নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই শহরে অনেক হাজার হাজার ছেলে আছে যারা চুপচাপ থাকে, কথা কম বলে। পৃথিবীতে তারা বোকা, লাজুক, হাঁদারাম নামে পরিচিত। আমাকে এর সাথে তুলনা করলে তেমন একটা ভুল হবে না। নিজের ব্যাপারে বলাটা অনেক কঠিন। তবে নিজেকে মাঝে মাঝে অনিকেত প্রান্তর ভাবি।

জাহিদুল হক শোভন

এই শহরের বোকা ছেলেটি।

জাহিদুল হক শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: বাসর রাত

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১২


"তোকে আজকেই বিড়াল মারতে হবে বুঝছিস। কি পারবি তো?

কিসের বিড়াল, কোথাকার বিড়াল, কোন ধরনের বিড়াল। আমি বিড়াল মারতে যাব কোন দুঃখে? আমার এমন চুপ থাকা দেখে ও আবার বললো…

"বুকে সাহস রাখ। নার্ভাস হলে চলবে না। তোকে যে করেই হোক আজকে বিড়াল মারতেই হবে।” আমি একটু ঝিম মেরে ভাবলাম আসলে ও কি বলতে চায়। আমার মাথায় যখন কিছু আসলো না তখন আমি একটু ইতস্ততার সহিত বললাম “ইয়ে মানে আজকে তো বাসর রাত। আর এখানে বিড়াল মারার কথা আসবে কেন? আমাকে একটু বুঝাবি?” আমার এমন কথা শুনে এমন একটা লুক দেখলো মনে হলো আমি একটা চিড়িয়া। আজকেই আমাকে দেখেছে। তারপর মাথার চুল চুলকিয়ে আমাকে বললো...

"তুই আসলে একটা গর্ধব। আরে বেটা বাসর রাতেই তো বিড়াল মারতে হয়। এই রাতে যদি না পারো মনে করবা তোমারে দিয়া কিছু হবে না চান্দু।

আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না। কোথায় ও আমায় সাহস দিবে, কি করে বউ এর কাছে যাব। প্রথমে গিয়ে কি বলবো। কিন্তু হারামজাদা আমাকে বিড়ালের কাহিনি বলছে। এই বিড়াল কোন বিড়াল আমি তো কিছুই বুঝতেছি না। আমি মনে মনে ভেবে চিন্তে ওকে বললাম…

"আচ্ছা আদনান বিড়ালকে কিভাবে মারব? আমি বিড়াল পাব কোথায়?” ও আমার কথা শুনে কিছুক্ষন হাসলো। তারপর আমাকে বললো “তুই এত বোকা আমি জানতাম না। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তুই আমার সাথে মজা করছিস। তোরে আমি হারে হারে চিনি। অরিন ভাবি আমার এই বন্ধুরে কিভাবে এত ভালবাসছে আমার ভাবতে অবাক লাগছে। বেটা আমি বিড়াল বলতে ভাবীকে বুঝায়ছি।”

