নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিনশ্বর ছায়া, রহস্য ঘেরা, অতি সাধারণ সামান্য মানুষ !জন্ম-জন্মান্তর পৃথিবীতেই পরে আছি !!

জে আর সিকদার

আমার অচেনা আমি

জে আর সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প থেকে শিক্ষা ২

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০১



হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর অভ্যাস ছিলো কোনো না কোনো মেহমানকে নিয়ে খেতে বসা, তিনি কখনো একা একা খেতেন না। একদা তিনি অনেক্ষন অপেক্ষার পরও কাউকে পেলেন না। হঠাৎ দেখলেন একজন বৃদ্ধ ভিক্ষুককে। তখন তিনি তাকে সাথে নিয়েই খাওয়ার জন্য বসলেন। ইব্রাহীম (আঃ) বিসমিল্লাহ্‌ তথা আল্লাহর নামে খাবার মুখে তুললেন; কিন্তু ভিক্ষুক বিসমিল্লাহ্‌ না বলেই খাবার আরম্ভ করল।
ইব্রাহীম (আঃ):- "আপনি আল্লাহর নাম না নিয়েই খাওয়া আরম্ভ কেন করলেন?"
ভিক্ষুকঃ "আমি বাপু আল্লাহ্‌-তে বিশ্বাসী নই, পেলে খাই আর না পেলে না খেয়েই থাকি, কারো নাম নেওয়ার দরকার মনে করি না"।
ইব্রাহীম (আঃ):- "(খুব রাগান্বিত হয়ে) হে অকৃতজ্ঞ বান্দা! তুমি এখান থেকে চলে যাও, আমার এই খাবার তোমার মত নাফরমান ব্যক্তির জন্য নয়"।
বৃদ্ধ ভিক্ষুকটি তখন মন খারাপ করে না খেয়েই সেখান হতে চলে গেলেন।
সাথে সাথে আল্লাহর পক্ষ হতে ওহী আসলো যে, "হে ইব্রাহীম! আমি এই ভিক্ষুককে দীর্ঘ ৮০ বছর যাবৎ আহার করিয়ে আসছি। আমি কখনোই অভিযোগ করি নাই, কারন সে আমারই বান্দা। আর তুমি তাকে এক বেলা খাওয়াইতে রাজি হলে না!!!
ইব্রাহীম (আঃ) তখন তার ভুল বুঝতে পারলেন, এবং ভিক্ষুককে খুঁজতে লাগলেন, কিন্তু তাকে আর পেলেন না।
অতঃপর অনুতপ্ত হলেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন।
............
হিন্দু-মুসলিম একই স্রষ্টার সৃষ্টি ।
গল্পের আলোকে কুরআন ও হাদিস থেকে কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরা হলঃ
**"সাবধান!ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, তোমাদের পূর্বে যারাই ধর্ম নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেছে তারাই ধ্বংস হয়েছে।" [মুহাম্মদ (সঃ)]
**“ধর্মের ব্যাপারে কোন জোরজবরদস্তি নেই।" [সূরা বাকারাহঃ২৫৬]
**"যারা অন্য দেবতাদের পূজা করে, সেসব দেবতাদেরকে তোমরা গালি দিও না।" [সূরা আনয়ামঃ১০৮]
**"তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার।" [সূরা কাফিরূনঃ০৬]

#শিক্ষাঃ হিন্দু, মুসলিম, আস্তিক, নাস্তিক সবাই একই স্রষ্টার সৃষ্টি। তাদেরকে ঘৃণা করা যাবে না। কারন সমস্ত সৃষ্টিকূল আল্লাহর পরিবার, আর ইহা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। তাই কে আল্লাহর নাম নিলো আর কে না নিলো, তা দেখার অধিকার আমাদের নেই। সন্তান ভুল করলে যেমন পিতাই শাসন করেন, বাইরের কেউ শাসন করলে পিতা কখনোই তা বরদাস করেন না; ঠিক তেমনি আল্লাহই তাঁর বান্দার বিচার করবেন, তার বান্দার ব্যপারে অন্য কারো ফয়সালা তিনি বরদাস করবেন না। কারন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, নাস্তিক সবার অভিভাবকই তিনি।

আর উপরে উল্লেখিত উক্তিগুলো দ্বারা স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, যারা অন্য ধর্মের লোকদের উপর ঘৃণা পোষণ করে ও আক্রমণ করে ধর্মের দোহায় দিয়ে, তারা নিঃসন্দেহে ইসলাম ধর্মের আদর্শে আদর্শিত নয়। কুরআনের ভাষায় তারা চতুষ্পদ জানুয়ারের চেয়েও নিকৃষ্টতম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

নতুন বলেছেন: ইব্রাহীম (আঃ):- "(খুব রাগান্বিত হয়ে) হে অকৃতজ্ঞ বান্দা! তুমি এখান থেকে চলে যাও, আমার এই খাবার তোমার মত নাফরমান ব্যক্তির জন্য নয়"।

নবী/রাসুল গন এই রকমের ছিলেন না। এই কাহিনি গুলি মানুষের বানানো।

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

জে আর সিকদার বলেছেন: আপনার বিশ্বাস ঠিক আছে, তবে অনেক নবী/ রাসূল অনেক সময়ই রাগ করে অনেককে অনেক কে অনেক কথা বলেছে। তাদের জীবনি থেকে জানা যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.