নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর রাজা রিটার্নস

যাযাবর রাজা রিটার্নস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই লাখ মা বোনের প্রতিনিধি প্রিয়ভাষিনী এবং আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়।গাজী যোদ্ধরা ঘরে ফিরে আসে।আর অপারেশনে যাওয়ার তাড়া নেই, বাড়ীতে রেখে আসা মা বোনের কথা, শশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া বৌ সন্তানের চিন্তায় সারা দিন মন খারাপ করে কাটানোর প্রয়োজন নেই, রাজাকারদের চোখ ফাকি দিয়ে স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগের অপেক্ষায় থাকারও প্রয়োজন নেই। মায়ের ছেলে মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।বোনের ভাই বোনের কাছে ফিরে এসেছে,নববধূটির স্বামী নববধূর পাশে ফিরে এসেছে।
আপামর জনসাধারনও এখন নিশ্চিন্ত। মূহুর্তে মুহুর্তে আশ্রয় হারানোর ভয় নেই ও আশ্রয় খোজার তাড়া নেই। কারন যুদ্ধ শেষ।দীর্ঘ নয় মাস পর মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।কারন যুদ্ধ শেষ হয়েছে।

যে মেয়েগুলো হায়নাদের পাশিবকতার শিকার হয়েছিলো,ক্যাম্পে বন্দী ছিলো,অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করেছে।তারাও ঐ মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে এলো।কিন্তু সহায় সম্ভ্রম হারানো নারীগুলো এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা রেখেই তারা আবিষ্কার করলো স্বাধীন বাংলার এই সমাজে তারা যেন বোঝা।এই সমাজ তাদের মেনে নিতে অনিচ্ছুক।ঘরে ফেরা যোদ্ধা ভাইটিকে মা আচলে মুছিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে বুকে জড়িয়ে ঘরে তুললেও সম্ভ্রম হারানো মেয়েটিকে যেন ছুতেও লজ্জা পায়।যোদ্ধা ছেলেটিকে নিয়ে বাবা টি-স্টলে বসে চা খেতে খেতে গর্বিত ভরাট কন্ঠে ছেলের গল্প করলেও লাঞ্চিত মেয়েটির কথা উঠলেই অর্ধেক চা সহ কাপ রেখেই মাথা নিচু করে উঠে আসে।বাড়ি ফিরে দুসঃহ স্মৃতি তাড়া করে বেড়ানো চুপচাপ বসে থাকা মেয়েটির দিকে বিরক্তি মাখা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মেয়েটিকে খোদার অভিশাপ মেনে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। মেয়েটি তখন আরো অসহায় বোধ করে নিজেকে।খাদের অতলে তলিয়ে যেতে থাকে।আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী যখন তাকে অসূচি ভেবে এড়িয়ে চলে,আড়ালে কুলটা বলে,তার সমবয়সীদের তার সাথে মিশতে বারন করে, মেয়েটি তখন উপলব্ধি করে স্বাধীকার আদায়ের যুদ্ধ শেষ হলেও তার যুদ্ধ শেষ হয়নি।সে উপলব্ধি করে এই স্বাধীনভূমি তার জন্য নয়।এই স্বাধীন দেশের মুক্ত বাতাস তার জন্য নয়। এক মৃত্যুকূপ থেকে আরেক মৃত্যুকূপে প্রবেশ করেছে সে।দীর্ঘ নায় মাসের স্বাধীকার আদায়ের যুদ্ধ শেষ হলেও তাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।নয় মাস যুদ্ধের মতোই বিভৎস রুপ নিতে থাকে যুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধ।সেই যুদ্ধে কেউ হারায় পিতার ঘর,কেউ হারায় স্বামীর ঘর, কারও ঠাই হয় পতিতাপল্লীতে আর কেউ কেউ এই দূর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি পেতে বেছে নেয় আত্মহননের পথ।

পরিশেষে কি দাড়ালো?স্বাধীন রাষ্ট্রের সমাজ স্বাধীনতার জন্য স্বর্বস্ব ত্যাগ স্বীকার করা নারীটির সাথেও করেছে পুরুষতান্ত্রিক আচরন।আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ঘরে ফেরা পুরুষ যোদ্ধাদের মাথার মুকুট করে নিলেও সব হারানো নারীদের রেখেছিলো উঠোনের কোনায় ঝাট দিয়ে জড়ো করে রাখা ময়লার মতো তুচ্ছ করে।রাষ্ট্র তাদের বীরঙ্গনা উপাধি দিলেও আমাদের সমাজ দিয়েছে তাকে অসতী উপাধি।এ সমাজ তাদের দিকে ঐ চোখেই তাকিয়েছে,যে চোখে তাকাতো পাক হায়নারা।এ সমাজ তাদের সাথে ঐ আচরনই করেছে, যে আচরন করেছিলো হায়নারা।



