নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব কথা এই সামু ব্লগে লিখতে পারি না নানা কারনে- সেসব কথা আমার পার্সোনাল জার্নাল ব্লগে লিখি -- https://journalofjahid.com/

জাহিদ অনিক

ভালোবাসি কবি ও কবিতাকে

জাহিদ অনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলমগ্ন দ্বীপ

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭



উদাসীন যুবক,
চলো একবার হারিয়ে যাই জলের মোহনায়
দাঁড়িয়ে থাকি আলতো জলের উপরে-
প্রাণভরে দেখে নেই একটি নির্জন দ্বীপ।
রাত্রির আঁধারে -
জলের বুকে লাফিয়ে চলা ঈষৎ উচ্ছল রূপালী আলো;
এখানে যেন একদম স্থির শান্ত - নারীর স্পন্দনের মত।
নীরবতার সে এক অন্য মাত্রা,
কানের শিরা-উপশিরায় বয়ে চলে শান্ত শীতল জলজ প্রবাহ;
সামুদ্রিক ঢেউ যেন কানের একপ্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে-
একান্ত নীরবে চুপিসারে আছড়ে পরে কানের গহীন ভেতরে।

তার পূর্বে গোধূলির প্রাক্বালে-
দিগন্ত পার হয়ে যাওয়া মাঠ জিরিয়ে নেয় এই এখানে -
এই নির্জন দ্বীপে এসে।
অবাধ্য পর্বত-সম ঢেউ ভিজিয়ে দিয়ে যায় চুনোপাথরের দেয়াল,
জলস্রোতের তোড়ে নুড়ি পাথরেরা এগিয়ে চলে দক্ষিণা গাংচিলের পথ ধরে;
চোখের পাতা বন্ধ করো,
পলকের মধ্যে দেখতে পাবে বড্ড অদ্ভুত - সে এক অনন্য মুহূর্ত !

অতিদূর সাগরে জাহাজের মাস্তুল দেখে মনে হয়
যেন প্লাবিত বীজতলায় উঁকি দিচ্ছে সবুজ বীজপত্র;
যতদূর চোখ যায়--
দেখা যায় একটি অসম্পূর্ণ - অর্ধপূর্ণ দৃশ্য;
উদাসীন যুবক এসো পরিপূর্ণ করো-
এসো মুখ লুকাও আমার জলমগ্ন ভূখণ্ডে-
ঠিক যেভাবে চিড় ধরা মাঠে ঘুরে বেড়ায় গ্রীষ্মের জল-
মেঘেরা লুকায় মুখ সাগরের পোতাশ্রয়ে।



কবিতাটি W. H. Auden এর On this Island থেকে কিছুটা অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছি।

W. H. Auden - On this Island

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।

আমার পোস্ট পড়ুন

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! অপূর্ব।

" উদাসীন যুবক এসো পরিপূর্ণ কর -
এসো মুখ লুকাও আমার জলমগ্ন ভূখন্ডে -
ঠিক যেভাবে চিড় ধরা মাঠে ঘুরে বেড়ায় গ্রীষ্মের জল -
মেঘেরা লুকায় মুখ সাগরের পোতাশ্রয়ে। "

কবির কল্পনার আল্পনায় রইল একরাশ মুগ্ধতা ।

শুভকামনা নিরন্তর।


০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা প্রিয় পদাতিক চৌধুরি ভাই

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৯

বলেছেন: স্যার,
অসম্ভব সুন্দর সৃষ্টি।
কবিতার চার নম্বর স্তবক টি একটু দেখবেন।
প্রাণভরে দেখে নেই একটি নির্জন ------

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: চার নম্বর স্তবকে কি ভেবে দেখতে বলছেন, একটু স্পষ্ট করে বললে হয়ত ভেবে দেখতে পারতাম।
ধন্যবাদ মিঃ ল

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০০

কল্পদ্রুম বলেছেন: নিগূঢ় ভাষী কবিতা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা কল্পদ্রুম ।
নিগূঢ় ভাষা বুঝেছেন জ্ঞান করি।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: উদাসী যুবক তাহলে ছোটখাট একটা শান্ত , নির্জন দ্বীপের জলমগ্নতায় !!
বেশ লেখা ; ছিমছাম সুন্দর।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

জাহিদ অনিক বলেছেন: উদাসী যুবকের নানান অজুহাত জলের বুকে যাওয়ার-- নিজেকে জলাঞ্জলি দিতে।
কবিদের মন্তব্য পেলে ভালো লাগে।
কৃতজ্ঞতা কবি।

