নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের খলেরা: s01e04

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১

-আপনি না নির্ভেজাল মানুষ? আপনাকে তো এসব মানায় না।
-তো?!
-তাইলে এই মামলার কারণ কি? মাথা খাটাইলে ঝামেলামুক্তভেবে এসব উপেক্ষা করতে পারতেন।
-দেখো আমাকে ভাবতে হয়েছে অনেকবার। সে উপর মহলের সাথে দেন দরবার করে কিন্তু আমার তো কেউ নাই। সে আমার বসবাসের জন্য ভিটাটুকু কেড়ে চায়। এটা কি তুমি মেনে নিতে চাও?
-আপনার লুকোনোর জায়গা আছে? মামলা করে এখন নিজের গা বাচাবেন কি করে?
-ঔষধ ফ্যাক্টরিতে?
-নিজের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে লুকাবেন? আপনি কি পাগল না অন্যকিছু?

খন্দকার সাহেবের বাড়ির প্রতি নজর পড়েছে জামালের। জামাল ক্ষমতাসীন দলের কর্মী। হাতে টাকা-পয়সা থাকার পরে লোভের তাড়নায় ঘুরে বেড়ায়। আজ এই চাঁদাবাজি করে তো কাল এর ওর দোকান থেকে বিনামূল্যে জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তেমনি খন্দকার সাহেবের বাড়ির উপর নজর পড়েছে আজ কদিন ধরে। মিরপুরের এই বাড়িটাকে সে ব্যবহার করবে হেডকোয়ার্টার হিসেবে। খন্দকার সাহেব ঘটনা আঁচ করেন পাঁচদিন আগে। যেখানে সেখানে পা ফেলেনা জামাল। সেদিন হাজির স্বশরীরে। বললো এই বাড়িতে কদিন আছেন।

ব্যস খন্দকার সাহেব বুঝে গেলেনে ব্যাটার কু মতলব আছে।

আজ ষষ্ঠ দিন। খন্দকার সাহেবের ঔষধ ফ্যাক্টরীর কাজ শেষ হয়ে গেছে সন্ধ্যায়। ছুটি পেয়ে সবাই যে যার বাড়ির পথে চলেছে। বিশাল লোহার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে সিকিউরিটি।

চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার। খন্দকার সাহেব আশ্রয় নিয়েছেন নিজের ফ্যক্টরিতে। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো।
-বা...বাবা তুমি কোথায়?
-কে রাশু? এইতো ফ্যাক্টরিতে।
খুট করে লাইন কেটে গেলো।
-হ্যালো...হ্যালো?

দশ মিনিট পার হয়ে গেছে। এখনো রাশু কল ধরছে না। হঠাৎ লোহার দরজা খোলার আওয়াজ হলো।

গট গট করে কেউ যেনো ঢুকছে।
-খন্দকার তুই বেরিয়ে আয়। খন্দকার মাই ডগ।
-হে.. হে.. খন্দকার সাহেবের অাত্নাকাঁপুনি দিয়ে উঠেছে।
-দুনিয়াটা খুব ছোট। তাইনা।

ধরা খেয়ে গেছেন খন্দকার।
-তুই কি ভেবেছিস আমার বাড়ির দখল নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবি? বাড়ি দখল নিতে হলে আমার উপর দিয়ে যেতে হবে।
-বাড়ি দখল তো কবেই নিয়েছিরে মনা। তোর ছেলের ফোনটা আমিই করিয়েছি।
-পাপিষ্ঠ! বন্দী বাঘের মতো হুংকার ছাড়লেন খন্দকার।

সব ধরণের কেমিক্যাল যৌগ আছে ফ্যাক্টরির ওয়্যারহাউজে। খুব সাবধানে খন্দকার সাহেবের ফার্মাসিস্টরা সেগুলো আনা নেওয়া করে। জামাল, মেটাজিনল পার অক্সাইড নামের একটা কেমিক্যালের কন্টেইনারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। খন্দকার সাহেব ঝাঁপিয়ে পড়তেই জামাল ছুরি দিয়ে এফোঁড়ওফোঁড় করে দিলো। কিন্তু ভাগ্য খারাপ। খন্দকারের হামলার গতিবেগ এতো বেশি ছিলো যে কন্টেইনারের উপরে থাকা গ্লাস জারগুলো ফেটে পড়লো।

জারের কেমিক্যাল সংমিশ্রণে বিশাল বিস্ফোরণে নিচের কন্টেইনারগুলোও ফেটে পড়লো।

ন্যাশনাল সিকিউরিটির অ্যালার্ম সিগন্যাল বেজে উঠতেই এক ট্রুপ মিলিটারি পুলিশ নিকটস্থ জায়গা থেকে রওনা দিলো।

ঘটনা স্থলে এসেই স্তম্ভিত হয়ে গেলো সবাই। বিস্ফোরণে পুরো জায়গায় লালচে ভাব। কটু গন্ধ। খন্দকার সাহেব মাটিতে মরে পড়ে আছেন।
পুলিশ ইন্সপেক্টর হাত উঁচিয়ে সবাইকে থামতে বললেন। পেছনে ঘুরে তার সেকেন্ড ইন চীফকে কি যেন বলবেন হঠাৎ বিশাল একটা হাত তার কাঁধে হাত রাখলো।
-কে?
হাতটা ঘাড় স্পর্শ করলো। এবার ঘাড়ের উপর নখ চেপে ধরে ইন্সপেক্টরের সামনে এসে দাঁড়ালো। জামাল। বিষক্রিয়ায় মুখ চোখ বিকৃত হয়ে গেছে। হাতের নখ কুচকুচে কালো। নখ দিয়ে ঘ্যাচ করে ইন্সপেক্টরের গলায় চিরে দিলো। মুখ নীল হয়ে গেছে লোকটার।
-বিষমানব। আমি বিষমানব। হাহাহা!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন খল সিরিজ!


জামালরা মরে না??? এভাবেই বিষমানব হয়েই বেঁচে থাকে?

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

রাগিব নিযাম বলেছেন: জামালরা মরলে যে ভাই গল্প এগোবে না। অনেক ধন্যবাদ এতো কষ্ট করে পড়ার জন্য।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাই, আপনি বাংলা সিনেমার স্কৃপ্ট রাইটার হলে নাম করতে পারবেন

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

রাগিব নিযাম বলেছেন: কি যে বলেন ভাই। আমি নবীন নগন্য লেখক। ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

আরজু পনি বলেছেন:

বাব্বা, দারুণ তো !

পুরাই সিনেম্যাটিক !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

রাগিব নিযাম বলেছেন: আমার বোনের মুখে এই কথা শুনে আনন্দিত। নিয়মিত থাকুন। আরো ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চালিয় যান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.