নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকার আজীবন রাজাকারই থেকে যায় কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কখনো কখনো ............

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

ইদানিং খালি ছোট বেলায় দেখা বাংলা সিনেমার কথা পড়ছে। ছোট বেলায় বাংলা ছবিতে খুব কমন একটা ব্যাপার ছিলো স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়া। নায়ক,নায়িকা অথবা তাদের পিতা,মাতা অথবা বড় ভাই টাইয়ের স্মৃতি শক্তি হারিয়ে যেতো।তারপর সে তার পরিচিত কাউকে চিনতো না।তার স্বজনরা কেদে কেদে ডাকলেও কাজ হতো না।নায়িকা সুরেলা গলায় ডাকলেও কাজ হতোনা।আর এই সুযোগে তাকে কাজে লাগাতো ভিলেনের দল।তখন আমরা দর্শকরা তার স্মৃতিশক্তি ফেরত দেয়ার জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতে থাকতাম।তারপর কোনো কিছুর সাথে মাথায় আঘাত পেলে কিংবা কেউ মাথায় বাড়ি দিলে সে তখন তার স্মৃতিশক্তি ফিরে পেয়ে তার ভাইকে দেখে ডাক ভাঙতো -ভাইয়াআআআআআআ....... বলে।
তারপর ভিলেনের দিকে ঘুরেই বলতো- শয়তান তুই আমার বাবাকে মেরেছিস,আমার বোনকে নষ্ট করেছিস।আজ তোকে আমি ছাড়বোনা, ইয়াআআআআআআ.......।
আমরা দর্শকরা তখন তার স্মৃতিশক্তি ফিরে পাওয়ার আনন্দে হাত তালি দিতে থাকতাম।
যাইহোক এখন বাংলা ছবিতে এসব দেখা যায় কিনা জানিনা।তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এখন এসব।
১৬ ই ডিসেম্বরের দিন দেখলাম কিছু মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন।অত:পর তারা সবকিছু ভুলে গিয়ে রাজাকার পুত্র'র সাথে ফ্রেন্ডশিপ ডে(তাদের ঐটাকে বিজয় দিবস উদযাপন বলতে আমার ঘেন্না লাগে) পালন করলেন।কি আনন্দ করে তারা তাদের রাজাকার পুত্র বন্ধুটির নিকট থেকে পুরষ্কার নিলেন।আমরা শুধু দেখলাম আর তাদের ডাকলাম আর হায় হায় করলাম।আর তারা বাংলা ছবির মতো আমাদের সকলের ডাকাডাকি উপেক্ষা করে রাজাকার পূত্রের সাথে হাসাহাসি করতে লাগলেন।এরপরতো সেই মাহেন্দ্রক্ষন হওয়ার কথা।বাংলা সিনেমা অনুযায়ী এরপরইতো মাথায় আঘাত পেয়ে স্মৃতিশক্তি ফেরার কথা।কিন্তু বাস্তবতো বার বাংলা ছবি না।তাই ঠিক এখানেই বাংলা সিনেমার সাথে মিল নেই প্রেক্ষাপটের।বাংলাছবিতে মাথায় আঘাত পেলে স্মৃতি ফিরে এলেও এদের আসবেনা।কেননা সিনেমাতো সিনেমাই।এদের আঘাত পেতে হবে বিবেকে।কিন্তু এদের বিবেকে বাড়ি দেবে কে?
এদের নিয়ে লিখতে বসে আমি পড়েছি মহাজ্বালায়।
এদের না পরছি দুটো ছেড়ে কথা বলতে।কেননা এদের আত্মত্যাগের ইতিহাস তারা ভুললেও আমরা ভুলি নাই।
এদের না পারছি চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতে।কেননা এদের কাছে আমরা ঋনী।সেটা তারা ভুলে গেলেও আমরা ভুলিবো কেন?আমরাতো আর তাদের মত বিবেক বুদ্ধি চকবাজারে পানির দামে বিকিয়ে দেইনি।
এদের না পারছি কোনো কিছু বলতে।কেননা এরা জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান।তারা নিজেরা নিজেদের মূল্যায়ন করার ক্ষমতা হারালেও আমরাতো হারাইনি।
তবে তাদের ধন্যবাদ যে অনেক দিন পরে আমরা তাদের কল্যানে অবাক হওয়ার শক্তি ফিরে পেয়েছি।কেননা এদেশে অবাক হওয়ার মতো ঘটনা হরহামেশা দেখতে দেখতে অনেক আগেই অবাক হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম আমরা।আর তাই জনগনের ভোটে রাজাকার বা রাজাকারপুত্র জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে শুনেও অবাক হইনি।কেননা এর আগেও এদেশে এমন হয়েছে।প্রশাসন রাজাকার পুত্রকে সম্মাননা পুরষ্কার দিয়েছে শুনে অবাক হইনি।কেননা এটা এদেশে মামুলী ব্যাপার।আওয়ামিলীগ নেতা রাজাকার পূত্রকে সাথে নিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে শুনেও অবাক হইনি।কেননা এরকম হরহামেশাই ঘটছে।তবে যখন শুনেছি মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারপুত্রকে সাথে নিয়ে...... করেছে(আমার বলতেও লজ্জা হয়) তখন সত্যিই অবাক হয়েছি।শুধু অবাক না নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।তাদের একসাথে ছবি দেখেও চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলামনা।তবুও বিশ্বাস করতে হয়েছে। কেননা সবই তার লীলা।তিনি সবই সম্ভব করতে পারেন।
তারপরেও বারে বারে মনে হয়, না,উনারা এটা করতে পারেননা।১৬ কোটি মানুষ যা খুশি তাই করলেও উনারা যা খুশী তাই করতে পারেননা। আমরা অন্তত উনাদের নিকট থেকে এমনটা আশা করতে পারিনা কখনোই।কেননা একমাত্র উনারাই আমাদের জীবনে রিয়েল হিরো।আমরা রুপকথার গল্প শুনে যতটা অবাক না হয়েছি তার চেয়ে বেশি অবাক হয়েছি এই দেশের জন্য তাদের দূর্ধর্ষভাবে লড়াই করার গল্প শুনে।তাদের তখন রবিন হুড মনে হয়েছে।হারকিউলিস মনে হয়েছে।গর্বে বুকটা ভরে উঠেছে এই রবিন হুডরা আমাদের দেশের সন্তান ভেবে।সেই থেকে রবিন হুড,রোবোকপ ভুলে এই মানুষগুলোকেই সুপার হিরো জেনেছি আমরা।
আজ সেই সুপারহিরোদের এহেন কর্মকান্ড দেখে একটা কথা বলতেই হচ্ছে আমাকে-
"রাজাকার আজীবন রাজাকারই থেকে যায়।
কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কখনো কখনো রাজাকার হয়ে যায়".

