নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিও \'বাপজানের বায়োস্কপ\'

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২০

পুরষ্কারপ্রাপ্ত সিনেমা "বাপজানের বায়োস্কপ"।খুব আগ্রহ সহকারে দেখতে বসেছিলাম।কিন্তু শুরু থেকেই দেখলাম সে সাদামাটা রুপ নিয়ে এগুচ্ছে। সরকারের নয়া বৌ নিয়ে চরে আসা,বৌয়ের আগমন কোথাও গা শিওরে ওঠার মতো কিছু পাচ্ছিলাম না বলে সাদামাটা টুকুর বর্ননায় নাই বা গেলাম।বাপজানের বায়োস্কোপের সাদামাটা রুপ ধৈর্য ধরে দেখতে দেখতে হাছেকের বায়োস্কোপের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলাটা চমৎকার কালারফুল অংশ বলে মনে হয়েছে।পরিচালককে এজন্য ধন্যবাদ দিতেই হবে।কেননা বায়োস্কপের ভিতর থেকে তিনি নতুন কিছু বের করে এনেছেন।এরপর সরকারের নয়া বৌকে বায়োস্কপে হাছেক যখন সেই মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতে যায় তখন সরকারের হুংকার এবং পরবর্তীতে হাছেকের এই গল্পের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি,লবন বিক্রি বন্ধ করে দেয়া দেখে বাস্তবতার সাথে বেশকিছু মিল খুজে পাওয়া যায়।আর তা হলো বাস্তবেও সরকারের মতোই যুদ্ধাপরাধীরা যুদ্ধপরাধীরা স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও দূর্দান্ত প্রতাপশালী।সরকার যেন তারই প্রতিচ্ছবি।গ্রামবাসীরা যখন লবনের জন্য হাহাকার করছে তখন সরকারের নয়া বৌয়ের গার্ডকে দেহদানের বিনিময়ে গ্রামবাসীদের মাঝে গোপনে লবন দেয়া দেখে পলাশীর আলেয়ার ছবি ভেসে উঠলেও তা তেমন দাগ কাটেনি।সেই সাথে হাছান সরকারের বৌয়ের লবন বিতরনের দোষ স্বীকার করার গল্পগুলোও ছিলো নিতান্তই সাদামাটা।তবে হ্যা সরকারের বৌ বিতাড়িত হওয়ার সময় নদীর জলে প্রচন্ড ঘৃনায় থুতু ফেলার দৃশ্যটা প্রচন্ডভাবে নাড়া দেয়ার মতো দৃশ্য।হাছেকের বায়োস্কপ নিষিদ্ধ করতে,সেই সাথে তার মামার কুখ্যাত ইতিহাস ফাসরোধে ব্যার্থ সরকারের ইনসানকে মেরে ফেলা দেখে গোলাম আযমের সাক্ষী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছোট ভাইয়ের রাজাকার ও তাদের দোসরদের দ্বারা খুন হওয়ার ঘটনা এবং গনজাগরন সৈনিক রাজীবের খুন হওয়ার ঘটনা মনে পড়ে যায়।৪০ বছর পরেও যুদ্ধাপরাধীদের আস্ফালন আতংকিত করে তোলে আমাকে।তারপর আবার বাপজানের বায়োস্কপের সাদামাটা রুপের পুনরায় ফিরে আসে এবং চলতে থাকে।হাছেকের বায়োস্কপের কাছে পরাজিত সরকারের সশস্ত্র অভিযানের চেষ্টা এবং গ্রামবাসীর প্রতিরোধ দেখে বাপজানের বায়োস্কপকে সিনেমাই মনে হয়েছে।কেননা এখন বৃহৎ স্বার্থে সাধারন মানুষের প্রতিরোধ গড়ে তোলা ফসিল ছাড়া আর কিছু নয়।আমচরিত্রগুলোর জাগ্রত বিবেক দেখে খুব অসহায় বোধ করেছি আর ভেবেছি, 'আহা,ধর্মের ও স্বার্থের হেমলক পান করা আমজনতার বিবেকও যদি এভাবে জাগ্রত হতো!'
সবশেষে সরকারের প্রহরীর সংলাপ,'নটির পুলা কুত্তা পিটায় সংলাপটি শুনে সমস্ত সিনেমা জুড়ে দীর্ঘ অতৃপ্তি নিমেষেই বেশকিছুটা ক্ষুদ্র হয়ে গেছে।কথায় বলে শেষ যার দেশ তার।তেমনি এই সংলাপের মাধ্যমে শেষ হওয়ায় তৃপ্তির রেষে অতৃপ্তিগুলো কিছুটা ম্লান হয়ে গিয়েছে।
এবার আসি অভিনয়ে।শতাব্দী ওয়াদুদ দশে দশ।তার যতটুকু দেয়ার তিনি দিয়েছেন।শহীদুজ্জামান সেলিম তার নামের সুবিচার করতে পারেননি।তার নিকট থেকে আরো ভালো কিছু প্রত্যাশা করে সবাই।নয়া বৌয়ের নদীতো কুলি ফেলা ছাড়া সবই সাদামাটা।বেশকিছু চরিত্রের ভাষাগত সমস্যা ছিলো।অর্থাৎ পুরোপুরি গ্রাম্যভাষায় মিশে যেতে পারেনি তারা।শহুরে টান ছিলো।
ক্যামেরার কোনো চমক ছিলো না।সাদামাটা সিনেমাটোগ্রাফি। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধ উপজীব্য বলে একটা আবেগের কারনে দর্শক বসে থাকবে।
সবশেষে আশা রাখবো, নির্মাতার আগামী নির্মানগুলোর পুরোটা জুড়েই বায়োস্কোপে গল্প শোনানোর মত তৃপ্তিকর বেশী থাকবে এবং অত্প্তি কম থাকবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.