নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ কোন মানুষ না, একজন পাগল-মানব।

জে এন হৃদয়০১

পাগল-মানবের ব্লগে স্বাগতম।

জে এন হৃদয়০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ মুক্তিযোদ্ধারা ও একটি ট্রেনভ্রমণ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯




লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকা যাচ্ছি। ট্রেন ছাড়ার বেশ কিছুক্ষণ পর টিটি টিকেট চেক করে গেল, হঠাৎ সামনে শোরগোল শুনতে পাচ্ছি। আমি কৌতূহলী মানুষ নই,তাই এগিয়ে গেলাম না। পরে এক যাত্রীর মাধ্যমে জানতে পারলাম,মুক্তিযোদ্ধা এক বৃদ্ধের সঙ্গে টিটির ঝগড়া লেগেছে।কারণ তিনি এক মুক্তিযোদ্ধার স্লিপে চারটি সিট দখল করে সপরিবারে যাচ্ছেন। টিটি বলেছিল, আপনি মুক্তিযোদ্ধা আপনার সিট ফ্রি, কিন্তু আপনার পরিবারের তো না। তার উপর, উনি অতিরিক্ত যে সিট দখল করেছেন তার দুটি সিটের টিকেট ছিল এক দম্পতির। তারাও তার সঙ্গে পেরে উঠল না।শেষে হয়ত তারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অন্য সিট নিয়েছে কিংবা দাড়িয়েই পুরো পথ গিয়েছে, সে খোঁজ আমি নেই নি।কারণ আমি কৌতূহলী মানুষ নই।


আমার পাশে আরেক বৃদ্ধ ঘুমাচ্ছিলেন।,ঘুম ভাঙ্গলে গল্প করতে করতে, ট্রেনের ঘটনাটা তাকে জানাই,বৃদ্ধ হাসে। হাসির কারণ জানতে চাইলে বলে- এ লোককে সে চেনে, তারা দুজনেই জয়দেবপুরে নামবে। সে, এও জানায়- লোকটা যুদ্ধ করে নি, যুদ্ধ শেষে সার্টিফিকেট কিভাবে যেন পেয়েছে।


বৃদ্ধ আবার হাসে। এবার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে তার পকেট থেকে টিকিট বের করে দেখায়- বাংলাদেশ রেলওয়ে লেখা।বলে, বাবা এই বাংলাদেশ কথাটা সবখানে দেখার স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করতে আমিও মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমারও সার্টিফিকেট আছে, তবুও টিকেট কিনি।কারণ আমার সামর্থ্য আছে, তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধার স্লিপের জন্য না বরং এই "বাংলাদেশ" লেখাটা দেখতেই দেশ স্বাধীন করেছিলাম।


আমি এক দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকি। এইত আমার সামনে "বাংলাদেশ"


(কোটা সংষ্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে,আমার লেখা একটি রূপক গল্প, লিখার তারিখঃ০৭-০৫-১৮। মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য,তবে সোনার বাংলাদেশ গড়তে কোটা সংষ্কার অপরিহার্য।)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমার পরিচিত কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের একজন কথিত ভুয়া, ভালো খারাপ মিলিয়েই মানুষ। এ ধরণের বানানো/রুপক গল্প লিখবেন না। মানুষ বিভ্রন্ত হয়।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জে এন হৃদয়০১ বলেছেন: সিটের ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। সেই লোকটা মুক্তিযোদ্ধা হলেও, সে যে মানুষ ভাল না তা পুরো রাস্তায় টের পেয়েছি। এক স্লিপে সে মুখোমুখি চারটা সিটেই দখল করেছিল, তিনজন মহিলা ৪ জন শিশু এবং সে। এবং একজন দম্পতি টিকেট নিয়ে এসে তাদের ন্যায্য সিট দাবি করলেও সে ঝগড়া বাধায় এবং শেষ পর্যন্ত তারা চলে যায়। এমন লোক সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা যদি হয়েও থাতে সেই পরিস্থিতি আমার সম্মান জাগে নি। আমার ট্রেন ভ্রমণের তারিখঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭......। আমি অন্ধভাবে কারও প্রতি সম্মান জাগাতে পারব না। দুঃখিত।আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বললেও আসল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমি সম্মান দেখিয়েছি, গল্প পড়লে বুঝতে পারবেন।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আপনি আপনার পায়খানার মগজ থেকে পায়খানার রূপক লিখেছেন, শিবির সাহেব!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

