নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: দ্য ম্যাপ || সিরিজ: এজেন্টস অব ডি

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

-প্রাইমারি কোড অ্যাক্টিভেটেড। প্লিজ এন্টার সেকেন্ডারি কোড।
-সেকেন্ডারি কোড?
বেকুবের মতো চেয়ে আছে জাহেদ। আরে কি ব্যাপার! কোড কেনো আবার?
-বাবার সেফ বক্সের কোড তো জানতাম এটা।
-সুইটি পাই তোমার বাপে বড় ক্রিমিনাল। একবার আমার কলারের কোনা ধরতে পারলে শেষ। আমি এমন গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবো যে আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। ওয়েট...
ঘটনা হলো আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাংস্টার হানিফ সিদ্দিকির মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তার সেফ বক্সের ভেতর থেকে এক মাস্টার প্ল্যানের খসড়া চুরি করতে পাঠিয়েছে ম্যাকাপ। সোজা সহজ অর্থে এজেন্টস অব ডি এর পুরো টিম। রিশাদ দরজা পাহারা দিচ্ছে আর বাঘা শরীফ এবং গোয়েন্দাপ্রবর শামীম রয়েছেন জাহেদের সাথে।
-দেখি জাহেদ সরো তো।
নিজে এগিয়ে এসে হাত লাগালেন কোডবক্সে। কাঁপা কাঁপা হাতে ডায়ালারে হাত লাগালেন।
-ওর নিক নেম কি? শামীম বললেন।
-নাশিদ।
-মা?
-মেহের নিগার।
-নাশিদ-নিগার।
ক্লিক! "প্লিজ পুট ইউর ফিংগার ইন টু দ্যা স্লট।
হানিফ সিদ্দিকির হাতের ছাপ সংবলিত প্লাস্টিক ছোঁয়ালেন শামীম।
টুট টুট।
ক্লিলিং! বাক্স খুলে গেছে। ম্যাপ ট্রি হাতে নিয়ে ব্যাগে ভরলো জাহেদ। হঠাৎ নীচ থেকে হুড়মুড়ের আওয়াজ আসছে মনে হলো।
-গেট কভার। শরীফ মুখের চোয়াল শক্ত করলেন।
দরজায় দড়াম করে শব্দ হলো। লাথি পড়ছে অনবরত। কেউ বাইরে থেকে চিৎকার করছে। ধাম! ধাম!
চিৎকার বেড়ে চলেছে। আরো ক জোড়া পায়ের শব্দ শোনা গেলো।
-বের হবো কিভাবে? শামীম বললেন।
-মাইক্রো এক্সপ্লোসিভ। জানালার গ্রিলে চার কোণায় চারটা এক্সপ্লোসিভ বসিয়ে দিলো শরীফ।
ফট! একসাথে চার কোনা ভেংগে গ্রিল নীচে গড়িয়ে পড়লো। গোটা ঘর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন।
-লাফ দেন!
-আরে দড়ি আছে তো।
-কই দড়ি কই?
দড়ি বেঁধে সবাই নামলেও রিশাদ কি কাজে যেনো নামে নি।
ততোক্ষণে দরজা ভেংগে ভিতরে ঢুকে গেছে হানিফ সিদ্দিকির সাঙ্গপাঙ্গ।
-শালা! চেয়ার তুলে ছুঁড়ে দিলো রিশাদ এর দিকে। লোকটা নেতা গোছের কেউ হবে। রিশাদ মাথা ঘুরিয়ে সরে গেলো। চারদিক থেকে পাঁচজন তাকে ঘিরে ধরেছে।
সবুয়ো! বেদম হুক বসিয়ে দিলো একটার চোয়ালে। উল্টে গিয়ে মেঝেতে পড়ে গেলো। আরেকটা এলো। ক্রিস্টাল ক্লিয়ার চাইনিজ লাথি। উড়ে গেলো দ্বিতীয়টা। ঠেলে বাকি দুজনকে পাঠিয়ে দিলো নেতা। কনফিডেন্স হারিয়েছে।
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মার্শাল আর্টের দারুণ সমঝদার। একজনের ঘাড়ের উপর রদ্দা মেরে উপরে উঠে আরেকজনকে লাথি মেরে বসলো মুখে।
নেতার দিকে তাকালো। ষাঁড়ের মতো ধেয়ে এলো রিশাদের পেট বরাবর। এতো ক্ষিপ্র গতি যে তার রিশাদ বুঝে উঠতে পারেনি। পেটে বিশাল ধাক্কা খেয়ে হামলে পড়লো মেঝের উপর। পেটের বাতাস বেরিয়ে।
ঠং! মাথায় লোহার কিছু একটার বাড়ি খেয়ে অবাক হলো শ্রীষাঁড়। কেরে?
আবার ঠং! এবার বাড়ি খেয়ে পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে পিচ্চি এক লিকলিকে ছেলে তার মাথায় বাড়ি দিলো।
-হাই! আমি বাংলাদেশের পিচ্চি স্পাই রণিন। তুমি এখন জ্ঞান হারাবা।

রশি ধরে নেমে হ্যামারে চড়ে বসলো সবাই। অবশ্য গাড়িটা হানিফ সিদ্দিকির। গেটের কাছাকাছি আসতেই গুলিবর্ষণ শুরু হলো।
-বাদ দেন তো ভাই।
-মাফ করে দেন বাচ্চাদের।

হো হো করে হেসে উঠলো বাকিরা রিশাদ-জাহেদের কথা শুনে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শাটকার্টে হাই এক্সপ্লোসিভ :P এডভেঞ্চার!!!!!! :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫

রাগিব নিযাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.