নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিজ: রাতের প্রহরী ।। গল্প: সদর দপ্তরে সবাই [বাংলাদেশের অতিমানবেরা- s02ch04]

০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫০

রাত তখনো তরুণ।
এক-দুটো ঝি ঝি পোকা বেতাল চিল্লিয়ে যাচ্ছে। কুকুরগুলো জেগে উঠতে শুরু করেছে। এরি ফাঁকেফাঁকে দারোয়ানেরা চক্কর দিচ্ছে বাড়িগুলো ঘিরে। কারো ছোট্ট বাড়িতে হয়তো দারোয়ান নেই।

এরই মাঝে মিরপুরে পৌছে গেছে এক দল মানুষ। এদের সবার পরিচয় এরা অন্যায় পছন্দ করে না। এরা রাত নামলেই বেরিয়ে পড়ে নির্দিষ্ট জায়গায় হামলা চালিয়ে শত্রুপক্ষের অবস্থান দুর্বল করে দিতে। তারা সবাই বিজ্ঞানীর বাড়িতে এসেছেন তাদের ভেতরের সকল বিষয় আলোচনা করতে।
-আপনি হাসমান ফরাজী! বিশ্বাসই হচ্ছে না। আর এই সেই ছেলে যে আকাশে ওড়ে! আর এর কোমরে বাধা রয়েছে ইলেকট্রিক ওয়্যারড চাবুক!
-আসলে উত্তর দক্ষিণ বলে কথা না। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের কোন কিছু যদি অন্যায়ের দিকে যায় সেটা প্রতিহত করা।
-তা তো বুজলাম। কিন্তু আপনারা যে এখানে এসেছেন তার কারণটা জানতে পারি?
-অদ্ভুত হলেও সত্যি, আমরা একটা ছোটখাটো ঝামেলার তদারক করতে গিয়ে বিশাল বড়ো প্যাঁচের সন্ধান পাই। বাজপাখি অর্থ্যাৎ আমার ছেলে আইমানের এক ক্লাসমেট জানায় যে তার বড়ভাইকে কারা যেনো মেরে বাম হাটুর অবস্থা বেগতিক করে দিয়েছে। এই সমস্যা সুরাহা করতে গিয়ে খোজ পাই যে ছেলেটি মেরেছে সে একটি ড্রাগ ডিলারের ছেলে। রাস্তায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হওয়ায় ছেলেটিকে লোকজন ডেকে মারে ড্রাগ ডিলারের ছেলে। এই ডিলার আবার এক ড্রাগলর্ডের দয়ায় সংসার চালায়। বিশাল বাহিনী তার। সেই ড্রাগলর্ডের আস্তানায় আজ এসেছিলাম ছেলেটার বাবাকে দেখতে।
-মানে টাক্কুর কথা বলছেন? আত্নবিশ্বাসের সাথে বললো মিশু।
-বাহ! এইতো জেনে গেছো।
হুম।
-তো এখন কি করবো? বিজ্ঞানী বললেন।
-আমার লক্ষ্য ওরা কেউ না। আমি মাদক মুক্ত করতে চাই এই সমাজকে। এই চেইনটাকে ভেংগে দিতে পারলে বোধহয় নতুন করে কেউ আক্রান্ত হবে না। তবে একেবারে গোড়ায় গরম পানি ঢালতে চাই। মানে নাটের গুরুটা কে তা দেখতে চাই। এরপর আস্তে আস্তে সমাজের অন্যদিক নিয়ে ভাবতে চাই।
-একটা দিক দিয়ে আমরা কমন কিন্তু।
-কোন দিক থেকে বলতে চান? বিজ্ঞানীর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন হাসমান। বার্ধক্যকে বিজ্ঞানের জোরে আটকে রাখা এই মাঝবয়সী ভদ্রলোক একটু অদ্ভুত চাউনি দিলেন।
-মিশুকে আমি শাহা্য্য করছি যাতে সে ড্রাগ ডিলারের উপর প্রতিশোধ নিতে পারে। আর আপনারা একই ব্যক্তির উপরের মাথাগুলিকে খুঁজছেন।
-আমরা খুজছি না। আমরা প্রতিটা ব্যক্তিকে সদলবলে নির্মূল করবো।
-আপনি কি বলতে চান? হত্যা করা যে মহাপাপ সেটা জানেন না? বিজ্ঞানী বিরক্তি সহকারে তাকালেন।
-আমি তো বলি নাই যে আমি ওদের মেরে ফেলবো।
-তাহলে?
-আমরা এমন একটা টক্সিন তৈরি করে ফেলেছি যা শত্রুকে পক্ষাঘাতের দিকে ঠেলে দেয়।
-কি এটা?
-আমারানথিন গ্যাস আর গেডোলিনিয়ামের কম্প্রেসড লিকুইড।
-ফর গড সেক আপনি কেমিকেল উইপন তৈরি করতে পারেন না!
-অদ্ভুত কথা শোনালেন। আমি ৭০ শতাংশ আ্যান্টি-ডোট দেই ৩০ শতাংশের বিপরীতে! আপনি যেটা মনে করতে পারেন।
-ওকে এইখানে আমি আপনাকে সাহায্য করবো কম বিষক্রিয়ার ডেভেলপমেন্ট এ।
-টিম আপ! মিশু উচ্ছ্বাসের সাথে জানালো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৫

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: আমি মাদক মুক্ত করতে চাই এই সমাজকে

১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

রাগিব নিযাম বলেছেন: :-)

২| ১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমাজ সংস্কারের স্বপন বাড়তে থাকুক- হৃদয় থেকে হৃদয়ে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

একদিন নিশ্চয়ই বদলে যাবে এই সমাজ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.