আমি চুপ হয়ে গেলাম। আর একটা হাসি দিলাম। এতক্ষন পর বুঝলাম কোন বিড়ালটা মারতে হবে। আচ্ছা আসলে আমি কি বোকা? আমারো এখন খুব অবাক লাগছে অরিন মেয়েটা এই বোকা ছেলেটাকে পছন্দ করতো কেন? আমরা আর অরিনরা একই বিল্ডিং এ থাকি। একই বিল্ডিং এ থাকলেও তেমন কেউ কারো সাথে কথা বলতাম না। আর বললেও কেমন আছেন, কোথায় যাচ্ছেন? এই টুকুই। তবে প্রায় সময় লক্ষ্য করতাম আমি যখন বাসা থেকে বের হতাম তখন জানলা দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত। বিষয়টা প্রথম প্রথম বিরক্তিকর লাগলেও পরে আমার কাছে অন্য রকম লাগা শুরু করল। আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম এই মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে থাকে কেন? ওকে যতটুকু বুঝলাম তা হলো খুব চাঞ্চল্যকর একটা মেয়ে। সব সময় হাসি খুশি থাকে। আমি আরো উপলব্দি করলাম ওর চোখের পাপড়ি গুলো এক একটা প্রজাপ্রতির পাখনার মত। মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় আমি ছাদে যাই। গিটার বাজাই, একা একা গুন করি। অরিনও ঐ সময় ছাদে আসে। এসে ছাদের এক কোনায় বসে থাকে। তবে কথা বলে না। আমিও নিজ থেকে কিছু জিজ্ঞেস করি না। এমন করেই সিলেবাসের পাতা শেষ হচ্ছিল। তারপর হঠাৎ করে আমাকে একদনি জানালা দিয়ে ডাক দিয়ে বললো "শোভন একটু শুনবেন ?” আমি তখন ভার্সিটিতে যাচ্ছিলাম। আমি একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে সরাসরিই বললাম “কিছু বলবেন?” তারপর ও চুল কানে গুজে বললো

"একটু ওয়েট করেন আমি নিচে আসছি।

আমি দাড়িয়ে ছিলাম আর ভাবতে লাগলাম ব্যাপার কি? অরিন তো এই ভাবে কখনো ডাকে না আমায়। হঠাৎ আজকে এইভাবে ডাক দিল কেন? এর কিছুক্ষন পরই সামনে এসে মাথা নিচু করে হাতের আঙ্গুল কচলিয়ে কচলিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি এমন অবস্থা দেখে বলেছিলাম "কি ব্যাপার চুপ করে আছেন কেন ?” তারপর ও মিঠি মিঠি কণ্ঠে বললো “আপনি এই কয়েকদিন ছাদে যান নি কেন? কিছু কথা ছিল আপনার সাথে।”

আমি বিষ্মিত হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ভাবছিলাম কেন ও আমার খোঁজ খবর নিচ্ছে? আমার সাথে কি কথা থাকতে পারে? পড়ালেখার বিষয়ে? গিটার বাজানো শিখতে চায়? এই ব্যাপারে হতে পারে কি? পরে ভাবলাম খোঁজ খবর তো স্বাভাবিক নিতেই পারে। একই বিল্ডিং এ থাকি। কিন্তু আমি ওর চোখ মুখে কেমন একটা অসস্হির আভা দেখছিলাম। আমি বললাম “আসলে আমার শরীরটা তেমন ভাল না তাই এই কয়েকটা দিন ছাদে যাই নি।” এইটুকু কথা বলা পর্যন্তই ব্যাপারটা স্বাভাবিক ছিল। এরপর যেটা হলো আমি আশা করিনি। আমার দিকে তাকিয়ে সেই অস্থিরতার আভাটা নিয়ে বললো “কেন কি হয়েছে আপনার? কি হয়েছে? জ্বর হয়েছে? কোথায় দেখি দেখি।”

অরিন আমার কপালে হাত দিয়ে দেখল জ্বর আছে কিনা। আমি খুবি অবাক হয়েছিলাম। কি একটা ছটফট করতে লাগল ও। শুনেছি প্রিয় মানুষটার কিছু হলে নাকি অপর মানুষটা অস্হির হয়ে যায়। তাহলে আমি কি ওর প্রিয় মানুষ? কিন্তু এমনটা হওয়ার কিছুই হয়নি আমাদের সাথে। না আমি ওর সাথে ঠিকমত কথা বলেছি আর না ও বলেছে। কেউ বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, আমি ওকে এটাও বলিনি “আপনি এটা কি করছেন? আমি বরং ওর এমন অস্থিরতা গুলো দেখছিলাম। এরপর অরিন বললো “গায়ে কিছুটা জ্বর আছে। ভার্সিটি যাওয়া লাগবে না। ডাক্তার দেখিয়েছন কি?” আমি ওর কথার প্রতিভাষ না দিয়ে উলটো প্রশ্ন করলাম "কি যেন বলবেন আমায়।” সে শুধু বললো “আজ আকাশে মেঘ জমেছে। অন্য আরেকদিন বলি?” ব্যাস আমি বাধ্য ছেলে হয়ে ওর কথা মত আর ভার্সিটি যাইনি। ও যখন আমার কপালে ছুয়ে ছিল আমার শরীরটা কেমন করে কেঁপে উঠেছিল। এ যেন জ্বরের মধ্যে আরেক জ্বর। এই জ্বরের নাম কি হতে পারে?


