নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব কথা এই সামু ব্লগে লিখতে পারি না নানা কারনে- সেসব কথা আমার পার্সোনাল জার্নাল ব্লগে লিখি -- https://journalofjahid.com/

জাহিদ অনিক

ভালোবাসি কবি ও কবিতাকে

জাহিদ অনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবনম - পুস্তক পর্যালোচনা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩২




সৈয়দ মুজতবা আলী, নাম শুনলেই যাদের চোখের সামনে ভেসে আসে রসগোল্লা গল্পের ঝান্ডু দা’র কথা, শার্টের কলার ধরে একটি রসগোল্লা নাকের কাছে নিয়ে বলছে, ও পারণ খাবি নে? তোর গুষ্ঠি খাবে।
তাদের ভাবনা-চিন্তায় একটু না অনেকখানি আমল পরিবর্তন এনে দিবে শবনম।

আমাদের উপমহাদেশীয় সাহিত্যে একটা মাপ কাঠি আছে, কিসের ভিত্তিতে সে মাপকাঠি ধরা হয় জানি না। তবে সাহিত্যিকদের কেউই বোধহয় সেই তুলাদণ্ড থেকে বাদ যায় নি।
কোন লেখক যদি একবার রম্য গল্প লিখে বিখ্যাত হয়ে গিয়ে একটা প্রেমের গল্প লিখে থাকেন পাঠক তখন বলেন, “ওরে বাবা তিনিও রম্যের পাশাপাশি প্রেমটাও বেশ ভাল লিখতে পারেন”। কিছুতেই তাকে সেই সম্মানটা দেয়া হয় না যেটা দেয়া হয় অন্য কোন প্রেমের গল্প লেখা লেখককে।

ব্যাপারটায় আরেকটু রস দেয়া যাক, আমাদের প্রিয় ব্লগার চাঁদগাজী যদি আজ একটা প্রেমের কবিতা লিখে পোষ্ট করেন তাহলে আমরা সবাই তাকে বাহবা জানবো এই বলে যে, ওরে বাবা তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ যেমন খাসা করেন তেমনি তার প্রেমের কবিতা লেখার হাতও দারুণ । কেউই কিন্তু তাকে সেই কবির সম্মানটা দিব না যেটা দেয়া হয় ব্লগের অন্য কবিদের।

যার কথা বলছিলাম বা বলতে চাচ্ছিলাম তিনি আর কেউ না, তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী। যাকে আমরা সবাই একনামে চিনি রম্য লেখক হিসেবে। তিনিই যে একখানা আস্ত প্রেম-বিরহের উপন্যাস লিখে ফেলবেন এবং সে লেখা যে এতটা ভাল হবে তা কেউ আশা করেছিল কিনা জানি না, আমি অন্তত কিছুটা অবাক হয়েছি।


শবনম উপন্যাস সম্পর্কে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন “বাঙ্গালী তরুন-তরুনীদের প্রেমে পড়ার পূর্বে অবশ্যই সৈয়দ মুজতবা আলীর শবনম উপন্যাসটি পড়ে নেয়া উচিত। এমন শিক্ষণীয় প্রেমের উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যে আর একটিও নেই।”
কথাটির সত্য মিথ্যা বিচার পাওয়া যাবে গোটা উপন্যাসটি পড়ার পরেই।


এই উপন্যাসের ভূমিকা লিখেছেন মুহম্মদ এনামুল হক এবং উৎসর্গ করা হয়েছে রাজশেখর বসুকে।







শবনমঃ প্লট ও পর্যালোচনা

আফগানিস্তান। সময়টা বাদশা আমানুল্লাহর শাসনামল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাগমান শহরে আয়োজন করা হয়েছে নৈশ বল-ডান্সের। সেই বেলেল্লাপনা বল ডান্স দেখতে যাওয়া এক তরুণীর সাথেই প্রেম হয়ে যায় পরদেশী এক তরুণের। তরুণ সে দেশে একেবারেই নতুন। গিয়েছেন হিন্দুস্তান থেকে অধ্যাপনা করতে।
তরুণ অধ্যাপক যার প্রেমে পড়লেন তিনি যে সে দেশেরই রাজকুমারী সেকথা মনের ভুলেও ভাবেন নি ভিনদেশী যুবক। ভাবলেও সে ভাবনাকে পাত্তা দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। প্রেম কি এতসব ভেবে হয়? হয়েছে কখনও?

