নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কইলজা থাকলে বাইরে আসেন,খেলা হবে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

কবিতা পাঠের আসর বলতে বেশীর ভাগই বোঝায় একটা ঘরের ভিতর অনেকগুলা কবি এক সাথে বসে,তারা মুড়ি চানাচুড় খায়,চা টা পান করে আর একজন একজন কইরা কবিতা পড়ে। কবির কবিতা কবিরাই বইসা বইসা শুনে।ঐখানে কোনো সাধারন শ্রোতা থাকেনা,ঐখানে কোনো সাধারন পাঠক থাকেনা।সেইখানে কবিরাই শ্রোতা,কবিরাই পাঠক,কবিরাই কবিতা পড়ে,কবিরাই তালি দেয়।সবই কবিময়।কেমুন অইলো?লাভ অইলো কি তাইলে?
কবির কবিতাতো সাধারনের কান পর্যন্ত গেলানা।কবির কবিতাতো জানি পাঠকের জন্য,আপামর মানুষের জন্য।সাধারন মানুষ শুনলো কই আর?কবির কবিতাতো কবিগোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাইকা গেলো।কেমুন অইলো তাইলে?লাভ অইলো কি?
আরও কাহিনী আছে,খাড়ান। সেইখানে এক মুরুব্বী কবিলোক থাকে।হে বড় বড় বয়ান দেয়।হে অমুক আন্দোলন করছে,তমুক বিপ্লব করছে,অমুক কবি তার পরাণের ভাই আছিলো,তমুক কবি তার জানের দোস্ত আছিলো,গুন্টার গ্রাসের সাথে সে কতা কইছে,অরুন্ধুতি রায়ের সাথে তার ছবি আছে।সে যাই কয় তা শুনবার মন না চাইলেও শুনা লাগে।না শুনলে হে আবার ধমক দেয়,মাইন্ডও খায়।ব্যাবহারডা স্বৈরাচারী শাসকের মতো।সেইখানে তার কথা না শুনার কোনো স্বাধীনতা নাই।কিন্তু আমিতো জানি কবিতায় স্বাধীনতার একটা ব্যাপার স্যাপার আছে।কিন্তু মনের বিরুদ্ধে পরাধীনের মতো যদি তার কথাই শুনা লাগে তাইলে কেমুন অইলো!লাভ অইলো কি তাইলে?
আমি এমুন আসরে একবার গেছিলাম।আর যাই নাই।আমার ভাল্লাগেনাইরে ভাই।আমি বুঝি কবিতা ঘরের মধ্যে পড়লে কবিতা ঐ ঘরের মধ্যেই পর্দনশীন মহিলার মতো থাকে।হে আর বাইরে বাইরায় না।কিন্তু কবিতাতো ঘরের ভিতরে রাহার জিনিস না।কবিতাতো ছড়াইয়া দেয়ার জিনিস।ঠিক কবুতররে যেমুন কইরা ছুলা,বুট ছিটাইয়া দিললে আর কবুতররা কামড়া কামড়ি কইরা বাক বাকুম করতে করতে খায় ঠিক তেমন কইরা কবিতারেওতো ছড়াইয়া দেওন লাগে মাইনষের মইদ্যে।মাইনষে যদি বাকবাকুম কইরা কইরা খায় তবেইতো ঐডা কবিতা।কিন্তু তা না কইরা ঘরের মইদ্যেই যদি কবিতা রাইখা দেওয়া অয় তাইলে কেমুন অইলো?লাভ অইলো কি তাইলে?
কবিতা পড়ার আসর যদি এতই করবার ইচ্ছা করে তাইলে বাইরে আহো,কতা আছে।বাইরে মাইক লাগাইয়া মন্চ বানাইয়া (মন্চ না অইলেও চলবো) কবিতা পড়ার আসরের আয়োজন করেন।সারা শহরের মানুষগো ঢোল পিটাইয়া জানাইয়া দেন।তারপর আসেন,দেহি কার কতো কুলায়।
মাইকের সামনে খাড়াইয়া হাজার না হোক শত শত মাইনষের সামনে কবিতা পড়েন।সাধারন মাইনষের ভাল্লাগলে তালি পাইবেন,নাইলে নাই।বুঝেন নাই ব্যাপারটা?বুঝেন নাই?
তা বাদ দিয়া কুনিব্যাঙের মতো খোপের ভিতরে হান্দাইয়া কতোডি আটা ময়দা মাহা গয়না পড়া তামশা নিয়া,কতডি সাবেক আমলা টামলা নিয়া,দু একজন প্রায় পাগল বুইড়া নিয়া,কতডি তামশাগো লগে ছোক ছোক করা ছ্যাবলা নিয়া আর মাত্র দুই একজন কবি নিয়া কুলু কুচকুচি করেন।
শুনেন, এগুনিরে কবিতা পাঠের আসর কয়না।এগুনিরে আমাশা কয়,আমাশা।আমি একবার গেছিলাম এই আমাশায়।আর যাইনা।ভাল্লাগেনা।
এহনো সময় আছে।এইসব আমাশা তামাশা বাদ দেন।
কইলজা থাকলে বাইরে আসেন,খেলা হবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখাটা পড়ে কবিদের প্রতি হুমকি মনে হচ্ছে। কবিরা কি এই চ্যালেঞ্জ নেবেন?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: হুমকি না, আহবান।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি মানুষের ব্যক্তিগত ব্যপারে হস্তক্ষেপ করছেন

