নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেসব কথা এই সামু ব্লগে লিখতে পারি না নানা কারনে- সেসব কথা আমার পার্সোনাল জার্নাল ব্লগে লিখি -- https://journalofjahid.com/

জাহিদ অনিক

ভালোবাসি কবি ও কবিতাকে

জাহিদ অনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ জাতিসংঘেও পাঠাতে পারবো একটা স্মারক চিঠি

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৬



হৃদয়ে আবার কাঁপন - একটা ঠিকানার কি এক তৃষ্ণায়
মনে হয় আবার এসেছে ফিরে আরেক শীতকাল;
পশ্চিম আফ্রিকার সব তাপমাত্রা নিজের মধ্যে টেনে নিয়ে আমি কি এক প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছি নিজের ভেতরের রক্ত প্রবাহকে কিছুটা উষ্ণ রাখতে! তবু কেন যেন ঠাণ্ডায় আমার ভেতরের সাদা মেরু ভালুকটা কেমন যেন নিজের শেষ নিঃশ্বাস গুলো টানছিলো।

ওদিকে আন্তর্জাতিক উষ্ণতা কমিটির কাছে চিঠি লিখে একটু বেঁচে থাকবার জন্য আগুন, দেশলাই আর রসদ চাইবো বলে লিখতে গিয়ে দেখলাম আমার আসলে অনেকদিন ধরে কোনও পেন্সিল নেই, কাগজ নেই। জমানো রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত চিঠিপত্র, আন্তর্জাতিক স্মারক ও ফরমান যাকিছু ছিলো- সেগুলো পুড়িয়েই এই শেষ ক'টা মাস নিভু নিভু আঁচে বেঁচে আছি। সে চুল্লির আগুনটা আরেকটু ঠেলে দিতে অথবা আরও একটুকরা গোল কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতেই বোধয় পেন্সিলটাও খোয়া গেছে। যাক সে কথা- কত আগের মনেও নেই।

হিম ঠাণ্ডা শীতলতায় আর মানুষের নির্লিপ্ততায় যেভাবেই হোক- মরে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে মনে হয়েছিল যেন একবার বেঁচে উঠতে পারছি। যেন একবার আবার হাতের আঙ্গুলে রক্তপ্রবাহ বইছে, যেন আবার একবার একটা শেষ চিঠি লিখে যেতে পারবো; এমনই একটা আশ্বাস জানিয়েছিলো মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের সমস্ত প্রকোষ্ঠ। মনে হয়েছিল দুই হাতের কব্জি থেকে, বাহুর শিরা ধমনী থেকে, স্নায়ু থেকে তুমুল বেগে জলোচ্ছ্বাসের মতন বয়ে আসছে রক্ত।

আজ মনে হচ্ছে আমার কোনও দ্বিধা নেই, কোনও সঙ্কোচ নেই; কারও আসবার অথবা যাবার অপেক্ষা নেই। নিজের এত তুমুল রক্তপ্রবাহের উত্তেজনার মধ্যেও নিজেকেই যেন নিজের সবচেয়ে কাছের নির্লিপ্ত মানুষ বলে মনে হচ্ছে; এই প্রথম যেন মানুষের মুমূর্ষু অবস্থায় কোনও মানুষের ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা আর নির্লিপ্ততা ভালো লাগতে শুরু করলো।

ভালোলাগার এই রেশ কেটে যাওয়ার আগেই মনে হলো আমার প্রায় সাড়ে তিন হাজার চিঠি লেখা বাকী। স্মারক চিঠি, জাতীয় চিঠি, আন্তর্জাতিক চিঠি, ব্যক্তি মালিকানায় চিঠি, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি, ব্যক্তিগত চিঠি আর নৈর্ব্যক্তিক চিঠি; অনেক চিঠিই লিখতে হবে এই অচেনা, চেনা ও অজানা মানুষের ঠিকানায়। যে চিঠি লিখবার আকাঙ্ক্ষা পুষে রেখেছি মনের মধ্যে অথচ কিসের এক সাহসের অভাবে লিখে উঠতে পারিনি সে চিঠি- কিংবা লিখে ফেলতে পারলেও যে অজানা ভয়ে পাঠাতে পারিনি, আজ মনে হচ্ছে সে ভয় নেই, একদম নেই। মনে হচ্ছে আজ শুধু ব্যক্তিগত মানুষ পর্যায়ে নয়, আজ যেন নিজের সব কথা লিখে জাতিসংঘেও পাঠাতে পারবো একটা স্মারক চিঠি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫১

