নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিজ: রাতের প্রহরী ।। গল্প: হুশিয়ার প্রহরী [বাংলাদেশের অতিমানবেরা- s02ch04]

০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

প্রায় প্রতিটি মানুষের ভেতর প্রতিশোধের স্পৃহা থাকেই। সে একসময় না একসময় প্রতিশোধ নেবেই। এই প্রতিশোধের নেশাটা মানুষের ভেতর তুমুলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে যখন সে ভয়ংকরভভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর এই প্রতিশোধের ভেতর থেকেই জন্ম নেয় অনেক কিছুর।

মিশু জানতো না যে আজ যেটার জন্য সে প্রস্তুত হচ্ছে সেটা যে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করে ফেলবে। চাইনিজ মার্শাল আর্টের সাতটি শাখায় ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণে তাকে পারদর্শি করে তোলা হয়েছে। আজ এক সপ্তাহ ধরে সে নিঞ্জা, শাওলিন, উশু এসব বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করেছে। শুধু তাকে এই প্রশিক্ষণেই ব্যস্ত রাখেননি বিজ্ঞানীর নিয়োগ করা প্রশিক্ষক। বরং ছুরি, চাকু, কুড়াল, দা, কাস্তে ও নিনজা তরবারির প্রশিক্ষণে সুদক্ষ করে তুলেছেন।

আজ সেই দিন। বহুল আকাংখিত দিন। মিশু যে প্রতিশোধের জন্য ঘুরছিলো। বিজ্ঞানী লোহার কারুকার্য খচিত একটা স্টার দিলেন।
-এটা কি?
-বুমেরাং স্টার।
-মানে মারলে ফেরত আসে?
-হ্যা। আর এই নাও তোমার ব্যাগ। যা কিছু দরকার সব এখানে। এবার ওয়ারলেস ইয়ারফোন আর স্যুটটা পরে নাও।

শিপলু এগিয়ে এসে একটা কাপড় দিলো।
-কি এটা?
-পড়ে নাও ভাইয়া। এটা স্কিন টাইট একটা মুখোশ। যাতে কেউ খুলে ফেলতে না পারে আ্যন্টি-প্রটেকশন সিস্টেম আছে। সুতরাং যতই মারামারি করো কোন লাভ নাই তাদের, যতক্ষণ না তোমাকে চিনতে পারছে।

ম্যাগহুক হাতে ছাদে উঠে গেলো মিশু। আলো আধারির মিরপুর তার বহিরাবণে শান্ত শীতল বাতাস বইয়ে দিচ্ছে বৈশাখ শেষের রাতে।

বিপ!

-তৈরি? সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে বিজ্ঞানী। আ্যসিস্ট করছে তার ছেলে শিপলু। শিপলুরও জিপিএস ও ট্রেসিং এর ব্যাপক ধারণা রয়েছে।
-মিশু ভাইয়া তোমার ব্যাগের ভেতর দুই ডজন মাইক্রো সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। ওগুলো প্রতিটি ব্লকের শুরু কিংবা শেষের ইলেক্ট্রিক পিলারের ভেতর লাগিয়ে দাও। প্রতিটা ক্যামেরার অটো ড্রিল সিস্টেম আছে। ওরা নিজ থেকেই আ্যডজাস্ট করে নেবে।
-ওকে।

সবকিছু লাগানো শেষ।
-মিশু। প্রতিটা ক্যামেরায় উচ্চ সংবেদনশীল সাউন্ড রিসিভিং সিস্টেম আছে। এর মানে হলো মিরপুর থেকে প্রতি সেকেন্ডে চার লাখেরও ভিন্ন শব্দ আমাদের কাছে আসছে।
-এক সেকেন্ড। শিপলুর কান খাড়া হয়ে গেলো কিছু অপ্রত্যাশিত শব্দ শুনে। সবাই মনোযোগ দিয়ে শোনো!

চার পাচ জন বলাবলি করছে।
-হালা যে ইশ্মারট পুলা। মারতে মন চায় নাই। কি করতাম? উস্তাদ কইছে ফালাই দিতে তাই ডাস্টবিনে ফালাই দিছি। তয় পোলাডা নাকি অনেক বুদ্ধি রাখতো মাথায়...

-শিপলু লোকেশনটা বলো প্লিজ। মন চাইতেছে এখনই ওদের মেরে আসি।
-না আ! মারা যাবে না! মিশু মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা করো। ওদের বেধে তারপর মুখ খোলাও কে করেছে এই কাজ।
-ওকে। শিপলু কোথায় ওদের আস্তানা আমাকে জানাও।
-তিন ব্লক পর, যেখানে দাঁড়িয়ে আছো সেখান থেকে। মিরপুর সাতে।
-যাচ্ছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিরপুরে এত কিছূ! আমি জানলাম না ক্যানে :(( :-/ :-/ :P :P

দারুন ! দেশীয় আমেজে থ্রিল!!!!!!!!!!!!

১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২১

রাগিব নিযাম বলেছেন: হাহাহা ধন্যবাদ ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.