আমি আর কিছু না বলে বাসায় চলে আসলাম। কিভাবে যেন দিনটা পার হয়ে গিয়েছিল। এরপর অনেকদিন কেটে গেছে। এই দিন কেটে যাওয়ার পর আমার সাথে আবার কিছু একটা ঘটলো। আমার মোবাইলে মেসেজ আসে। মেসেজটা ছিল…
*একটু ছাদে আসবেন? আজকের আকাশটা দেখে যান। এই মেঘময় আকাশ মানুষের মনে কেমন করে প্রবেশ করে। মেঘময় আকাশ একা দেখতে বিষণ্ন লাগে। আসবেন কি?*

এই একটা মেসেজের কি এমন শক্তি ছিল আমি জানি না। আমাকে যেন গতির মত টানছিল। আমি কি মনে করে গিটারটাও নিয়ে ছাদে চলে গেলাম। গিয়েই দেখি অরিন ছাদের এক কোনে বসে আছে। ওর পাশে গিয়ে এহেম করে একটা কাশির শব্দ শুনিয়ে জানান দিয়েছিলাম আমি এসেছি। আমাকে দেখেই বলেছিল "আপনার শরীর ঠিক আছে জনাব?” আমি শুধু বললাম “হুম” তারপর ও রেলিং ধরে একটু হেটে আকাশের দিকে তাকিয়েই বললো "গিটার নিয়ে আসছেন কেন? এই শরীর নিয়ে গাইতে পারবেন? আমি তো আপনাকে মেঘ দেখাবো বলে ডেকেছি? আপনার গিটারের শব্দ শুনে যদি মেঘগুলো লুকিয়ে পড়ে কি হবে বলুন তো?” আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি বললাম “আমার সামনেই একটা আশ্চর্য রকমের মেঘ। আকাশের মেঘ লুকিয়ে যাক। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘটাও কি লুকিয়ে যাবে?” ও শুধু হাসলো। আর আমি হাসি দেখেই অর্ণবের গানটা গাইলাম…

সেই গুন গুন মনের গান বৃষ্টি নামায়
টপ টপ ফোটা পরে অনেকক্ষন
সেই বৃষ্টি ভেজা মোরে ধার দিয়েছে
ভেজা কাক হয়ে থাক আমার মন।
সে যে বসে আছে... হুম সে যে বসে আছে একা একা...