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখায় তেমন গুরুত্বপুর্ণ কিছু থাকে না; ফলে, বুঝতে পারিনি, কি বলতে চেয়েছেন; কোথাকার কি ধরণের মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বলছেন; আপনি কি মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছেন, নাকি ভুয়াদের নিয়ে ব্যস্ত, কে জানে! আপনাকে তেমন সিরিয়াস বলে মনে হচ্ছে না।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: "এদের না পারছি কোনো কিছু বলতে।কেননা এরা জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান।তারা নিজেরা নিজেদের মূল্যায়ন করার ক্ষমতা হারালেও আমরাতো হারাইনি।"

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

""এদের না পারছি কোনো কিছু বলতে।কেননা এরা জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান।তারা নিজেরা নিজেদের মূল্যায়ন করার ক্ষমতা হারালেও আমরাতো হারাইনি।"

-বুঝা যাচ্ছে, আপনাের জানা মুক্তিযোদ্ধারা নিজকে মুল্যায়ন করার ক্ষমতা হারায়েছেন কোন কারণে; কিন্ত আপনি, বা আপনারা তো হারাননি; ভাবার বিষয়, আপনি বা, আপনারা কি ধরণের পদার্থ!

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১১

আল ইফরান বলেছেন: "রাজাকার আজীবন রাজাকারই থেকে যায়।
কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কখনো কখনো রাজাকার হয়ে যায়"

আজ বুঝলাম কেন আক্তারুজ্জামান সাহেব টকশোতে আরাফাতকে চড়াতে গিয়েছিলো .....

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

কানিজ রিনা বলেছেন: কখনও কখনও চোর ডাকাতের ছেলেও
ভাল হয়। আবার মওলানার ছেলেও লুচ্চা
হয়। দেশে যারা ছীলমারা রাজাকার তাদের
ছেলেরা দেশের কোনও ভাল কাজ করছে
কিনা সেটা দেখার বিষয়। এক মুক্তিযোদ্ধার
ছেলে যদি সন্ত্রাস হয় সেটাও দেখার বিষয়।

৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: রাজাকার আজীবন রাজাকারই থেকে যায়।
কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা কখনো কখনো রাজাকার হয়ে যায় যদি সে আওয়ামিলীগ না করে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.