নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
হাসান সাহেব কোন ঝাঁড়ফুকের কাজ করেন না। স্রেফ শখের বশে কোথাও সমস্যা শুনলে গিয়ে দু-এক রাত কাটিয়ে দেখে নেন জায়গাটার সমস্যা কোথায়।
আজকে এসেছেন চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর এক পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িতে। ধানক্ষেতের আইল পেরিয়ে একেবারে শেষ যেখানটায় ঘন জঙ্গল শুরু তার বাঁ পাশ ঘেঁষেই জমিদারবাড়ির বাউন্ডারি।
অবশ্য তাকে আগে থেকেই সাবধান করা হয়েছে ইনভেষ্টিগেশন করার সময় কেউ তাঁকে আগে থেকেই কোনো ধরণের সহযোগিতা করতে পারবে না।
সে যাই হোক পাঁচটা বাজতেই তিনি ঢুকে পড়লেন বাড়ির চাবি নিয়ে। বিশাল পাঁচিল এমাথা ওমাথা। দশফিট দেয়াল বাউন্ডারীর। একশ বছরেরও বেশি সময়েরও পুরনো এবাড়িতে কতো নির্যাতনের বলি হয়েছে প্রজারা তা খোদ সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
শীতকাল।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে তাড়াতাড়ি। হঠাৎ কিছু একটা চোখে পড়লো হাছান সাহেবের। একটা কালো মতন ছায়া সরে গেলো কি লাগোয়া কাছারির ওপাশ থেকে? ঠাহর করবার আগেই জঙ্গলে কিছু একটা আঁউউ করে ডেকে উঠলো। শেয়াল হবে হয়তো...
খানিকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবার ঢুকে পড়লেন হাতে রাখা চাবিটা নিয়ে সদরকোঠায়। নিচে কোষাধ্যক্ষের কামরা ও বিরাট এলাকাজুড়ে এককালের বিশাল সুন্�%://10.102.61.249:8002 @A6র মজলিশ মহল। অন্যদিকে দোতালায় ছোট ছোট কুঠুরি।
দোতালার বামদিকে সর্বশেষ যে কুঠুরি সেটার মর্মান্তিক সাক্ষী আজকের এই পরিত্যক্ত বিশাল জমিদার বাড়ি।
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে রয়েছেন কুঠুরির দিকে। এই কুঠুরিতে যারা আদেশ মানতো না তাদের অত্যাচার করে মেরে ফেলা হতো। হয়তো তার কারণেই জমিদারবাড়িটি নিঃসঙ্গতায় নিমজ্জিত।
সে যাই হোক সন্ধ্যার সাথে সাথেই ইনফ্রারেড ক্যামেরা ফিট করলেন। একহাতে ইভিপি ও আরেক হাতে ইমার্জেন্সি ফ্লাশলাইট। একটু খেয়াল করে দেখলেন এই ঘরটা কেমন যেনো একটু বেশিই ঠান্ডা। যতোই সময় গড়াচ্ছে ততই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে...
হঠাৎ...
হঠাৎ একটা ধুপ আওয়াজ শুনে শিউরে উঠলেন হাসান সাহেব। ইভিপি রেকর্ডারটা অন করে কুঠুরির দরজা বরাবর নাইটভিশন ক্যামেরা অন করলেন তিনি। না কিছু নেই।
একটু শ্রাগ করলেন। ঝিমানি ভাব দূর করতে একটু মাথা ঝাঁকি খেলেন। তাঁর আগে কেউ এসেছিলো কিনা দেখতে থার্মাল ক্যামেরাটা অন করে রাখলেন। তাপমাত্রার রিডিং অস্বাভাবিক রকমের। এখানে ঢোকার তিন ঘন্টা আগে পালংকের ওপর কেউ বসেছিল।
হঠাৎ...মুজরার আওয়াজ ও মেয়েলি হাসির সাথে নূপুরের ধ্বনি। নাহ, আজ হ্যালুসিনেশন মাত্রারিক্ত পর্যায়ে গেছে। উঠে দাঁড়ালেন তিনি। দরবার হলটা চেক করতে হবে।
একনজরে বাকী কুঠুরিগুলোর দরজায় টর্চ বোলালেন। বড় বড় সেকেলে তালা দিয়ে আটকানো।
সিঁড়ি কাছটায় আসতেই একটা অদ্ভূত অনুভুতি তাঁকে ঘিরে ধরলো। মনে হলো তার পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। সিঁড়িতে যেই না পা দেবেন অমনি কিছু একটা যেনো তাকে ছুঁড়ে দিলো সিঁড়ি থেকে। তারপর... তারপর আর কিছু মনে নাই।
দুদিন পর, চমেক হাসপাতালে...
আমি বসে আছি হাসান ভাইয়ের পাশে। ভীষণ রকম আহত। নাকের সামনেটায় রক্তাক্ত। মুখের এখানে ওখানে কাঁটাছেড়া। আঙ্গুল দিয়ে দেখালেন কাপবোর্ডের দিকে। গিয়ে ব্যাগটা খুলতেই ইভিপি রেকর্ডার, নাইটভিশন ক্যামেরা, থার্মাল ক্যামেরা...
আর দেরী না করে ছুটে বেরিয়ে রিকশা ধরলাম। বাসায় এসে দেখতে থাকলাম একটার পর একটা ফুটেজ।
চোখ আটকে গেলো সেই সিঁড়ির গোড়ায়। মানুষের থেকে কমসে কম দ্বিগুণ বড়ো লোমশ কালচে হাত তুলে আছাড় দিয়েছে...!!!
ইভিপি অন করতেই জমে গেলাম। ওতে ফ্যাঁসফ্যাসে গলায় একটা রেকর্ড ছিলো।
ওখান বলা ছিলো "বাঁচতে চাইলে এখান থেকে চলে যা..."
[চট্টগ্রাম প্যারানরমাল হান্টার্স সোসাইটির ফুটেজ থেকে]
০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
রাগিব নিযাম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। তখন প্রথম প্রথম লিখতাম তাই এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। নতুন গল্পগুলো পড়বেন আশা করি
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০
স্রাবনের রাত বলেছেন: আপনার গল্পটা অনেক সুন্দর হয়েছে । চালিয়ে যান
শুধু একটা কথা বলতে চাই, সুন্দর সাসপেন্স তেরি করেছিলেন । কিন্তু শেষে তা ধরে রাখতে পারেনি । আসলে এটা করা অনেক কঠিন বলে মনে হয় আমার কাছে ।
আপনার জন্য শুভ কামনা ।