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ফিচার ভেবে পড়তে শুরু করে, কাব্যের মোহে ভেসে গেলাম।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

জাহিদ অনিক বলেছেন: বেশ তো! ফিচার, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা, কাব্য - যেভাবেই পড়ুন। ফিচার পড়তে পড়তে কাব্য যদি এসে যায়, কিংবা কাব্য যদি ফিচার হয়ে যায়- যাক না।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




চিঠিতো সেইরকম হয়েছে অনি।
এখন দেখতে হবে কি উত্তর আসে, সেটাও যেনো শেয়ার করবে আমাদের সাথে।


২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: এখন দেখতে হবে কি উত্তর আসে, সেটাও যেনো শেয়ার করবে আমাদের সাথে।
আসবে না তো এই চিঠির উত্তর। কেউ যে লিখতে চাইছে না এমনটা না। হয়ত কেউ একজন ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে উত্তর লিখতে চাইছে, আবার কেউ হয়ত মানবাধিকার সংস্থা অথবা খোদ জাতিসঙ্ঘ থেকেই কোনও এক রাষ্ট্রদূত হয়ত লিখতে চাইছে --
কিন্তু হয়ত কী লিখবে - কেউ হয়ত জানেই না।


অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডল - মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো!

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল নজরুলের 'ব্যথার দান' পড়ছি। ফ্রি-ভার্স-এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো 'ব্যথার দান'।

আপনার লেখাটা হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।

শুভেচ্ছা রইল।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে ভীষণই আপ্লুত হয়েছি, আমার এই লেখা আপনাকে নজরুলের 'ব্যথার দান' মনে করিয়ে দিলো।
মুক্তগদ্য অথবা ফ্রি-ভার্স এর কথা যদি কিছুটা বলি- একজন কবি বোধয় লেখার সময় বুঝতে পারেন না যে তিনি মুক্তগদ্য লিখছেন নাকি স্রেফ গদ্য লিখছেন-- মূলত তিনি নিজের ভাবাবেগ প্রকাশ করতে শুধু নিজের মনের মত লিখে যান। পরে সেটা সাহিত্যের, আইনের, কানুনের কোনও না কোনও এক ধারায় পড়ে যায়। এগুলো অবশ্যই আপনি নিজেন জানেন ভাইয়ায় --- তবুও লেখা ্‌ অকারণেই


আমার লেখাটা হৃদয়গ্রাহী হয়েছে জেনে ও বুঝতে পেরেছে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছে। ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০১

সোনাগাজী বলেছেন:



শীতকালের মরাখালে বসন্তের বরফগলা পানির বন্যা

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন: হ্যাঁ সে তো সত্যবচন। আপনার এই কথাটা কাব্যিক হয়েছে- সেটা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।


ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা রইলো গাজীসাহেব।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: কবিরা গদ্য লিখলেও পদ্য হয়ে যায়। হয় আবেগের ছড়াছড়ি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: আহা! আপনার মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো।

এ কথা সত্য, কবিরা গদ্য লিখলেও সেটা পদ্য হয়ে যায়। যেতে হয় আসলে। একজন কবি লিখতে গেলে তাঁর মস্তিষ্কের মধ্যে লেখালেখির মধ্যে যে প্যাটার্ণ আছে, সেটা কাব্যিকভাবে লেখাগুলোকে বের করতে চায়। ঐটা তাঁর কমফর্ট জোন। এর জোনের মধ্যে তাঁর লেখালেখিগুলো কিছুটা হলেও পূর্নতা পায়, একটু আরাম পায়। এই জন্য বোধয় গদ্যের মধ্যেও পদ্যের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।


অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা রইলো রাজীব ভাই!

