নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ তীরন্দাজ ll বাংলাদেশের অতিমানবেরা so3e05

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২

-উম্মাহ।

কপালে চুমু খেয়ে অনন্যা তাকালো শিহাবের দিকে। বছর একুশের এই উজ্জ্বল উচ্ছ্বল যুগলের কথা বলছিলাম। আর্চার অ্যাথলেট শিহাব আর তার প্রেমিকা টেক জিনিয়াস অনন্যার ভালোবাসা অনেকদিনের। যদিও এরা নিজেদের লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। গোল্ড মেডেলিস্ট শিহাবের জন্য বাইরের জগত আসলেই বিপদজনক। ফেউ লেগে থাকে। আর অনন্যার কাজ হলো এইসব ফেউদের হাত থেকে শিহাবের অনলাইন অ্যাক্টিভিটি সিকিউর করে রাখা।

ওরা এই মুহুর্তে শিহাবের বাংলো বাড়িতে আছে। দুজনই ডাইনিং এ ঢুকলো একই সময়ে। শিহাবের বাবা রফিকুল ইসলাম উদ্বিগ্ন মুখে তাকিয়ে আছেন খবরের কাগজের দিকে।

-বাবা তুমি টেন্সড? শিহাব তাকিয়ে রয়েছে গম্ভীর দর্শন চেহারা বরাবর।

-কেউ স্যাবোটাজ করার চিন্তা করছে।

-কোথায়?

-আমাদের সুরমা স্পোর্টস এক্সেসরিজ ইন্ড্রাস্টিজ এ গত বছর শ্রমিক বিদ্রোহ, এ বছর আগুন লাগা, তিনজন শ্রমিকের আত্নহত্যা। আমার মনে হচ্ছে কেউ ক্ষতি করার জন্য এসব ক্ক্রছে।

-এটা তো বিপদজনক কথা।

-হবার তো কথা। আমি গেলাম। অফিসে বসতে হবে।

-আচ্ছা বাবা। আমি দেখি আজকে ভিজিট দিবো ওদিকে।

চিন্তার স্রোতে ধাক্কা খাচ্ছে শিহাবের মগজ। এই স্যাবোটাজ কে করছে তা আন্দাজ হয়ে গেছে তার। তবে সমস্যা হচ্ছে এরা খুবই গভীর জলের মাছ। কেনো জানি মনে হচ্ছে আজ কিছু একটা হতে যাবে। ততক্ষণে অনন্যা ব্যাগটা হাতে নিয়েছে। ল্যান্ড ক্রুইজারটা গ্যারেজ থেকে বের করে শিহাব দরজা খুলে দিতেই ঢুকে পড়লো অনন্যা।

-ক্লিয়ার কথা শোনো। আমি বাবার অফিসে ঢুকতেই তুমি তোমার সেট আপ ওপেন করবে। তুমি ভালো হ্যাক করতে পারো আমি জানি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সকল গেট ডিজিটালি জেনারেটেড। আমি ঢোকার সাথে সাথে ফায়ার ওয়াল দিয়ে দেবে।

-শিহাব কি বলছো তুমি? ওখানে রায়ট হতে পারে। তোমাদের রেসকিউ না করে উলটো আমি বেধে ফেলবো কেনো?

-বোকার মতো কথা বলো না। তুমি মেইন অফিস আর ফ্যাকটরীর মাঝখানে ফায়ার ওয়াল দেবে।

-ও আচ্ছা এখন বুঝেছি।

ম্যানেজমেন্ট অফিসের চোহদ্দির ভেতর পা রাখতেই দু তিনজনের জটলা থেকে চোখ গুলো শিহাবের দিকে নজর দিলো। এরা যে শ্রমিক না বোঝা যাচ্ছে। সেকেন্ড লেভেল সিকিউরিটি পেরোতেই ঠা ঠা করে বুলেট ছুটে এলো ফারস্ট লেভেল থেকে। আজকেই শালারা বেছে নিয়েছে আক্রমণের।

দ্রুত বিল্ডিং এর ভেতর ঢুকে এদিক ওদিক তাকালো। বাবার অনেক বিরোধী আছে এখানে। ষণ্ডামার্কা। চোখাচোখি হলো। বাউ করে বাবার রুমে ঢুকতেই একটা সি-ফোর গ্রেনেড জানলা দিয়ে উড়ে এসে ভেতরে ঢুকলো। পাচ সেকেন্ডে চার্জ হবে এর ব্লাস্ট। চিন্তা না করেই ড্রাইভ দিয়ে গ্রেনেডটা আবার জানালা দিয়ে ফেরত পাঠালো নীচেই। বাবাকে নিয়ে বের হবার ডিসিশন নিলো। দুইটা রুম পার হতে হবে ওয়ার্কস্পেসে যেতে হলে। তাই বাবাকে মাঝের রুমের সেফটি কেবিনে ঢুকিয়ে তালা মেরে দিলো। অ্যাক্রোব্যাট অ্যাথলেট শিহাব, মুহূর্তে সাপের মতো শরীর পেঁচিয়ে দরজা ফুঁড়ে বের ওয়ার্কস্পেসে হাজির হলো।

-বেবি রেডি? চোখ ঢাকা মুখোশে শিহাবের। কাধে পর্যাপ্ত তীর আর হাতে চিকন মেটাল গ্রেড ধনুক।

-অলওয়েজ হানি।

-লক খোলো ফায়ার সেফটির।

ফুউউস করে সব ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশারের ভেতর থেকে পানি আর অগ্নিনির্বাপক গ্যাস বেরিয়ে আসছে।

মুখে গেরিলা কালি, হাতে কাধে তীর ধনুক নিয়ে জানালা ভেঙ্গে নীচ নামলো। সবাই বেরিয়ে গেছে। কিন্তু নীচে অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে হাতে বন্দুক নিয়ে। একজনকে হোমরা চোমরা লাগলো।

-এই মালটা কেডারে? লোকটা হিসিয়ে উঠলো।

-চিনা চিনা লাগে।

লোকটার মুখ বরাবর এসে লাথি ঝাড়লো শিহাব।

-উব্বাব্রে...

-আমি তীরন্দাজ। বলেই খেঁকিয়ে উঠে বাকিদের দিকে এগুলো সে। সত্তর হোক আর সাতশো হোক এরা আজকের পর থেকে স্যাবোটাজ করার সাহস পাবেনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.