নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিনশ্বর ছায়া, রহস্য ঘেরা, অতি সাধারণ সামান্য মানুষ !জন্ম-জন্মান্তর পৃথিবীতেই পরে আছি !!

জে আর সিকদার

আমার অচেনা আমি

জে আর সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ প্রেমের বছর পেড়িয়ে শেষ পর্ব

১৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২৬



জেরিন বাল্ব এর সুইচটা বন্ধ করতেই গাঢ় অন্ধকারে ভীত হয়ে উঠলো, নিঃশব্দে জনির বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো। জনি তার কোলবালিশটা জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। জনির মোবাইলে ডিসপ্লের আলো তখনও জ্বলছে। দুজনই নিঃশব্দ, বেশ কদিন ধরেই জনির মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখছিল জেরিন। কোলবালিশটা কি মাঝখানেই থাকবে? জানতে চাইলো জেরিন। জনি মহূর্তেই কোল বালিশটা সরিয়ে দিয়ে জেরিনকে বুকে টেনে নিল। দুজন হারিয়ে গেল ভালোবাসার সাগরের অতল গহীনে। যখন ঘুম ভাংলো ততক্ষনে জানালা দিয়ে রোদ এসে তাদের বিছানায় ঝকঝলে ছলছলে হাসাহাসি করছে। জনির জেরিনকে তারাতারি রেডি হতে বললো, এখনই বেড়িয়ে পরতে হবে কেউ দেখলেই কেলেংকারী হয়ে যাবে। মিনিট দশেক বাকি, এলাকার বড় ভাই এসে হাজির। কি খবর জনি , বাসায় আসলা কবে ? শুনলাম বাসায় নাকি একটা মেয়ে নিয়ে আসছ? কই মেয়েটা , দেখি। জী ভাই, মেয়েটা নয় না আমার বউ সে। জনি, অনেক বড় হয়ে গেছ! বিয়ে করে ফেলছো, কিছুই জানলাম না যে ! ওকে তোমার বাবার সাথে কথা বলতেছি। ভাই, বাসায় কেঊ জানে না এখনও । আপাতত জানায়েন না, ঝামেলা হবে। তাই, ঠিক আছে তাহলে কিছু খরচ পাতি দাও, কেঊ জানবে না কথা দিলাম। জনি তরিঘড়ি করে হাজার ২ টাকা দিয়ে বিদায় করলেন এলাকার বড় ভাইকে। ৫ মিনিটের মধ্যে জেরিনকে নিয়ে বেরিয়ে পরলেন জনি।
ঘন্টা দুয়ের মধ্যে ব্যাপার টা জানাজানি হয়ে গেল, জনির বাবা ও বড় ভাই সাফ বলে দিয়েছে, তোর মুখ যেন আমরা আর না দেখি। ভুল করেও আর বাসায় আসিস না। জেরিন কে বিদায় করে জনি নিজেকে লুকিয়ে নিল বেশ কদিনের জন্য। এত কিছু হলো জেরিনের পরিবার কিছুই জানলো না। জেরিনের একটাই কথা , কিছুতেই জানানো যাবেনা বাসায় মরে গেলেও না। তবে জনি পরিবারের তিরষ্কার শোনা এভোয়েড করতে পারে নাই সে, বকা ঝকা কতো শুনেছে তার শেষ নেই। জনি জেরিনের কথা রেখেছে, নিজে সব সমস্যা মেনে নিয়েছে। জেরিনের সামান্য অসুবিধাও হতে দেয় নাই। এর মধ্যে তার বিদেশ যাবার সব ব্যাবস্থা ওকে।রাতের ফ্লাইটে সে দেশ ছাড়ছে। এয়ারপোর্টে গিয়ে সে বাবাকে শেষ বারের মতো ফোন দিল । অল্প কিছু কথা বলে ক্ষমা চেয়ে নিল। জেরিনের সাথে নিয়মিত কথা হয়েছে এ কয়দিন তাই কথা বলার তেমন তারাহুরা নেই জেরিনের সাথে। কিছু কথা বলেই সে নিজের ভাবনায় ডুবে গেল।
বেশ কদিন ধরেই জেরিনের ফোন পেলেই এক গাদা বিরক্তি নিয়ে ফোনটা ধরে জনি। জনি ৩ মাস হলো বিদেশে। তার বিয়ের বয়স চার মাস মাত্র। এ বিরক্তির কারন কঠিন বাস্তব জীবন, জেরিনের খিটখিটে কিছু স্বভাব। আজ লম্বা সময় কথা বলে নিয়েছে তারা, তারা দুজন দুজন কে ভুলে যাবে কেউ কারও জন্য আর অপেক্ষা করবে না। বাস্তবতা মেনে নিতেই এই সিদ্ধান্ত।
ভালো থাকুক জগতের সব হঠাৎ সম্পর্কগুলি, ভালো থাকুক স্বার্থপর মানুষগুলো।
জীবন চলুক তার নিজের গতিতে।

আগের পর্বের লিংক Click This Link

ছোট্ট গল্পটার থিম কিছু দিন ধরেই মাথায় ঘুরছিল, কোনরকমে প্রকাশ করলাম মাত্র।
লিখতে গিয়ে নানায় সমস্যায় পরেছি, নানান ভাবনায় , নানান চিন্তায় ডুবেছি। পরবর্তী লেখাটা এর চেয়ে ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
গল্প লেখার ব্যাপারে পরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.