নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

@ ঘুরপাক פֿ ; সক্রিয় পাঠক

শূন্য হৃদয়ে ডঙ্কা বাজে এ কিসের, জানো কি হে!

জসিম

সবকিছূই যেন ঘুরে ঘুরে আসা। ঘুরপাক@ সবখানেই।

জসিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে আপনি এবং রোগের নাম যখন \'বর্ণবাদ\'

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

বর্ণ নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নাই. অবহেলা, কুনজর, অপমান, বৈষম্য আর নানা শব্দ আমাদের প্রতিদিন অনকে ভাবনায় রাখছে বলা যায়. তাহলে এই বর্ণ নিয়ে ভাবনা-দুর্ভাবনা প্রকট হচ্ছে কেন. আর কেনই বা হাজার বর্ণ বিষয়ক প্রশ্ন ঘিরে ধরছে! সমস্যা কি বর্ণে নাকি অন্য কোথাও. মার্টিন লুথার কিং বা নেলসন ম্যান্ডেলা বা বর্ণবাদ নিয়ে ইতিহাস চর্চা বা সেগুলোর বিশ্লেষণ এই লেখার উদ্দেশ্য নয়. দেশে থাকার সময় বর্ণ নিয়ে নাক সিটকানো আমাদের ধরণ- কালো , আফ্রিকান বা ব্ল্যাক অনেকটা ভালো করেই বুঝিয়ে দেয় আমরাও বর্ণবাদী- এই অভিযোগের বাইরে নই. কিন্তু দেশের বাইরে আসার পর নতুন করে দেখছি, দেশের মানুষের বর্ণবাদ নিয়ে নানা ব্যাখ্যা ও তাদের বর্ণবাদ বাস্তবতার চেয়ে সবকিছুকে 'বর্ণবাদ' এরে শিকার মনে করে সবকিছুকে একই কাতারে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা. আপনি যখন নিজেই আরেকজনকে নানা বর্ণে চিত্রিত করে আনন্দ পান তখন নিজের কাছে এই রোগের শিকার মনে হবার কি কোনো যুক্তি আছে!

আপনি কেন মনে করবেন, দেশের বাইরে আসছেন, তাতে সবাই আপনারে সালাম দিয়ে সবকিছু আগায়, পেছায় দেবে বা আপনাকে তাদের আচরণ দিয়ে সন্তুষ্ট করতে হবে যে তারা আসলে বর্ণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছেনা. নিজে অন্য জায়গায় এসে কি চেষ্টা করেছেন তাদেরকে জানার জন্য. আপনি বিদেশে এসে সব সময়ই চান, এখানে ভাল চাকরি পাবেন, অনেক অনেক টাকা কামাবেন, না পেলে সেটা বর্ণবিদ্বেষ! আপনি এখানে বছরের পর বছর আছেন, থাকছেন, তারপরও প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত আপনার অভিযোগ- এরা বর্ণবাদী. অাপনি নিজে কি কখনো চিন্তা করেছেন-ভেবেছেন- আপনার নিজের দেশে অন্য দেশ থেকে কেউ আসলে তার সাথে আপনি কেমন আচরণ করেছেন, সেটা কি আসলেই সমতার, সমান সুযোগের? বাংলা না জানা একজনকে চাকরি, একজন বাঙ্গালীর মতোই সবকিছু দেয়া তো দূরের, আপনি আসলে প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিভাবে দেখেন বা কিভাবে দেখে অভ্যস্ত! দেশে কি করতাম বা করতাম না এগুলা বলে লাভ নাই, এসব বিদেশীরা আসলেই বর্ণবাদী!