যে দুইটা চরিত্রের কথা বলছিলাম তাদের মধ্যে স্ত্রী চরিত্রটির নাম শবনম, বয়স আঠারো-উনিশ। কিন্তু উপন্যাসে তার সংলাপ পড়ে মাঝেমধ্যে মনে হয়ে তার বয়স হয়ত ৩৫, কখনও মনে হয়েছে তার বয়স ১৬ কিংবা ১৭।
পুরুষ চরিত্রটির নাম মজনূন। বাংলা আর ইংরেজি ভাল জানেন কিন্তু ফার্সী ও ফ্রেঞ্চ খুব একটা পারেন না ভালো।

একে অন্যের নাম পরিচয় জানার এক মুহূর্তে মজনূনের ফার্সী ও ফ্রেঞ্চ সম্পর্কে শবনম রহস্য করে বলেছে,

আপনার ফ্রেঞ্চ অদ্ভুত, আপনার ফার্সীও অদ্ভুত। অদ্ভুত মানে খারাপ? ফার্সী উচ্চারণে কেমন যেন পুরনো আতরের গন্ধ, ঠাকুরমা সিন্দুক খুললে যেরকম বহু দিনের জমানো মিষ্টি গন্ধ বের হয় সেরকম। অন্য হিন্দুস্তানীরা যেরকম ভোঁতা ভোঁতা ফার্সী বলে সেরকম নয়” ।



সৈয়দ মুজতবা আলী শবনমের বর্ণনা লিখেছে এভাবে,

প্রথমে দেখেছিলুম কপালটি। যেন তৃতীয়ার ক্ষীণচন্দ্র। শুধু, চাঁদ হয় চাপা বর্ণের, এর কপালটি একদম পাগমান পাহাড়ের বরফের মতই ধবধবে সাদা। সেটি আপনি দেখেন নি? অতএব বলব নির্জলা দুধের মত। সেও তো আপনি দেখেন নি। তা হলে বলি বন-মল্লিকার পাপড়ির মত।
নাকটি যেন ছোট বাঁশী। ওইটুকুন বাঁশীতে কি করে দুটো ফুটো হয় জানি না। নাকের ডগা আবার অল্প অল্প কাঁপছে। গাল দুটি কাবুলেরই পাকা আপেলের মত।




আফগানিস্তানে লেবু তেমন হয় না। প্রণয়ের প্রথম দিকে মজনূন শবনমকে উপহার দিয়েছিল পাঞ্জাবীর পকেট হাতড়ে পাওয়া একটি ভারতীয় লেবু।

লেবুটি পেয়ে শবনম বলেছিল,

এটা কি ? ওঃ ! নেবু? লীমূন । লীমূন-ই-হিন্দুস্তান যার ভেতরেরটা টক!

সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লেখক লিখেছেন,

ওরে মূর্খ! দিলি একটা নেবু!
তাও শুনতে হল ভিতরটা টক!
না, সে মীন করে নি।
আলবাৎ করেছে।
না।






শবনম। শবনম মানে তো শিশিরবিন্দু, হিমকণা। সে তো শিউলি। শরৎ-নিশির স্বপ্ন-প্রভাতের বিচ্ছেদ বেদনা। সে যখন ভোরবেলা সর্ব বন্ধন থেকে মুক্ত হয়, সে কি স্বেচ্ছায়?

উপন্যাসের সবথেকে আকর্ষণীয় অংশ মনে হয়েছে নানা ফরাসি ও ফ্রেঞ্চ কবিতার অনুবাদ। শবনম ও মজনূন অনেক কথা বলেছেন কবিতায় কবিতায়। এই উপন্যাসে যথেষ্ট কাব্যিক ও ভাষা-তাত্ত্বিক মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী।
অসংখ্য ঘটনা, ভীতি, শিহরণ ও কাব্যিক ব্যঞ্জনার মধ্য দিয়ে আগাতে থাকে উপন্যাস শবনম।
এক পর্যায়ে মজনূনের কুড়ে ঘরে নিয়মিত আসা যাওয়া চলতে থাকে শবনম বানুর। কখনও দিনের আলোয় বোরখায় নিজেকে ঢেকে, কখনও রাতের আঁধারে।

বোরখা সম্পর্কে শবনমের স্পষ্ট কথা, লোকে বলে বোরখা নারীদের বন্দি করে রেখেছে, আমি তো দেখি বোরখা নারীর সুবিধের জন্যই, ইচ্ছে করলেই নিজেকে লুকিয়ে ফেলা যায় বোরখার আড়ালে।

প্রেম যেখানে থাকে সেখানে ভয়ও থাকে, ভয় লজ্জা দ্বিধা না থাকলে প্রেম ঠিক প্রেম বলে মনে হয় না। অবাধ প্রেম কোন নর-নারীকেই আকর্ষণ করে না। প্রেমের এই ভয়, না পাওয়ার ভীতি এসব নিয়ে মজনূন যেন সর্বদা চিন্তিত থাকত। কোথাকার কোন হিন্দুস্তানের যুবক সে, তার কাছে কেন আফগান কুমারী বিয়ে দেবেন রাজা!
এসব প্রশ্নের কেবল একটাই জবাব দিত শবনম, “আমার কাছে ওষুধ আছে” ।

কি দাওয়াই ছিল শবনমের কাছে যা চিন্তামুক্ত করে দিবে পরদেশী মজনূকে? সত্যিই কি কোন দাওয়াই ছিল নাকি সব প্রেমিকাই যেমন বলে তারকাছে জাদু আছে শবনমও সেরমকই বলেছিল, এসব প্রশ্নের পাওয়া যাবে উপন্যাস শুরু করার অল্প সময়ের মধ্যেই।

লুকোচুরির এই প্রেমের এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় তারা বিয়ে করবে। বিয়ে হয়। একবার না, দুইবার বিয়ে হয় শবনম ও মজনূনের। দুইবার কেন বিয়ে হল সে ব্যাখ্যা জানার জন্য গোটা উপন্যাস পড়তে হবে না, অর্ধেক পড়লেই জানা যাবে।

