নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি কোথায় পাবো তারে? আমার মনের মানুষ যে রে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১০

হুলুস্থুল রকমের প্রেম নিয়ে হাটছি আজকাল পুরো শহরজুড়ে। এক দন্ড কোথাও বসলে দু দন্ড পাক দিয়ে ওঠে আমার প্রেম।এক পা কোথাও হাটলে আমার ভিতরে তিন পা হাটা হাটি শুরু করে দেয় আমার প্রেম।না পেরে গগন হরকরার মতো আমারো বলতে ইচ্ছে করে-

'আমি কোথায় পাবো তারে?
আমার মনের মানুষ যে রে।'

আমার ভাগ্য বাংলা সিনেমার লটারী জেতা নায়কদের মতো এতোটা প্রসন্ন নয় বলে তাকে খুবই কম দেখার সৌভাগ্য হয় আমার।তাকে দেখলেও আমার ভিতর শুরু হয় বুক ফাটেতো মুখ ফোটেনাময় যন্ত্রনা।তার সাথে কথা বলতে পারিনা আমার নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবনের একমাত্র অবলম্বন ব্যাক্তিত্বের অবক্ষয়ের চরম মাত্রার ভয়ে।তার পানে তাকিয়েও থাকতে পারিনা তার কপালের ভাজে বিরক্তির বিচরন শুরু হওয়ার মুহুর্মুহু আশংকায়।অগত্যা তাকে দূর থেকে আড়চোখে দেখতে হয় আর ভিতরে ভিতরে আকাশ সসমান আকুপাকু করতে হয় আমাকে।তারপরও আমি যে জিনিসটা খেয়াল করেছি সেটা হলো,যতটুকু সময় আমি আমার চোখের চৌহদ্দিজুড়ে তার মাদকতাময় মৌ মৌ উপস্থিতি আবিষ্কার করি ঠিক ততটুকু সময়ই আমার ভিতর পুষে রাখা আহ্লাদী অনুভূতিগুলো উদ্বাহু নৃত্য করতে থাকে।যতটুকু সময় আমার আশেপাশে সে তার বিচরন অব্যাহত রাখে,ঠিক ততটুকু সময়ই আমার বুকের বা'পাশে কিছু আহ্লাদী সুখ শিরশির করতে থাকে।আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে থাকি উপস্থিতিতে আমি বুদ হয়ে থাকি তার অস্তিত্বে।

আমি তার কিছুই জানিনা।জানিনা তার নাম, জানিনা সে কোথা থেকে আসে, জানিনা সে কোথায় চলে যায়।শুধু জানি সে মাঝে মাঝে আসে এবং।ঠিক তখনই আমার সময়।ঠিক সেই সময়টার জন্যই আমাকে তীর্থের কাকের মতো,আমাকে নুলো ভীখারির মতো,আমাকে মেঘের জন্য আকুল নয়নে ব্যাকুলভাবে অপেক্ষারত চাতকের মতো অপেক্ষা করতে হবে।

মাঝে মাঝেই আমি তাকাই তার দিকে।কখনো কখনো মনে হয় সে বিরক্ত হচ্ছে,সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নেই।আবার কখনো কখনো মনে হয় সে বিরক্ত হচ্ছে না বরং উপভোগই করছে।তখন তাকিয়েই থাকি।
আমি কি করে বুঝবো তার মনোভাব?কি করে খুজবো তার অনুভূতি আমার প্রতিকূলে নাকি অনুকূলে?তবে তাকে দেখে আমার ভিতরে যে কিছু একটা ঘটে যায় এটা সে ঠিকই বোঝে।

এবার তার সৌন্দর্যের কথায় আসি।সৌন্দর্যের দিক দিয়ে যে সে খুব আহামরী, তা কিন্তু না।তার চেয়ে ঢের রুপসী, সুন্দরী,উর্বশীদের এই শহরে বাস।কিন্তু আমার যে কি হলো!আমি কিভাবে যেন মনের অলক্ষে তীব্রভাবে তার মাঝেই ফেসে গেলাম।
পাটকাঠির মতো লিকলিকে শরীর তার।লম্বায় সে প্রায় আমার সমান।তাকে অনায়াসে লম্বু বলে খেপানো যাবে।

তাকে দেখে মনে হয় সে খুব সাধারনভাবে জীবনযাপন পছন্দ করে।পোশাকে প্রজাপতির লাল নীল ডানর মতো চাকচিক্য নেই।আশাকে আসমান সমান আধুনিকার আধিক্য নেই।

