নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোয়াছুয়ি (আদনান,লীনা ও একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২২

১.
লীনা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজী অফিসের সামনে দাড়িয়ে থেকে নিশ্চিত হয়ে গেলো
আদনান আসবে না।বুঝে গেল আদনানও তাদের দলে যারা শুধুমাত্র শরীর ছুতে মনের কাছাকাছি হয়ে একসময় শরীর ছোয়াছুয়ি খেলাটা শেষে মনকে যাবজ্জীবন দন্ড দিয়ে গা ঢাকা দেয়।নিজেকে এইমুহূর্তে খুব অসহায় মনে হচ্ছে তার।ফুটপথে চিতই পিঠা ভাজতে থাকা মহিলাটির পাশে শোয়া কুকুরটাকে দেখে ওর মনে হচ্ছে সেও ওর দিকে তাকিয়ে খ্যাক খ্যাক করে হেসে টিটকারী মারছে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর দেহ ও মনে যেমন বিদ্ধস্ততা ভর করে,তেমনই বিদ্ধস্ত দেহ ও মন নিয়ে সে বাসায় ফিরে এলো।তার হাতের ভারী লাগেজটা তার আগের জায়গায় টুপ করে বসে পড়লো।জামাকাপড় না ছেড়ে লীনাও ঝুৃম মেরে বসে পড়লো বিছানার পাশে দাড়িয়ে থাকা প্লস্টিকের চেয়ারটার ওপর।মাথা ঘুরছে ওর।প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ধরিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে টান দিতেই মাথাটা আরো ঘুরে গেলো।ঘোরারই কথা।আদনানের সম্পর্কের পাঁচ মাসের মাথায় সিগারেটের সাথে চলতে থাকা পাঁচ বছরের সম্পর্ক ব্রেকআপ করেছিলো সে।যদিও পাক্কা ছয় মাস লেগেছিলো ব্রেকাপটা করতে।তবুও করেছিলো।কেননা কূলবধূ সাজতে চেয়েছিলো সে।আদনান কি ভাববে লীনার সিগারেটে অভ্যাস আছে শুনলে! কি মনে করবে তাকে?তাকে ফালতু মেয়েদের দলে ফেলে!যদি ছেড়ে যায়!এই ভয়েই সিগারেট ছেড়ে দিলো সে।কেননা সে কোনভাবেই আদনানকে হারাতে চায়নি।
আর আজ যখন সে আজীবনের জন্য আদনানকে বাধতে গেলো,ঠিক তখনই লাপাত্তা হয়ে গেলো আদনান।মুঠোফোনে সকাল থেকে ট্রাই করে যাচ্ছে লীনা।প্রত্যেকবারই প্রানপনে ভেবেছে রিং হবে,রিং হবে আদনান ধরবে,ধরবে।কিন্তু না,আজ সকাল থেকেই আদনানের সেলফোনের আচরন প্রজাবিমুখ সৈরশাসকের মত।রিং হয় নি।আগের মতই "সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়" বলে দুঃখ প্রকাশ করছে মেয়েটি।আর এই দুঃখ প্রকাশের সাথে সাথে লীনার দুঃখগুলোও বেড়ে যাচ্ছে গানিতিক হারে,জ্যামিতিক হারে,চক্রবৃদ্ধি হারে।চেয়ার ছেড়ে সে নিজেকে যৌথভাবে সপে দিলো বিছানা ও চোখের জলের নিকট।আর এই সুযোগে বিছানা কথা বলতে থাকলো চোখের জলের সাথে আর চোখের জলও প্রান খুলে কথা বলতে থাকলো বিছানার সাথে।কতদিন পর দেখা হওয়ার আনন্দে বিছানা বালিশ ও চোখের জল মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো।ঠিক এভাবে দুদিন হাপুস নয়নে খুব কাদলো লীনা। কেদে টেদে দুদিন পর তার মনে হলো, কি বালের ঠ্যাকা পড়েছে তার কাদার?আদনান তেশ মারা দিক।
এসব ভেবে লোমনাশক লোশন সহযোগে শরীরের অতিরিক্ত লোম তুলে ফেলার মত করে আদনানকেও সে দেহ ও মন থেকে উপড়ে ফেলে দিয়ে মোমবাতিটা হাতে নিয়ে টয়লেটে চলে গিয়ে আচ্ছা করে দুবার মাস্টারবেশন করে ক্লান্ত দেহ নিয়ে ধীরে ধীরে ফিরে এলো বেডরুমে।এখন আদনান বলে আর কেউ নেই তার ভিতরে।
২.
