নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা চলছে তার আপন গতিতে এক অঘোষিত বৈধতা নিয়ে।

০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯


প্রেমিকার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে প্রেমিকের আত্মহত্যা ইক্যুয়ালটু চুপচাপ,আজাইরা,আবালের কাজ,বাদ দও,ঘুমাও।আর যদি হতো প্রেমিকের সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে প্রেমিকার আত্মহত্যা,ততাহলেতো হয়েছিলোই!

ওমেন চ্যাপ্টারে কোকা কুকি শুরু হয়ে যেতো,ফেবুতে হাউকাউ শুরু হয়ে যেতো,সমগ্র পুরুষ জাতিকে ধুমাইয়া কিল ও গালি শুনতে হতো।
আমার এই লিখাটা পড়ে আবার কেউ ভেবে নিয়েন না যে আমি মেয়েদের প্রতি রুষ্ঠ অথবা কাউকে উৎসাহিত করছি।আসলে আমরা নারীদের প্রতি যৌক্তিক সাপোর্ট করতে করতে এমন এক জায়গায় এসে পৌছেছি যেখানে দাড়িয়ে আমরা কিছু কিছু বিষয়ে একরকম নারীদের পক্ষপাতিত্ব করা শুরু করে দিয়েছি।পুরুষের কারনে নারীদের সাথে ঘটে যাওয়া যেসব ঘটনাতে আমরা মর্মান্তিকভাবে মর্মাহত হচ্ছি, নারীদের কারনে পুরুষদের সাথে ঘটে যাওয়া একই ঘটনাগুলোতে আমরা কোনো মর্মাহততো হচ্ছিই না,উল্টো পুরুষদেরকেই টিটকারী মারছি।
এই যেমন রাজধানীর সোবহানবগে একটি ছেলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করলো তার প্রেমিকার সামনে দাড়িয়ে।আমরা কোন রা করছি না। কিন্তু এটা যদি মেয়ের আত্মহত্যা হতো তাহলে কি হতো আমরা তা আগেই বলেছি।সাহসী নারীর প্রতিক তসলিমা নাসরিনও এটা নিয়ে দু এক কলাম লিখে ফেলতেন।
এরকম আরো অনেক বিষয় আছে যগুলোতে আমরা মেয়েদের বেলায় হয় নিরব থাকছি অথবা পারলে পুরুষের ঘাড়েই আরো দুই এক কোপ বসাচ্ছি। এই যেমন কোনো প্রেমিকা বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে সিনক্রিয়েট করলো তো হয়ে গেলো।ছেলেটির আশে পাশের সকল মানুষ ছেলেটির বিরুদ্ধে চলে যায়।জিত হয় মেয়েটির।সবাই মিলে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেয়।তারা ছেলেটিকে এক সুতো পরিমাণ ফ্লোর দেয় না আত্মপক্ষ সমর্থনের।শোনে না বিন্দুমাত্র আপত্তি।তাদের একটাই কথা,'প্রেম করছাও বিয়া করবার পারবা না ক্যা?' তারা তখন এমন ভাবে উঠে পড়ে লাগে যে বিয়েটা দিতে পারলে তারা বেহেশত এ যাবে।
কিন্তু এই ঘটনাটি যদি কোনো ছেলে ঘটায়।অর্থাত কোনো প্রেমিক যদি তার প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে একই কাজটা করে তাহলে ঐ আশেপাশের মানুষরাই তার সাথে উল্টো আচরণ করতে থাকে।ছেলেটি সমর্থনতো পায়ই না বরং এখানেও সে একজন নারী নির্যাতনকারী হয়ে যায় সবার কাছে।ছেলেটি মেয়েটির মানসম্মান নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে,মেয়েটিকে মানসিকভাবে হয়রানি করছে,মেয়েটির পরিবারকে ছোট করে ফেলছে,তারা পারলে ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষন করছে অপবাদটাও দিয়ে ফেলে।এছাড়া আবাল,হিজড়া ইত্যাদি ইত্যাদি অপবাদতো শুনতে হয়ই।অথচ এই একই কাজটা কিন্তু মেয়ে করলে কি সুবিধা পায় সেটাতো আগেও বলেছি।
এই একচোখা আচরন খুব একটা কম হচ্ছে না এদেশে।বরং ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে।এ নিয়ে কারো বোধদয় নেই।নারীবাদীদেরতো নয়ই এমনকি মানবতাবাদীদেরও না।এটা চলছে তার আপন গতিতে এক অঘোষিত বৈধতা নিয়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.