নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিনশ্বর ছায়া, রহস্য ঘেরা, অতি সাধারণ সামান্য মানুষ !জন্ম-জন্মান্তর পৃথিবীতেই পরে আছি !!

জে আর সিকদার

আমার অচেনা আমি

জে আর সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলিপাইন ভ্রমন

০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭



ফিলিপাইনে বাংলাদেশিদের সংখ্যা খুবই কম, বাংলাদেশিদের জন্যই এই পোস্ট। আমি ১ মাস ধরে ফিলিপাইনে আছি, থাকবো আরও অনেক দিন। কেউ ফিলিপাইনে আছেন এমন কেঊ পোস্টটি দেখলে আমাকে নক করবেন jr sikder ফেসবুক আইডিতে।

ফিলিপাইন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের এক দ্বীপমালা, যা ৭১০৭টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত, ফিলিপাইনের রয়েছে বিশ্বের অন্যতম এক দীর্ঘ উপকূলরেখা।দেশটি তিনটি প্রধান দ্বীপপুঞ্জে বিভক্তঃ লুজান, যেখানে রাজধানী ম্যানিলার অবস্থান; ভিসাইয়াস (সেবু, ভিসাইয়াস-এর কেন্দ্রে অবস্থিত); এবং মিন্দানাও, দক্ষিণের দ্বীপ এবং এখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভ্রমণ বিষয়ক অনেক পত্রিকা, বোরাকেয় এবং পালাওয়ানকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
পূর্ব তিমুর ছাড়া, ফিলিপাইন হচ্ছে এশিয়ার একমাত্র ক্যাথলিক প্রধান রাষ্ট্র, উত্তরাধিকার সুত্রে স্পেনের কাছ থেকে এই ধর্ম এসেছে, কারণ দেশটি ৩০০ বছর স্পেনের কলোনি ছিল। ১৮৯৮ সালে স্বল্প সময়ের জন স্বাধীনতা অর্জন করার পর, আবার তা ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশে পরিণত হয়। দ্বীপটিতে ক্যাথলিক ধর্মের প্রাধান্য এবং ইংরেজি ভাষার জনপ্রিয়তা ব্যাখ্যা করার জন্য যেমনটা কিছু কিছু ফিলিপিনো বলে: “আমরা ৩০০ বছর চার্চের এবং ৫০ বছর হলিউডের অধীনে কাটিয়েছি”!
নাগরিক এবং নেতাদের মাঝে ক্যাথলিক বিশ্বাস গভীর হওয়ার কারণে, ভ্যাটিকান ছাড়া ফিলিপাইন এখনো বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোন বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নেই।
ম্যানিলা হচ্ছে ফিলিপাইনের প্রধান শহর এবং রাজনৈতিক রাজধানী। এটা ম্যাট্রো ম্যানিলার অংশ, যা ১৭টি শহর এবং পৌরসভার সমন্বয়ে গঠিত। মাকাতি সিটি হচ্ছে দেশটির অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু।
ভিসাইয়াসে, সেবু হচ্ছে এর প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র। দেশটিতে যে ৮০ টি প্রদেশ আছে, এটি তার একটি এবং এটি দেশটির সবচেয়ে সেরা পর্যটন কেন্দ্র।
সেবুকে, ফিলিপাইনের ক্যাথলিক ধর্মের জন্মস্থান হিসেবে জানা যায়। এটি খাবার, ধর্মীয় উৎসব, ক্যাথেড্রাল, পাখির অভয়ারণ্য, এবং প্রিষ্টিন দ্বীপের জন্য বিখ্যাত। সেবু বিমান বন্দর ম্যাকটান দ্বীপে অবস্থিত, যেখানে জনপ্রিয় সাদা বালুর সমুদ্রতট অবকাশ যাপন কেন্দ্র অবস্থিত।
ফিলিপাইনের অন্যতম এক বীর লাপু-লাপু (ম্যাকটানে যার স্মৃতিস্তম্ভ তাকে স্মরণ করছে), যিনি ছিলেন স্থানীয় এক গোত্রপ্রধান যে ১৬ শ শতকে স্প্যানিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় নিহত হয়।
তথাকথিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় বলয়ে অবস্থিত হবার কারণে ফিলিপাইন প্রায়শ শক্তিশালী টাইফুন, ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে কেঁপে ওঠে।
কিন্তু উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
আর একবার যদি আপনি ম্যানিলা কিংবা সেবুতে অবতরণ করেন, মজা করা শুরু করুন কারণ এটাই দেশটির পর্যটনের আনুষ্ঠানিক স্লোগানঃ # ফিলিপাইনে আরো বেশী মজা;#ইটিজমোরফান (এখানে আরো বেশী মজা)।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কিছু ছবি তুলে দিতেন।

১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২

জে আর সিকদার বলেছেন: এখন থেকে ব্লগে নিয়মিত হবো, ছবি সহ পোস্ট আসিতেছে, হি হি হি
ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ফিলিপাইনের অনেক ছবি তুলে একটা ফোটো ব্লগ দেন। ছবিতে দেখে স্বাদ মেটাই। কোনো দিন তো যেতে পারব না।

১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

জে আর সিকদার বলেছেন: ঠিক আছে ভাই, শিঘ্রই কিছু ছবি পোস্ট করবো। আশা করি আপনিও কোন একদিন বেড়াতে আসবেন। ভ্রমন করুন, পিপাসা মেটান। ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

প্রথমকথা বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট। ফোটো দিলে বেশি মজা পেতাম।

"নাগরিক এবং নেতাদের মাঝে ক্যাথলিক বিশ্বাস গভীর হওয়ার কারণে, ভ্যাটিকান ছাড়া ফিলিপাইন এখনো বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোন বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নেই"।

বুঝার জন্য বলছি ফিলিপাইনে কি বিবাহ বিচ্ছেদ হয় না, একটু বুঝিয়ে বললে বুঝতাম।
ধন্যবাদ।।

১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

জে আর সিকদার বলেছেন: ফিলিপাইনে অসংখ্য সিঙ্গেল মা। বিবাহ ছাড়াই এরা প্রেমিক-প্রেমিকা একসাথে থাকে, বিবাহ ছাড়াই সংসার করে অধিকাংশ মানুষ। বাচ্চাকাচ্চা হলে তারপর বিয়ে করে কেউ কেউ।
বিবাহবিচ্ছেদ খুব কমন এখানে। এখানে সন্তান মায়ের পরিচয়ে বড় হয়, বাবার পরিচয় মূল্যহীন।
পরবর্তী পোস্টে ছবি থাকবে।
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.