নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উমর ইবনে আবদুল আযীযের মৃত্যুর পর ইয়াযিদ ইবন আবদুল মালিক খেলাফতের দাযিত্ব গ্রহন করেন তার কাছে উমর ইবনুল ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক এসে উমর ইবনে আবদুল আযীযের প্রতি কটাক্ষ করে অভিযোগ করে বললো হে আমীরুল মুমিনীন, উমর ইবনে আবদুল আযীয তো মুসলমানদের সাখে খিয়ানত করে মূল্যবান মনি মুক্তা ও হীরা জাওহার সংগ্রহ করে তার গৃহের কক্ষে জমা করেছে। সেই কক্ষ দুটি এই অবস্থায় তালাবদ্ধ রয়েছে।তখন ইয়াযীদ তার ভগ্নি ও উমর ইবনে আবদুল আযীযের স্ত্রী ফাতিমাহ বিনত আবদুল মালিকের কাছে দূতের মাধ্যমে বলে পাঠালেন ,আমার কাছে এ তথ্য পৌছেচে যে উমর দুটি তালাবদ্ব কক্ষে বেশ কিছূ মনি মুক্তা ও মূল্যবান রত্মাদি রেখেগেছেন । ফাতিমাহ দূত পাটিয়ে তাকে জানালেন,সম্মানিত ভ্রাতা উমর তো কিছুই রেখে যাননি,তবে শুধু এই রুমালে যা আছে তা এবং তিনি দূতের কাছে এই রুমালটি পাঠিয়ে দিলেন । ইয়াজিদ সেই রূমালের বন্ধন খুললেন,তাতে একটি মোটা কাপড়ের তালিকা যুক্ত জামা,একটি অমসৃন চাদর এবং একটি জীর্ন মোটা কাপড়ের জুব্বা পেলেন । এসব দেখে ইয়াজিদ দূতকে এই বলে ফাতিমার কাছে পাঠালেন যে,তাকে বল আমি তাকে জিগাস করছি ঐ তালাবদ্ধ কক্ষ দুটিতে কি আছে ,ফাতিমা তাকে বলে পাঠালেন ,শপথ ঐ সত্তার যিনি আমাকে বিধবা করেছেন,তিনি খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহনের পর আমি এই কক্ষ দুটিতে প্রবেশ করেনি। কেননা আমি জানতাম তিনি তা অপসন্দ করতেন।এগুলো কক্ষ দুটির ছাবি আপনি এসে তাতে যা আছে তা নিয়ে বায়তুল মালে স্হানান্তরিত করুন । ইয়াযিদ ,উমর ইবনুল ওয়ালীদকে সাথে নিয়ে উমর ইবনে আব্দুল আযীযের গৃহে প্রবেশ করলেন।
এরপর তাদের উপস্থিতে একটি কক্ষ খোলা হল,দেখা গেল তাতে একটি চামড়ার মোড়া এবং মোড়ার কাছে চারটি বিছানো পাকা ইট এবং একটি পিতলের জগ রয়েছে ।উমর ইবনুল ওয়ালিদ বললেন আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। তারপর দ্বিতীয় কক্ষটি খোলা হলো। সেখানে পাওয়া গেল ,কঙ্কর বিছানো জায়নামাজ এবং কক্ষের ছাদের সাথে সংযুক্ত একটি শিকল যার প্রান্তভাগে মানুষের মাথা ঘাড় পর্যন্ত প্রবেশ করে এরুপ আকৃতির একটি বেড়ির মত উপকরন,তিনি যখন ইবদতে নিস্তেজ হয়ে পড়তেন কিংবা নিজের কোন পাপের কথা স্বরন করতেন ,তখন সেই বেড়ি তিনি নিজের গলায় পড়াতেন,কখনো তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে খূব দূর করার জন্য তা গলায় পড়াতেন।এছাড়া ও তারা সেখানে একটি তালাবদ্ধ সিন্দুক পেলেন,তখন তা খুলে একটি কৌটা/পাত্র পাওয়া গেল ।আর সেটা খুলো পাওয়া গেল একটি অমসৃন পশমী জুব্বা এবং একটি খাটো পায়জামা। এসব দেখে ইয়াযিদ ও তার সাথীরা কান্না সংবরন করতে পারলেন না ।তখন ইয়াযিদ বললেন আপনার বাহিরের অবস্থা যেমন পরিচ্ছন্ন ও নির্মল ছিল,তেমনি আপনার ভিতরের অবস্থা ও নির্মল ।
মূসা ইবনে আয়মান বলেন,উমর ইবনে আবদুল আযীযের খেলাফতকালে মেষ সিংহ ও অন্যান্য হিংস্রপ্রানী একই চারনভুমিতে অবস্থান করত । এরপর একদিন যখন একটি নেকড়ে একটি মেষের পিছু নিল,তখন আমি ইন্না লিল্লাহ পড়ে ভাবলাম ,আমার ত মনে হয় মহান সেই খলিফা ইনতেকাল করেছেন ।তিনি বলেন ,আমরা দিন গননা করে হিসাব করে দেখলেম ,তিনি সেই রাত্রেই ইনতেকাল করেছেন ।
ইতিহাসবিদ গন তাকে দ্বীতিয় উমর বলে আখ্যা দিতেন। তিনি ছিলেন উমর রায়িঃ এর বংশদ্বর।তিনি ছিলেন জমানার একজন মুজাদ্দেদ। তিনি সুন্নাতকে কায়েম করছেন এবং বিদাআতকে কঠোর হস্তে নিমূল করেছেন ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
অন্ধকারে আলোর পথ বলেছেন: জাযাকাল্লাহ
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
মাহিরাহি বলেছেন: তথ্যসূত্র দেয়া যায় কি!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
অন্ধকারে আলোর পথ বলেছেন: আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া(আল্লামা ইবনে কাসীর রহঃ) নবম খন্ড
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।