নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: বর্ধক || বাংলাদেশের অতিমানবেরা s03e03

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

গ্রিইজজ্জ! গ্রিইইজ্জজ্জ!
স্পার্ক করছে দুইটা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক টানেল। এটা একটা অবজারভেটরির ভেতর। শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের একটা অবজারভেটরি। যেখানে তাহান নামে এক চতুর্থ সেমিস্টার পড়ুয়া ছেলে গবেষনা করছে। হিউম্যান সেল ইলাসটিসিটি নামে একটা বিষয়ে সে খুব ইন্টারেস্টেড। ক্ষণে ক্ষণে বাযার ডিভাইসটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সে। সকালে অবশ্য জাফর ইকবাল স্যার এসে বলে গেছেন, "দেখিস এসব করতে গিয়ে পৈত্রিক জানটা দিয়ে দিস না বাপ।"
চোখ বড়ো হয়ে যাচ্ছে। ইলেকট্রনের চার্জ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা গিনিপিগ ছেড়ে দিলো সেই টানেল জারের মাঝখানে। সবুজ সংকেত পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
কিইইইইচ!
ধাম করে বাযার টিপে দিলো। এতো সূক্ষ্ম একটা আলো গিনিপিগের শরীর ভেদ বেরিয়ে গেলো যে সে থমকে গেলো। স্তব্ধ হয়ে গেছে তাহান।
ব্লুউপ! কাচের দেয়ালে বাড়ি খেলো সাদা ইঁদুরটা। এরপর ফোলা শুরু করলো। আকার দশগুণ হয়ে গেলো।
-আল্লাহ! নিশিতা আর অনিরুদ্ধ চুপ হয়ে গেলো।
-শ্রিংক বাটনে টিপ দে! আরে কাঁচের কেবিনটা ব্লাস্ট করবে তো।
-আরে ওটা ফেটে যাবে।
আবার বোতাম টেপার আওয়াজ হলো। সাদা ইঁদুর সাইজে ছোট হয়ে এলো।
আকর্ণ বিস্তৃত হাসি হেসে তাহান জানান দিলো হিউম্যান সেল ইলাসটিসিটিতে সে দারুণ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে।
-চল বের হই। খুব ক্ষিদে লেগেছে।
কেন্টিন পৌঁছাতেই কানে হইচই এর আওয়াজ পৌছালো। কি যে হচ্ছে এসব?! দলগিরির মতো সস্তা বিষয় যে কোন জায়গায় মারাত্নক হাঙ্গামা তৈয়ার করে। আর এ মুহূর্তে যেটা মহাবিরক্তিকর সেটা হলো কেন্টিন বয়ের কলার চেপে ঠাস ঠাস শব্দে থাপ্পড় বসাচ্ছে জয়নাল নামে এক দলকানা রাজনৈতিক ছাগল।
তাহানের মেজাজ গেলো চড়ে। সেদিন নীরবে সহ্য করে তিন বন্ধু বান্ধবী বেরিয়ে এলো।
সেদিন সন্ধ্যায়, সবাই যখন ক্যাম্পাস ছেড়ে হলে ফিরে যাচ্ছে তখনো তাহান অবজারভেটরিতে। তার বান্ধবী নিশিতা আর বন্ধু অনিরুদ্ধ অবশ্য তার সাথে নেই। একটা ছোট্ট ডিভাইস তৈরি করে সে তার প্রজেক্ট ক্লোজ করবে বলে এই কারণ। ডিভাইসটা পকেটে ঢোকালো। বাজারটা টিপে দিলো। ঐ ছোট্ট ডিভাইসটা কোমরে ফিট করে দিলো। বাছবিচার না করেই
ডাইভ দিলো কাচের কেবিনের ভেতরে ইলেক্ট্রোডের প্রবাহে। ছ্যাঁত করে করে জ্বলে উঠলো পুরো শরীরটা। মনে হলো তার শরীরে কয়েক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রবেশ করেছে। এরপর ধুপ করে গোটা এলাকার বিদ্যুৎ চলে গেলো। ক্যাম্পাসের মামুর দোকানে চা খাচ্ছিলো জয়নাল। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর খিস্তি দিয়ে উঠলো। হঠাৎ দেখলো তার পাশের দুজন পালাচ্ছে।
-এই কই যাস?
আরে আল্লাহ এটা কি? ষোল ফিটের বিশাল এক দানব। তার দিকে মুখ ঝুঁকিয়ে আছে। রাজনৈতিক দলের কর্মীর মুখ ফ্যাকাসে হয়ে উঠলো। গাপ করে তার কলার চেপে ধরেছে দানবটা। দোকানদার কলেমা পড়া শুরু করেছে।
-কে কে কে তুমি?
-আমি?...বর্ধক। বল আর কেন্টিন বয়ের গায়ে হাত তুলবি?
-ন্ন...না।
হাত ছেড়ে দিতে কলার ঠিক না করেই দৌড় দিলো জয়নাল। বিশাল শরীর নিয়ে হাসতে হাসতে পথ ধরে বাসায় ফিরতে শুরু করেছে তাহান ওরফে বর্ধক।(সমাপ্ত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.