নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। প্রবলভাবে আশাবাদী। স্বপ্ন দেখি শান্তিময় সমৃদ্ধ পৃথিবীর।

জহিরুল ইসলাম সেতু

আলোর দিশারী

জহিরুল ইসলাম সেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় সামু, একি পঙ্কিল সলীল তব!

০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৭

একদা এক ওয়াজ শুনেছিলাম। হুজুর খেঁকিয়ে বলছিলেন, "আমার শরীরের রক্ত, মূর্তি ভাঙ্গার রক্ত।" সেকি উৎকট উন্মাদনায় উন্মত্ত হুজুর! পুরো মাহফিলে সেই উন্মাদনার ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছে। যতোটা হুজুর বলছেন, ভাব-ভঙ্গিমা আরো চড়া।
ইসলামকে বলা হয় শান্তির ধর্ম, সম্প্রীতির ধর্ম। অথচ এই কাঠ মোল্লা হুজুর একে টেনে কোথায় নামিয়ে নিচ্ছেন! লজ্জা! লজ্জা!

পরমত বিদ্বেষী জনৈক ব্লগারের কিছু উচ্চ বাচ্য পড়ে আবার গাঁ গুলিয়ে এলো। এসব ওয়াজ নসিহতকারীদের লিখা পড়ে মনে হয় এ কোন অসভ্য মধ্যযুগের ঘোর অমানিশায় আমাদের বসবাস! প্রিয় সামুকেও যেন দিন দিন গ্রাস করছে এরাই। নিজের মতের বাইরে কথা বললেই দালাল বলার ধৃষ্ঠতা দেখায় এসব উগ্রবাদী কথিত ব্লগাররা। এরা শিক্ষা-রুচিবোধ-ভব্যতার ধার ধারে না, যুক্তি ও শালীনতা জানে না, পরমতের প্রতি চরমভাবে অসহিষ্ণু। ধর্ম যতোটা না বুঝে তারচে বেশি প্রদর্শন করে উগ্র ধর্মপ্রেম। কাঠমোল্লা হুজুরদের মতোই অসভ্য অশালীন আচরণ করতে দ্বিধা করে না এরা। এদের আচরণে অবাক হইনি। পরিবার-প্রতিবেশ থেকে যা শিখেছে, তারই তো বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আচার-আচরণে। তবে দুঃখ লাগে যখন দেখি একজন ব্লগার আরেকজন ব্লগারকে অসম্মান করছেন, তাঁকে নিয়ে আক্রমণাত্মক অরুচিকর কথা বলছেন, তাতে আবার সামুর উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি লাইক দিয়ে উৎসাহিত করেন! আহা! নিরপেক্ষতার মানদণ্ডে যাঁদের উচ্চাসনে ভাবতাম, শ্রদ্ধা করতাম, তাঁরাও এসে ডুগডুগি বাজায়! কি করুণ হাল সামুর আজকাল!
যুক্তি দিয়ে কথা বললে এরা বলে, উত্তর দেবার মত রুচি এই মুহুর্তে পাইতেছি না। আসলে এদের রুচির মানদণ্ড কোথায় সে বিচার বিদগ্ধ পাঠকের কাছেই। অসুস্থ বা নেশাগ্রস্ত না হয়ে থাকলে এরা সরল বাক্যের কথার জবাব সাবলীলভাবেই দিতে পারতো, যদি এদের বিবেক-বুদ্ধির প্রসার থাকতো। কেবল কথার জোরে এরা সকল যুক্তি, মানবিক মূল্যবোধ পরিহার করে একগুয়ে ভাব নিয়ে একতরফা বলে চলছে। ভুলভাল বানানে ধর্মের ব্যানার দিয়ে উগ্রতা দেখিয়ে এরা কেবলই নোংরামী করে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। যাঁদের বলার কথা, তাঁরাও পক্ষপাত দোষে দুষ্ট হয়ে পড়ছেন ক্রমশঃ। কেউবা আবার নিশ্চুপ।
এসব অরুচীকর নিম্নমানের কতিপয় ব্লগার সামুর সুন্দর পরিবেশকে কলুষিত করছে। বেশ কিছু আছেন, যারা নিজেদের মতের বাইরে কাউকে পেলেই তাঁকে অপদস্ত করার জন্য জোটবদ্ধ হয়ে যেন লেগে পড়েন। সামুর স্বচ্ছ জলের ধারায় একি পঙ্কিলতা! তাহলে কি রাজহংসগুলো নিজেদের গুটিয়ে নিবে? সামু ভরে উঠবে কেঁচো আর নর্দমার কীটে?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৬