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১১

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ সনেট কবি

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২১

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: সুন্দর

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ এস এম ইসমাঈল

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
আপনি আমার প্রিয় কবি।
কিন্তু কথা হচ্ছে রাতে ঘুমান না। সারারাত জেগে থাকেন।
আসলে আপনি জেগে থাকেন না। জেগে থাকতে চান না। কিন্তু ঘুমই আসে না।
ডাক্তার দেখান।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনি ঠিক ধরেছেন রাজীব ভাই। আমার রাতে ঘুমাতে ঘুম ইচ্ছে করে। যেদিন লেবার ইউনিয়নের শ্রমিকদের মত কাজ করি সেদিন ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে যাই।
যেদিন কাজ কম করা হয়- সেদিন রাতে ঘুম আসে না। ঘুম আসার জন্য দৈহিক ক্লান্তি একটা বড় নিয়ামক।

ধন্যবাদ

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: শুরুতে একটু থমকে ছিলাম। তারপর পুরো কবিতা পড়লাম। খুব ভালো হয়েছে। শেষে দেখলাম আমার প্রিয় কবি অডেনের নাম। অডেন-এ অনুপ্রাণিত হয়েছেন জেনে খুশি হয়েছি। ++

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ ঋতো আহমেদ-
ওডেন সহ বেশ কিছু কবির কবিতা পড়ছি টুকটাক।
আমার মনে হয় বাঙালী কবিদের ইংরেজী কবিতাগুলো পড়া উচিত। আফসোস ওরা আমাদের বাংলা কবিতাগুলো পাড়তে পায় না।

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনুসরণ করতে গিয়ে মাঝ পথে হারিয়ে গিয়ে, ঠিকানাহীন যাত্রা

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জনাব। এরপর পথ হারানোর সময় আপনার কথা স্মরণ করব।

১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
সবসময়ে পাশে থেকে যাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন সুমন দা !
শুভেচ্ছান্তে

১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার অনুভবে মুগ্ধ হয়েছি! অনুবাদ যথেষ্ট প্রাণবন্ত!! অভিনন্দন!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
শুভেচ্ছা হে জলের কবি
কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

রাকু হাসান বলেছেন: বাহ ঝলমলে একটি কবিতার সন্ধান পেলাম । আগের ইংরেজি কবিতাও খুব ভাল ছিল । ।এ অনুবাদ ও চমৎকার ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:
রাকু হাসান - কবিতাটি পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্যে ভালোলাগা ও ভালোবাসা রইলো। শুভেচ্ছান্তে

১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবচেয়ে বিপত্তি ঘটে গেছে অডেনের কবিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখার কথা বলে। ফলে হয়েছে কী, একবার আপনার কবিতা, আরেকবার মূল কবিতায় চোখ চলে যায়। কেউ বলে না দিলে বোঝার উপায় নেই আপনার কবিতার সাথে মূল কবিতার সম্পর্ক আছে। 'অনুপ্রাণিত' লেখার আরো বিড়ম্বনা হলো পাঠক ধরে নেবেন যে আপনি বঙ্গানুবাদ করেছেন, এবং আপনার কবিতা মূল কবিতাকে ছাড়িয়ে গেলেও আপনি শুধু অনুবাদের কৃতিত্বটুকুই পাবেন। এখানে আপনার মৌলিকত্ব খোঁজা হবে না, এবং এর জন্য যে মেধা এবং শ্রম দিয়েছেন আপনি তা থেকে বঞ্চিত হবেন, এবং ক্রেডিট চলে যাবে মূল কবির ফান্ডে :(

কবিতাটা অসাধারণ হয়েছে। আপনার স্টাইল সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত বলেই আমি জানি এই কবিতায় আপনি আপনার শতভাগ স্বকীয়তা এমনভাবে বজায় রেখেছেন যে এটাকে আদৌ অনূদিত কবিতা মনে হয় নি। উপরে ঋতো আহমেদ আছেন, তাঁর অনুবাদ পড়েও আমি ঠিক এই কথাটিই বলেছিলাম। আমি বরাবরই আপনার কবিতার ভক্ত, এবং এটাতেও মুগ্ধতা গাঢ়তর হলো।

শব্দচয়ন, বাক্য নির্মাণ, উপমা প্রয়োগে সম্পূর্ণ 'অনিকীয়তা' এবং নতুনত্বে ভরপর।

দাঁড়িয়ে থাকি আলতো জলের উপরে। আমরা সচরাচর জলে বা পানিতে দাঁড়িয়ে থাকি বা ডুবে থাকি, এভাবে লিখি, কিন্তু 'জলের উপরে' লেখা কেবল আপনাকেই সাজে