আফগান মেয়েদের বিয়ের পরে মাথার জুলফ কেটে দিতে হয়, যাতে করে বোঝা যায় তিনি বিবাহিতা। বাঙলা জুলপি কথাটা জুলফ থেকে এসেছে। ইরান তুরানের কুমারীদের অনেকেই দু গুচ্ছ অলক(চুল) রগ থেকে কানের ডগা অবধি ঝুলিয়ে রাখে। এটাই জুলফ।
বিয়ের পরে শবনমের জুলফ কাটা নিয়েও বেশ কিছু চিত্তাকর্ষক সংলাপ রয়েছে উপন্যাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে।
বিয়ে হল। বাসর রাতে জামাইকে ঘরে ঢুকতে দেখেই কোনায় কোনায় লুকিয়ে থাকা কনের বান্ধবীরা গেয়ে উঠল,



রুটি খায় নি, দাল খায় নি, খায়নি কভু দই,
হাড়-হাভাতে ওই এল রে- খাবে তোরে সই!
মরি, হায় রে হায় !






শবনম উপন্যাসে প্রেম পর্ব দেখা হল, বিয়ে পর্ব দেখা হল।
পড়তে পড়তে মনে হতেই পারে এই উপন্যাসের তাহলে শেষ অবধি হয়ত শুভ সমাপ্তি। যখন থেকে ভাবতে শুরু করবেন এই উপন্যাসের রয়েছে দারুণ এক হ্যাপি এন্ডিং ঠিক তখন থেকে কয়েক পাতা এগুলোই একটা চিরকুট পাওয়া যাবে।

শবনম লিখেছে,
“বাড়িতে থেকো। আমি ফিরব”।

কোথায় গেল শবনম? কেনই বা গেল ? ঠিক কতদিনের জন্য গেল?
এসব অনেক জটিল প্রশ্ন। সব প্রশ্নের উত্তর রিভিউতে দিয়ে দেয়া যায় না। এত বড় একটা উপন্যাসের মূল এই অংশটুকু লেখক লিখেছেন অনেক শব্দের বিন্যাসে। যারা ভাল পাঠক তাদেরকে কিছুতেই বই ছেড়ে উঠতে দেবে না, শব্দের মারপ্যাঁচে পড়ে যেতেই হবে।

শবনম ঘরে নেই। বিরহে দিন কাটাচ্ছে মজনূন। কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেল শবনম ফেরে নি, দিন হয়ে গেল তাও ফেরে নি শবনম। মাস হয়ে গেলে? শবনম কি ঘরে ফিরবে? কেনই বা এই অন্তর্ধান?
এতটা ভালবেসে শেষে কেন চলে যেতে হল? এ বিরহের মানে কি ?


ভিনদেশী যুবক মজনূন কি করবে? কোথায় কোথায় খুঁজবে সে তার স্ত্রী শবনমকে। সেকি তাহলে তার নামের মতই হিমিকা হয়ে সকালের রোদ ওঠার সাথে সাথে শুকিয়ে গেছে?
কিন্তু সে যে চিরকুটে লিখেছে, “বাড়িতে থেকো। আমি ফিরব”।

একা একা দিন যাপনে মজনূনের কেবল একটা কথাই মনে পড়ত বারবার। শবনমই তাকে বলেছিল,
- আমার বিরহে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না।

শবনম বলেছে সে ফিরবে। উপন্যাস যখন প্রায় শেষদিকে, আর মাত্র সাত/ আটটি পাতা বাকী।
বইটি হাতে নিয়ে আমি ঝিম দিয়ে বসেছিলাম। আর পড়তে চাইছিলাম না। অনেকটা নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই পড়তে হল। একটা করে লাইন পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম পরের লাইনেই হয়ত লেখা দেখতে পাব শবনম কথা রেখেছে, সে ফিরেছে।

উপন্যাসের পাতা এক সময় শেষ হয়ে যায়, শবনম কি কথা রাখে ? সে কি ফিরে আসে?
সে যে বলেছিল, “বাড়িতে থেকো। আমি ফিরব”।



চমৎকার এই উপন্যাসটি পড়া শেষ হয়ে গেলেও এর রেশ রয়ে যাবে অনেকদিন। যখন পড়ছিলাম আমি যেন ভাবছিলাম আমার আশেপাশেই কোথাও আছে শবনম।
পুরো উপন্যাসটি একপ্রকার জাল বিস্তার করে ঘিরে রাখবে পাঠককে যা খুব কম লেখকই করতে পেরেছেন।