নিমো বলেছেন: ব্লগের এখন আপা,মুক্তিযু্দ্ধ আর ধর্ম ব্যবসাই টিকে থাকার উপায়।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৩

কামাল৮০ বলেছেন: যদিও আমি হুজুরের বক্তব্যের চরম বিরোধিতা করি।তার পরও বলছি,হুজুর ভুল বলে নাই।আমাদের থেকে হুজুর ইসলাম ভালো জানে।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৪

জগতারন বলেছেন:
আমি এইখানে এসেছিলাম।
পড়েছিলাম এই ব্লগ পোষ্ট।
কিছু মন্তব্য করবো না ভেবেছিলাম।
তার পরও কিছু না বলে পারছি না।


ধর্মকে আয়-এর উৎস যারা করে
তাহারা আর যাহাই করুক নুন্যতম ধর্মের সেবক নন।
আমি তাদের ঘৃণা করি যারা ধর্মকে পুঁজি করে আয়-এর উৎস ও রাজনীতি করে।
এবং সাধারণ মানুষের ধার্মিক আবেগ নিয়ে খেলা করে।
এই ধর্মব্যবসায়ীগুলোকে ক্রসফায়ার দেওয়া উচিত।
এরা সমাজের ভাইরাস.....

.।.।

ভাবতেও অবাক লাগে,
প্রকৃত ইসলামের যুগে যে মুসলিমরা দুর্দান্ত গতিতে
অর্ধ পৃথিবী জয় করে সেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করল;
ধনে, জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, শিক্ষায়, সামরিক শক্তিতে
সকল ক্ষেত্রে সবার ঊর্ধ্বে আরোহণ করল;
সেই জাতি আজ সকল জাতির গোলামে পরিণত হয়ে
অন্য জাতিগুলির দ্বারা অপমানিত, লাঞ্ছিত হচ্ছে।
এই অপমান, লাঞ্ছনা থেকে পরিত্রাণের উপায় না খুঁজে
তারা আজ অতি তুচ্ছ বিষয়গুলি নিয়ে জায়েজ,
না’জায়েজের ফতোয়াবাজীতে ব্যস্ত।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মতের অমিল হলেই, মন্তব্য পক্ষে না গেলেই যারা মারতে তেড়ে আসে, গালি দেয়, ব্যক্তি আক্রমণ করে তাদের ইগনোর করেই আসলে সামুতে ব্লগিং করতে হবে।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ক্যাচালটা বাঁধে বেশি। লোকজন কেন যে এ দুটো বিষয়ে সহনশীল হতে পারে না!

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ১। যদি কোন ব্লগার কোন পোস্টে আলোচনায় অংশগ্রহন করে কোন আপত্তিজনক বা নিজস্ব বিবেচনায় অগ্রহনযোগ্য কোন মন্তব্য পান সেই ক্ষেত্রে তিনি আলোচ্য পোস্টেই উক্ত মন্তব্যের ব্যাপারে তার প্রতিবাদ জানাতে পারেন এবং লেখকের কাছে তার ব্যাখ্যা চাইতে পারেন। কোন সুনির্দিষ্ট জবাব বা ব্যাখ্যা না পেলে বা পাওয়ার পরও যদি সামগ্রিক বিষয়টি তাঁর কাছে অগ্রহনযোগ্য মনে হয় সেই ক্ষেত্রে তিনি ব্লগ টিমকে মেইল করে বিষয়টি জানাতে পারেন। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমরা চাই ব্লগাররা যে কোন অভিযোগের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নীতিমালা অনুসরন করবেন।

