নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতির বোঝা। তবে আমাকে আপনি জাতির ভাতিজাও বলতে পারেন। জাতির কোন উপকার করছি কিনা জানি না। জাতির থেকে কোন উপকার পাইনি এটা বলতে পারি।

জাতির বোঝা

বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সিরিয়াল নম্বর দিলে আমার নম্বরটা পড়বে সবার শেষে । আমি এক জন কামলা। দেশে কোন কাজ পাইনি। পেটের দায়ে বিদেশে কামলা দেই। আমি জাতির বোঝা। জাতি আমাকে কিছু দেয়নি। তবে আমি জাতিকে রেমিট্যান্স দিই।

জাতির বোঝা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই সব থ্রি-ডি-স কাজ

১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২২




বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় কোটি খানেক মানুষ বিদেশে কাজ করছে। সবাই যে খুব ভালো কাজ কাজ করছে তা কিন্তু নয়। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই করে Dirty, Dangerous and Demeaning (often Dirty, Dangerous and Demanding or Dirty, Dangerous and Difficult) করে 3Ds কাজ।যে কাজগুলো অনেক দেশের এমনকি আমাদের নিকট প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, পাকিস্তান কিংবা শ্রীলংকার মানুষও করতে চায় না; সেই ৩-ডি কাজগুলো করতে হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের মানুষকে। তারপরও তাদের বেতন হয় সব চেয়ে কম। অনেক নোংরা পরিবেশে পরিবার পরিজন ছাড়া তারা বাস করে বছরের পর বছর।

থ্রি ডি কাজকে আরো যে নামে ডাকা হয়ঃ
ক. "Dirty, dangerous and demeaning"
খ. "Dirty, dangerous and demanding”
গ. "dirty, dangerous and difficult"

3Ds কাজগুলো এরকমঃ
১। D=Dirty: নোংরা কাজগুলো করতে হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষকে। এই সব নোংরা কাজের পারিশ্রমিক অনেক অনেক বেশী হওয়া উচিত। কারণ এগুলো বেশীর ভাগ মানুষই করতে চাইবে না। অথচ আমাদের দেশের মানুষ কম পারিশ্রমিকেই এই কাজগুলো করে।
২। D=Dangerous: এই কাজগুলোতে জীবনের ঝুঁকি অনেক বেশী হওয়াতে এগুলো করার মতো মানুষ অনেক কম। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ অনায়াসেই কম পরিশ্রমে কাজগুলো করে যাচ্ছে। যেমন- কারখানার আগুনের কাজ, উচুঁ ভবন তৈরীর কাজ, বিদ্যুতের টাওয়ার এর কাজ ইত্যাদি।

৩। D=Demeaning/Difficult:কঠিন পরিশ্রমের কাজ যা সাধারণত নিচু স্তরের কাজ বলেই মনে করা যেতে পারে। রাস্তা পরিস্কার, ঘরবাড়ি কিংবা টয়োলেট পরিস্কার কার কাজ। এগুলোও বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে বাধ্য হয়ে করছে।

সর্বশেষে বলতে হয়, পেটের দায়ে বাংলাদেশের অনেক মানুষ দেশের বাইরে গিয়ে এইসব থ্রি-ডি-স কাজ করছে। এই সব কাজকে আবার আমাদের কিছু প্রবাসী মানুষ আছেন যারা বলে অড-জব।

যে নামেই ডাকা হোক না কেন এই কাজগুলো কেউ শখ করে করে না। পেটের দায়ে করে। দেশে ভালো একটি সম্মানজনক কাজ না পেয়ে করে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: কত কিছু যে জানি না। কিন্তু জীবন কত ছোট।

১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

জাতির বোঝা বলেছেন: আমারও মাঝে মাঝে মনে হয়- আরে ধুর, কিছুই তো জানি না। এতো বোকা হলাম কেন। কেন আরো বুদ্ধিমান মানুষ হলাম না।

আপনি খুব ভালো লেখেন।

২| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষ কোন কাজ না শিখে বিদেশে আসে.....