জাহিদ অনিক
১০/০৮/২০১৭

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বাংলা সাহিত্যে শবনমের মতো প্রেমের উপন্যাস মনে হয় আর একটিও নেই | এটা শুধু একটা প্রেমের উপন্যাসই নয় - প্রেমের সাথে আফগান ইতিহাস, ফার্সি সাহিত্য, কৌতুকময়তা সব একসাথে এসে মিলেছে শবনমে মুজতবা আলীর বর্ণনায় | মানুষের নাকের সাথে যে বাঁশির তুলনা করা যেতে পারে ওটা শবনমের বর্ণনাতেই প্রথম পড়েছিলাম | অনেক আগে স্কুলে থাকতে পড়েছিলাম | খুব কষ্ট লেগেছিলো বইয়ের শেষটায় এসে যখন শবনম বাইরে যেয়ে বাড়িতে আর না ফিরে আসে -লেখক অপেক্ষা করতে থাকেন | স্কুলের দিনগুলোতে আমার খুবই লেখক ছিলেন প্রিয় লেখক মুজতবা আলী | তার বেশিরভাগ বই-ই আমার সেসময়ই পড়া | ও, একটা কথা আমি ভুলে গেছি কিন্তু লেখকের নাম কি বই -এ মজনুন নাকি শবনম তাকে ডাকতো বা নাম দিয়েছিলো মজনুন | সত্যিই ভুলে গেছি | পারলে জানাবেন প্লীজ | সযত্নে রাখা স্মৃতির সুন্দর কিছু মুহূর্ত যেন আর্কিয়োলজিস্টের মতো খুঁড়ে বের করে আনলেন আমার আপনার লেখায়! অনেক ধন্যবাদ |

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩০

জাহিদ অনিক বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য অনুপ্রাণিত করল।


নিচের এই ছবিতে মনে হয় আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন।




শবনম উপন্যাসে পুরুষ চরিত্রটির নাম মজনূন। শবনম তাকে এই নাম দেয় নি কিংবা এটা তার দেয়া নাম নয়।



অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মলাসইলমুইনা

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: থ্যাংকস | চোখ এড়ালো কি করে জানিনা | আবারো ধন্যবাদ | শবনমের স্ক্যান পাতাগুলো অনেক আগে পড়া উপন্যাসের অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলো | আহ, আবার যদি একটা মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্য পেতো !

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন: আবার যদি একটা মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্য পেতো ! - গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:১৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমাদের প্রিয় ব্লগার চাঁদগাজী যদি আজ একটা প্রেমের কবিতা লিখে পোষ্ট করেন তাহলে আমরা সবাই তাকে বাহবা জানবো এই বলে যে, ওরে বাবা তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ যেমন খাসা করেন তেমনি তার প্রেমের কবিতা লেখার হাতও দারুণ । কেউই কিন্তু তাকে সেই কবির সম্মানটা দিব না যেটা দেয়া হয় ব্লগের অন্য কবিদের।

----হয়ত আমরা বৃত্তের বাইরে খুব ক, যেতে পারি তাই এমন করেই সবাই বলে। এখন যদি আমি প্রেমের কবিতা আর গল্প লেখা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে লেখা শুরু করে দেই নির্ঘাত আমার পাঠক শ্রেণীর মধ্যে থেকে তুমিই সবার আগে বলবে --ও বিবা তোমার কিতা হইল ! =p~ "


শবনম উপন্যাস সম্পর্কে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেছেন “বাঙ্গালী তরুন-তরুনীদের প্রেমে পড়ার পূর্বে অবশ্যই সৈয়দ মুজতবা আলীর শবনম উপন্যাসটি পড়ে নেয়া উচিত। এমন শিক্ষণীয় প্রেমের উপন্যাস বিশ্ব সাহিত্যে আর একটিও নেই।”
কথাটির সত্য মিথ্যা বিচার পাওয়া যাবে গোটা উপন্যাসটি পড়ার পরেই।



--এই যাহ্‌ !! আমার মিস হইয়া গেল । :-P থাক অসুবিধা নাই--নাতি পুতিরে অসিয়ত কইরা যামু =p~


০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: এখন যদি আমি প্রেমের কবিতা আর গল্প লেখা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে লেখা শুরু করে দেই নির্ঘাত আমার পাঠক শ্রেণীর মধ্যে থেকে তুমিই সবার আগে বলবে --ও বিবা তোমার কিতা হইল ! =p~ " - জ্বী না ! আমি বলব না। খোদার কসম বলব না। তুমি লিখেই দেখ না বুবু =p~



থাক অসুবিধা নাই--নাতি পুতিরে অসিয়ত কইরা যামু =p~ - নাতিপুতিদের কি সুন্দর প্রেমের মন্ত্র শিখিয়ে দিবেন ! আহ!
উদাদিগকে আমার এই রিভিউটাও দিও বুবু B-)

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:১৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: শবনম ঘরে নেই। বিরহে দিন কাটাচ্ছে মজনূন। কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেল শবনম ফেরে নি, দিন হয়ে গেল তাও ফেরে নি শবনম। মাস হয়ে গেলে? শবনম কি ঘরে ফিরবে? কেনই বা এই অন্তর্ধান?
এতটা ভালবেসে শেষে কেন চলে যেতে হল? এ বিরহের মানে কি ?