হ্যাঁ, আপনার চোখ এভাবেই দেখে সব. দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এখানেই কাটিয়ে দিতে ভালোই লাগছে আপনার. আবার প্রতি মূহূর্ত এরা বর্ণবাদী এটাও আপনার মুখে ফেনা তুলে সব সময়. অন্য দেশে এসে সে দেশের মানুষরে মনোভাব, সাংস্কৃতিক, জীবনযাপন এসব জানার, বুঝার বা কৗেতুহলী মন নিয়ে দেখার কি চিন্তা করেছেন কখনো- করবেন না, করেই বা কি! এরা আসলেই খারাপ, এদের এটা, ওটা ভালো না. হ্যাঁ, আপনি আরেক দেশ, ভাষা, সংস্কৃতির কাছে এসে চান সবকিছু আপনার দেশের, শহরের বা গ্রামের মতো হোক বা আপনি চান সেরকম থাকুক. এটা নাই মানেই এখানে কোনো রসবোধ নাই. আপনি মনে করেন, এদের ভাষা, সংস্কৃতি শেখার কোনো মানে নাই. এগুলা খারাপ. এইসব কিছু কি প্রমাণ করে না আপনি নিজেই বর্ণবাদ রোগে আক্রান্ত কিনা!

আপনি হয়তো ইতোমধ্যে অভিযোগ করার জন্য তৈরী হয়েছেন- তাহলে এরা কি বর্ণবাদী না? নিজে বড় জ্ঞানী হয়েছেন মনে হয়? হুম. হতে পারে, আপনার কথাই সত্য. এখানে চাকরি পাওয়া যায় না, দেখলে কথা বলেনা, নিজেরা আগে চাকরি নিজ দেশের মানুষদের, বিদেশীদের পদে পদে নানা বাঁধা. হ্যাঁ, কিন্তু এগুলা কি এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক না! আপনি চান আপনার মনে মতোই তারা আপনাকে সুবিধা দিক, না দিলেই খারাপ. দিলে আরো বেশি দিক, না দিলেই খারাপ. আপনার নিজের 'বর্ণবাদ' রোগের কারণে আপনি শুধু পেতে চান, খেতে চান, আরো চান, চাইতেই থাকেন. আপনার এই অভ্যাসের মধ্যে তাদের জানা, বুঝা, দেখা, এসব কিছু গৗেণ!

আমার কাছাকাছি এক বাংলাদেশী থাকেন. আরো অনেকেই আছে এর চেয়েও বেশি বর্ণ রোগে আক্রান্ত. তো যার কথা বলছিলাম. সে এখানে এসে পড়ালেখা করেছে, একটা অনার্স ডিগ্রী শেষ করেছে. চাকরি করে. কিন্তু সে এখানকার লোকদের নিয়ে প্রতিনিয়তই রেসিস্ট, এদের মনমানসিকতা খারাপ, এটা ওটা ভালো না- এ তার নিত্য প্যাঁচাল. তার সাথে কথা বলা মান্ই হলো আপনাকে অন্তত কয়েকবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে এরা রেসিস্ট শব্দটা শুনতেই হবে. এখানে যেহেতু লোকজন স্থানীয় ভাষাতেই কথা বলে, সেহেতু এখানে লোকজনের সাথে ব্যক্তিগত, সামাজিক কারণে ভাষা বিষয়ক দক্ষতা থাকা দরকার. কাজের জন্য বা ভালো কাজ খুঁজতে গেলে আরো বেশি দরকার. ভাষা জানাটা অনেক জরুরি, বিশেষ করে আপনি যদি দীর্ঘদিন থাকেন. এক দু বছরের জন্য কোথাও পড়তে আসলে সেখানকার ভাষা জানা এতো জরুরি কিছু না. কিন্তু আপনার যেখানে বছরের পর বছর যাচ্ছে, আর তাও না. আপনি এখানে আজীবন থাকবেন বলেই স্থির করেছেন. তখনও ৫/৬ বছর পর সেখানকার লোকজনের সংস্কৃতি, ভাষা, তাদের বিভিন্ন দিক যখন আপনি ন্যূনতম জানেন না, তখন এটা কি আপনার বর্ণ রোগ নয়! এ প্রসঙ্গে প্রতিবারই তার ঐ - এরা চরম রেসিস্ট, এরা নিজেদের বাইরে কোন কিছুই চিন্তা করে না. আরে ভাই- দিনের পর দিন এইসব নিয়া চিন্তা কইরা বিছানা না ভিজায়া তাদেরকে জানা, বুঝার চেষ্টা করেন না! ঘুমে ঘুমে 'রেসিস্ট' ওরা 'বর্ণবাদী' এই স্বপ্নদোষ থাইকা অন্তত মুক্তি পাবেন. কে শোনে কার কথা.

ঢাকা শহরে কালো এক লোক নতুন এসেছে, তার আরো অনেক বন্ধু পাশের অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেে, পড়ালেখা বা কাজ করতে. আপনি তাকে আপনার দোকানের সেলসম্যান রাখবেন? বা রেস্টুরেন্টে? হয়তো রাখবেন. এরপর হতে পারে আপনার দোকানের কাস্টমার হুদাই চিল্লাচিল্লি বা নাক সিটকায়ে, অনেকে গালমন্দ কইরা ফেরতও চইলা গেল. ব্যবসার চিন্তায় আপনি কি ভাববেন তখন? বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন! এইরকম না হওয়াটাই হয়ত স্বাভাবিক? এখন আরেক দূর দেশে আইসা আপনি নিজের জন্য এমনটা হবে না কিভাবে বলবেন? হইলে তো কথাই নাই- এরা বর্ণবাদী. এরা বর্ণবাদী ঠিক আছে. আপনি আইসা আগে কিছু শব্দ শিখেন, দেখেন লোকজন তাদের স্বাভাবিক জীবনে কিভাবে চলাফেরা করে বা এখানকার নিয়ম আসলে কি, সংস্কৃতির ভিন্নতা খেয়াল করেন, নিজে জানেন, বুঝার চেষ্টা করেন, এগুলা কিছুই কেউ করতে চায় না. লাভ আর লাভ তাও আবার নগদ লাভ ছাড়া কোনো দিকে নজর নাই. তাইলে কেম্নে কি!

এগুলা না জেনে কিভাবে বৈষম্য কমবে বলে আপনি ভাবেন! বৈষম্য না থাকুক চাইবেন, আবার বিদেশে এসে সেখানে মানুষ, জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি, ভাষা নিয়ে সারাক্ষণ নাক সিটকায়ে যাবেন- এটা কি আপনার দ্বিমুখীতা নয়? যেকোন কিছুতে আপনি খুঁজে বেড়ান তারা কতটুকু বর্ণরোগে আক্রান্ত! কখনো কেন ভাবেন না যে- আপনি নিজেই আসলে সেই রোগের বড় রোগী. আয়না আসলে সব জায়গায় একই রকম. দেশে থাকলে দেখুন নিজের চেহারা আপনি নিজে কতটুকু বর্ণরাগে আক্রান্ত- বিদেশে থাকলেও দেখুন নিজেই আপনি কিভাবে রোগ্রাক্রান্ত হয়ে দিন কাটাচ্ছেন. আয়না পরিষ্কার থাকলে উত্তর পেতে বিলম্ব হবে না. তবে, এটাও আমি বলি না যে , বর্ণ রোগের কারণে বিদেশীদের নানাভাবে বঞ্চিত রাখছে বিদেশে. বৈষম্যও আছে. থাকবেও.

তবে সেটার জন্য নিজে কি রোগমুক্ত হয়ে ভাবছেন যে কি আপনার করণীয়. নাকি আজীবন পাই না পাই না, কেন পাই না, কেন দেয় না, দেয় না কেন- এরা খারাপ. কেন আরো বেশি পাই না, কেন আরো বেশি দেয় না-এরা খারাপ! আয়না দেখে ভাবুন, আরো ভাবুন রোগটা আপনার মধ্যেই প্রকট কিনা. আপনি যখন অন্যখানে এসেছেন নিজেই যেচে, কখন এটা আসলে কার রোগ!- চোখটা আরো পরিষ্কার করুন. এতেই রোগ নিয়ে জ্ঞান, ভাবনা পরিষ্কার হবে.

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:

বাংগালীরা মনের থেকে বর্ণবাদী; ফলে, তারা বর্ণবাদের শিকার হতে পারে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৮

জসিম বলেছেন: গন্তব্য যখন অন্য কোন দেশ বা সংস্কৃতি তখন বর্ণবাদের শিকার হওয়া স্বাভাবিক. কিন্তু কিছু মানুষকে দেখি তারা সব সময় 'তালগাছ' গোছের. জানা, বুঝা, শেখা তো নাই ই, আবার বর্ণ বর্ণ বলে শুধু চেঁচামেচি সারাক্ষণ. আরেক জায়গায় যখন আসছে তখন বৈষম্য যে হবে এটা স্বাভাবিকই. কিন্তু নিজের কি করণীয় কিছু নাই! কিন্তু কে শোনে কার কথা!

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০

কালীদাস বলেছেন: আমরা কঠিন বর্ণবাদী। এটা বুঝতে আমার অনেক সময় লেগেছে। কিন্তু সত্যি :(
কখনও বুলির শিকার হয়েছেন কোথাও? ইয়াং পান্কদের এই কাজটা করার নেচার খুব বেশি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৯

জসিম বলেছেন: ঢাকা শহরে কালো এক লোক নতুন এসেছে, তার আরো অনেক বন্ধু পাশের অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেে, পড়ালেখা বা কাজ করতে. আপনি তাকে আপনার দোকানের সেলসম্যান রাখবেন? বা রেস্টুরেন্টে? হয়তো রাখবেন. এরপর হতে পারে আপনার দোকানরে কাস্টমার হুদাই চিল্লাচিল্লি বা নাক সিটকায়ে অনেকে গালমন্দ কইরা ফেরতও চইলা গেল. এইরকম না হওয়াটাই হয়ত স্বাভাবিক. এখন আরেক দূর দেশে আইসা আপনি নিজের জন্য এমনটা হবে না কিভাবে বলবেন? হইলে তো কথাই নাই- এরা বর্ণবাদী. এরা বর্ণবাদী ঠিক আছে. আপনি আইসা আগে কিছু শব্দ শিখেন, দেখেন লোকজন তাদের স্বাভাবিক জীবনে কিভাবে চলাফেরা করে বা এখানকার নিয়ম আসলে কি, সংস্কৃতির ভিন্নতা খেয়াল করেন, নিজে জানেন, বুঝার চেষ্টা করেন, এগুলা কিছুই কেউ করতে চায় না. লাভ আর লাভ তাও আবার নগদ লাভ ছাড়া কোনো দিকে নজর নাই. তাইলে কেম্নে কি! আমি নিজেও যে এখানে আসার পর দেখি নাই তা না. কখনো মনে হইছে লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে মশকরা, বৈষম্যমূলক আচরণ করতাছে. কিন্তু এগুলা নিয়া না ভাইবা নিজে কিভাবে সেগুলা কাটানো যায় সেটাই আমার কাছে বেশি দরকারি মনে হয়. চ্যাংড়া পুলা/মাইয়াদের মাঝে অন্য দেশের আফ্রিকা, এশিয়ার লোকদের নিয়া এমনিতেই নাক সিটকানো ভাব. আবার এখন আছে রিফিউজি সমস্যা.

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: আমেরিকায় এসে যা বুঝলাম,বর্ণবাদের বিষের বিপরীত ক্রিয়াও আছে।

সাদা বিধবা মেয়ে,সাদা সিঙ্গেল মামরা কালো,এশিয়ান,আরবদের সাথে লিভ টুগেদার,উইকলি রিলেশন,মান্থলি রিলেশনের দিকে ঝুকছে।ওদের পুরুষরা যতই বর্নবাদকে উস্কে দিচ্ছে ঠিক ততই সাদাদের ভেতর কাকওল্ড রিলেশনের দিকে ঝুকে পড়ার প্রবনতা বাড়ছে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৪

জসিম বলেছেন: ঘটনা সত্য. দিন দিন এগুলা বাড়তেছে. আমি নিজেও দেখছি এখানে আমার পরিচিত অনকে স্থানীয়দের বয়ফ্রেন্ড/স্বামী আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের. একজনকে চিনি যে শুধু এক আফ্রিকান ছেলের সঙ্গে কয়েক মাস লিভ টুগেদার করছে নিজে একটা বাচ্চা নেয়ার জন্য. এখন ঐ মহিলার মেয়ের বয়স ৩ বছর.

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। চোখে হাত দিয়ে দেখিয়েছেন প্রকৃত অবস্থা! লেখা ভালো লেগেছে, শেয়ার করলাম।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

জসিম বলেছেন: প্রকৃত অবস্থা আরো খারাপ. আমার কাছাকাছি এক বাংলাদেশী থাকেন. আরো অনেকেই আছে এর চেয়েও বেশি বর্ণ রোগে আক্রান্ত. তো যার কথা বলছিলাম. সে এখানে এসে পড়ালেখা করেছে, একটা অনার্স ডিগ্রী শেষ করেছে. চাকরি করে. কিন্তু সে এখানকার লোকদের নিয়ে প্রতিনিয়তই রেসিস্ট, এদের মনমানসিকতা খারাপ, এটা ওটা ভালো না- এ তার নিত্য প্যাঁচাল. তার সাথে কথা বলা মান্ই হলো আপনাকে অন্তত কয়েকবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে এরা রেসিস্ট শব্দটা শুনতেই হবে. এখানে যেহেতু লোকজন স্থানীয় ভাষাতেই কথা বলে, সেহেতু এখানে লোকজনের সাথে ব্যক্তিগত, সামাজিক কারণে ভাষা বিষয়ক দক্ষতা থাকা দরকার. কাজের জন্য বা ভালো কাজ খুঁজতে গেলে আরো বেশি দরকার. ভাষা জানাটা অনেক জরুরি, বিশেষ করে আপনি যদি দীর্ঘদিন থাকেন. এক দু বছরের জন্য কোথাও পড়তে আসলে সেখানকার ভাষা জানা এতো জরুরি কিছু না. কিন্তু আপনার যেখানে বছরের পর বছর যাচ্ছে, আর তাও না. আপনি এখানে আজীবন থাকবেন বলেই স্থির করেছেন. তখনও ৫/৬ বছর পর সেখানকার লোকজনের সংস্কৃতি, ভাষা, তাদের বিভিন্ন দিক যখন আপনি ন্যূনতম জানেন না, তখন এটা কি আপনার বর্ণ রোগ নয়! এ প্রসঙ্গে প্রতিবারই তার ঐ - এরা চরম রেসিস্ট, এরা নিজেদের বাইরে কোন কিছুই চিন্তা করে না. আরে ভাই- দিনের পর দিন এইসব নিয়া চিন্তা কইরা বিছানা না ভিজায়া তাদেরকে জানা, বুঝার চেষ্টা করেন না! ঘুমে ঘুমে 'রেসিস্ট' ওরা 'বর্ণবাদী' এই স্বপ্নদোষ থাইকা অন্তত মুক্তি পাবেন. কে শোনে কার কথা.

শেয়ার করার জন্য কৃতজ্ঞতা. ভালো থাকবেন.

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: চমৎকার লেখা। প্রকৃত অবস্থা আসলেই তাই। আমি নিজেও কমবেশি বর্ণবাদী। আফ্রিকানদের আমি ভয় পাই, এড়িয়েও চলি যেখানে দেখি। কেউ এমন কিছু মানসিকতার একেবারে বাইরে নয়, থাকলে সে নিশ্চয়ই মহামানব গোত্রের কেউ হবে। তবে আমরা আসলেই মনে হয় একটু বেশিই।

পোস্টে প্লাস।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

জসিম বলেছেন: ধন্যবাদ @শতদ্রু একটি নদী. আসলে কেউই মহামানব গোত্রের কিছু না. সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিজের জ্ঞান, বৃদ্ধি কাজে লাগালে নিশ্চই ভালো কিছু করা সম্ভব. চোখ উঠায়ে চললে এতে লাভের তো কিছু আসলে হয় না, যা হয় ক্ষতিই. আমার মতে, বর্ণ নিয়া রোগে না ভুগে জ্ঞান, বৃদ্ধি কাজে লাগানোর পথে যাওয়া উচিত.

ভালো থাকুন.

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৬

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: কোন সিটির কথা বললেন?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৮

জসিম বলেছেন: আমি যার কথা বললাম সেটা হেলসিংকি. এরকম কেস অন্য শহরেও আছে (অন্যের অভিজ্ঞতা).

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫১

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: আমেরিকান মহিলাদের টাকার গরম।প্রথম বিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের বাচ্চা বাড়ি গাড়ি বাথটব ফায়ারওয়ার্কস বাগান সব থাকে তবে একা একা জীবন।সেই নি:সঙ্গতা কাটাতেই মেনে নেয় সুযোগসন্ধানীদের দৌড়াত্ম।সিংগ্যাল মাম এখানে কোন ব্যাপারই না।যদিও কিছু হাতাহাতির ঘটনা ঘটে সাদা পুরুষদের সাথে।আমাদের নিউ জার্সিতে সিংগ্যাল মামদের টার্গেট করে তরুন আরব ও পাকিস্তানীরা।কিছু আফ্রিকানদেরও দেখেছি এমন করতে।তবে কালো অধ্যুষিত নিউ জার্সিতে কালোরা যারা ভাল তারা খুব ভাল আর যেগুলো খারাপ সেগুলো সেইরকম খারাপ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৩

জসিম বলেছেন:
আপনি যেটাকে টাকার গরম বা একা থাকার নি:সঙ্গতা বলেন এক্ষত্রে আমার কিছু দ্বিমত আছে. টাকার গরম থাকা না থাকা আসলে কোন বিষয় না. এভাবে বিচার করলে কারো নিজের পছন্দ অনুযায়ী জীবনযাপনের অধিকারকে তাচ্ছিল্য করা হবে. সিঙ্গেল পেরেন্ট ফ্যামিলি এখানে অহরহই দেখি. আমার অনেক বন্ধুও আছে যারা একাই নিজের সংসার করছে, বাচ্চা লালন পালনও করছে. এদের সবাই যে টাকা পয়সাওয়ালা বিষয়টা এমন নয়, অধিকাংশের আয় দেশের গড় আয়ের মতোই. অনেকে আবার সরকারের ভাতা, কিছুটা চাকরির আয় এভাবে চলে, আর এ ধরনের সিঙ্গেল প্যারেন্ট ফ্যামিলি এ ধরনের দেশগুলাতে খুবই স্বাভাবিক. আর সুযোগসন্ধানী আর আরব, পাকিস্তানীগুলার বিষয়টা অনেকটা একইরকম.

ধন্যবাদ.

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০০

এজজিলারেটেড উইন্ড বলেছেন: এক জিহাদী ভাই তো রীতিমত ইতিহাস গড়ে ফেললেন।প্রথমে লিভ টুগেদার,প্রেম, এই মহিলাকে ইসলামের দিকে নিয়ে আসতে পারছে এই মিশরীয় ছেলেটা।ব্র্যাভো,বাঙ্গালি ভাই-ব্রাদারদের জন্য শিক্ষণীয়

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৪

জসিম বলেছেন: ইসলাম গ্রহণ করানো বা তার 'সফল' জীবন নিয়ে আমি আসলে মন্তব্য করতে চাই না.
তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় আমার কিছুটা সাদৃশ্য মনে হয়. যেমন ধরা যাক- একজন সারাজীবন লুটপাট, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণসহ নানা অপরাধ করেছেন. এখন ধর্মীয় পূণ্যস্থানে নিয়ে ধর্মীয় আচার পালন করে শুদ্ধ হবার চেষ্টা বা নিজেকে সেভাবে পরিচিত করছেন, অথবা ধর্মীয় অনুশাসনে মনোযোগী হওয়া. অবস্থা যাই হোক না কেন- কে কি শিখে সেটা বলা মুশকিল.এখানে কত বিষয়- সততা, যৗেনতা, ধর্ম, আধুনিকতা

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: একবারে সত্য কিছু কথা বললেন , ভালো লাগলো ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

জসিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গুলশান কিবরীয়া. বিদেশ এসে এসব দেখা অনেকটা স্বাভাবিকই মনে হয়. আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন.

ভালো থাকুন.

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৪

জসিম বলেছেন: মন্তব্য থেকে কিছু অংশ যোগ এবং শব্দের কিছু অসঙ্গতি সংশোধন করা হয়েছে.
@কালীদাস এবং @কাল্পনিক_ভালোবাসা কে ধন্যবাদ.

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

জুন বলেছেন: জসিম একটি প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আমাদের দেশের মত ( ঈন্ডিয়ায় থাকতে পারে) এত বর্নবাদীর অস্তিত্ব আর কোন দেশে আছে বলে মনে হয় না । সুমাইয়া শিমুর স্বামীকে নিয়ে যে আলোচনা হলো তা কোন রুচীশীল মানুষ করতে পারে বলে আমার জানা নেই । দুদিন আগে হাটতে গিয়ে তিন মহিলার কথা কানে আসলো । কার কথা নিয়ে যেন জোরে জোরে নিজেদের মাঝে আলাপ করছিল ।
" বুঝলেন ভাবী সেই মহিলা এত কালো এত কালো নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ "।
তাদের কথা এই শুনে আমি মর্মাহত হোলাম ।
আমরা যতই বলি ইউরোপিয় বা আমেরিকান রা বর্নবাদী তবে তারা আমাদের ছাড়িয়ে যেতে পারবে না ।
লেখায় প্লাস
+

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৯

জসিম বলেছেন:
আমিও ভাবি মাঝে মাঝে, গায়ের রং নিয়ে আমাদের যে ধারণা এবং 'বর্ণবাদী' আচরণ সেটা নিয়ে আমরা আসলেই ভাবি কিনা. আমার নিজেও অনেক দেখেছি, কালো রং হওয়ায় কত কানাঘুষা আর কতো টিপ্পনী মার্কা কথা রোজ লোকজন চর্চা করে যাচ্ছে. এটা কিন্তু আবার মেয়ের ক্ষেত্রে না. পুরুষেরই এ অবস্থা. আর মেয়ে হলে তো কথাই নাই. হাজারো কথা তাকে নিয়ে উঠবেই. বিদেশে এসে যখন দেখি, আমাদের অনেকেই নিজেকে বর্ণবাদীতার শিকার বলে প্রতিনিয়ত দায়ী করে যাচ্ছে. এই ব্যক্তিটিই একটু পর কালো একজনকে দেখে বলছে, ঐ যে দেখন, কাইল্যা একটা যাইতাছে! এগুলা কেন যে এইখানে আইছে! আপনি যে সুমাইয়া শিমুর কথা বললেন, তাকে নিয়ে কথিত শিক্ষিত এসব মানুষদের মন্তব্য, টিটকারী, তাকে, তার স্বামীকে নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন জায়গায় অশ্লীল হাস্যরস, বর্ণ নিয়ে জঘন্য মন্তব্য দেখে ঐসব লোকদের জণ্য করুণা হচ্ছিল যে, এরা কবে শিখবে!

ভালো থাকো আপু.
ধন্যবাদ.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.