নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিজ: রাতের প্রহরী ।। গল্প: হায়েনার আস্তানায় [বাংলাদেশের অতিমানবেরা- s02ch04]

০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৬

-শিপলু। এটা একটা গোডাউন। অনেক বড়।
-তাহলে অনেক সাবধানে ঢুকো। এটা কোন ধরণের আস্তানা হতে পারে। আর একটা কথা। তোমার স্যুটের পেছনের দিকে ক্যামেরা অন করা। সুতরাং বিপদ যে পেছন থেকে আসবেনা তার গ্যারান্টি দিচ্ছি না। চোখ কান খোলা রাখো।

এক প্রস্থ দম নিয়ে গোডাউনের ভেতরে তাকালো। ভেতরটা পুরোপুরি অন্ধকার নয়। আবছা আলোয় যতটুকু বোঝা যায় সব যা আছে এখানে এক্সপোর্ট সম্পর্কিত কিছু। একটা বাক্সে হাত রাখলো। ভেতরে ঢুকাতেই মনে হলো টাকার অনেক গুলো বান্ডিল। হঠাৎ দুজন মানুষকে কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসতে দেখা গেলো। আড়াল নিতেই একবারে কাছ দিয়ে চলে যাচ্ছিলো। ওরা একটু সামনে গিয়ে থামলো। কথা বলছে...

-আগামীকালকে ত্রিশ কার্টন হিরোইন আসবে। ভালোভাবে প্রিজার্ভ করবি। আর আজকে এই ডলার গুলো আমেরিকায় পাঠাতে হবে। নতুন পোকার খেলবে পার্টনার।
-ওকে বস।

এক মিনিট ভাবলো মিশু। এখন যদি পদক্ষেপ না নেয় তাহলে হয়তো সামনে আরো কিছু করাই কঠিন হয়ে যাবে। ফাকতালে গোডাউনের বাইরে এসে বিজ্ঞানীককে নক করলো।
-ওদের ডলারের খোজ পেয়েছি। ট্রাকের গায়ে আমার কাধের ক্যামেরাটা লাগিয়ে দিয়ে আসছি। শিপলু যেনো ট্র‍্যাক করে।
-একটু সাবধানে থেকো। বলা যায় না কখন কি হয়।
-আচ্ছা। হাসলো মিশু।

ট্রাকের গায়ে ক্যামেরাটা ফিট করে আড়াল নিলো আবার। হ্যাংলা মতন একটা ড্রাইভার আর ইয়া বিশাল জাম্বো সাইজের হেল্পারকে দেখা গেলো। ট্রাকের ড্রাইভিং সিটের দরজা খুলে তার ভেতরে গিয়ে বসলো। গাড়ি চালু করে রওনা হয়ে গেলো তারা।

-এখন?
-দেখতেসি কি হয়। কারো আসার শব্দ পাচ্ছি। আরে এরা কারা? কস্টিউম পড়া? দাঁড়ান একটু দেখি।

লাফ দিয়ে নিজেকে উন্মুক্ত স্থানে নিয়ে আসলো মিশু। আগন্তুকদের সামনে এসে দাঁড়ালো। কুংফু স্টাইলে দাঁড়ালো। এইম নিলো।

-হা আ আ আ!
-দাড়াও। মেরো না ওকে। খুব গম্ভীর একটা কন্ঠ বলে উঠলো। এই ছেলে তোমাকে আমরা মারবো না।
-আপনারা কে? মুখ চেপে বলছে মিশু।
-আমি দস্তানা। এ বাজপাখি। আর ও চাবুকি।
-আপনারা কিছুদিন আগে নাবিলা শেহজাদকে বাঁচিয়েছেন? অবাক হয়ে মিশু বললো!
-হ্যা। কিন্তু তুমি কে?
-আমি মিশু। অন্য নাম রাতের প্রহরী।

বিজ্ঞানীর মুখ থমথমে। মিশু দশ মিনিট কোনো রেস্পন্স দিচ্ছে না। শিপলু কে ট্রেস করতে বললেন। শিপলু বললো মিশু তিনজনের সাথে কথা বলছে। স্যাটেলাইট ভিউতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

কিইইইইইইইচ করে নয়েজ সিগ্ন্যাল হলো ইয়ারফোনে।
-স্যার বলুন।
-ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আবার মিশুকে লাইনে পেয়ে স্বস্তিবোধ করলেন। "কার সাথে কথা বলছো?"
-উনারাও দক্ষিণ ঢাকা থেকে আসছেন আমার মতো এই দলের পেছনে লাগতে।
-কে উনারা? বিজ্ঞানী বললেন।
-নাবিলা শেহজাদের উদ্ধারকারী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: টাইম মিসিং!!

অনেকগুলান মিস হইয়া গেছে :P

জলদি পড়ে আসি :)

+++++++++++

২| ১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২২

রাগিব নিযাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.