জলের উপর লাফিয়ে চলা ঈষৎ উচ্ছল রুপালি আলো অদ্ভুত সুন্দর করে লিখেছেন কথাটা। যারা রাতের বেলা চাঁদের আলোয় পানিতে ঢেউ দেখেছে, তাদের কাছে ই চিত্রটি খুব পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠবে। 'শ্রীকান্ত ২য় পর্বে' শ্রীকান্তের জাহাজ যখন সমুদ্রে সাইক্লোনের কবলে পড়ে রাতের বেলা, শরৎচন্দ্র সেই রাতের সমুদ্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে এরকম কিছু কথা লিখেছেন।

নারীর স্পন্দনের মতো আপনি বলুন যে ভুল করে 'নাড়ি/নাড়ী' লিখতে গিয়ে নারী লিখে ফেলেছেন। কারণ, আমি 'নারীর স্পন্দন' কথাটা একান্তই আমার করে নিয়ে যেতে চাই। ভুল শব্দও যে দারুণ একটা শব্দবন্দ তৈরি করতে পারে, তা ভেবে আমি বিস্মিত।

কানের শিরা-উপশিরায় বয়ে চলা শান্ত শীতল জলজ প্রবাহ
একান্ত নীরবে চুপিসারে আছড়ে পড়ে কানের গহিন ভেতরে
মনে হলো, আমি কোনো এক সন্ধ্যায় সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে আছি, শান্ত শীতল জলে ভেজা ঝিরঝিরে বাতাস একেবারে আমার কানের পাশ দিয়ে বয়ে গেলো। এই লাইন দুটো দারুণ একটা অনুভূতি দিয়ে গেলো।

এবার কবিতার ভাব নিয়ে কিছু বলি। শুরুতেই মনে হয়, হয় কবি কোনো এক সেকেন্ড পার্সনকে, অথবা কোনো এক সেকেন্ড পার্সন স্বয়ং কবিকে আহ্বান জানাচ্ছে জলের মোহনায় হারিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা দুজনেই এই জলের মোহনায় হারিয়ে যেতে চায়। এই জলের মোহনায় কী কী অনুভূতি লাভ করা যাবে, কী কী অভিজ্ঞতা হবে, সেইসবের বিবৃতি দিচ্ছেন কবি। কিন্তু একেবারে শেষে এসে দেখা যায়, কোনো এক জলমগ্ন দ্বীপ কোনো এক উদাসীন যুবককে আহ্বান জানাচ্ছে তার বুকে মুখ লুকানোর জন্য। এই লম্বা কথাটা বললাম এটা বোঝানোর জন্য যে, এখানে একটু ত্রুটি মনে হয়েছে আমার কাছে। এখানে উত্তম পুরুষ কে- কবি, নাকি জলমগ্ন দ্বীপ? সেটা স্থির করে নিয়ে কথাগুলো পুনরায় সাজানোর প্রয়োজন আছে কিনা ভেবে দেখুন।

দিগন্ত পার হয়ে যাওয়া মাঠ জিরিয়ে নেয় এই এখানে একটা মাঠের অসাধারণ এক উপমা বা বর্ণনা। ভাবতে গেলেই মন উদাস হয়ে যায়, এমন একটা মাঠ যেটি দিগন্ত পার হয়ে যেতে যেতে এক জায়গায় ক্লান্ত হয়ে জিরিয়ে নিচ্ছে। অদ্ভুত আপনার কল্পনা শক্তি।

অতিদূর সাগরে জাহাজের মাস্তুল দেখে 'বনলতা সেন' দ্বারা মনে হয় প্রভাবিত হয়েছেন- অতিদূর সমুদ্রের পর যে নাবিক হারায়েছে দিশ...