--এমন বিরহ ত উপন্যাসের স্বারথকতা । মানুষের মনে গভীরে প্রবেশ করা।

রিভিউ প্রাণবন্ত হয়েছে। অনেক শুভেচ্ছা তোমাকে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: সত্যিই উপন্যাস সার্থক। ঠিকই বলেছেন।
মানুষের মনে গভীরে প্রবেশ করা।


অনেক অনেক ধন্যবাদ বুবু

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আজকাল আর পড়ার সময় হয়না তথাপী সাহিত্য মন টানে। তবে আপনার রিভিউ খুবই চমৎকার হয়েছে।।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

জাহিদ অনিক বলেছেন: রিভিউ ভাল লেগেছে সত্যি বেশ ভাল লাগছে।

আজকাল আর পড়ার সময় হয়না তথাপী সাহিত্য মন টানে।
- ব্যস্ততা আমাদের সব্বাইকেই খেয়ে ফেলছে।


ভাল থাকুন

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: রিভিউ করার আগে একটু ঝেড়ে কেশে নিলেন!!:)

এ রকম দুচারটা কাশি মারা ভালা!:)


পোস্টে +

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন: রিভিউ করার আগে একটু ঝেড়ে কেশে নিলেন!!:) - হাঃহাঃ ভাল বলেছেন বিলিয়ার ভাই।


পোষ্টে প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা দেশী ব্রাদার।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রিভিউটা মন্দ হয়নি !! :)






প্রিয়তে রাখলাম..... আবার আসিব ফিরে!!!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রিয়তে রেখেছেন দেখে ভালই লাগছে ;)


আপনার আবার ফিরে আসার অপেক্ষায় !

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

কথা রাখে নি কবি শাহরিয়ার কবীর !

১৪ দিন কাটলো তবু কথা রাখে নি কবি কবীর ! সে আর ফিরে আসে নি।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

কালীদাস বলেছেন: কোটেশনগুলা পৈড়া রুমান্টিক ফিলিং লাগতাসে ভাইডি :D

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হা হা, কালীদাস ভাই,


এটা একটা রোম্যান্টিক উপন্যসাই তো !


ধন্যবাদ ভাইডি

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আমি এত অদ্ভূত সুন্দর পুস্তক সমালোচনা সত্যিই খুব বেশি পড়ি নাই। অসাধারণ লাগলো। চমৎকার এক আবছায়ার মধ্যে যেন পুরো গল্পটাই শুনিয়ে দিলেন পাঠকদের, আবার কিছুই বললেন না!
বইটি পড়তে ইচ্ছে করছে তীব্রভাবে। এটাই তো লেখকের সার্থকতা।
আমি আমার লেখাতে অনেক ভালো ভালো কমেন্ট করেন, আপনি নিজে যে এত দারুণ লেখেন তা তো বলবেন!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার মন্তব্য বেশ ভাল লাগলো। আপ্লুত করে গেল।


চমৎকার এক আবছায়ার মধ্যে যেন পুরো গল্পটাই শুনিয়ে দিলেন পাঠকদের, আবার কিছুই বললেন না! - চেষ্টা করেছি নিজের মত করেই রিভিউটা লিখতে। আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগছে।


অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফাহমিদা বারী আপনাকে

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: বইটি পড়তে ইচ্ছে করছে তীব্রভাবে। - পড়ে নিবেন আশা করছি খুব দ্রুতই।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: " শবনম " কার লেখা এটা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আগে জেনেছিলাম পড়া হয়ে উঠে নী !!

রিভিউ পড়ে হাহাকার বাড়ল বই টা না পড়ার ; এত চমৎকার রিভিউ তে বোঝা যাচ্ছে শবনম কতটা তোমাকে প্রভাবিত করেছে ।
বেশ ছিমছাম করে প্রশংসা প্রাপ্য তোমার ,হয়ত সেটা করার মত গভীরতা ই আমার নেই ।

প্রিয়তে থাকল !!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: রিভিউ তে বোঝা যাচ্ছে শবনম কতটা তোমাকে প্রভাবিত করেছে । - ঠিকই ধরেছেন কবি। শবনম আমাকে অনেক ধরেছে। দুই তিন আমি রাস্তায় বাসে সর্বত্র শুধু শবনমের কথাই ভেবেছি।


প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে খুশি হলাম।


অনেক অনেক ধন্যবাদ, বেশ ছিমছাম একটা প্রশংসা ইতোমধ্যেই আপনি করে ফেলেছেন !

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: রিভিউ পড়ে হাহাকার বাড়ল বই টা না পড়ার - সময় সুযোগ করে পড়ে নিবেন আশা করি।

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: হুম, আমিও প্রিয়তে নিয়ে নিলাম। :)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জাননেবন।

কোন লেখা যখন কেউ প্রিয়তে নেয় তখন লেখক তার সেই লেখা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে পারে।

১২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার এই বুক রিভিউ পড়তে একটুও বিরক্ত লাগেনি।
আমি অনেক দিন ভেবেছি একটা বুক রিভিউ লিখব। তা ছাড়া বই দিবসে খায়রুল আহসান ভাইকে কথা দিয়েছিলাম একটি বুক রিভিউ লিখব।কিন্তু আজও কথা রাখতে পারিনি।
এখন আপনার বুক রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে আমি না বুক রিভিউ না লিখলেই ভাল হবে।
এত সুন্দর করে লিখেছেন যে কি আর বলব।
বেশি বেশি বই পড়ুন আর আমাদের সাথে সেই সব বই নিয়ে পর্যালোচনা করুন।
ভাল থাকুন জাহিদ অনিক ভাই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার এই বুক রিভিউ পড়তে একটুও বিরক্ত লাগেনি। - বিরক্ত লাগে নি সেটাই অনেক বড় একটা পাওয়া আপনার থেকে।

