নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের খলেরা s02ch03

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২১

রাত বারোটা।
ঘুটঘুটে অন্ধকারের ভেতর মুন্সিপাড়াকে ভয়ংকর লাগছে। হুট হাট ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। রিকশা ছুটে যায় ভুতের মতো। যারা নিতান্ত এ পথ বাছে না রাতে, রিকশা ছুটে যাওয়ার সময় আঁতকে ওঠে। যেনো কিছু গিলে খাবে।

সেই মুন্সিপাড়ায়, কিছু চলছে কদিন ধরে। এমনকি যারা উগ্র স্বভাবের, তারা পর্যন্ত নরম হয়ে চলছে। অদ্ভুতভাবে কমে গেছে অপরাধ। রাতে অদ্ভুত খাঁ খাঁ নিরবতা। ভর দুপুরেও কেউ বের হলে গা ছমছমে ভাব।

এর পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। মানে ওয়াসার এই খোঁড়াখুড়ি না হলেও চলতো। ক্ষেত্রবিশেষে অবশ্য দায়টা তাদের দেয়া যায় না। উন্নয়নে যদি নাই বা কাজে লাগে তাহলে কিসের উন্নয়ন?

ঘটনাটা প্রথমে ঘটলো আবদুল হক সাহেবের সাথে। সন্ধ্যা পেরুতেই অফিস পাড়া থেকে বেরিয়ে পড়েন। বাজার ধরে ফিরতে ফিরতে রাত সাড়ে আটটা। গলির মুখে ঢুকতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে কে যেনো বেরিয়ে আসছে। কালো কুচকুচে, লোমশ। হাতের সব নখ বিকট আকারের। আড়াল থেকে দেখতে লাগলেন সব কিছু। কিছুক্ষণের ভেতর প্রাণীটা মিলিয়ে গেলো।

ঘরে ঢুকে জোরে জোরে দোয়া দরুদ পড়তে লাগলেন। স্ত্রী সন্তান দৌড়ে এলো।
-বাবা কি হয়েছে?
-এই এমন করছো কেনো? কি হয়েছে?
-না না। কিছু না। ঘাম দিয়ে গেলো একটা তার।

রাতে টয়লেটে ঢুকতে যাবেন এমন সময় চোখ গেলো ড্রয়িংরুম এর দিকে। ওটা কি?! ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন তিনি। দেখলেন গাছ বেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে প্রাণীটা। ওমা ঢুকেই সাধারণ মানুষের চেহারা। ওই বাসার তায়িফের চেহারা একদম।

সকালে তড়িঘড়ি করে চলে গেলেন ডিপিডি(ঢাকা পুলিশ ডিপার্টমেন্ট) প্রধান কার্যালয়ে। বসিয়ে দেয়া হলো জেটস্কেটার সাব্বিরের সামনে।
-কি দেখলেন?
-বারান্দা গলে একদম রক্ত মাংসের মানুষ। গায়ের রং কালো, লোমশ, কুচকুচে কালো। দাতাল, লম্বা নখ। পাতাল থেকে উঠে আসছে।

রাতটা মুন্সিপাড়ার অনেক ভয়াবহ রকমের একা। সকালে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যেনো সবাই সন্ধ্যা সাতটার ভেতর বাসায় ঢুকে যায়। চারজন বি-গ্রেড অফিসার পাঠানো হয়েছে। চার গলিতে দাঁড়িয়েছে তারা। সারভেইল্যান্স সিসি লাগানো হয়েছে।
আটটা বাজতেই খুট করে স্ক্রীণের সব গুলো পর্দা কেঁপে উঠলো। হঠাৎ করে একটা তরুণ বয়সী ছেলেকে দেখা গেলো। কানে হেডফোন। একটা বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।
-এই এতো রাতে কোথায় যাচ্ছো?
অফিসারের দিকে তাকিয়ে ছেলেটি বলে উঠলো,
-টিউশনি শেষ করতে দেরি হয়ে গেছে অফিসার।
-চলো এগিয়ে দেই।
এমন সময় ম্যানহোলের ঢাকনা ঘর ঘর করে খোলার আওয়াজ এলো।
দুজনেই তাকালো।
-একি এযে বেরিয়ে পড়ছে।

কালো কুচকুচে চেহারা।
-ক্কে... কে তুমি?!
-কাম্পা... কাম্পা। বিকট চেহারা বেরিয়ে পড়লো তার!

