নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ সত্য বাকী সব মিথ্যা

মোঃ শওকত হোসেন বিপু

আমি মনের আনন্দে লিখি তাতে কেহ খুশি হতে পারে আবার নাও হতে পারেন তাতে এই অধমের কিছু আসে যায়না।

মোঃ শওকত হোসেন বিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূজনীয় শিক্ষক যখন অশ্রদ্ধেয় হয়ে ওঠে

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

শিশুদের শিক্ষার বা বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা প্রচলন আছে বইয়ের পাতায় বা পুরনো আদর্শ লিপিতে বা শিক্ষকদের বুলিতে। তেমনি কিছু প্রবাদ আমরা জানি, যেমন -উৎসাহের মাঝে বেঁচে থাকলে শিশু আত্মবিশ্বাসী হতে শেখে, প্রশংসার মাঝে বেঁচে থাকলে শিশু মূল্যায়ন করতে শেখে। কিন্তু আমি জানিনা, মনকে ভেঙ্গে দিলে কিংবা অন্যকে কুর্নিশ করার মাঝে বেড়ে ওঠলে, শিশুরা ভবিষ্যতে কি হবে, আত্মমর্যাদাহীন একজন মানুষ নাকি অন্যের মুখোপক্ষি হয়ে বেঁচে থাকা একজন অমানুষ।

আমার কাছে মনে হয়, একটা মানুষের অন্যতম বড় বস্তু হচ্ছে, তার আত্মমর্যাদা, তার ব্যক্তিত্ব কিংবা তার চক্ষুলজ্জা। কোন কারনে যদি এই আত্মমর্যাদা বা চক্ষুলজ্জা ওঠে যায়, তবে সে মানুষের জীবনে নৈতিকতার কোন দাম থাকেনা। ভয় পায়না সে কোন অন্যায় বা অসৎ কাজ করার ক্ষেত্রে। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় হলো - আমাদের সমাজে কিছু কিছু শিক্ষক বা শিক্ষিত মানুষ, বুঝে হোক বা না বুঝে হোক, সেই অন্যায় কাজটা করে যাচ্ছে - মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।

জীবনের একেবারে শুরুতে একজন ছেলে বা মেয়ে যখন মক্তব বা মাদ্রাসায় পড়তে যায়, তখন কখনও বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলের কথা বলে, কখনওবা মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে, বাচ্চা ছেলে মেয়েদের রাস্তার দারে বা মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে হাত পাতার অভ্যাস গড়ে তুলে মক্তব বা মাদ্রাসার হুজুর বা শিক্ষকেরা। সেই ছোটবেলায় কচি কচি বাচ্চাদের মানসিক মনোবল বা আত্মমর্যাদা তখনই নষ্ট করে দেয়া হয়, যখন কোন উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে সে কারো কাছে হাত পাতে । ইদানীং আবার শুরু হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে জনপ্রতিনিধি বা আমলাদের কুর্নিশ করা বা ছাত্র-ছাত্রীদের মাথার উপর দিয়ে হেটে যাওয়া।

গত বৃহস্পতিবার যশোরের এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটা অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি (যশোর -২ আসনের সাংসদ জনাব এড. মনিরুল ইসলাম) এবং শিক্ষকদের কুর্নিশ করার এমন অভিনব পদ্ধতি সবাইকে হতবাক করে দেয়। যেটাকে আবার এবিসি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রশ্নোত্তরে বললেন - এটা একটা ব্যতিক্রমী ডিসপ্লে। ব্যতিক্রমী তো বটেই, যেখানে কোমলমতি ছাত্রীরা মুখে কোন রকম হাসি না রেখে চরম অশ্রদ্ধায় হাঁটু গেড়ে কুর্নিশ করলো কিছু মানুষ(!) গড়ার কারিগরকে, কিছু জনপ্রতিনিধিকে। সেটাও আবার একজন শিক্ষকের নির্দেশনায়, যাকে খুব তৎপর দেখা গেছে নির্দেশনা দিতে ছাত্রীদেরকে, কে কোথায় বসবে।

এই ধরনের ঘটনা শিশুর মানুষিক বিকাশের পথে কত যে অন্তরায়, তা কেবল শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা শিশুর মানসিক বিকাশ নিয়ে কাজ করা মানুষগুলো ভাল বলতে পারে, আমরা কেবল তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের মনোকষ্টগুলো বুঝতে পারি এবং নিজেদেরকে নিজেরাই ধিক্কার জানাতে পারি, কারন জনপ্রতিনিধি বা শিক্ষকদের মত আমরাও মানুষ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখন ঘরে ঘরে আলাদা করে নৈতিকতা শেখাতে হবে। স্কুলে শুধু টিকে থাকার জন্য পাঠাতে হবে...

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: কলিকাল চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.