নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘনশীতের শরীর ভেদ করে মাঝে মাঝে উকি দিচ্ছে একটু আধটু রোদ।ফুল ফোটার আনন্দে ভ্রমর যেমন খুশী হয় অথবা বিয়ে বাড়িতে বর আগমন সংবাদে ছেলে সবাই যেমন 'বর এসেছে, বর এসেছে' বলে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, মানুষগুলোও ঠিক তেমন ফুল ফেটার আনন্দে ভ্রমরের মত এবং বর আসার আনন্দে মাতোয়ারা বিয়ে বাড়ির মানুষের মতো আনন্দিত হয়ে রোদকে আনন্দে ঘিরে ধরছে,পাশাপাশি শুইয়ে রাখছে নিজেদের ছায়াগুলিকে। রোদের কোলে পাটি বিছিয়ে, পিড়ি পেতে গল্পে মাততে বসে যাচ্ছে শীতাক্রান্ত রোদপিয়াসী মানুষগুলো। কোনো যুবতী বসে উলের কাটায় সোয়েটার বুনছে সকলের অলক্ষে প্রেমিককে দেবে এবারের শীতের উপহার। মধ্যবয়স্ক কোনো মহিলা বাশঝাড়ের নুয়ে পড়া বাঁশে হেলান দিয়ে খেজুরে পাতায় বুনছে নকশী পাটি আর উৎসুক সদ্য যৌবনা কৌতুহলীকে শেখাচ্ছে তার নকশার কারিশমা।প্রবাসীর নতুন বৌয়ের রোদ পোহানোয় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে প্রবাসী স্বামীর আগত ফোন।লাজুক বধুটি মিটি হাসি ঠোটে সেটে চাপা স্বরে কথা বলতে বলতে উঠে যাচ্ছে কোনো নির্জন কোনের উদ্দেশ্যে।পাড়ার দীর্ঘ চুলের কেশবতী সদ্য করে আসা মেয়েটি একটু দূরে মোড়া পেতে তার অজানুলম্বিত কেশরাজি আপন শরীরের চারপাশে ছড়িয়ে বসে আছে ভারিক্কি মুখ করে।তার আশে পাশে কাউকে দাড়াতে দিচ্ছেনা (বিশেষ করে ছোটাছুটিরত বাচ্চাদের) রোদ পুরুষটির সাথে তার কেশকন্যার আলিঙ্গনে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কায়। কিশোরীর প্রেমে ঘুরঘুর করা নবকিশোরটিও এসে পড়ছে রোদতলায় কিশোরীর দৃষ্টি কাড়ার বাসনায়।কিশোরীটিও গরবিনীর ভঙ্গীমায় আড়চোখে কিশোর না খেয়ালের ভঙ্গীতে খেয়াল করে মাঝে মাঝে ছটাকখানেক ভেঙচি রোদের আচলে ভাসিয়ে দিচ্ছে কিশোরের উদ্দেশ্যে। এভাবেই জমে উঠছে রোদমাখা শীতের সকালগুলো বাংলাদেশের গাঁয়ের গায়ে।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ ভালো লিখেছেন।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬
সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: ভাল লাগলো
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা