নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সিরিয়াল নম্বর দিলে আমার নম্বরটা পড়বে সবার শেষে । আমি এক জন কামলা। দেশে কোন কাজ পাইনি। পেটের দায়ে বিদেশে কামলা দেই। আমি জাতির বোঝা। জাতি আমাকে কিছু দেয়নি। তবে আমি জাতিকে রেমিট্যান্স দিই।
বিদেশ মিশনগুলোতে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার পদে বড় ধরনের রদবদল আনছে সরকার। বিগত মহাজোট সরকারের আমলে প্রাইজ পোস্টিং পাওয়া রাষ্ট্রদূতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তাদের বদলে পুরোদস্তুর পেশাদার এবং
ক্লিন ইমেজধারীদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মতে, সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পর রাষ্ট্র্রদূত বা হাইকমিশনারদের নিয়োগের জন্য এগ্রিমো পাঠানো হয়েছে। সূত্রমতে, ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে থাকা তারিক এ করিমের সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ জুলাইয়ের দিকে শেষ হচ্ছে। তার চাকরির (চুক্তি) মেয়াদ আর বাড়ছে না। তার বদলে দিল্লিতে হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। পেশাদার ওই কূটনীতিকের নিয়োগের বিষয়ে ইতিমধ্যে দিল্লির ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেছে। তবে তার পদমর্যাদা কি হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এদিকে গত সরকারের প্রায় পুরো সময় ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা আকরামুল কাদেরের চুক্তির মেয়াদ আর বাড়ছে না। সেখানে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম. জিয়াউদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। গত সরকারের আমলে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালনকারী মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস শেষ সময়ে লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বরাবরই সরকারের গুডবুকে ছিলেন। এখনও আছেন। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে বৃটিশ সরকারের সঙ্গে যে ধরনের সম্পর্ক ও যোগাযোগ প্রত্যাশা করেছিল তা অর্জন করতে না পারায় সরকারের নীতিনির্ধারকরা তার ওপর নাখোশ। তাছাড়া দেশটিতে থাকা বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গেও তিনি খুব একটি মিশতে পারেননি। এসব বিবেচনায় তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ এবং নতুন মিশন ব্রাজিলে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। মিজারুল কায়েসের বদলে লন্ডনে হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন নবগঠিত সরকারের গুডবুকে স্থান পাওয়া রাষ্ট্রদূত আবুল হান্নান। তিনি জেনেভায় দীর্ঘ চার বছর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ও নতুন সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের অভিনন্দন আদায়ের তার বিশেষ অবদান ছিল। এসব কারণে লন্ডনে তার প্রাইজ পোস্টিং হচ্ছে বলে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা আছে। ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্র্রদূত শামীম আহসান দায়িত্ব পালন করছেন অনেকদিন ধরে। তার আগে ব্রুনাই দারুস সালাম ও তেহরানেও তিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন। কেবল পররাষ্ট্র ক্যাডারই নয়, সব ক্যাডার মিলে প্রথম হওয়া শামীম আহসান জেনেভায় স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ায় গত সরকারের পুরো সময় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী লে.জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তার বদলে ক্যানবেরা যাচ্ছেন থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। ব্যাংকক মিশনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) সাঈদা মুনা তাসনিম। মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অনুপ কুমার চাকমার মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেখানে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন কলম্বো মিশনের রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক তারিক আহসান। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আল্লামা সিদ্দিকী। কেবল রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার পদেই নয়, তাদের ডেপুটি পদেও বেশ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। লন্ডনে ডেপুটি চীফ অব মিশন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সরকারের চিফ অব প্রটোকল হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকারী খন্দকার এম. তালহা। আর রিয়াদে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পররাষ্ট্র্র দপ্তরের মধ্যপ্রাচ্য দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নজরুল ইসলাম। কূটনৈতিক সূত্র মতে, চলতি বছরের শেষের দিকে চীন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মিশনের রাষ্ট্রদূতদের মেয়াদ শেষ হবে। তবে সেসব দেশে কারা নিয়োগ পাচ্ছেন সেটি এখনও ঠিক হয়নি।
সূত্র এখানে
©somewhere in net ltd.