তার সবচেয়ে বড় প্রমান সদ্যপ্রয়াত বীরঙ্গনা ভাস্কর প্রিয়ভাষীনি।যিনি দুই লাখ মা বোনকে নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ৭১ তাদের জন্য লজ্জা না,৭১ তাদের গর্ব।তিনি এ সমাজের চোখে খোচা দিয়ে দেখিয়েছেন আমাদের লাল সবুজের ঐ পতাকাটি রক্তের পাশাপাশি সম্ভ্রম বিনিময়েও কেনা হয়েছে। দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে। তিনি বলে গেছেন এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তার সাথে করা তৎকালীন পাশিবক আচরনের কথা।

সব হারিয়ে ঘরে ফেরা প্রিয়ভাষিনীকে এই সমাজ হাত ধরে টেনে তোলার বদলে উল্টো ঠেলে দিয়েছিলো খাদে। এ সমাজ তার পাশে তখন দাড়ায়নি বরং আত্মহত্যার প্ররোচনা জুগিয়েছে।এই সমাজের কামড়ে দিশেহারা হয়ে ভাষিনী নিজের শক্তিতে খাদে থেকে উঠে এসে পায়ের নিচে গড়েছেন শক্ত ভিত। নিজে আলোয় নিজের অন্ধকার দূর করে আলোকিত করেছেন এই সমাজকে।কিন্তু তাতে কি সমাজটার অনুশুচোনা হয়েছে?

বিন্দুমাত্র হয়নি।যার ফলশ্রুতিতে আমৃত্যু যোদ্ধা হতে হয়েছে তাকে।আমৃত্যু যুদ্ধ করে যেতে হয়েছে তাকে।
পরিশেষে বলা যায় স্বাধীন দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ পুরুষ যোদ্ধাদের মাথার মুকুটু করলেও বীরঙ্গনাদের দেয়নি বিন্দুমাত্র সম্মান।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

আবু আফিয়া বলেছেন: বীরঙ্গনা এই মার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০০

কানিজ রিনা বলেছেন: বীরাঙ্গনা বীর নারী যোদ্ধা সম্মাননা কয়জন
পেয়েছেন তার কোনও হিসাব নেই বললে
চলে। কোনও সরকার সরকারী ভাবে তাদের
কোনও সুবিধা দিয়ছে বলে মনে পরেনা।
এমকি জাতীর পিতাও তাদের কোনও আলাদা
ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিনা জানিনা। সব গুল সরকারই যখন তাদের
আলাদা কোনও সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্তে
অবহেলা করেছে সেখানে পারিবারিক মর্যাদা
কতটুকুই দিতে পারে বলেন? একজন কৃতি
ছাত্রী যখন সরকারী স্কলার পায় তখন
সমাজে সে মেয়েটির সম্মান মর্যাদা বৃদ্ধি
পায়। ঠিক তেমনি ভাবে সরকারী বীর নারী
যোদ্ধাদের কৃতি যোদ্ধা হিসাবে স্কলার দেওয়া
প্রতিটি বীরাঙ্গনা নারীর পাওয়ার অসুবিধা
কোথায় ছিল বধগম্য কোনও সরকারের হয়
নাই। বুদ্ধি হওয়ার পর শুনেছি বীরাঙ্গনা নারী
বিবাহ্ করলে তাদের সরকারী চাকুরী দেওয়া
হত কিন্তু কয়জন বীরাঙ্গনা যুবতী সে সুবিধা
পেয়েছিলেন। হয়ত অল্প সংখ্যক হয়েছিল।
স্বামীর কাছে কি তারা বীরাঙ্গনা হিসাবে
অবহেলিত হয়েছিল বা স্ত্রী হিসাবে সম্মান
পেয়েছিল কিনা তা কেউ মুখ ফুটে বলেনি।
৩০ ৪০ উর্ধ বীরাঙ্গনা নারীরা সমাজে নিজ
আত্বিয়র কাছে অবহেলিত হেয় প্রতিপন্ন হয়ে
চলতে দেখেছে দেশের মানুষ তা অজানা
নয় কারো কাছে। সব শেষে মৃত্যুর অন্তীম
যাত্রায় যেন তাদের রাস্ট্রিয় মর্যাদায় সমাহীত
করা হয় এই কামনা। আপনার সুন্দর লেখায়
বীরাঙ্গনা সম্মান রেখে, আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দেশের বীরঙ্গণা’রা লাঞ্চিত ও বঞ্চিত এটা দেশের জন্য লজ্জাকর ও অপমান জনক, তবে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী’কে দেশ যা দিয়েছে তা বাংলাদেশের কোনো বীরঙ্গণা কোনো বীর উত্তম পান নি, বীর শ্রেষ্টদের পরিবার - দেশ সরকার ও জনগনের কাছে কি পেয়েছেন আমার জানা নেই তবে প্রায় তিন দশক আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে’র ইত্যাদি তে প্রচারিত বীর শ্রেষ্ট রুহুল আমীনের বৃদ্ধ মা’কে আমার রুহুল আমীন’ আমার রুহুল আমীন’ বলে কাঁদতে দেখেছি তাঁর গায়ে ছিলো পুরাতন জির্ণ মলিন শাড়ী ।

ভাস্কর প্রিয়ভাষিনী’র বাড়ী ধানমন্ডি’তে আলিশান বিশাল ব্যাপার স্যাপার, দেশের আর কোনো বীরঙ্গনা বীর শ্রেষ্ট বীর উত্তম সহ কাউকে নিয়ে পত্র পত্রিকা ও মিডিয়াতে এতো প্রচার কখনো এতো লেখালেখি হয়নি না কখনো হবে !!!

ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী শুধুমাত্র একজন ভাস্কর ও বীরঙ্গণা নণ তিনি একজন মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও বীরঙ্গণা হওয়ার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা তিনি দেশের কাছে পেয়েছেন যা দেশের আর কেউ পাননি, মনে হতে পারে এই দেশে বীরঙ্গণা একমাত্র ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, এবং তার মিডিয়া প্রচার দেখে মনে হতে পারে আসলেই কি তিনি বীরঙ্গণা ??? না কি দেশের অবহেলিত লাঞ্চিত বঞ্চিত সকল বীরঙ্গনাদের সুযোগ সুবিধা তিনি একা ভোগ করে নিয়েছেন ।

আমার লেখা পড়ে অনেকে রাগ করতে পারেন ! অনুগ্রহ করে ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী জীবনযাপন ও তার পাসপোর্ট ষ্ট্যাটাস দেখলে বুঝতে পারবেন তিনি পৃথিবীর স্বাধীন ২০২-২০৫ টি দেশের (ইস্রায়েল সহ) কতোটি দেশে ভ্রমণ করেছেন !!!

দুঃখ হচ্ছে আমাদের দেশে ৭১ এর বীর যোদ্ধা আছেন, বীরঙ্গণা আছেন খুবই দৈন অবস্থায় আর যারা ফোটোকপি তারা আছেন দেশে বিশাল ইমরাত নিয়ে আর বিদেশ ঘুরে ভারী পাসপোর্ট নিয়ে যখন দেশে ফেরেন তাদের লাগেজ এর পরিমান ৫-৭ টি লাগেজ যার উজন ২০০ কিলোগ্রাম মাত্র !!!

পুনশ্চ: লেখাটি যদি চাঁদগাজী ভাই ও প্রামানিক ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ হয় আশা করবো বিস্তারিত আরো লিখবেন তারা ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: ভাষিনী নিজের শক্তিতে খাদে থেকে উঠে এসে পায়ের নিচে গড়েছেন শক্ত ভিত। নিজে আলোয় নিজের অন্ধকার দূর করে আলোকিত করেছেন এই সমাজকে।ভাষিনী মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব হওয়ার কারন তিনি একজন ভাস্কর।আর তিনিই প্রথম নারী,যিনি একজন বীরঙ্গণার সকল ত্যাগ অকপটে বলেছেন ।তিনি বাকি সকল বীরঙ্গণা ও সমাজকে চোখে অাঙুল দিয়ে বুঝিয়েছেন বীরঙ্গণা শব্দটি লজ্জার নয় ।শব্দটি গর্বের ।আভ আমাভ লেখাটায় তিনি সকল বীরঙ্গণার প্রতিনিধি।আর আপনি তাকে সকল বীরঙ্গণার প্রতিদন্দী হিসেবে দাড় করিয়ে দিলেন? আজিব!

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ১। বাংলাদেশে আরো ভাস্কর আছেন ছিলেন - তারা কতোটুকু সফল ?
২। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর স্বামী কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ? যার স্ত্রী রাজাকার আলবদর পাকি লম্পট দ্বারা অপহৃত তার তো সবার আগে মুক্তিযুদ্ধে থাকার কথা শুধু তাই নয় ১৯৭১ এ শহীদ হওয়ার কথা আরো ২০-৫০ টা রাজাকার আলবদর সহ পাকি লম্পট কে হত্যা করে - কিন্তু ইতিহাস তো ভাই কিছু জানি - আজীব

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: যার স্ত্রী রাজাকার আলবদর পাকি লম্পট দ্বারা অপহৃত তার তো সবার আগে মুক্তিযুদ্ধে থাকার কথ। তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেননা এটাও কি প্রিয়ভাষিণীর দোষ? রাজাকার আলবদর সহ পাকি লম্পট কে হত্যা করেনি, ১৯৭১ এ শহীদ হয়নি, এটাও কি প্রিয়ভাষিণীর দোষ? দারুন মাসিকতাতো আপনার! এতটা অসুস্থ!

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এতটা অসুস্থ!
আপনি অসুস্থ এটা তো আগে লিখা উচিত ছিলো তাহলে আপনার সাথে সংলাপে যাওয়ার দুঃসাহস করতাম না । বাংলাদেশের ইতহাসের সাথে আমরা পারিবারিক ভাবে জড়িত তাই কোনো - অসুস্থ / দলীয় লোকের সাথে কথা বলার সাহস আমার নেই । আপনি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন আপনার সাহায্য দরকার ।।

আপনার সাথে এখানেই সংলাপ শেষ - ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী এই দেশে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন, ইতিহাসের আড়ালে আছে ইতিহাস তার আড়ালেও আছে ইতিহাস ।।

- সমাপ্ত -

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

যাযাবর রাজা রিটার্নস বলেছেন: সমাপ্ত

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তার সাক্ষাতকারটি পড়ে কেঁদেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.