খায়রুল আহসান ভাইকে দেয়া কথাটা এবার রেখেই ফেলেন সোহেল ভাই। আপনার রিভিউ চমৎকার হবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আমি সেটা পড়ার জন্য আগ্রহী।

অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন মোস্তফা সোহেল ভাই।

১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমি যখন উপন্যাসটি পড়েছি, তখন প্রায় শেষের দিকে শবনমের ফিরে আসার অপেক্ষায় থেকেছি কিন্তু শবনম ফিরে না আসায় পড়া শেষে মনটা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল।

মনে হয় সিত্য কি যে হারিয়ে গেল।

রিভিউ একেবারে প্রানবন্ত হয়েছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: মাইদুল ভাই,

উপন্যাসটি যেহেতু আপনার পড়া, তাই আপনার মন্তব্য আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনিই বুঝতে পারবেন আমি কেমন রিভিউ লিখেছি।

রিভিউ একেবারে প্রানবন্ত হয়েছে।


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,




বইটি পড়েছিলুম সম্ভবত ৭২/৭৩ এর দিকে । এতো সময় পড়ে সে অনবদ্য বইটির অনবদ্য বাক্যগুলি আর মনে নেই । তা আপনি আবার কিছু কিছু মনে করিয়ে দিলেন ।
সে বয়সে শবনমের জন্যে একটা আলাদা হাহাকারের অনুভূতির জন্ম হয়েছিলো । এখনকার মানসে সেই বই কি তেমন নাড়া দিতে পারবে ? কে জানে !!!!!!!!!
এখন তো ভালোলাগার , ভালোবাসার তেমন কোনও আবেদনই নেই কারো কাছে !

সুন্দর রিভিউ ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: রিভিউটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জী এস ভাই।


আপনি পড়েছিলেন ৭২/৭৩ এর দিকে। মানুষের তখনকার মানসিকতা আর এখনকার মানুসিকতা বদলে গেছে এটা সত্যিই ঠিক। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ তো তারপরেও থাকে যারা সত্যিকার অর্থেই ভালবাসা জি জানে, বোঝে। তাদের কাছে বইটির গ্রহণযোগ্যতা আছে সামনেও থাকবে, আমি এমনটাই আশা করি। আমার রিভিউ দেখার পরে বা বইটি আমি পড়ার পরে আমি যাদের যাদের সাথে এটি নিয়ে কথা বলেছি তারা কেউ কেউ বইটি পড়বে বলে জানিয়েছে এবং দুই এক জনে ইতোমধ্যে পড়া শুরু করেও দিয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে। দেখাযাক, তাদের পড়ার পরে কি অনুভূতি হয়, তাদেরকে নাড়া দিতে পারে কি না। আমাকে তো কিছুটা নাড়া দিয়েছিলই।


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই, আবারো পড়তে হবে, এখন কোনরকম পড়ে গেলাম, বেশ বড় লেখা।
ভালো লাগলো কবির বিশ্লেষণ গুণ।

শুভকামনা সবসময়

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: একবার পড়েছেন ও আরেকবার পড়ার ইচ্ছে জানিয়েছেন দেখে খুব ভাল অনুভূত হচ্ছে।


কৃতজ্ঞতা রইলো কবি

১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

শায়মা বলেছেন: আহারে মজনুন!!!! :(


এত মন দিয়ে এমন পুস্তক আলোচনা জনমে পড়িনি!


পড়িতে পড়িতে চোখের সামনে ভেসে উঠলো মজনুনের চেহারাটা কেমন জানো?


একজন গুল্লুগাল্লু যুবক। এক মাথা চুল চোখে চশমা!!!!!!

আহারে মজনুন! :(

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হাঃ

যাক, এই পুস্তক পর্যালোচনা তুমি পড়েছ তাতেই আমি মহাখুশি।


তোমার চোখের সামনে মজনুনের চেহারা ভেসে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক।

আমার ক্ষেত্রে যেমন কেবল শবনমের চেহারাই ভেসে উঠছিল, বাশির মত নাক, আপেলের মত গাল, পাগমান পাহাড়ের মত ধবধবে সাদা কপাল।

আহারে, শবনম ! শবনম ! :|

১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

শায়মা বলেছেন: আহালে আহালে
বাঁশি, আপেল, পাহাড়!!!!!!! শাকসব্জী গাছ পালা পশুপক্ষী বাদ গেলো কেনো ভাবছি! :-<

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: আলু পটল কুমড়া
ময়দা সুজি আটা
টা টা

১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

শায়মা বলেছেন: আলু ঢাকা চোখ
ঢাকে নাকি দুখ
রাত জাগা কালী
সাগরের বালী
গায়ে মাখা আটা
ঢাকে ফাটা ফাটা
ব্রনে ভরা মুখ
ফটোওয়াশ সুখ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:




বাহ ! বাহ ! বাহ !