জে এন হৃদয়০১ বলেছেন: সিটের ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। সেই লোকটা মুক্তিযোদ্ধা হলেও, সে যে মানুষ ভাল না তা পুরো রাস্তায় টের পেয়েছি। এক স্লিপে সে মুখোমুখি চারটা সিটেই দখল করেছিল, তিনজন মহিলা ৪ জন শিশু এবং সে। এবং একজন দম্পতি টিকেট নিয়ে এসে তাদের ন্যায্য সিট দাবি করলেও সে ঝগড়া বাধায় এবং শেষ পর্যন্ত তারা চলে যায়। এমন লোক সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা যদি হয়েও থাতে সেই পরিস্থিতি আমার সম্মান জাগে নি। আমার ট্রেন ভ্রমণের তারিখঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭......। আমি অন্ধভাবে কারও প্রতি সম্মান জাগাতে পারব না। দুঃখিত।আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বললেও আসল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমি সম্মান দেখিয়েছি, গল্প পড়লে বুঝতে পারবেন।


আর হ্যা আপনি যত বড়ই লেখক হোন না কেন, আপনার ভাষা আমার পছন্দ হয় নি। আর যাদের আমার পছন্দ হয় না, তাদের ব্যাপারে আমি মাথাও ঘামাই না। I like to ignore peoples like u.....আপনি আপনার, আমি আমার মত প্রকাশ করেছি, আশা করি বাড়াবেন না। আর হ্যা, আমি সাধারণ মানুষ, আমার মগজ আর দশটা মানুষের মতই,আর আমার জামাত শিবির বিএনপি, আওয়ামী কোন ট্যাগ নাই।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

নজসু বলেছেন:



রূপক।
বাস্তবে এতোটা সম্ভব?

ভুয়া এক স্লিপে চার সীট।
আসল স্লিপে মাটির আসন।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

জে এন হৃদয়০১ বলেছেন: সিটের ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। সেই লোকটা মুক্তিযোদ্ধা হলেও, সে যে মানুষ ভাল না তা পুরো রাস্তায় টের পেয়েছি। এক স্লিপে সে মুখোমুখি চারটা সিটেই দখল করেছিল, তিনজন মহিলা ৪ জন শিশু এবং সে। এবং একজন দম্পতি টিকেট নিয়ে এসে তাদের ন্যায্য সিট দাবি করলেও সে ঝগড়া বাধায় এবং শেষ পর্যন্ত তারা চলে যায়। এমন লোক সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা যদি হয়েও থাতে সেই পরিস্থিতি আমার সম্মান জাগে নি। আমার ট্রেন ভ্রমণের তারিখঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭......। আমি অন্ধভাবে কারও প্রতি সম্মান জাগাতে পারব না। দুঃখিত।আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বললেও আসল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমি সম্মান দেখিয়েছি, গল্প পড়লে বুঝতে পারবেন।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

জে এন হৃদয়০১ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আলআমিন১২৩ বলেছেন: একজন লেখক কে শিবির বলায় চাদগাজীর ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। অন্যথায় সামু কতৃপক্ষ তাকে ব্লগে ব্যান করা উচিত।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধা শব্দটা আপনাকে কষ্ট দেয়, আপনি ভালো মানুষ নন

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২

জে এন হৃদয়০১ বলেছেন: : সিটের ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। সেই লোকটা মুক্তিযোদ্ধা হলেও, সে যে মানুষ ভাল না তা পুরো রাস্তায় টের পেয়েছি। এক স্লিপে সে মুখোমুখি চারটা সিটেই দখল করেছিল, তিনজন মহিলা ৪ জন শিশু এবং সে। এবং একজন দম্পতি টিকেট নিয়ে এসে তাদের ন্যায্য সিট দাবি করলেও সে ঝগড়া বাধায় এবং শেষ পর্যন্ত তারা চলে যায়। এমন লোক সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা যদি হয়েও থাতে সেই পরিস্থিতি আমার সম্মান জাগে নি। আমার ট্রেন ভ্রমণের তারিখঃ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭......। আমি অন্ধভাবে কারও প্রতি সম্মান জাগাতে পারব না। দুঃখিত।আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বললেও আসল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমি সম্মান দেখিয়েছি, গল্প পড়লে বুঝতে পারবেন।


মুক্তিযোদ্ধারা আমার ছোটবেলার সুপারহিরো। সুতরাং, একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মানবীয় গুণাবলী থাকবে তা আমি আশা করতেই পারি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় শ্রদ্ধা করি করব। কিন্তু ভুয়াদের নিয়ে আমি যদি রূপক লিখি তাহলে, তো কারও গা জ্বালা করার কথা না। এদেশে যে, অসংখ্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে একথা আশা করি সবাই অবগত আছেন। তাদের নিয়ে লিখলে কারও গায়ে লাগলে আমার কিছু করার সেই। (কমেন্টটা সবার উদ্দেশ্যে। আর হ্যা আমার মনে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের আসনটা অনেক উপরে।)আশাকরি, আমার পোস্টের উদ্দেশ্য সকলে বুঝবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.