আদনান তার পুরোনো সিমটা ভেঙে ফেলে দোকান থেকে ভূয়া নিবন্ধনকৃত দুটি সিম কিনে একটি মুঠোফোনে ভরে ফেললো।তারপর কিছুক্ষন ভাঙা সিমটার দিকে তাকিয়ে একটি বিজয়ীর হাসি দিয়ে মনে মনে বললো,"চুদছি যে তাই কত! আবার বিয়া করবার চায়! যা দিছি তাই মাখ মাখ কইরা খা গা।"এখন তার এসব ভেবে আর সময় নষ্ট করার সময় নেই।মহিলাটিকে ফোন দিতে হবে।এ ক'দিনে তুমুল জমে গেছে মহিলাটির সাথে তার।ইনবক্সেই মহিলার শরীরটাকে নগ্ন করেছে আদনান।মহিলাটি তাতে রাগে করেনি।বরং সেও উত্তেজিত হয়েছে।মধ্যবয়স্কা মহিলা।কিন্তু নিজেকে এখনও বিশ বাইশের মাঝেই রাখতে চায়।আদনান আরো কমিয়ে আঠেরোতে নিয়ে আসে।মহিলাটি তখন পারলে ইনবক্স থেকে বেরিয়ে এসে আদনানকে কোলে নেয়।একদিনতো উম্মাহ বলে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে দিলো ইনবক্সে।আদনান বুঝলো, মালতো পটে গেছে।এবার কাধের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসে থাকা লীনাকে বাজেয়াপ্ত করা যায় এবং তাই করলো।বেশ কয়েক দিন ধরে লীনা বিয়ের জন্য ঘ্যান ঘ্যান করছিলো।অবশেষে আদনান কাজী অফিসের সারাদিন দাড় করিয়ে রেখে বিয়ের শিক্ষা দিলো।
আদনান এখন মহিলাটিকে নিয়ে মেতেছে।মহিলাটি নাকি খুব দুখী।তার স্বামী তাকে এখন আর সময় দেয়না,সারাক্ষন টাকার পিছনে দৌড়ায়।আদনান এর প্রতিউত্তরে আহা উহু বলে ইনবক্সে সিম্প্যাথির বন্যা বইয়ে দেয়।তার স্বামীকে অবিবেচক পুরুষ বলে গালি দেয়,লোকটি দাত থাকতে দাতের মর্ম বুঝছে না বলে আফসোস করে।লোকটি একদিন ঠিকই পস্তাবে বলে ভবিষ্যদবাণীও করে আদনান।সেই সাথে আরও বলে,"এমন রুপ কজনার হয়!"মহিলাটি এবার যেন আর
নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা।তার না পাওয়ার কষ্ট যেন উথলে উথলে পড়ে।সে কাদো কাদো হয়ে জানায়, কতদিন হলো তার স্বামী তার ওপর উঠেনা। আদনান মনে মনে বলে," এইতো চাই" আর মুখে হেলায় ভালবাসা হারাচ্ছে বলে ভর্ৎসনা করে তার স্বামীকে।আর আস্তে আস্তে এগুতে থাকে আপন টার্গেট নিয়ে।টার্গেট একটাই।আর তাহলো এই মহিলার অনেক টাকা।মহিলাটিকে ভাঙ্গিয়ে খাওয়া যাবে আর সাথে বোনাস হিসেবে শোওয়া যাবে।এই টার্গেট পূরনের জন্য তার দুটি মোক্ষমম হাতিয়ারগুলো হচ্ছে মহিলাটিকে রীতিমতো সময় দিয়ে স্বামীর অভাব পূরন করা এবং চিকনে উত্তেজক উত্তজেক কথা বলে যৌন অভাব বাড়িয়ে তোলা।
৩.
আদনানকে মহিলাটি তার বাসায় ডিনারে ডেকেছে।মহিলার স্বামী গতকাল দেশের বাইরে গিয়েছে।বাসায় মহিলা ছাড়া আর কেউ নেই।
লীনার ইনবক্সে তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা একটি ছেলের আইডি থেকে মেসেজ এসেছে। মেসেজটিতে লীনার রুপের বিস্তর প্রশংসা রয়েছে,কয়েকটি লাভ ইমো রয়েছে এবং শেষে লিখা আছে,'আই লাভ ইউ'।
লীনা ছেলেটিকে একটি রিপ্লাই দিলো।তাতে লিখা,'এই বাল ছাল প্যান প্যানানী বাদ দিয়ে আসল কথায় আসো। বললেই পারো শুতে চাও'।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা ভালো লেগেছে।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা তো পুরোনো লেখা। আপনার কী না জানিনা। তবে যদি আরেকজনের হয় তাহলে আপনি একজন লেখা চোর...

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সরি! লেখাটা আপনারই ছিল। রিপোস্ট লিখলে বুঝতাম। আগের মন্তব্য ও এই মন্তব্য ডিলিট করে দিবেন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.