যেন প্লাবিত বীজতলায় উঁকি দিচ্ছে সবুজ বীজপত্র এটাও অসাধারণ। ধানের বীজতলাটা একদম চোখের সামনে ভেসে উঠলো।

এসো মুখ লুকাও আমার জলমগ্ন ভূখণ্ডে
ঠিক যেভাবে চির ধরা মাঠে ঘুরে বেড়ায় গ্রীষ্মের জল
চৌচির হয়ে যাওয়া মাঠের উপর নতুন বর্ষার পানি /বৃষ্টির পানি যেভাবে কুলকুল করে (কলকল নয়) ঢুকে যায়, তা আমি স্বচক্ষে দেখেছি বলে এটাও আমার চোখে ভেসে উঠলো।

আপনার কবিতা এই ব্লগের সম্পদ। ব্লগের সাহিত্যমান নির্ণয়ের জন্য আপনার কবিতা বিচার্য হবে। আমার মনে পড়ে, দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৬'র দিকে একাব্র ব্লগে এসে একটা হৈচৈ পোস্ট দিয়েছিলাম এবং লিখেছিলাম ব্লগে কবিতা লেখেন একজন - জাহিদ অনিক :) কথাটা পক্ষপাতদুষ্ট মনে হতে পারে, কিন্তু আমি যাঁদের কবিতা নিয়মিত পড়ি, আপনি নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে সেরা।

যতখানি সময় নিয়ে এতগুলো কথা লিখলাম, সেই সময়ে আমি হয়ত আমার নিজের জন্য এ মৌলিক কিছু লিখে ফেলতে পারতাম। তা না করে আপনার জন্য যে শ্রম দিলাম, এটা আপনার পাওনা। আপনি নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলেছেন। আপনার সবচাইতে বড়ো গুণ, আপনি সমালোচনা গ্রহণ করেন, তা থেকে নিজেকে ইম্প্রুভ করেন।

শুভেচ্ছা রইল।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন:






একটু আগে বাসে করে বাসায় ফিরতে ফিরতে আপনার মন্তব্যটা মোবাইল থেকে দেখেছি। বাসে বসেই কয়েকবার পড়েছি। পড়েছি আর ভেবেছি --------- হায় ঈশ্বর ! আমি এর প্রতিমন্তব্যে কি লিখব ? কি লিখব ?
হঠাত বাস জ্যামে আটকে গেল, সবাই জ্যামে বসে গজগজ করতে লাগলো। আমার পাশে বসা লোকটিকে বললাম,
ভাই- আপনাকে আমার আজকের কবিতায় লেখা একটা মন্তব্য পড়ে শুনাই ?
সে তাচ্ছিল্যভরে বললো, শুনাবেন ? শুনান !
আমি ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তাকে আপনার মন্তব্যটা শুনালাম---- সে শুনল। আমি তৃপ্তি পেলাম। জ্যাম ছেড়ে দিল-- আমি চলে এলাম বাসার কাছাকাছি।
বাস থেকে নেমে এক বন্ধুর সাথে দেখা হলো- তাকে বললাম দোস্ত চল তোকে চা বিড়ি খাওয়াই- আজ তুই যা ইচ্ছে খা। বিল আমার।
আমরা চা নিলাম। সিগারেট নিলাম। অনেকদিন বাদে এক একটা সম্পূর্ণ সিগারেট খেলাম। তারপর ঐ বন্ধুটিকে বললাম, আয় তোকে আমার আজকের কবিতার একটা মন্তব্য পড়ে শোনাই--
সিগারেটের ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে সে বললো-- শোনা কি শোনাবি?
আমি তাকে আপনার মন্তব্যটা পড়ে শুনালাম।
আমরা চা সিগারেট খেয়ে সাত হাজার বাহান্ন টাকা বিল উঠালাম। পকেটে ক্যাশ ছিল না। ডেবিট কার্ড ছিল। বুথে গেলাম টাকা তুলতে- বুথের সিকোরিটি গার্ডকে বললাম,
- ভাই তুমি কবিতা পড়ো ?
সে আমার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।
আমি তাকে বললাম, ঠিক আছে কবিতা না পড়লেও বিশেষ কোন সমস্যা নেই্‌। আসো তোমাকে আমার আজকের কবিতার একটা মন্তব্য পড়ে শোনাই------- তাকে শুনালাম। সে মুগ্ধ হয়ে শুনল।
আমি রেস্টুরেন্টে বিল দিয়ে একটা রিক্সায় উঠলাম। রিক্সা চলছে ধীরে ধীরে -----
রিক্সাওয়ালাকে বললাম, ভাই আপনি রবীন্দ্রনাথকে চিনেন ?
সে জানালো যে, সে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়েছে তাই সে রবীন্দনাথ নামের দাড়ি ওয়ালা এক বুড়ো লোকের নাম শুনেছে ও ছবি দেখেছে।
বললাম, ব্যাস ! এই টুকুই যথেষ্ট। আসো তোমাকে একটা কবিতার মন্তব্য পড়ে শোনাই-------------