গান শুনে ও আমাকে আরেকটা চমক দিল। বললো "জানেন আমারো খুব ইচ্ছে আপনার সাথে বৃষ্টিতে ভিজব। আপনি লাল পাঞ্জাবি পরবেন আর আমি বেগুনি শাড়ি। আমি আপনার মুখে বৃষ্টির পানি ছিটিয়ে দিব। আপনি আমার দুষ্টামি দেখে দৌড়ে পালাবেন। রিকশায় একসাথে ঘুরব। যখন হাটব তখন হাত ধরে থাকব। কিন্তু....” অরিন থেমে গিয়েছিল। পুরো কথাটা শেষ করেনি। আমি গিটারে টুং করে বাজিয়ে বললাম “কিন্তু কি?” সে একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলেছিল "কিছু না। জানেন মানুষ যা চায় তা পায় না।” আমি বলেছিলাম “এই কথাটা কেন বলেছেন?” সে আমার কথার উত্তর না দিয়ে বরং বললো “আপনার কি একবারো মনে হয়নি এই মেয়েটা কেন রোজ আপনার গান শুনতে ছাদে আসে? কেন আপনার এত খোজঁ খবর নেয়? আপনি কি কিছুই বুঝেন নাহ? আমার বিয়ে কিছুদিন পর। এই কথাটাই আপনাকে সকালে বলতে চেয়েছিলাম।” আমি চুপ হয়ে গিয়েছিলাম। সেও আমার চুপ থাকার মাঝে কিছুক্ষন তাকিয়ে আর কিছু না বলে চলে যায়। আমি ভাবছিলাম সত্যিই তো এই মেয়েটা কেন আমার এত খোঁজ খবর নেয়। বাসায় আসলাম। কিছুই ভাল লাগছিল না। মনে হচ্ছিল কি যেন হারিয়ে যাচ্ছে আমার কাছ থেকে। সেদিন রাত এগারোটায় আকাশ ভেঙ্গে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। আমি অনুভব করছিলাম এই বৃষ্টি মানুষের শিক্ত মনকে কেমন করে জানান দেয় হৃদয়ের ছন্দে? আমি ভাবলাম অনেক ভাবলাম। হঠাৎ করে আমার কি যেন হলো। কি হলো আমি বুঝতে পারছিলাম না। যদিও আমার শরীর তেমন ভাল ছিল না। তবুও মোবাইলটা হাতে নিলাম। অরিনকে একটা টেক্সট করলাম। "লাল পাঞ্জাবি পরে আমি ছাদে যাচ্ছি" কিন্তু আমি এটা কেন লিখলাম সেটাও উপলব্দি করিনি। আমার শুধু এইটুকু মনে হচ্ছিল তাকে এটা লেখা দরকার। তার সাথে ভিজা দরকার। তার আবদারটা পূরণ করা দরকার।

ছাদে গিয়ে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি। অরিন বেগুনি কালারের শাড়ি পরে আমার পাশে এসে দাড়ায়। চেহাড়ায় কেমন একটা উচ্ছাসের আভা ছিল। এই উচ্ছাসের আভাটার কারন হলো ওর ইচ্ছাটা আমি পুরণ করছিলাম। ও আমাকে বললো "আপনি এই শরীরে বৃষ্টিতে ভিজবেন ?”

আমি চুপ করে রইলাম। অরিন ও আর কিছু বললো না। দুজনে বৃষ্টিতে ভিজছিলাম আর দুজনার চোখের দিকে দুজনে তাকিয়ে ছিলাম। এই ভাবে কতক্ষন তাকিয়ে ছিলাম আমার জানা নেই। ঠিক কিছুক্ষন পর অরিন ওর হাতটা বাড়িয়ে ইতস্ততার সুরে বলতে থাকে...

যদি ডেকে বলি এসো হাত ধরো
চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে
এসো গান করি মেঘো মল্লারে
করুন ধরায় দৃষ্টিতে…


আমি তখনই ওর হাতটা ধরি। খুব শক্ত করেই ধরি। অরিন আমার কাছে আসে। আমি শুধু ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ওর কিছু চুল ভিজে চোখের সামনে এসে পড়ে। আমি চুল গুলো সড়িয়ে ওর কানে গুজে দিলাম। এতো সাহস আমার কেমন করে হলো আমি বুঝতে পারছিলাম না। ঠিক তখন অরিন আমাকে আর একটা বার চমকে দিল। আমাকে অরিন আমাকে জড়িয়ে ধরলো। জোরে শ্বাস নিশ্বাস নিচ্ছিলো। আর বললো "ভালোবাসি আপনাকে। আমাকে আপনার করে নিবেন?" আমার কিছু বলার ছিল না। আমার পুরো শরীর কাপছিল। ঠিক কিছুক্ষন পর আমাকে ছেড়ে দিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদঁতে কাদঁতে চলে যায়। আমি বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম কি করব আমি? ভাবলাম যা করার এখনই করতেই হবে। ওর বাবার সামনা সামনি হতে হবে। যা হবার হবে।

সকাল বেলাই অরিনদের বাসায় গিয়ে ওর বাবাকে স্ট্রেট কথা গুলা বললাম। ওর বাবা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকলো। আমি এত সাহস কোথা থেকে পেলাম আমার জানা নেই।

"কিরে চুপ করে আছিস কেন? পারবি না বিড়াল মারতে?