ক্যা সায়রী হ্যায় !
ওয়াহ ! ওয়াহ !

১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

ওমেরা বলেছেন: বই আমি পড়িনি তবে মনে হচ্ছে বই এর চেয়ে সুন্দর হয়েছে আপনার পর্যালাচনা । বন্ধু আপনার পড়া বই গুলোর এরকম পর্যালাচনা আরো চাই । ধন্যবাদ বন্ধু ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: মনে হচ্ছে বই এর চেয়ে সুন্দর হয়েছে আপনার পর্যালাচনা - না না না, একদমই তা নয়। সৈয়দ মুজতবা আলী ভীষণ ভাল লিখেছেন। বইটা পড়ার পরে এই রিভিউটা পড়লে আর মনে হবে না রিভিউটা অত ভাল হয়েছে।



পোষ্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ বন্ধু।

২০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

শাহেদ খান বলেছেন: স্কুল লাইফে পড়েছিলাম 'শবনম', আব্বু'র পার্সোনাল লাইব্রেরি থেকে নিয়ে। কিশোর মাথায় তখন উথাল-পাতাল অবস্থা! আমার কাছে মুজতবা আলী রম্যলেখক বা ভ্রমণকাহিনী-লেখক হওয়ার অনেক আগেই হয়ে উঠেছিলেন 'শবনম'-এর লেখক!

শেষ'টায় কেমন ধাক্কা খেয়েছিলাম, যে পড়বে তাকে ছাড়া অন্য কাওকে বোঝানোর সাধ্য আমার নেই। "বাড়িতে থেকো। আমি ফিরব" কিংবা, "আমার বিরহে তুমি অভ্যস্ত হয়ে যেয়ো না।" - লাইনগুলো মাথার ভিতর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে নিয়েছিল শুরু থেকেই। পোস্টে এসে নস্টালজিক হলাম।

আপনার পোস্টে যেহেতু প্লট প্রায় সবক'টা প্রধান বাঁকই প্রকাশ করে দিয়েছেন, তাই পোস্টের শুরুতে সেটা 'স্পয়লার এলার্ট' হিসেবে বলে দেয়া দরকার ছিল বোধহয়। নতুন পাঠক'রা বইটা পড়ার আসল মজা থেকে বঞ্চিত হবে নাহলে।

অনেক শুভকামনা!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪১

জাহিদ অনিক বলেছেন:


পোষ্টটি পড়েছেন দেখে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ শাহেদ খান।


পোস্টে যেহেতু প্লট প্রায় সবক'টা প্রধান বাঁকই প্রকাশ করে দিয়েছেন, তাই পোস্টের শুরুতে সেটা 'স্পয়লার এলার্ট' হিসেবে বলে দেয়া দরকার ছিল বোধহয়। কিছুটা হয়ত দিয়েছি, অনেকটাই তো লিখি নাই। স্পলায় বলতে চাইলেই বলতেই পারেন।


ধন্যবাদ।

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

সোহানী বলেছেন: সরি দেরীতে ফিরে আসলাম!

হাঁ শবনম পড়া ছিল তবে তোমার রিভিউ আবার নতুন করে পড়তে ইচ্ছে করছে। কিন্তু উপায় নেই, বাবার লাইব্রেরীতে বইটা আছে কিন্তু এখানে কালেকশান অসম্ভব। একটা মাত্র বাংলা বইয়ের দোকান আছে, কিছু ইসলামী বই আর হুমায়ুন বা জাফর ইকবালের নতুন কিছু বই!!! শবনমের কথা বললে বলবে ওটা কি খায় নাকি.... হাহাহাহা

তবে সৈয়দ মুজতবার গল্প শুনতাম আমার বাবার কাছে। বাবা একসময় উনার প্রতিবেশী ছিলেন সিলেটে। তুমুল আড্ডা দিতেন উনারা। অনেক গল্প ড্রাফ্ট কপি বাবা আগে পড়তো কারন বাবার লিখার হাত ছিল খুব ভালো এবং বাবা ছিলে উনার কঠিন সমালোচক..... বাবাকে প্রায় বলি এসব কথা লিখার জন্য কিন্তু বাবা লিখার সময় করেন না। আসলে যে বাবাকে জীবনভর উৎসাহ দিতো পাশে থেকে সেইতো নেই.... সেতো আর কোনদিনই আসবে না।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:



সরি দেরীতে ফিরে আসলাম!


- আপু, আপনি এই পোষ্টে এসেছেন এতেই আমি খুশি।

শবনম আপনার পড়া এটা জেনে ভাল লাগছে।

রিভিউ পড়েছেন, প্লাস দিয়েছেন এবং বোনাস হিসেবে আপনার বাবার ও সৈয়দ মুজতবা আলীর আড্ডা গল্পের কথা বলছেন, এটা জেনেও ভাল লাগছে, কারণ আপনার বাবার সাথে মুজতবা আলীর সখ্যতা ছিল, তাঁরা আড্ডা দিয়েছেন এবং আপনার বাবার মুখেই সেসব শুনেছেন। এটা আপনার জন্য বিরাট পাওয়া।
সেই গল্পগুলো আমাদের শুনালে আমরাও লেখকের জীবন সম্পর্কে জানতে পারি !


