নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয় পাঠক

সহজ আলোয় দেখা...

জয় পাঠক

যন্ত্রের জন্যে পদ্য, মানুষের জন্যে গদ্য - এই নিয়ে ভাবাভাবির সারাবেলা

জয় পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাজের সাথে ঘুম এবং আমার অস্ট্রিয়ান সহকর্মী!

১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২২

অফিসে কাজের ফাঁকে ছোট-খাটো একটা পাওয়ার ন্যাপ দেয়ার অনেক উপকার আছে। গবেষণায় দেখা গেছে এটা এমপ্লয়িদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। বিছানা-বালিশ না থাকলে টেবিলের ওপর দু'হাত ভাঁজ করে উটপাখি স্টাইলে মাথা গুঁজে ১০-১৫ মিনিটের নিদ্রা! এভাবে ঘুমানোর সুবিধার জন্যে বাজারে "অস্ট্রিচ পিলো" বা "উটপাখি বালিশ" ও পাওয়া যায়। যতদূর জানা যায় এর বেচা-বিক্রিও মন্দ নয়।



সহকর্মীদের পাওয়ার ন্যাপের নানামুখী উপকারিতার বিবরণ দেয়ার কারণে অনেকেই এটা নেয়া শুরু করলো। এর মধ্যে আমার জনৈক অস্ট্রিয়ান সহকর্মী যে কারণেই হোক অস্ট্রিচ স্টাইলে না ঘুমিয়ে মনুষ্য স্টাইলে চেয়ারে হেলান দিয়ে কোন এক উদাসী দুপুরে সুখের ঘুম দিল। আর সেটা কতটা সুখের কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা টের পাওয়া শুরু করলাম।



প্রথমে খুবই নীচু মাত্রায়, কান ভালো করে না পাতলে শোনা যায় না, কিন্তু তার নাক ডাকার শব্দ ক্রমেই বাড়তে থাকলো। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে সেই শব্দ এতো ভয়াবহ হয়ে উঠলো সেই সহকর্মীর রুমতো বটেই, পুরো অফিস গম গম করে উঠলো। পাশের রুমে গুরুত্বপূর্ণ ক্লায়েণ্ট মিটিং চলছিল। বেচারা ক্লায়েণ্ট পুরোপুরি ভড়কে গেল। পরে সে বলেছে শব্দটা তার কাছে নরখাদকের ভোজন পর্বের মতো মনে হচ্ছিল! আর একটু হলে তার হার্ট এটাকের মতো হয়ে যাচ্ছিল!



আমরা সাথে থাকা সহকর্মীরা বিদ্যুৎ বেগে তার ঘুম ভাঙ্গালাম। এরপর থেকে সেই সহকর্মীটি যেন কিছুতেই না ঘুমিয়ে যায়, বিশেষ করে যখন অফিসে ক্লায়েন্ট ভিজিট থাকে, সে জন্যে তার আশপাশের সহকর্মীরা পালা দিয়ে তাকে পাহারা দিতে থাকে! কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে তাকে চা-কফি সাপ্লাই দেয়।



এরপর থেকে পাওয়ার ন্যাপের উপকারিতা নিয়ে কিছু বলার আগ্রহ পাই না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

ভিটামিন সি বলেছেন: আমিও দুপুরে লাঞ্চ সেরে ১২.১৫ থেকে ১.০০ পর্যন্ত চেয়ারে হেলান দিয়ে ঘুমাই। তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করি। এই ছোট্ট ঘুমে পূর্বাহ্নের সব ক্লান্তি ধুয়ে মুছে যায়।

১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

জয় পাঠক বলেছেন: কথা সত্য!

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: আহারে.... এই রকম কপাল সবার হয় না :(

............

লাঞ্চ-ই করি কোনমতে !

১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

জয় পাঠক বলেছেন: আফসোস!

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: আহারে.... এই রকম কপাল সবার হয় না :(

............

লাঞ্চ-ই করি কোনমতে !

এক্কেরে ঠিক কইচেন। কয় না কারও পৌষমাস আবার কারও চৈত্রমাস থুক্কু সর্বনাশ

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৫

ভিটামিন সি বলেছেন: Keno vaijanera, apnader k lunch koto tuku time a sesh hoy?

৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১৯

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: একটা মুহুর্তের জন্যও আমার কর্মস্থলে সম্ভব নয়। সবসময় চোখ দুটো দিয়ে ২২ টা আলাদা মনিটরে প্রায় একই জিনিস দেখে রাখতে হয়।

মাঝে মাঝে চোখ দুটো চরম ক্লান্ত হয়ে যায়, ভাবি আহা একটু যদি ঘুমানো যেতো।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

ভিটামিন সি বলেছেন: @রুবেল: ভাই আমার জবটা আপনি নিয়া, আপনারটা আমারে দেন। সারাদিন বইসা থাকা ভাল্লাগে না। সকাল ৭.৩০ টু বিকাল ৬.২০ পর্যন্ত। যদিও শনি, রবি অফ পাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.