২। সামহোয়্যারইন ব্লগ যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন, লিখেন বা পড়াশোনা করেন তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের জায়গা। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে বাংলা ভাষায় মানুষ আনুষ্ঠানিকভাবে মত প্রকাশ করেন। তাই, বাংলা ব্লগ শুধুমাত্র বাংলাদেশের বাংলা ভাষার মানুষদের জন্য নির্দিষ্ট নয়। যেহেতু একজন বাংলাদেশীর হাত ধরে এই ব্লগটির যাত্রা শুরু এবং শত প্রতিকূলতা স্বত্তেও ব্লগটি টিকে আছে - তাই একজন বাংলাদেশী হিসাবে যে কেউ তার জন্য গর্ববোধ করতে পারেন। একজন বাংলাদেশী হিসাবে শুধুমাত্র এইটুকুই একজন বাংলাদেশীর বাড়তি পাওনা। বাকি সকল সুযোগ সুবিধা সকলের জন্য সমান।

৩। যদি কোন ব্লগার বাংলাদেশ অথবা যে কোন স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ক সত্যকে অস্বীকার করে, বিরুদ্ধাচারণ করে, অসম্মান করে তাহলে সেই সকল ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

৪। সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সামনে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করেছে যেখানে আমরা গণ মানুষের আচরন দেখে উক্ত দেশটির সমাজের শিক্ষা, মুল্যবোধ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা পাই। এই উপমহাদেশের গণমানুষের সামাজিক মুল্যবোধ ধর্ম দ্বারা অনেক বেশি প্রভাবিত। ইতিবাচক এবং নেতিবাচক যে কোন ক্ষেত্রে ধর্মকে ব্যবহার করার অসংখ্য উদহারন আমাদের সামনে আছে। ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জানাশোনার অভাবকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণী মানুষ সামাজিক প্রভাব ও সম্মান পাবার লক্ষ্যে ধর্মকে নিজেদের সুবিধার্থে ইচ্ছেমত ব্যাখ্যা করেন। ফলে ধর্ম ভীরু মানুষ অনেক সময় ধর্মান্ধে পরিনত হচ্ছে বা ধর্মান্ধের মত আচরন করছে।

বাংলাদেশের সমাজ তো বটেই, উপমহাদেশের সমাজে এই ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যায়। ফলে মানুষ চাঁদে মানুষকে দেখে বা অন্যকে পাপী হিসাবে চিহ্নিত করে নিজেকে পবিত্র প্রমান করে। যার প্রভাব দেখা যায় - সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলাদেশী সংবাদকর্মী ও কমেন্টস নামে একটি পোস্টে এমন একটি চিত্রই উঠে এসেছে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টিকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এই দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। স্থানীয় মানুষের কথাবার্তা, চাল চলন এবং সামাজিক সকল ঐতিহ্য বা সংস্কৃতিতে ইসলামিক সংস্কৃতির একটি প্রভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যেমনটা ভারতের সংস্কৃতিতে আছে সনাতন ধর্মের প্রভাব এবং নিজস্ব রীতিনীতি। এরা সবাই নিজ নিজ ধর্মের বিচারে অন্য ধর্মের অনুসারীদেরকে বিচার করেন, কটাক্ষ করেন বা পরামর্শ দেন। উপমহাদেশে এটা এক ধরনের 'বৈধ' প্র্যাকটিস। তাই উক্ত পোস্টটিকে কোন নির্দিষ্ট দেশ বা ধর্মের বিরুদ্ধে সুপ্তভাবে লেখা হয়েছে বলে বিবেচনার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটা মনে করে থাকেন তাহলে তা দুঃখজনক এবং সত্যকে অস্বীকার করার সমতুল্য।

একজন মানুষ নিজ দেশের বিরুদ্ধে কিছু শুনলে স্বাভাবিকভাবেই দুঃখ পায় এবং আবেগ তাড়িত হয়। ভীনদেশী কারো কাছ থেকে নিজ দেশের ব্যাপারে খারাপ কিছু শুনলে এই আবেগটি আরো বেশি কাজ করে। আমরা মানুষের এই আবেগকে সম্মান করি। উপযুক্ত তথ্য উপাত্ত দিয়ে যৌক্তিকভাবে এই সকল বিষয়ের মোকাবেলা করা যায়, অন্য কিছু নয়। মনে রাখতে হবে, ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করলেই কেউ খারাপ হয়ে যায় না, এতে দোষের কিছু নেই। সমস্যা হয় যখন কেউ ধর্মের নামে নিজের স্বাভাবিক বিবেক বুদ্ধি ও মানবিকতাকে বিসর্জন দেন।