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: কবিতা যদি ব্যক্তিগত হয় তাইলে সেইডা শুনাইনারই দরকার নাই। ব্যক্তিগত জিনিস একা একা পড়ুক,একা একা শুনুক।আর কবিতা ব্যক্তিগত হইতে পারেনা।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: উস্কানি দেয়া ভালো না।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: আপনি যদি মনে করেন এটা উস্কানি তবে জেনে রাখেন এটা ভালো কাজের উস্কানি।কবিতা ঘরে না রেখে বাইরে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এদের বাইরে আনবেন না। এম্নিতেই এদের জালায় অস্থির! রাস্তা ঘাটেও কবিতা শুনাইতে চায়।
মাছ বাজারে পর্যনত আমারে একজন ঝেঁকে ধরেছে - ভাই আমার লাস্ট কবিতায় আপনার লাইক পেলাম না , দেখেন নি নাকি ? এই দেখুন বলেই মোবাইল ঘুতাঘুতি শুরু-

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: বাইরে আনলেইতো কবিতা শুনাইতে চাওয়া কবিদের বাহাদুরি ফুরাই যাবে।তখন প্রকৃত কবিই প্রকৃত মর্যাদা পাবে।আর এইটাইতো দরকার।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

ফিউচার লিজেন্ড বলেছেন: আমিও কবিতা লিখবার চাই

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: লিখেন।না করছে কে?

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮

শামচুল হক বলেছেন: তা বাদ দিয়া কুনিব্যাঙের মতো খোপের ভিতরে হান্দাইয়া কতোডি আটা ময়দা মাহা গয়না পড়া তামশা নিয়া,কতডি সাবেক আমলা টামলা নিয়া,দু একজন প্রায় পাগল বুইড়া নিয়া,কতডি তামশাগো লগে ছোক ছোক করা ছ্যাবলা নিয়া আর মাত্র দুই একজন কবি নিয়া কুলু কুচকুচি করেন।
শুনেন, এগুনিরে কবিতা পাঠের আসর কয়না।এগুনিরে আমাশা কয়,আমাশা।আমি একবার গেছিলাম এই আমাশায়।আর যাইনা।ভাল্লাগেনা।


এহুন কবি গো উপায় কি?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: উপায় নাই

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মাইক বাজাইয়া কবিতা পড়তে গেলে দর্শক শ্রোতা লাগবে। কবি ছাড়া কবির দুঃখ কে আর বুঝবে?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: কবিতার মতো কবিতা হলে দর্শক শ্রোতা এমনিতেই হবে।

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: প্রতি মাসের কোন ১ টা শুক্রবার কবি জসীম উদ্দিন এর বাড়িতে কবিতা র আসর বসে । মাইকের আয়োজন থাকে । বেসুরা সুরে গান বাজনাও চলে । লেকচার ও দেয় । সে যে কি সাংঘাতিক বিরক্তিকর ব‍্যাপার । ছোট্ট পরিসরে সাউন্ড বক্স ও থাকে । কান পুরা নষ্ট হবার অবস্থা হয় । এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে কমছে ।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কাদের যেন সুখ মনে মনে??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.