নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
আমার অসংখ্যবার মনে হয়েছে এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নাবিলার অংশগ্রহণ স্রেফ অর্থকড়ির পাহাড়ের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহনের। নাহলে এই মহিলা যখন হাসমানের মতো লোককে ফাদে ফেলে তার সম্পত্তি নিজের ট্যাকে নিতে চেয়েছিলো সে ঘটনা শুনে আমার বোঝা হয়ে গিয়েছিলো কিরকম সুচতুর এই মহিলা।
নাবিলাকে একটা নাম্বারে ডায়াল করতে দেখা গেলো। লাউডস্পিকারে রিং হচ্ছে।
-হ্যালো?
-সায়মা ফরাজি?
-কে?
-নাবিলা। তোমার সতীন।
-মুখ সামলে কথা বল নাগিনী।
-হুইশশ। আস্তে। তোমার ভাতার বন্দী। সাথে সাংবাদিকটাও।
চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে রইলাম। বুড়ো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। রুমের ভেতরে দশ বারোজন সাধারণ লাঠিসোটা হকিস্টিক জাতীয় অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
-সায়মা। নির্বাচন থেকে সরে দাড়াও। তোমার আতাতায়ী সংঘকেও চুপ থাকতে বলো।
-আতাতায়ী সংঘ আমার না।
-তাহলে কার? দেখো হাসমানের পিঠ থেকে নিউক্লিয়ার রিআ্যাক্টর খুলে ওটাকে বম্ব বানাবো। আমি যতটুকু জানি ওটা কয়েক মাইল রেডিয়াসে ছাইসহ সব গায়েব করে দেবে।
-তুমি হাসমানকে দেখেছো, কিন্তু হাসমানের ছেলে-মেয়েকে দেখো নাই।
বলতেই ঝনঝন করে বিশাল কাচের জানালাগুলো টুকরো টুকরো হয়ে গেলো। ভয়াবহ কাচ বিস্ফোরণে কানে তালা লেগে যাওয়ার জোগাড়। আইমান প্রায় উড়ে ঢুকেছে, আর জাইমা চাবুক হাতে। এক কোন থেকে চার-পাঁচজন দৌড়ে এলো। চারপাশে পানি ছিলো। সজোরে সেখানে চাবুক দিয়ে বাড়ি দিলো জাইমা। উদ্ভট সেই মুখোশ। লোকগুলো শক খেয়ে পড়ে গেলো।
ঠাং ঠাং!
পাশ ফিরে দেখি হাসমানের শেকল বরাবর কে যেনো গুলি করলো। ছিটকে পড়লেন তিনি। উঠে সামলালেন নিজেকে। হাতে কি যেনো আলোকোজ্জ্বল। এতো সাদা সে আলো ধবধবে যে চোখ বন্ধ করে ফেলতে হয়।
হঠাৎ এমন সময়, কালো মুখোশে ঢাকা পাচ-ছয়জনের একটা দল দড়ি বেয়ে উপর থেকে নেমে আসতে দেখলাম। বুড়োর গায়ে ঘ্যাচ করে একটা লাল পালক গাঁথতে দেখলাম। রেড লেভেল সিরাম!
নাবিলাকে দড়ি ব্যবহার করে পেঁচিয়ে ফেললো তারা। হাসমান বুঝতে পেরে চেঁচিয়ে উঠলেন। আতাতায়ী সংঘ!!!! ওরা নাবিলাকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। যে নাবিলা আমাদের বেধে ফেলেছিলো সেই নাবিলাকে আরেকটি দল বেধে নিয়ে যাচ্ছে।
জীবনের অন্তিম মুহুর্তকে বুঝতে পেরে চিৎকার করে উঠলেন নাবিলা।
©somewhere in net ltd.