বাসায় এলাম। প্লেট ধুয়ে ভাত নিলাম। লাউ শাক আর ডাল। সাথে রুই মাছের মাথা। রুই মাছের মাথার দিকে তাকিয়ে বললাম,
আয় মুড়ো মাছ তোকে একটা মন্তব্য শোনাই -----------------------------


১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: উপরে সোনা ভাইয়ের হীরের মন্তব্য দেখে আমার মন্তব্য করার শখ মিটে গেছে কবিবর। :P

তার আগে বলুন, কোন সে নারী যাঁর স্পন্দন শান্ত-অচঞ্চল? ;)

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:

হুম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্ম
সোনাবীজ ভাই আজ মন্তব্যের সিন্ডিকেট নিয়ে বসেছেন। সব মন্তব্য উনি একাই কেড়ে নিয়েছেন।
শুভেচ্ছাতে প্রিয়

১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৪

নীলপরি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন । ++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: কবি, আপনার দেখা পেয়ে ভালো লাগলো।
মন্তব্য ও প্লাসে কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে

১৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দারুণ কবিতা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জুনায়েদ বি রাহমান

১৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:০৮

নষ্টজীবন® বলেছেন: বড়ই সৌভাগ্য আমার এত সুন্দর একটা কবিতা পড়ে ব্লগের পদচারনা শুরু করতে পেরে।
খুবই সুন্দর গোছানো কথামালা, ভালো লাগলো খুব।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নষ্টজীবন®
আপনার ব্লগযাত্রা শুভ হোক।

১৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম, খুব সুন্দর কবিতা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ভাই

২০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

শিখা রহমান বলেছেন: শোন কবি!! এমন কবিতা পড়লে ঘোর লাগে।

কবিতাটা পড়লেই চারপাশে জলের শব্দ, নির্জন দ্বীপ!! কবিতাটা অন্য কোথাও নিয়ে যায়। এমন কবিতা ধরা যায় না, শুধু ছোঁয়া যায়। মেঘের মতো ছায়াময়, জোছনার মতো মায়াময় একটা কবিতা।

তোমার যে কয়টা কবিতা পড়েছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে মাতাল করেছে।

ভালো থেকো প্রিয় কবি। একরাশ ভালোলাগা আর মুগ্ধতা!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বাহ ! শিখা আপু-------------
আপনার থেকে এমন মন্তব্য পেলে উৎসাহ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আপনি আপনার কবিতায় সব সময়ে একটা নিজস্ব ধাঁচ ও মায়া ধরে রাখেন। সেটা আপনার স্বকীয়তা। সেগুলো পড়ে আমাদের মধ্যে অর্থাৎ যারা পাঠক তাদের কিছুটা ঘোর লাগে।
আজ আপনার মন্তব্যে সেই স্বাদ পেলাম যেটা আপনার কবিতা পড়লে পাওয়া যায়।

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন শিখা আপু।

২১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,



পড়তে পড়তে ভাবছিলুম , লেখাটি ঠিক যেন অনিকের নয় , কিছুটা অন্য রকমের। শেষের স্তবকে দেখি , না.. অনিকের স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে । ইংরেজ কবির লেখা দেখে অনুপ্রানিত হয়ে লিখছেন তা দেখলুম শেষে এসে । তখন মনে হলো , এ কারনেই শুরু থেকেই কেমন কেমন যেন লাগছিলো ।
মন্তব্য পড়তে গিয়ে দেখি, সোনাবীজ আমার কথাটিই যেন বলে গেলেন ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস
আপনার মন্তব্যে পেয়ে এই পোষ্ট তথা কবিতাটি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছে, সেই সাথে আমিও। '
আপনার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম।
এই যে, আপনার কেমন কেমন লাগছিল-- আপনি বুঝেছেন এটা আমার ঠিক নয়-- আমার ঠিক নয়------- এইতো আমার পরম পাওয়া।

সোনাবীজ ভাইয়া সত্যিই আমাকে অবাক করে দিয়ে চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন।
কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা

২২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ! এ কবিতাটা তোমার অন্যান্য কবিতা থেকে একটু অন্যরকম৷ শুভ কামনা রইল কবি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

দুইবার অসাধারণ বলিয়া আশ্চর্যবোধক চিহ্ন সহযোগে মন্তব্য করিয়া আমাকে ধন্য ও অনুপ্রাণিত করিলেন হে দার্শনিক কবি।
এক আঁটি ধইন্যা পাতা বরাদ্দ হইলো আপনার জন্য।
শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.