নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আতেল কবি ও অস্থির প্রেমিক,উভয়েরই সময়জ্ঞান খুবই কম।একদম শিশুসুলভ। এরা কখনোই তাদের কাংখিতাকে ফোন দিতে গিয়ে সময়ের তোয়াক্কা করে না।এরা যখন তখন ফোন দিয়ে বসে তাদের কাংখিতাকে।এমনকি ওপাশ থেকে বার বার ফোন কেটে 'এখন কথা বলা সম্ভব নয়' টাইপের রেড সিগন্যাল দেওয়ার পরও এরা হাল না ছেড়ে খামটি মেরে পড়ে বেকুবের মতো ফোন দিতেই থাকে যা একসময় বিরক্তিকর পর্যায়ে গিয়ে দাড়ায়।ফলাফল হিসেবে ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ করার পর পরই ভেসে আসে ঝাড়ি।কঠিন আকারের ঝাড়ি।যে ঝাড়িগুলো দুপুরবেলার গরমের মতই গরম,যে ঝাড়িগুলো য়ে কাউকে দিতে পারে কঠিন আকারের শরম।শুধু মাত্র এই দুই প্রজাতিকেই তা খুব একটা স্পর্শ করতে পারেনা।ঝাড়ির উত্তরে তারা ফোনের অপরপ্রান্তে চোরের মত মুখ করে দাড়িয়ে মেনি বিড়ালের মত মিউ মিউ করে বলতে থাকে সরি।এবং তারা ছোট্ট বালক বালিকারা যেমন ভুল করে স্বীকার করার সময় কান ধরে বলে আর এমন হবেনা।তারাও এক্ষেত্রে ছোট্ট বালক বালিকার ভূমিকা পালন করে।
কিছু সময় (সময়টা নগন্য রকমের অল্প)তাদের ভিতরে এই রেশটা থাকে।ঐ সময়টুকুতে আতেল কবি বিরহ বিরহ আবহ যুক্ত কবিতা লিখে হতাশ ইমো সহিত ফেবুতে আপ দেয়।এই যেমন 'তোমার ব্যাস্ততায় আমার অসুস্থতা 'টাইপের দুই লাইনের কবিতা।আর প্রেমিক স্যাড ইমো সহিত সময় মানুষকে বদলে দেয় বা পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর টাইপের পোষ্ট দেয়।এবং সেটাও করে ঝাড়ি দাতীনির নজরে পড়ার আশায় এবং একটু পর পরই উকি ঝুকি মেরে লক্ষ করতে থাকে ঝাড়ি দাতিনী লাইক টাইক দিলো নাকি দেখতে।
এদের এইসব ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে ঝাড়িদাতীনি কখনো কখনো তাদের জন্জাল ভেবে যত্নসহকারে ব্লক বক্সে ঢুকিয়ে রাখে আর তাদের সেল নম্বর ব্লাক লিষ্টে আদর করে রেখে দেয়।তারা প্রথম প্রথম 'কি!আমাকে ব্লক করলো!আমাকে ব্লাক লিষ্টে রাখতে পারলো?এই আমাকে?'টাইপের দাগ খেয়ে পন করে বসে আর জীবনে সে ঐ নিষ্ঠুর পাষানী ঝাড়িদাতীনিকে মনে করবেনা।এভাবে তারা প্রথম দিন কাটিয়ে ফেলে,দ্বীতিয় দিনের সকালটা গড়ালেও দুপুর থেকে এদের মন বাইরোম বাইরোম করতে থাকে।তাদের মন তখন একটু ফোন দেই একটু ফোন দেই করতে থাকে।কিন্তু পরক্ষনেই আবার খুব কষ্টে 'না আমি তাকে আর কখনোই খুজবোনা ধরনের নিজেকে কন্ট্রোল করে।এভাবে দুপুর গেলেও রাতে তারা আর নিজেনিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারাতে থাকে।তারা কল লিস্টে রয়ে যাওয়া ঝাড়িদাতীনির নম্বর বের করে ফেনের দিকে তাকিয়ে থাকে।কল দিতে যেয়েও দেয়না।কল দিতে যেয়েও দেয়না।কলে আঙুল চাপতে গিয়েও চাপে না,আঙুল চাপতে গিয়েও চাপেনা।এভাবে দ্বিতীয় চলে যায়।তৃতীয় দিন তারা আর নিজেকে নিয়ন্ত্রনে রাখতেই পারেনা।সকালে ঘুম ভাঙতেই অস্থির ভাবে অস্থিরতায় সময় কাটাতে কাটাতে একসময় চোখ মুখ বন্ধ করে অন্য নম্বর থেকে কল দিয়ে বসে এবং আরেকটি ফেইক আইডি নক করে বসে।ও পাশ থেকে প্রথমে কোনো সাড়া না পেলেও তারা হাল না ছেড়ে কল দিয়েই যায় দিয়েই যায়,নক করেই যায়,করেই যায়।অতঃপর ঝাড়িদাতীনি ফোন রিসিভ করলেই পায়ে টায়ে ধরে কেদে টেদে একাকার হয়ে ভেঙে পড়ে।একসময় ঝাড়িদাতীনির মন গলে।না গলেই কি উপায় আছে?প্যান প্যানানীর ঠেলায় বিরক্ত হয়েই সে ইটস ওকে বলে।
এভাবে চলতে থাকে প্রেম,এভাবেই ঘটতে থাকে ঘটনার পানরাবৃত্তি।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সঠিক পর্যবেক্ষণ...
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা হা আতেল কবি ও অস্থির প্রেমীক।
উভয়ই সময় জ্ঞান খুব কম। বেশ নতুন
কিছু জানলাম। তবে আমার মনে হয়
এর ভিতর বিবাহিত প্রেমীক প্রেমীকারাও
আছে। যারা অনলাইনে আতেল কবিতা
ছাড়ে। ধন্যবাদ ভাল লাগল।