৫। আমরা মনে করি, আমাদের আরো একটু ধৈর্য্যশীল হওয়া প্রয়োজন। অতি প্রতিক্রিয়াশীল আচরন কখনই ভালো নয়। এটা আপনি এবং আপনি যার পোস্ট বা মন্তব্যের ব্যাপারে ইংগিত করেছেন উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে আমরা মনে করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাদের দুইজনের অযৌক্তিক মন্তব্য এবং প্রতি মন্তব্যে কিছুটা বিরক্ত! এত অল্পতে সব কিছু বিচার করতে নেই।

৬। সামহোয়্যারইন ব্লগকে নিয়ে আমরা বিভিন্ন পক্ষের হতাশার গল্প শুনি। সামু রসাতলে যাবে, হারিয়ে যাবে, ধর্মান্ধদের কবলে আক্রান্ত সামু, সব ছাগু এখানে বা নাস্তিকদের কবলে ব্লগ - এই অভিযোগগুলো আমাদেরকে সামগ্রিকভাবে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করে এবং প্রমান করে আমরা সঠিক পথেই আছি। ফলে যদি কেউ মনে করে থাকেন, সামুতে কোন নির্দিষ্ট পক্ষের রাজত্ব শুরু হয়েছে বা চলবে তাহলে সেটা তার একান্তই নিজস্ব চিন্তাভাবনা। আশা করি, আপনি দুঃশ্চিন্তামুক্ত হয়েছে।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০৪

ককচক বলেছেন: ইসলাম মূর্তিপূজা সমর্থন করেনা। আবার মুর্তি ভাঙ্গার উৎসাহও দেয় না। বরং ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছে। যার যার ধর্ম পালন করতে বলেছে।

সামু আস্তে আস্তে ফেইসবুক হয়ে যাচ্ছে। ফেইসবুকে যে যেমন তেমন চিন্তার বা দর্শনের মানুষ লিস্টে বেশি থাকে, ফলে ভিন্নমতের মানুষ খুব একটা দেখা যায়না; গেলেও ব্লক আনফ্রেন্ড অপশন আছে। অনেকেই ব্লগটারে ফেইসবুক বানায়া ফেলছে।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:২৩

শার্দূল ২২ বলেছেন: জগতারন খুব গুরুত্বপুর্ন কথা বলেছেন- আল্লাহর এবাদত কোন ভাবেই পেশাদার বা প্রাতিষ্ঠানিক হতে পারেনা, আমাকে আল্লাহ বানিয়েছেন তিনি আমার স্রষ্টা । উনি আমাকে একটা গাইড লাইন দিয়েছেন কোরান যা আমার নিজের ভাষায় মুদ্রিত আছে আমি তা নিজের তাড়নায় পড়বো বুঝবো এবং জানবো কিভাবে পৃথিবীতে বেচেঁ থেকে আমি আমার নৈতিক দায়িত্ব গুলো সম্পাদন করবো। সারা দিন আমি আমার কাজ গুলো নীতি নৈতিকতার সাথে শেষ করবো রাতে আমি আমার স্রষ্টার কাছে আমার সারাদিনে কাজের জবাব দেবো ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবো। আমার এই সকল কাজের কোন অংশ পাবলিকলি নয়। বাদ্য বাজনা বাজিয়ে নয়, পোষাকে নয়। আমার এই সকল কাজ কোন ভাবেই কোন ব্যক্তির মাধ্যমে হবেনা।কোন সংগঠনের ছায়ায় হবেনা ,কোন সরকারের শাষণে হবেনা কারণ স্রষ্টা বলেছেন আমাকে ডাকতে ভাষারও প্রয়োজন নেই ,আমাকে তোমরা শুধু স্মরণ করো আমিও তোমাদের স্মরণ করবো।