আদনানের কথায় বাস্তবে ফিরলাম। আমি লজ্জা মুখ নিয়ে ওরে বললাম…

"মনে হয় আমি জীবনে বহুবার বিয়ে করেছি? তুই যে ভাবে বলতেছিস মনে হয় আমি বহুবার বিড়াল মারছি?” ও হাসে। আদনান আমায় রুমে ডুকিয়ে দেয়। আর যাবার সময় একটু জোরেই বলল বিড়াল কিন্তু তোকে মারতেই হবে। অরিন মনে হয় কথাটা শুনতে পারছে।

বিছানার মাঝ খানে অনেক বড় ঘুমটা দিয়ে বসে আছে অরিন। আচ্ছা আমি কি এখন ওর পাশে গিয়ে বসব? ওর ঘুমটা খুলে কি ওর মুখটা দেখব? আমি নিজেকে গাধা ভাবলমা। এসব কি ভাবছি? ওতো আমার বউ আমি যা খুশি তাই করব। ওর পাশে গিয়ে বসলাম। আজকে বিড়াল মারতেই হবে। হঠাৎ অরিন বলে...

"বিড়াল মারবেন তাই না? খুব সাহস হয়েছে আপনার। একদম কাছে আসবেন না।

আমি তো জায়গায় বসে আছি কিন্তু ও বলল ওর কাছে যেন না যাই ওকে না ছুই। তার মানে কি? ও কি আমায় ইশারা করছে ওর কাছে যাওয়ার জন্য? আমি আর কিছু না বলে শুধু একটা হাসি দিলাম।

"কি ব্যাপার হাসছেন কেন? আপনার হাসিতে এখন দুষ্টামির গন্ধ পাচ্ছি। আমি সব বুঝি।

আমি তো জানি বিয়ের রাতে বউরা চুপচাপ থাকে। এই মেয়েতো গড়গড় করে কথা বলছে। আমার হাসিতে দুষ্টামির গন্ধ তাই না? দেখাচ্ছি মজা। আমি ওর ঘোমটা তুলে ওকে দেখতে লাগলাম। অরিন চোখ বন্ধ করে ফেলল। আমি শুধুই দেখতেই থাকলাম। অরিন চোখ বন্ধ থাকা অবস্হায় বলল...

"কি দেখেন এমন করে?

আমি উত্তর দেই না। সব কথার উত্তর দেই না। ভাবি এতো সহজে এমন করে সব কিছু হয়ে গেলো?” আমি বললাম “বাসর রাতে বউ এতো কথা বলে না। লাইট অফ করে দেই?” সে শুধু হাসলো। যার অর্থ এটাও বলে দিতে হয় গাধা…


মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: দূর ভাই। বিরিয়ানী খাবার লোভ দেখিয়ে শুধু সাদা দিলে হবে?
লেখা ভাল লেগেছে। অনেক দিন পরে আপনার গল্প পড়লাম। ঘুমটা হবে না ঘোমটা হবে ঠিক করে দিন।
ঠিক এই নামে একটা গল্প লিখে ব্লগে একবার বিশাল ক্যাচাল লাগিয়ে দিয়েছিলাম। হা হা হা ।

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৬

একাল-সেকাল বলেছেন:
বিড়াল টাকে ত খুঁজে পাওয়া গেলোনা, কি মারলেন ?

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ভ্যালেন্টাইন্স ডের আগের দিন এরকম মিষ্টি প্রেমের গল্প পড়তে ভালই লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.