতার।অভিনেত্রীর। এর কারণ একাল সেকালের পরিস্থিতির ব্যাবধান আর অতুলনীয় তুলনা।

বিয়ে করে বিদেশ যেওনা বউ রেখে।পারলে সাথে নাও।নাইলে দেশে থেকে যাও।বিদেশীরা ছোট বড় যেই হোক,সম্পর্কে যাই হোক, বউয়ের দায়িত্ব কাউকে দিওনা। যদি তুমি উদার তথাকথিত ফ্রি মাইন্ডের না হও। ভাবটা এমন যদি কিছু বাকী তাই নিয়ে তুমি খুশী।তাহলে দায়িত্ব দিয়ে যায় পাড়ার বখাটে ছেলেটাকেও। বিদেশ থেকে কারো জন্য কিচ্ছু নেবেনা কোন দিন,এতে কেউ খুশী হয়না। যারা তোমার বিদেশ গমন চাকুরী নেয়ার সময় ব্যাবসার সময় বিন্দু মাত্র ভরসাও দেয়নি তাদের চাওয়াটা যেন বেশি। তবে ধর্ম পালনের বিকল্প নেই।সৎ অসৎ শতভাগ ধর্মপালন মানব জীবনের প্রিয় সত্য শর্ত । এতে মনের আলাদা শান্তি থাকে ,যদি অন্তরে ভণ্ডামি না থাকে।যার কর্ম তার সাথে।ধর্ম ফল,কর্ম ফলের ও তুলনা করবেনা কোনদিন।কারণ ধর্মে মেনেই জন্ম,মৃত্যু বিয়ে।বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ধর্ম পালন সাইনবোর্ড হলেও পারিবারিক ভাবে এর মুল্য শীর্ষে। যদিও এর মাঝে সত্য,সৎ,সততা নিয়ে ধর্ম পালন করে গুটি কয়েক জন। লোক দেখানোই বেশি। ভালো মানুষ সাজাটা যেমন জরুরী,তেমনি অবয়বে ভালো মানুষী প্রয়োজন স্বীয় স্বার্থে। স্বার্থপর মানুষ জীবনে প্রতিষ্টিত।এখানে কঞ্জুষিতাও অন্তর্ভুক্ত।


শিক্ষা যদি নিতে জীবন থেকে নিন.চারপাশে ঘটে যাওয়া জীবন থেকে নিন.শিক্ষিত হলে উচ্চ শিক্ষিত হোন। নিজের পায়ে দাঁড়ান।থাকার জন্য বাড়ি আয়ের পথ করুন।খুঁড়িয়ে জীবন চলা অনেক কষ্টের।অনুরুধ থাকার ঘর,সামান্য আয়ের পথ না করে কেউ বিয়ে করবেননা।এ কোথা আমার বিয়ের পর থেকে সবাইকে বলছি কেউ শোনেনা।উলটো বাবর আলীকে শুনতে হয় ,২ নিজে বিয়ে করে অন্যকে জ্ঞান দেয়। বাবর আলী পায়ের বৃদ্ধা আঙুলে মাটি খোঁড়ে আর চোখ বন্ধ করে আকাশ দেখে।জীবনের ধারাপাতে যোগ বিয়োগ গুণন ভাগের হিসেবে না মেলা অংক গুলো নেড়ে চেড়ে দেখে স্মৃতির পাতায়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ছোট করে লেখেন তাছাড়া কেউই পড়বেনা।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাবর আলীরা যখন বোঝে ততক্ষনে সেই বুঝ এপ্লাই করার সময় আর থাকে না।

পোড় খাওয়া জীবনের সাতকাহন! সবচে মজার হল নতুন পোড় যে খতে েযাচ্ছে তাকে যতই বুঝা্ও সে মানতে চাইবে না।
এ চক্র নিত্য ;)

+++

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

সেয়ানা পাগল বলেছেন: অনেকদিন পড় ব্লগে একটা ভালো লেখা পড়লাম।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া ,মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

অরন্য সামির বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাইজান। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম লিখাগুলা। ধন্যবাদ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া ,মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.