নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

উরাধুরা সমগ্র # ১

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

শশব্যস্ত। Arif R Hossain ভাই ফোন দিয়ে পাগল বানাই ফেলতেছে। বলদ, গর্দভ, পাটনাইয়া ছাগল যতো মিষ্ট ভাষার গালি আছে সব ইগ নোবেলের মতো আমার ঘাড়ের উপর এসে পড়েছে।



ঘটনা কিছুই না। নাসা থেকে সরকার মারফতে আরিফ ভাই, আমি ও সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেনকে তলব করা হয়েছে। পরশু আম্রিকা বরাবর ফ্লাইট। তাই যাবতীয় কাগজপত্র ক্লিয়ার না করায় আরিফ ভাই রেগে আছেন।



আব্বা গম্ভীর মুখে পায়চারী করছেন। আমার দিকে তাকি...য়ে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন। "আমাদের গুষ্ঠির মধ্যে কেউ আম্রিকা যায় নাই। তার উপর নাসার হেডকোয়ার্টারের তোর দিকে খোশ নজর পড়ছে। ভূলেও কোন সুইচ টিপ দিবি না যদি তাগো রকেট খুইল্লা উপরে চাঁন্দে চইলা যায়। নাইলে পর গুষ্ঠি শুদ্ধা বাইন্ধা লইয়া যাইবো কামলা খাটানোর জন্য।"



আম্মা গজগজ করতেছে "ঐ মাংকির পোলা ঐখানে গিয়া কমেডি করবি তো আম্রিকা গিয়া পিডাইয়া আমু। ঐটা জিম ক্যারির দেশ।"



মাংকির পোলা বলাতে বাবার মুখ খানিকটা ঝুলে পড়লো।



আজকে ফ্লাইট। আরিফ ভাই ভ্রুঁ কোচকানো মুখে দাঁড়িয়ে আছেন। সাথে বীথি ভাবি আর দুই আদরের ভাতিজি। বড়ো ভাতিজির কাছে যাইয়া কইলাম ললিপপ খাবা আন্টি? সে চোখ পাকায়ে বললো তোরে ঘুসা মারি আম্রিকা পাঠায়ে দিমু।



একটু পর সদা হাস্যোজ্জ্বল আবুল হোসেন আসলেন। উনার হাসি দেখে আমার হাসি বন্ধ হয়ে গেলো। এই লোকটা তার ঘরের আদরের পোষা কুকুর মারা গেলেও কি এরকম হাসতে থাকবে?



বোর্ডিং পাসে আমি আর আরিফ উৎরে গেলেও আবুল হোসেন আটকা পড়লো। আহারে বেচারা। চেক ইন অফিসার কটমট করে তাকায়ে আছে। আবুল সাহেব বললেন ডলার একটু বেশি নিছি, তিনটা জাঙিয়ার জন্য খোটা দিচ্ছেন কেনো? আরামদায়ক জাঙিয়া না পড়লে তো পোকার খেলে মজা নাই বুঝেন না।



যাই হোক কোনোমতে লাস ভেগাস নামলাম। আবুল হোসেন এদিক সেদিক তাকায়। আরিফ ভাই ছবি তুলতে আছেন প্যানারোমিক ভিউতে গোটা এলাকার।



আবুলঃ এইখানে কেউ বাঁশি বাজায় না কেন?

আমিঃ এইখানে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক। ক্যান দৌড় দিবেন নাকি?

আরিফ ভাই হাসতেই আছেন। আবুল হোসেন বিড়বিড় করে হোটেল মুখে হাঁটা দিলো।



"তো আমেরিকা কেমন লাগছে বলুন?" নাসার দূত বললেন।

আমরা উত্তরে ভালো লেগেছে বললাম।



নাসা দূতঃ আমরা সিদ্বান্ত নিয়েছি যে বাংলাদেশের তিনজন বিখ্যাত মানুষের মাঝে যে কোন একজনকে মঙ্গলে পাঠাবো। এজন্য আপনাদের তিনজনের মধ্যে যে কোন একজন যাবেন। পারিশ্রমিক হিসেবে আপনারা যা চাইবেন তাই দেয়া হবে।

আবুল হোসেন সাহেব কতো নিতে চান তারপর বাকীরাও বলুন।



আবুল হোসেনঃ দুই কোটি ডলার

আরিফ ভাইঃ তিন কোটি।

আমিঃ দশকোটি।



গোটা ঘর স্তব্ধ। আবুল হোসেন খ্যাঁক খ্যাক করে হাসা শুরু করছে। আরিফ ভাই চরম বিরক্তিভরে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।



নাসা দূতঃ আপনার পাওনা কতটুকু যুক্তিসঙত?



আমি বললাম প্রথমে এই দশ কোটি ডলারের ছয় কোটি আমি আর আরিফ ভাই ভাগাভাগি করে দেশে ফিরে যাবো পদ্মা সেতু বানাবো এবং আরো কিছু বানাবো।



সবাই প্রমাদ গুণছে...



আমিঃ আর বাকী চার কোটি দেবো নাসাকে যাতে এমন ব্যবস্থা করে আবুল হোসেনের মঙ্গলে যাওয়া যাতে জীবনেও আর বাংলাদেশ তার হাসি হাসি মুখটুকু দেখতে না পারে।



আরিফ ভাই এবার হাসিতে গড়াগড়ি খাওয়া শুরু করলেন...

Facebook: http://facebook.com/nizamjisan

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনার ব্লগে প্রথম কমেন্ট কিন্তু আমার! :) হ্যাপি ব্লগিং।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১১

রাগিব নিযাম বলেছেন: লজ্জা পেলাম। সাথেই থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.