আমি যাকে তার প্রতি আজীবন প্রেম বিমুখ, আজীবন নারী বর্জিত,আজীবন নিসংগ খেতাব অর্জিত আমার লুতুপুতু প্রেমময় গুলুগুলু আবেগ অনুভূতির কথা বলেছিলাম,সে প্রথমেই আমার কাছে জানতে চেয়েছিল, সে খুবই অত্যাধুনিকা নিশ্চয়ই?কেননা আমার পছন্দ সম্পর্কে তারচেয়ে ঢের ভালো খুব লোকেরই আছে।আমি তাকে বলেছিলাম,'নাহ,সে খুবই সিম্পল এবং অলটাইম মাথায় কাপড় টাপড় দিয়ে রাখে'।এটা শুনে আরেকজন বলেছিলো এজন্যই হয়তো তাকে আমার এত পছন্দ।আমি বলেছিলাম,'নাহ একদমই না'।সেই লোকটার সাথে অবশ্য আমার অল্পদিনের পরিচয়।সে জানেনা আমার কাছে পর্দা টর্দা, এসব কিছু না।

দিন দিন তার প্রতি আমার মোহটা অাটানব্বই'র আগ্রাসী বন্যার পানির মতো তির তির করে বেড়েই চলেছে।আমার সত্বা জুড়ে ক্ষয়রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সে।আমার আত্মাজুড়ে বিনা অনুমতিতে হুট করে প্রবেশরত অতিথির মতো করে ঢুকে আধিপত্য বিরাজ করছে সে।কিন্তু আমি এতটাই অক্ষম যে, গলাকাটা মুরগীর মতো তড়পানো ছাড়া কিছুই করার নেই।অতএব তাই করছি। গলাকাটা মুরগীর মতো ভিতরে ভিতরে তুমুলবেগে তড়পাচ্ছি।ইদানিং লক্ষ করছি গভীর রাতে ঘুমের অপেক্ষায় থাকা আমার ভিতর সে চলাচল করতে শুরু করেছে।ট্রাফিক সিগন্যালের অভাবে দ্রুতগামী গাড়ীর প্রাচুর্যে ভরপুর ব্যাস্ত সিগন্যালগুলো ভাঙা পা নিয়ে অতিক্রম করার সময়ও সে আমার ভিতর চলাফেরা করছে।এমনকি আমি যখন লিরিক ও কবিতা প্রসবে ব্যাস্ত থাকছি, তখনো তার অবয়ব আলতো করে আমার লাজুক লিরিকগুলো ছুয়ে যাচ্ছে।কোনো কোনো দিন সারাদিনের ব্যাস্ততা শেষে ঘরে ফেরা মানুষের মিছিলে পা দিতে যাচ্ছি এমন সময় তাকে আমার সামনে বা আশেপাশে দেখে আপনা আপনিই থেমে যাই।তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তাকে দেখতে থাকি ঠিক ততোক্ষন,যতোক্ষন তার উপস্থিতি সেখানে থাকে।

তার পাটকাঠির মতো লিকলিকে শরীরের যে অংগটি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে সে অংগটি হলো তার জর্জেট শশাড়ীর মতো পাতলা ফিনফিনে কমলার কোয়ার মতো ছিপছিপে ঔষ্ঠ যুগল।আমি অবাক চোখে নির্বাক মুখে তাকিয়ে থাকি তার দিকে এবং থকতেই থাকি,থাকতেই থাকি।

তার চোখের চাহনিটাও মারাত্মক।আমার মনে হয় আমি এই বুঝি খুন হয়ে যাবো।

বেশ কয়েকবার তার কন্ঠস্বর শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।তার কন্ঠস্বর শুনে আমার যেটা মনে হয়েছে তা হলো,'পৃথীবির কোন নারীই এত নিষ্পাপ ও পবিত্র কন্ঠস্বরের অধিকারী হতে পারেনি।এই কন্ঠস্বরটি সৃষ্টিকর্তা ভালবেসে শুধুমাত্র তাকেই উপহার দিয়েছেন।

জানিনা তাকে কখনো কোনদিন কোনসময় আমার এই মধ্যরাতে তাকে ঘিরে ভাবা এই অনুভূতিগুলো শোনাতে পারবো কি না।তাকে মানাতে পারবো কিনা পোষ।তবু মনে মনে বলি 'মেয়ে তুই আমার হোস'।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার পছন্দের মেয়েটা যেন আপনারই হয় সেই কামনায় করি। অনেক শুভ কামনা রইল।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: লাভ এট ফাস্ট সাইট নাকি? আমার কাছে লেখা ততটা ভাল না লাগলেও কেবল শিরোনামটাই আমাকে লেখার মধ্যে টেনে আনতে বাধ্য করছে! পাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা নিয়ে একসময় খুব ভাবতাম, এখন আর ভাবি না!

তবে এই না পাওয়ার মধ্যেও একটা প্রাপ্তি আছে! পেলেই তো সব আগ্রহ হারিয়ে যাবে, তার থেকে এই না পাওয়ার মাধ্যমেই পাওয়ার যে আকাংখা সেটা যে প্রকাশ করা যায়; এটাও বা কম কিসে?

আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.