অনেক অনেক ধন্যবাদ সোহানী আপু। কৃতজ্ঞতা রইলো।

২২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩০

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:


পোষ্টটি পড়েছেন এবং আপনার ভালোলাগা জানিয়েছেন দেখে ভাল লাগছে।

পাঠ, মন্তব্য ও প্লাসে আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নীলপরি আপু

২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: অনেক আগে পড়া বই। মজার ছিল। উনার লেখার একটি ভিন্নধর্মী স্টাইল আছে। সকলের তা ভালো নাও লাগতে পারে। তবে অামার ফেভারিট।

সৈয়দ মুজতবা আলীর সব বই মজার। আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। আমি নিজেও হাস্যরসাত্মক লেখা পছ্ন্দ করি।

সুন্দর একটি রিভিউ এর জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

জাহিদ অনিক বলেছেন:


পোষ্টটি পড়েছেন দেখে ভাল লাগছে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আখেনাটেন।

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: বাহ! অনেকদিন পর মনমত একটা রিভিউ পড়লাম ভাইয়া। আমি যা যা বলতে চেয়েছি উপরে সবাই বলে ফেলেছে। তাহলে এই দাঁড়ালো যে, সব মন্তব্য একত্র করলে যা হয় তাই আমার অনুভূতি :)
পড়তে হবে 'শবনম'। আপনি পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিলেন.... (আপনার কল্যানে পিডিএফটা নামিয়ে নিয়েছি B-))
ধন্যবাদ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:




আপনি অনেক আগে প্লাস দিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন !

আমি তখন থেকেই তীর্থের কাকের মত আপনার মন্তব্যের আশায় ছিলাম :-B

আমার কল্যাণে পিডিএফ নামিয়ে নিয়েছেন, বুঝতে পেরেছি।


আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞতা রইলো উম্মে সায়মা আপু।

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: একটু ব্যস্ত থাকায় কয়েকদিন প্রায় কারো পোস্টেই মন্তব্য করা হয়নি। লাইক দিয়ে বিদায় নিয়েছি :)
তীর্থের কাকের মত আপনার মন্তব্যের আশায় ছিলাম :-B
সত্যি? জেনে প্রীত হলাম। ব্যস্ততা আর রোবটিক এ দুনিয়ায় এখন কে আর কাকে মনে রাখে, কিছুর অপেক্ষায় থাকে!

আপনার রিভিউটা বেশ আরাম করে পড়লাম। প্রথমে দেখে মনে হয়েছে একটু বড় পোস্ট। পরে পড়তে নিয়ে মনে হল তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল, আরেকটু যদি বড় হত! :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

রিভিউ আর একটু বড় হলে আর ভাল হত না, তখন আর আফসোস করে বলতে পারতেন না আরেকটু যদি বড় হত! :)


অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

জেন রসি বলেছেন: শবনম পড়া হয়নি। তবে আপনার রিভিউ পড়লাম। শবনমের কাছে ঔষধ আছে। মনে হচ্ছে সেটা বিষ। সে কি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছিল? নাকি ফিরে এসেছিল? এই যে প্রশ্নগুলো জন্ম নিচ্ছে মনের ভেতর সেটা আপনার রিভিউর গুনে। :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:



রিভিউটা পড়ার জন্য শুরুতেই অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শবনমের কাছে ঔষধ হিসেবে কি ছিল? বিষ নাকি অন্য কিছু, সে আত্মহত্যা করেছিল কিনা, কিংবা বাড়ি থেকে সে কেনইবা চলে গিয়েছিল এসসব আর বলছি না। উপরে শাহেদ খান ভাই বলেছেন রিভিউটা অনেকাংশেই স্পয়লার এর মত হয়ে গেছে !
তাই আশা করছি এসব প্রশ্নের উত্তর আপনি শবনম পড়েই জেনে নিবেন।

২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেশ চমৎকার রিভিউ।
শবনমের কথা এত শুনেছি কখনো পড়া হয়নি।
আপনার কবিতার পোস্টে না ঢুকে এটা পড়লাম। হতাশ হতে হয়নি।
ভালো থাকবেন। আবার আসবো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:



যাক কবিতায় না ঢুকে বেশ ভালই করেছেন। আমার কবিতা শৈল্পিক বিচারে একেবারেই ওঁচা ।

শবনম রিভিউ পড়েছেন এবং হতাশ হননি বলেছেন দেখে ভাল লাগছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।

২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর লিখেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

পড়েছেন দেখে ভালই লাগছে।

অনেক ধন্যবাদ।


শুভ সন্ধ্যা।

২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: অসাধারণ পুস্তক পর্যালোচনা।
আর মন্তব্য প্রতি মন্তব্য গুলোও চমৎকার।
পোষ্টে মুগ্ধতা ।
শুভকামনা রইলো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: মিঃ ইসিয়াক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভেচ্ছা আপনাকে। ফেসবুকের লিংক ধরে এসে পড়েছেন, এবং চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমি সত্যিই আপ্লুত।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.