কোরাণ পড়ে আমি যতটুকু বুঝবো আমি ঠিক ততটুকুই করবো। মিথ্যা অসৎতা পরনিন্দা পরের ক্ষতি এসব যে ভালো নয় সেটা কোরাণ ছাড়াও আমরা বুঝতে পারি।তবুও কোরান পড়ে যতটুকু বুঝবো ততটুকুই করবো ,বিচার দিনে আমি একাই আল্লাহর সামনে দাড়িয়ে বলবো - হে আল্লাহ আমি এতটুকুই বুঝেছি এবং এটুকুই করেছি। এই হলো মানুষ আর আল্লাহর মধ্যকার সর্বোত্তম সম্পর্ক ।

এই আল্লাহ আর মানুষের মাঝখানে যেসব দালালরা বসে আছে হাতে তরাবরি নিয়ে তাদের যে আখেরাতে নিস্তার নেই সেটা বুঝতে কামরুপ কামাখা যেতে হবেনা। এই ধর্মের হেফাজত কারিরা ধর্মকে পেশা হিসেবে নিয়ে ইমাম মুাজজিন সেজে মাদ্রাসা সংগঠন দল দলালি করে বেড়াচ্ছে , ফতোয়া দিয়ে একে অমুসলিম ওকে মুশরিক তাকে সিয়া দাত বিদাত যত আজগুবি কান্ড কারখানা এই দুনিয়াতে ছড়াচ্ছে তাদের বিচার আবু লাহাবদের সাথে হবে এটা বুঝতে আমাকে মদিনা আহাজারী (আজহারি)বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসতে হবেনা।

পোষ্ট আসছে সামুর ব্লগার দের নিয়ে, এবং কিছু কাঠ মোললাদেরকেও নিয়ে। সেই সুত্র ধরে এত কথা উপরে বলছি। আসুন এখানে কিছু শিক্ষিত লোকের চিত্র দেখি। দেখি কিছু আধুনিক উন্নত মানের মননের লেখক কিংবা পাঠকের অবস্থা। একজন পোষ্ট করেছেন শিরোনাম দিয়েছেন সহবাসের আবেদন, বিস্তারিত এর সাথে শিরোনামের যোগ আছে কিনা জানিনা তবে প্রয়োজনিয়তা যে নাই তা আমার ক্ষুদ্র মাথায় নিশ্চৎ হয়েছি, সেই পোষ্ট আমি দিলে আমার খবর ছিলো। সেটায় দেখলাম দুইদিন ধরে ঝুলছে মন্তর‌্যের বন্যায় ভাসছে।

এরপর একজন বুজর্গ দিয়েছেন পাকিস্তান নারী ব্রা পেন্টি নিয়ে, উনি অবশ্য সাহিত্যিক মানে পেন্টিকে সুন্দর ভাষায় বলেছেন। এত জন গুরুত্ব পুর্ণ পোষ্ট সেটাও মন্তব্যের বন্যায় ভাসছে। কিছু মেয়ে আবার আধুনিক ডন্টমাইন্ড বনতে গিয়ে সেই বনে ঢুকে হৈ হুল্লোরও করে আসছে।

আরে বাবা সেক্স শরীর এসব তো আমাদের জীবনেরই একটা অংশ। এটা হবে আমাদের প্রাইভেট পার্ট ,এই অনুভুতি নিয়ে যত কিছু সব আমাদের যার যার নিজেদের মানুষের সাথে চার দেয়ালের মাঝে। এই অনুভুতি না অন্য কোন নারী শরীর দিয়ে নেয়া উচিৎ না সেক্সুয়াল ইণ্দনের পোষ্ট থেকে। যাদের এমন সুরসুরি ফুরফুরিতে হয়ে যায় তারাতো দুর্বল রুগী।

বলতে চাইছি কি শিখবো আর কার কাছ থেকে শিখবো, কে শিক্ষিত কে অশিক্ষিত ,কে জ্ঞানপাপি কে পাপে পাপি , সব মিলে মিশে একাকার । ব্লগের মত জায়গায় যদি পর্ণ বিনোদন হয়ে যায় তাহলে অন্যসব পর্ণসাইট গুলোতে ভাতে মরে যাবে।