এসে এখানে দিন মুজুরের মতন কাজ করে।

বিদেশে আসতে হলে কাজ শিখে আসতে হবে।

১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬

জাতির বোঝা বলেছেন: সাধারণ শ্রমিকরা বিদেশে কামলা খাটতে যেতে চায় না। তারা চায় দেশেই সম্মানজনক একটি কাজ। একটি সুন্দর সংসার। এই দুটোর কোনটাই তারা পায়না।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের সাধরণ মানুষকে অশিক্ষিত করে রেখেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামাত ও জাপা; এবং চাকুরির সৃষ্টি করেনি; এখন তাদের বিক্রয় করছে দাস হিসেবে।

১৫ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৩

জাতির বোঝা বলেছেন: সাধারণ মানুষের কথা ভাবার কোন সময় কারো নেই। ধর, মার, কাট , খা এই হলো নীতি।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই ডার্টি কাজগুলো করা মানুষেরাই সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠায় বাংলাদেশে যার ওপড় ভর করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অর্থনীতি। সত্যি বলতে গেলে প্রফেশনাল বাংলাদেশীরা দেশে টাকা পাঠায় না। শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স আরো বেশি হত যদি বৈ্ধ চ্যানেলে টাকা দেশে যেত। মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য প্রবাসী শ্রমিকদের বেশিরভাগ টাকা দেশে যায় অবৈধ হুন্ডি চ্যানেলে।
বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স গেলে আমাদের ব্যাংকগুলো আরো অনেক বেশি শক্তিসালী হত এবং আমাদের অর্থনীতি আরো মজবুত হত। ফিলিপাইন , ইন্দোনেশিয়া , থাইল্যন্ড, মিয়ান্মার্‌ ইন্ডিয়া ইত্যাদি দেশগুলো প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিটেন্স কাজে লাগিয়ে দেশকে দিন দিন উন্নত করছে এবং শ্রমিকদের কাজের স্বীকৃতিও দিচ্ছে।

১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

জাতির বোঝা বলেছেন: শ্রমিকরা রেমিটেন্স পাঠায় কারণ শ্রমিক নিজে কেবল বিদেশে। তার পরিবারের সবাই বাংলাদেশে। আবার যারা পরিবার নিয়ে বিদেশে থাকে এবং সেটেলড তারা কিন্তু দেশে টাকা পাঠাবে না। যদি না বাবা মা কিংবা ভাইবোনকে মাঝে মাঝে দিতে না হয়। কোন শ্রমিক পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৭ জন হলে তারা সবাই ওই শ্রমিকের উপর নির্ভরশীল।

তবে প্রফেশনাল যারা বিদেশে একা একা থাকেন ( যদিও সম্ভাবনা কম) তবে তিনিও দেশে টাকা পাঠাবেন। তবে যাই হোক, বিদেশে লেবারী করে দেশে টাকা পাঠানো খুব সহজ কাজ নয়।

আমার দাবী, বিদেশে নয়, দেশেই শ্রমিকদেরকে কাজ দেয়া হোক। তাদেরও পারিবারিক জীবন পাবার অধিকার আছে।

৫| ১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

তারেক ফাহিম বলেছেন: দেখি মন্তব্য করতে পারি কিনা।

১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

জাতির বোঝা বলেছেন: চেষ্টা করে দেখুন। পারতেও তো পারেন। মানুষ কিনা পারে।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।

১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

জাতির বোঝা বলেছেন: কাউসার ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখার আমি একজন ফ্যান ( এসি ও বলতে পারেন)। আপনার লেখা অনেক ভালো লাগে।

৭| ১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমারও মাঝে মাঝে মনে হয়- আরে ধুর, কিছুই তো জানি না। এতো বোকা হলাম কেন। কেন আরো বুদ্ধিমান মানুষ হলাম না।

আপনি খুব ভালো লেখেন


আমি ভালো লিখি না। তবে সুন্দর করে লিখতে চেষ্টা করি।
ভালো থাকুন।

১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

জাতির বোঝা বলেছেন: আপনার সাথে আমার খুব মিলে গেলে। বোকায় বোকায় ভালো বন্ধুত্ব হতে পারে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়। জীবন হোক আনন্দময়।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দেশে যারা কাজ করেনা তারা বিদেশে গিয়ে কি পরিশ্রমইনা করে।

১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

জাতির বোঝা বলেছেন: কাজ না করলে তো আর কেউ খেতে দেবে না। দেশে তো বাবা মা খেতে দেয়। বিদেশে কাজ ছাড়া ভাত নাই।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

তারেক ফাহিম বলেছেন: আসলে আমার পিসি থেকে গত ০১ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্লগে ঢুকা যায় না।
আপনার মন্তব্যটি ফোন থেকে করা।

আমার পিসিটি বর্তমনে আমাকে সামু ব্লগে দর্শকবেসে রাখছে :(

নেটগত সমস্যা।

২০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

জাতির বোঝা বলেছেন: ইদানিং ব্লগে মন্তব্য করলে সহজে পোস্ট হয় না। মনে হয় সার্ভারের সমস্যা। খুব স্লো দেখায়। ফোন থেকে মন্তব্য করতে গেলে লেখা খুব কঠিন। লেখা কেটে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.