নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই শহরে অনেক হাজার হাজার ছেলে আছে যারা চুপচাপ থাকে, কথা কম বলে। পৃথিবীতে তারা বোকা, লাজুক, হাঁদারাম নামে পরিচিত। আমাকে এর সাথে তুলনা করলে তেমন একটা ভুল হবে না। নিজের ব্যাপারে বলাটা অনেক কঠিন। তবে নিজেকে মাঝে মাঝে অনিকেত প্রান্তর ভাবি।

জাহিদুল হক শোভন

এই শহরের বোকা ছেলেটি।

জাহিদুল হক শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনু গল্প: অপ্রকাশিত

২৪ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৮

রাত্রি যখন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠালো তখন অনেক রাত। এই রাত্রিতে সব কিছু নিশ্চুপ হয়ে থাকে। মানুষের ভিতরটাও নিশ্চুপ থাকে। সব কিছু যখন নিশ্চুপ হয়ে যায় শহরটাও একটা স্বস্থি নিয়ে ঘুমিয়ে যায়। এই ঘুমে মগ্ন শহরের মধ্যে জেগে আমি রাত্রিকে বললাম "হয়েছেটা কি?" সে আমার দিকে তাকিয়ে বলে "কিছু হয় নাই, হবে। ঝগড়া হবে। ঝগড়া করবো তোমার সাথে। একটু অপেক্ষা করো পানি খেয়ে আসি। তারপর পুরো দমে ঝগড়া করবো।" এইটা বলেই সে পানি খেতে চলে যায়। আমি শুধু চুপ করে রইলাম আর ভাবছিলাম তাকে কি বলা যায়। আজকে শোয়ার সময় হাতের কাছে পানি রাখেনি। সাত মাস অতিক্রম হলো ওর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। এই সাত মাসে ওকে যতটুকু চিনেছি তা হলো একটা কোন কিছু যদি ওর মাথায় চেপে বসে বা চিন্তার কারণ হয়ে বসে সেটা মাথা থেকে না ঝাড়লে ও কেমন যেন অস্বস্থিবোধ করতে থাকে। বিকেলে বাসায় যখন এসে সাথে সাথেই শুয়ে পড়লাম তখন ও কাছে এসে বললো "হঠাৎ শুয়ে পড়লে যে? শরীর খারাপ?" আমি বলেছিলাম " না। কিছুই হয়নি। আজকে আসার সময় হেটে এসেছি। বাস পাইনি। তাই ক্লান্ত লাগছে।" তারপর সে আমাকে একটা লেবুর শরবত করে দেয়। আমি খেয়ে আবার শুয়ে পড়ি। কিন্তু ওর তাকানো দেখে বুঝতে পারছিলাম ও কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছে বা আমাকে নিয়ে চিন্তিত এই যে আমার কিছু একটা হয়েছে। আসলে ওকে বলতে চাই না বিষয়টা। আজকে অফিসের বসের সাথে আমি ঝগড়া করে চাকরি থেকে অব্যহতি পত্র দিয়ে আসছি। গত দু মাস ধরে আমার সাথে অফিসের বেশ কিছু সিনিয়র কর্মকর্তার সাথে ভালো সময় যাচ্ছে না। আর বিষয়টা আমি ভালো ভাবেই বুঝতে পারছিলাম। ওদের কিছু জালিয়াতি আমার নজরে এসেছিল। রাত্রি পানি খেয়ে এসে আমাকে বললো "এই ছেলে কি ব্যাপার হ্যাঁ? অফিস থেকে আসার পর থেকেই দেখছি মুখটা বিষন্ন। রাতের খাবারটাও খাওনি। কি হয়েছে আমাকে বলবে তো। আমার টেনশন হচ্ছে কিন্তু।" আমি কি বলবো বুঝতে পারি না। সিনিয়র কর্মকর্তার মধ্যে ওর ভাইও একজন। একবার ভাবলাম ওকে বলি আমার বিষন্নতার কারণ। কিন্তু আমার মন সায় দেয় না। এই অল্প কিছুতেই ওর কত চিন্তা যদিও ব্যাপারটা জানে না। আর জানলে ওর মনের ভিতরটার কি অবস্থা হবে? আমি নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বললাম "দেখি এদিকে আসো চুল আচরিয়ে দিয়ে চুল শুকবো তোমার। অনেক দিন তোমার চুলে ডুব দেই না।" সে চুপ করে রইলো। আমার এই কথার প্রসঙ্গ বদলানো দেখে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছে আমি কিছু একটা লুকাচ্ছি। আমিও চুপ করে তাকিয়ে থাকলাম। এই বিষয়টা ওর কাছে কতক্ষন লুকিয়ে রাখতে পারবো জানি না। আর বিষয়টা প্রকাশ করলে কি অবস্থা হবে?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শেষের প্রশ্নটা কী পাঠককে করলেন?

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: মোটামোটি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.