সন্মানিত ব্লগার গণ- আপনারা যারা অতি মেধাবী মানুষ আপনারা আমাদের জন্য এমন কিছু নিয়ে আসুন যেন আমরা তা জীবনের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারি, যা জানিনা তা জানবো। যা শুনিনি তা শুনবো। আবিষ্কার করেন আমরা ব্যবহার করবো। এই হোক ব্লগের ব্যবহার।

ধন্যবাদ সবাইকে।( বানান নিয়ে কেউ হাসাহসি করবেননা যখন অক্ষর ছিলোনা তখনো ভাবের আদান প্রদান হতো)

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৪

নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

স্বাধীন বাংলা ৭১ বলেছেন: খতিপয় ব্লগারের কাণ্ড দেখিয়া ইহা অনুমেয় হইতাছে যে, তাহারাই সামুর বহুল আলোচিত ব্লগ টিম। ব্লগ টিম হুক আর ঘোড়ার ডিম হুম খবরদারী আদিপত্য বিস্তারের অপ্রয়াস তাহাদের চিন্ডিকেটের বাইরের ব্লগারদের অযাচিত ব্যক্তি আক্রমন, ব্লগের কনফিডেনশিয়াল নোটিস যারা সামুর চিরপ্রতিপক্ষ ফেসবুকে প্রচার অফেন্সিভ আচরণ, করে তারাই ব্লগারদের উপ্রে দাপট দেখাচ্ছে । লাটির বাড়ি মারে। ব্লগ থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের দেয়।

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পরমতসহিষ্ণুতা জিনেরিক নয়; অনুশীলন দ্বারা অর্জন ও বর্ধন করতে হয়।

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

অর্ক বলেছেন: যার বা যাদের সঙ্গে আপনার এই সমস্যা হচ্ছে, তাদের পোস্টে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার বিচারে কেউ সীমা অতিক্রম করে থাকলে আপনার লেখায় তার মন্তব্য সুবিধা বন্ধ করে দিন। কোনওকিছু আপত্তিকর বিবেচিত হলে মন্তব্য/পোস্ট রিপোর্ট করুন। এরকম হাল্কা অভিযোগ অনুযোগের পোস্ট আসলে খুবই অর্থহীন। এগুলো ছেলেমানুষি, হাস্যকর। যতো তাড়াতাড়ি বুঝবেন, ততো ভালো আমাদের সবার জন্য। আপনার খুব বেশি অসুবিধা হলে ব্লগিং ছেড়ে দিতে পারেন। এসবই বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের আচরণ হওয়া উচিত নিঃসন্দেহে। ব্লগ নিয়ে এভাবে চক্রাকার হাল্কা অভিযোগ করে সুবিধা কিছুই হবে না। আমার সাত আট বছরের ভিতরে দেখা, সবচেয়ে ভালো আদর্শ পরিবেশ ব্লগের বিরাজ করছে ঠিক এখন। আজেবাজে ফোর্থ ক্লাস ব্লগারদের ব্যান বা মন্তব্য সুবিধা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তেমনি ফালতু ক্যাচাল ঝামেলা কাঁদা ছোড়াছুড়ি ঝগড়াঝাটি তুলনামূলক সবচেয়ে কম এখন ব্লগে।

শেখ হাসিনাকে আমি আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোটেও যোগ্য মনে করি না। আমি যেরকম অসাম্প্রদায়িক উদার সভ্য গনতন্ত্রমনা মিতভাষী মানুষকে এ জায়গায় আশা করি, সেরকমটা তিনি নন। একইভাবে এরকম যতো সাইটে লেখালেখি করেছি, এর মাঝে সবচে লো কোয়ালিটি এডমিন, মডারেটর এই সাইটে। এসব নিয়েই দেশে এবং এই ব্লগে সাত আট বছর ধরে বাস করছি। করতে হবেই। বিকল্প নেই। এসব হাল্কা অভিযোগ, অনুযোগ পোস্ট করে আসর মাতানোর কোনওরকমের রুচি আমার মোটেই নেই। যাকে ভালো লাগে না কিম্বা যার সঙ্গে মনমানসিকতা রুচিবোধে বিস্তর পার্থক্য পাই, তাদের থেকে দূরে থাকি আমি। এভাবে অনেককে আমার লেখায় ব্লক করেছি। অনেকের পোস্টে কোনওরকম মন্তব্য না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

