নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিজ: রাতের প্রহরী ।। গল্প: যুদ্ধ শুরু [বাংলাদেশের অতিমানবেরা- s02ch04]

১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

"মিশু"

নীচ থেকে আলোর প্রতিফলন ছাদের উপর চারপাশে এক ধরণের আলোছায়ার খেলায় মেতে উঠেছে। শহরের ওপাশ থেকে বাতিগুলোর সারি যেনো সূর্যগুচ্ছ হয়ে জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। মিরপুরের কোন এক বিল্ডিং এর ছাদের উপর দাড়িয়ে আছে মিশু- রাতের প্রহরী।
-ইয়েস স্যার।
-একটা ড্রোন উড়ছে তোমার আশে পাশে। আমার কোম্পানির আ্যাপ্লায়েড সায়েন্স ডিভিশনে তৈরি এটা। নাম 'ডোংগা'। চারপাশে ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরে এটা তোমার পেছন পেছন যাবে। ইনফ্রারেড সিস্টেম আছে এটার। সুতরাং বুঝতেই পারছো কেমন ছবি তুলতে পারে ঘুটঘুটে অন্ধকারে?
-হুম।

খানিক আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। মিশু যেখানে দাড়িয়ে আছে সেখান থেকে ড্রাগলর্ডদের গোডাউন মাত্র দেড়শ গজ। একটু পিছিয়ে এলো সে। ভর ছেড়ে দিয়ে ম্যাগহুক এ শরীরটা ছেড়ে দিয়ে নেমে এলো মাটিতে। ধুপ!

বিশাল বড় গোডাউন। ফাক হয়ে থাকা একটা দরজা দিয়ে ঢুকলো রাতের প্রহরী মিশু। কার্গো ট্রেইলার এর সারি। একটার পর একটা। মাঝখানে একটা সরু পথ। একটা নয়। ক্রস করে দুইটা পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে। চার দিক থেকে গোডাউনের মাঝখানে এসে পথ দুটো মিলিত হয়েছে। চোখ সতর্ক রেখে আস্তে আস্তে একটা ট্রেইলারের উপরে দাঁড়ালো। চারটা পয়েন্টে চোখ ঘোরালো। একদিক থেকে আলো আসছে। সেদিকে পা বাড়ালো।
-মিশু! বিজ্ঞানীর কন্ঠ গম্ভীর শোনালো।
-হুম বলেন।
-খারাপ খবর আছে।
-কি?
-গতকাল তুমি যে ট্রাকের পেছনে ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়েছো ওটার কিছু ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে এসেছে।
-কিছু পেয়েছেন?
-হ্যা।
-চট্টগ্রাম থেকে আসার সময় কিছু মেয়েকে তুলে নিয়েছে। ঢাকার ফকিরাপুল থেকে। মনে হচ্ছে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের।
-আচ্ছা?
-আচ করতে পারলাম এরা তোমার লোকেশনেই আসছে।
-আ্য?

চিউ!
সাইলেন্সার পিস্তলের গুলি কানের পাশ দিয়ে গেলো। বুঝতে পারলো মিশু কতোব্বড়ো বোকার মতো কাজটা করেছে সে। ডাইভ দিয়ে নিচু হয়ে বিড়ালের মতো ঝাপ দিয়ে আড়াল নিলো। আরেকটা ঠাং আওয়াজ হলো। ঠুং!

ব্যপার কি?! আন্দাজে গুলি করছে নাতো? দু মিনিট সময় নিয়ে ভাজ মেরে পড়ে থাকলো। পায়ের খচখচ আওয়াজ আসলো। যতো সময় গড়াচ্ছে ততো আওয়াজটা কাছে আসছে! আর সহ্য করতে পারছিলো না দেখে লাফ দিয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ঘুষি মারতে উদ্যত হলো। আরে একি চাবুকি?
-আরে জাইমা তুমি এখানে কেনো?
-তোমার বিপদ হবে ভেবেই আমি চলে এসেছি।
-তোমার হেডসেট কই?!
-অন করা বাবা লাইনে আছেন।
-বাচালে। ফিক করে হেসে দিলো মিশু। আবছা আলোয় জাইমাকে অসাধারণ দেখাচ্ছে। গতকাল খেয়াল করেনি।
-আ্যই! জাইমা বুঝতে পেরে মুচকি হেসে ফেললো।
-কি? মুখে আংগুল চাপা দিয়ে জাইমাকে বোঝালো। মোবাইল অন করে নাম্বার টাইপ করতে বললো। জাইমা সেভ করে দিলো।
-উ উ! হাত বাড়িয়ে জাইমার ফোন চাইলো।
-উ হু! না দেবার ভংগিতে বোঝালো মিশুকে যে সে আগে কল দিবে।
-তোমার পেছনে!

ঘুরে না দাঁড়িয়েই জাইমা কষে লাথি লাগালো আগন্তুককে। ছিটকে দুহাত পেছনে পড়লো না। বরং শক্ত হয়েই দাঁড়িয়েই রইলো।
-জাইমা পেছনে যাও। আমি দেখছি। মিশু হাত দুটো শক্ত করে ফেললো। বুঝলো তাদের প্রতিপক্ষ মোটেই কোন সাধারণ মারকুটে গুন্ডা নয়।
-মিশু! আমরা চারপাশ থেকে আটকে গেছি। দেখো। মুখ কালো হয়ে গেছে জাইমার।

চারপাশ থেকে মানুষ আসছে। ড্রাগ ডিলারের মানুষ এরা!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা বাবা! ঢুকেই ফেসে গেল!

এইবার জলদি ছুটান ;)

+++++++++++

১৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

রাগিব নিযাম বলেছেন: হাহাহা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.