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

মিথমেকার বলেছেন: চিঠি শব্দটা কেন জানি মরে যাচ্ছে, হরহামেশা শোনা বা পড়া হয়না। আপনার চিঠি গুলো ঠিক ঠিকানায় পৌঁছাক, চিঠির উত্তর চিঠিতেই পান এটাই কামনা করি।

কিছুদিন আগে একজনকে চিঠি দিতে ডাকঘরে গিয়েছিলাম। সেখানে সরকারি হলুদ খাম ছিল না, ওটা নাকি বহুদিন থেকেই নেই। বললাম এখন খাম কোথায় পাব? বলল পাশের ক্যান্টিনে পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে পাঁচ টাকা দিয়ে একটি বাঁশপাতার কাগজের খাম কিনলাম, কেমন জানি সমমন জারি-কোর্টকাছারিড় ভাব আছে খামটায়। ১০ টাকার একটি ডাকটিকিট সেই খামের ওপর লাগিয়ে জমা দিলাম। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর এখনও পাইনি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: চিঠি এখন মরে যাচ্ছে- সত্য অনস্বীকার্য। এই যুগে এসে চিঠির প্রচলন নেই, তবে আবেদন হয়ত আছে কোথাও না কোথাও। এখন আবার ইলেকট্রনিক মেইল এসে ভাগ বসিয়েছে চিঠির জায়গায়।

কেমন জানি সমমন জারি-কোর্টকাছারিড় ভাব আছে খামটায় চমৎকার বলেছেন। হ্যাঁ এমন একটা ভাব আছে। চিঠি দিলে যেন কেউ ঐ খামেই দেয়।

যাইহোক; আপনার পাঠানো হলুদ খাম খুঁজে পাক ঠিকানা, কেয়া পাতায় নৌকা ভাসানোর মত সে যেন হারিয়ে যা যায় বেঠিকানায়।

সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মিথমেকার !!

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

শায়মা বলেছেন: সেই সকল কাব্যিক চিঠিগুলি আমাদেরকে পড়িও ভাইয়ু!!!!! :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: আচ্ছা, তারমানে এটাকেও তুমি সেরকম একটা কাব্যিক চিঠি বলেই স্বীকৃতি দিচ্ছি। B-)

সেই চিঠিগুলো যদি পড়তে দিতে চাই, তাহলে সমস্যা একটাই- আমাকে ব্যাপারটা নিয়ে সিরিয়াস লেভেলের ধারাবিক হতে হবে। উহাতে আমি একদম ভালো না। :D

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

শায়মা বলেছেন: তুমি সিরিয়াস!
তোমার কাজেও একনিষ্ঠ!

তবে কবিতা বা লেখালিখি নিয়ে একটু উদাসী আছো! :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: জীবনে অনেক কিছু নিয়েই সিরিয়াস হয়েছিলাম- দেখা গেছে যে, যেসব নিয়ে খুব সিসিয়াস হয়েছিলাম সেগুলোই সবার আগে নিঃশেষ হয়ে গেছে। আর যেগুলো হেলাফেলা করে করেছিলাম, সেগুলোই এখনো রয়ে গেছে।
কবিতার ব্যাপারটা অনেকটা সতর্কতারসাথে সতর্কহীন থাকা।

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

মিথমেকার বলেছেন: এএ কবি বেশ কিছুদিন থেকে পোস্ট-টোস্ট নাই কেন?? কাব্যিক মানববন্ধন করা লাগবে নাকি নতুন পোস্ট এর জন্য!

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: হাই মিথমেকার, কেমন আছেন? আশা করছি ভালো আছেন।

না না কোনো কাব্যিক মানববন্ধন এর দরকার নেই আপাতত-
ফিরে এসেছি!

কেউ খোঁজ করে গেছেন দেখে ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা ও প্রীতি রইলো

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

মিথমেকার বলেছেন: ভালোই আছি কবি।
আপনি কেমন আছেন?

২৬ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: মিথমেকার

অনেকটা দিন দেরী করে এলাম মন্তব্যের জবাব দিতে।
হ্যাঁ আমিও আপনার মতই ই-প্রত্যয় যোগে ভালোই আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.