ঠাশ করে গুলি বেরিয়ে পড়লো অফিসারের নল থেকে। ছেলেটি দৌড়ে ততোক্ষণে মুন্সিপাড়া পেরিয়ে বাসে উঠে গেছে বোধহয়।

খামচে ধরে অফিসারের ঘাড় ভাংতে ভাংতে ঢলে পড়লো প্রাণীটি।
-কাম্পারা আসছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

মীম মাশকুর বলেছেন: কাম্পারা কি ইয়াজুজ মাজুজ গোত্রের কেউ?

গল্পে ভাললাগা

+++

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বানানে প্রচুর ভুল। দ্বিতীয় লাইনেই ভয়ঙ্কর বানান থেকে শুরু হয়েছে এটা।

তবে বানান বাদ দিলেও আগা-মাথা কিছুই স্পষ্ট হচ্ছে না। লেখাটায় বর্ণনাভঙ্গি আর যৌক্তিক ভুল আছে প্রচুর।

প্রথমত: মুন্সিপাড়ার যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা মফস্বল বা গ্রাম-গঞ্জের দিকের এলাকার সঙ্গে যায়। ঢাকার ভেতরে এমন বর্ণনার এলাকা থাকলো আর আমার চোখে পড়লো না এটা খুবই আশ্চর্যজনক।
(সমস্যাটা নিয়ে ডিপিডির কাছেই যাওয়া হয়েছে দেখা যাচ্ছে, যার পূর্ণাঙ্গ অর্থ লেখক লিখেছেন ঢাকা পুলিশ ডিপার্টমেন্ট)

দ্বিতীয়ত: লেখাটার শুরুতেই বলা হয়েছে মুন্সিপাড়াতে বিপর্যয় নেমে এসেছে আগেই। অথচ আবদুল হক সাহেব প্রথম শিকার? grin emoticon grin emoticon বাই দ্য ওয়ে, আপনি যদি বলেন প্রথম বলতে মুন্সিপাড়ার "ভয়ঙ্কর চেহারা" উনাকে দিয়েই শুরু হয়েছে, তাও তো যুক্তিতে যায় না। সেক্ষেত্রে ডিপিডির অফিসাররা তাকে সিরিয়াসলি নেবে কেন?

তাছাড়া, গলির মুখে ঢুকে উনি দেখলেন, বেশ কথা। তারপর চট করে আড়ালটাই বা পেলেন কোথায়? কি সব অদ্ভুত কথাবার্তা। গলির মুখে দাঁড়ালে আড়াল পাওয়া যায় নাকি?

তৃতীয়ত: রাতটা মুন্সিপাড়ার অনেক ভয়াবহ রকমের একা!!!!!!! হোয়াট দ্য ফাদারফাকিং ফাক ইজ দিস? এই লাইনের অর্থটা কি কেউ বুঝিয়ে বলবেন? সামুর সকল ব্লগারের নিকট উদাত্ত আহ্বান রইলো।

চতুর্থত: -একি এযে বেরিয়ে পড়ছে।
(হোয়াট দ্য ফাদারফাকিং এক্সপ্রেশন ইজ দিস?)
কালো কুচকুচে চেহারা।
-ককে... কে তুমি?!
-ক্যাম্প... ক্যাম্প। বিকট চেহারা বেরিয়ে পড়লো তার!
(বিকট চেহারা বেরিয়ে পড়ার বর্ণনা দেন। বুঝি নাই।)
ঠাশ করে গুলি বেরিয়ে পড়লো অফিসারের নল থেকে। ছেলেটি দৌড়ে ততোক্ষণে মুন্সি-পাড়া পেরিয়ে বাসে উঠে গেছে বোধহয়।
(মুন্সিপাড়া পার হলে "বাস" নামক এলাকা আছে মনে হয়।)
খামচে ধরে অফিসারের ঘাড় ভাংতে ভাংতে ঢলে পড়লো প্রাণীটি।
(হোয়াট দ্য ফাদার... !! এইটা কি যৌগিক, জটিল পেরিয়ে আর কোন বাক্যে পৌঁছে গেছে। কয়টা বাক্য এক করেছেন সে খেয়াল আছে?)
-কাম্পারা আসছে।

পঞ্চমত:
যাহ বাড়া! আপনার পোস্টই তো শেষ ... এই জিনিসকে আপনি গল্প বলেন কি করে, কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

রাগিব নিযাম বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য। ভুল ধরিয়ে না দিলে আমি বুঝতামনা কি লিখতে কি লিখেছি।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই খলদের ঐ জাতীয় কাম্পারা ছাড়া বুঝী আর কেউ দমাতে পারবে না!!! একেকটা দানো হয়ে গেছে!

একু ভিন্ন রকম এ পর্ব!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.