আপনাকে বিভিন্ন সময় দুয়েকজন ব্লগারকে মাননীয় মাননীয় করে ভালো ভালো মন্তব্য করতে দেখেছি। যদের সাথে আমার অভিজ্ঞতা হলো যে, এরা মনুষ্য সমাজে বসবাস মতো যোগ্য প্রাণীই নয়। এভাবেই চিন্তার, দৃষ্টিভঙ্গির সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে, আপনাকে আমাকে একসাথেই ব্লগিং করতে হবে। হে হে।

যাই হোক অনেক কথা বললাম। বিরক্তির উদ্রেক করলে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ। শুভকামনা থাকলো।

১৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:৫৯

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বেদনাহত হয়েই এই পোষ্টটি আমাকে লিখতে হয়েছিল। লেখায় যতোটা বিচক্ষণতা প্রয়োজন, তারচে' বেশি আবেগপ্রবণতা ছিল, সন্দেহ নেই। আবেগপ্রবণ লেখা কখনোই ভাল লেখার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারে না। তবু যারা মূল্যবান সময় থেকে কিছুটা সময় নিয়ে পড়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আমার বক্তব্যকে ভাবনায় নিয়ে, আবেগটুকু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, এই কামনা।
আমি ব্লগে মূলতঃ পড়তে আসি। কিছু ক্ষেত্রে মন্তব্য করি। তারচে'ও কম লিখি। আমার লেখাগুলোয় আপনাদের মন্তব্যগুলো আমাকে প্রেরণা যোগায়, নিজেকে বুঝতে শেখায়, নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। বস্তনিষ্ঠ সমালোচনা আমাকে সংশোধিত হবার সুযোগ তৈরি করে দেয়। অপছন্দের হলেও কারোর মন্তব্য সুবিধা বন্ধ করার পক্ষপাতি নই আমি। ওটা আমার নীতিতে আসে না। শুধু সভ্য আচরণ ও শালীনতাটুকু আশা করি সকলের কাছে। এর বাইরে আমার কোন দাবি নেই।
আর যাঁরা লেখাটিকে গুরুত্ব দিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাঁদের প্রতিও আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। ব্লগার নিমো, কামাল৮০, জগতারন, মোহাম্মদ গোফরান, রূপক বিধৌত সাধু, কাল্পনিক_ভালোবাসা, ককচক, শার্দূল ২২, নাহল তরকারি, স্বাধীন বাংলা ৭১, খায়রুল আহসান, অর্ক সকলেই আমার শুভানুধ্যায়ী, শ্রদ্ধা করি আপনাদের, ভালবাসি। অন্য সময় যে কোন মন্তব্যের তাৎক্ষণিক উত্তর দিলেও এবারই প্রথম আমি মন্তব্যের উত্তর দিতে সময় নিয়েছি। তার মানে এই নয় যে, আমি মন্তব্যগুলো পড়িনি। আমি পূঙ্খানুপুঙ্খ পড়েছি, একাধিকবার পড়েছি, আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি, আবেগ প্রশমিত অবস্থায়ও পড়েছি, গুরুত্বের সাথে পড়েছি। এবার আরেকটা ব্যাতিক্রম, সকলের মন্তব্যের উত্তর আলাদা করে না দিয়ে একটি মন্তব্যে দিচ্ছি। আপনারা এতো সুন্দর মন্তব্য উপহার দিয়েছেন, আমি সত্যিই অভিভূত। কাউকেই আলাদা করে কিছু বলছি না। পোষ্টে এপর্যন্ত লাইক দিয়ে যাঁরা সমর্থন যুগিয়েছেন, অর্ক, সাসুম, স্বাধীন বাংলা ৭১, সোনাগাজী, ককচক, মোহাম্মদ গোফরান, কামাল৮০, নিমো, জগতারন আপনাদের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, ভালবাসাও অফুরান। সামুকেও এগিয়ে নেবার সারথি আপনারা।
সামুকে ভালবাসি। এর উত্তরোত্তর উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.